জীবন নামক শব্দটি নিয়ে আজ কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
জীবন
জীবন নামক শব্দটি নিয়ে আজ কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ছোটবেলায় লেখাপড়ায় বেশ ভালো ছিলাম। ক্রিকেট খেলাতেও ছিলাম বেশ ভালো। কিন্তু এই দুটোর কোনটাই করা হয়নি। করতে দেয়নি অভাব আর দায়িত্ব। অভাব-অনটনে চারিদিক ঘেরা ছিল। যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন থেকেই জীবিকার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। এবং আজও গতানুগতিক ভাবে চলছে জীবন।
আমার মনে আছে আমি যখন সেভেন ক্লাসের ছাত্র ওই দিনগুলো ছিল এমন যে স্কুল ড্রেস পড়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে স্কুলে যেতাম স্কুল থেকে আসার পথে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় দোকান খুলতাম আব্বু মিল থেকে দোকানে আসতেন আমি বাসায় এসে ইউনিফর্ম চেঞ্জ করে আবার দোকানে। এরকম ভাবে কেটেছে ছোটবেলা। তখন ভাবতাম হয়তো আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটি ভাল অবস্থায় চলে যাবে। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি। এত কষ্ট করতাম কিন্তু তার ফল ছিল জিরো। যাহোক এরকমভাবে কাটছিল দিনগুলো। সময় যেতে যেতে দেখলাম আব্বু সংসারে যে টাকা দিতেন তাতে আমাদের সংসার আর চলেনা। তো মা বলল রাজিব এভাবে আর কতদিন চলবে। আমি বললাম কি??কারন পরিবার সংসার কি জিনিস এই আইডিয়াটা আমার তখন ছিল না। তখন মা বলল তোর বাবা যে টাকা দেয় তাতে তো সংসার চলে না তারপর আবার ভাড়া বাসায় থাকা হতো। বাবার আরো একটা সংসার ছিল তো তাই একটু হেঁয়ালি করতো ওটা নিয়ে কিছু লিখবো না। আমি বললাম মা আমি কি করবো মা বলল রাস্তায় গিয়ে কাজ খোঁজ। কি কাজ খুঁজবো ভাবতে-ভাবতে মাকে গিয়ে বললাম মা আমি কি আখ বেচবো? আখ বলতে অনেকে গ্যান্ডারি নামে চিনবেন ,মা বলল পারবি? আমি বললাম হ্যাঁ পারব। তো যেই কথা সেই কাজ দাও বাস সব কিনলাম বাজারে গিয়ে আখ বিক্রির উদ্দেশ্যে। এখন অন্য দোকানদারেরা আমাকে বাজারে বসতে দিবে না। অনেক রিকুয়েস্ট হাত-পা ধরে কোনরকমে বসলাম। সারাদিনে১০০ টাকা ২০০টাকা এই ছিল বেচাকেনা। এদিকে খরচ তো বেড়েই চলেছে আমার একটা ছোট বোন আছে ওর একটা খরচ ছিল। মা বললো রাজিব বিক্রি যা হয় তাতে তো সংসার চলে না রে । আমি বললাম মা কি করবো তাহলে। মা বলল চল খুলনা থেকে চলে যাই। আমি বললাম কোথায় যাবো? মা বলল সৈয়দপুরে চল ওখানে আমার দূরসম্পর্কের এক ভাই থাকত তার কাছে। আমি বললাম চলো ভাইয়া তো অনেক ভালো ।কিন্তু খালি পকেট চিনিয়ে দেয় দুনিয়া কত কঠিন। যাক যেই কথা সেই কাজ সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।কিন্তু ওই ভাইয়া সৈয়দপুরে কোথায় থাকে এটা কিন্তু জানিনা তখন তো মোবাইল ছিল না। মোবাইল ছিল তবে অ্যাভেলেবেল অ্যাভেলেবেল না। যাক মার কথা অনুযায়ী গেলাম সৈয়দপুরে। সকালে রওনা দিয়েছিলাম। যখন ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌছালাম তখন সন্ধে পাঁচটা বাজে সৈয়দপুর পৌঁছাতে আরও দুই থেকে তিন ঘন্টা লাগবে। তখন একজন ভদ্র মহিলা আমাদের সামনে এসে বসলেন ।আর বললেন তোমরা কোথায় যাবে? মা বললো সৈয়দপুর যাব। সৈয়দপুর কোথায় ? আমার ওই ভাই সৈয়দপুর কোথায় থাকে এটা জানি না। তখন বললাম যে যাব সৈয়দপুর এক জায়গা। ভদ্রমহিলা বললেন এই গাড়ি সৈয়দপুর পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরো ২ ঘন্টা লাগবে । ভদ্রমহিলা বললেন রাত তো অনেক হয়ে যাবে থাকবে কোথায়? এখন থাকবো কোথায় সেটা কিভাবে বলবো ভদ্রমহিলাকে সব খুলে বললাম। ভদ্রমহিলা আমাদেরকে বললেন চিন্তা করো না তোমরা গাড়ি থেকে নেমে আমার বাসায় থেকো। সকাল হলে তোমাদের লোক কে খুঁজবে। আমরা একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম কেমন মানুষ আবার রাতে থাকতে বলছে। কিন্তু আমাদের কোনো উপায় ছিল না। রাজি হয়ে গেলাম। সারা রাত কাটানোর পরে সকাল যখন হলো ভাইকে খুঁজে বের করলাম একটু কষ্ট হয়েছিল। ভাই বলল আমিতো এখানে ভাড়া থাকি তোমাদের কোথায় রাখবো আমার মাকে ফুফু বলতো। উনার কথা শুনে ফিরে এলাম । সেই ভদ্রমহিলার বাসায়। ভদ্রমহিলা বলল কি বললো তোমাদের আত্মীয়। মা কেঁদে কেঁদে বলল কোন সমাধান পেলাম না এখন কোথায় যাব।
ভদ্রমহিলা বলল চিন্তার কিছু নেই তোমার দুই সন্তান নিয়ে তুমি আমার এখানেই থাকো। কিন্তু কতদিন থাকবো একদিন দুদিন এক সপ্তা একমাস একটা ব্যবস্থায় তো যেতে হবে। উনি বললো
ব্যবস্থা যতদিন না হয় থাকো। এখন জীবিকার পালা। উনি মাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার ছেলে কোন কাজ জানে। মা বললেন
ও তো ছোট মানুষ। আমি বললাম কি কাজ বলেনতো। ভদ্রমহিলা বললেন ট্রাক রং করতে পারবা? আমি বললাম হ্যাঁ পারব। ভদ্রমহিলা বললেন আমার এক পরিচিত লোক আছে দেখি কথা বলে। আমি বললাম দেখেন কিছু হয় কিনা। তো উনি আমাকে কাজের ব্যবস্থা করে দিলেন। ২০ টাকা হাজিরা ছিল । আমি রাজি হয়ে গেলাম। কি যে কষ্ট সারাদিন কাজ করার পরে টাকা দিত না কোথায় যাবো কি করবো বুঝতে পারছিলাম না কিছুই। প্রায় দু মাস হয়ে গেছে সৈয়দপুরে থাকি। রাস্তাঘাট চেনা হয়ে গেছে। একটা ঘরভাড়া করেছিলাম ঘর ভাড়া ছিল ১৫০ টাকা। এখন যখন আমি কথাগুলো লিখছি চোখের কোনে আমার ভয়ঙ্কর জীবনের স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে। যাক আমি ট্রাকে কাজ করা ছেড়ে দিলাম ভাবলাম দেখি অন্য কোন কাজ করা যায় কিনা। তো কাজের উদ্দেশ্যে একদিন সৈয়দপুর টার্মিনালে বসা। বাস টার্মিনাল ছিল ওটা। দেখি কিছু দূরে কয়েকটা লোক ইট খোয়া করছে। ওনাদেরকে গিয়ে বললাম আচ্ছা আমাকে কি কাজ দেওয়া যাবে? ওনারা বললেন তুমি কি এই কাজ করেছো? আমি বললাম হ্যাঁ করেছি। তো বললেন ঠিক আছে কাজ যখন করেছো হাতুড়ি আর পাথর তো আছে মনে হয়? আমি বললাম হ্যাঁ আছে। ওনারা বললেন তুমি তাহলে তোমার হাতুড়ি আর পাথর নিয়ে কাল চলে এসো। আমি আবার প্রশ্ন করলাম ১০০ ইট খোয়া করতে কয় টাকা দেন। উনাদের থেকে একজন বললেন ১০০ ইট খোয়া করলে ৩৫ টাকা। আমি ভাবলাম ১০০ ইট খোয়া করা কোন ব্যাপার নাকি আমি তো ২০০ থেকে ৩০০ ইট খোয়া করে ফেলব। একটু স্বস্তি পেলাম। কাজের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। যাক মাকে গিয়ে বললাম। মা বললেন সব ঠিক আছে কিন্তু হাতুড়ি আর পাথর পাব কোথায়। আমি বললাম বসে বসে তো আর পেট ভরবে না মা। তো হাতুড়ি আর পাথরের ব্যবস্থা করার জন্য আমার ছোট বোনের পায়ের নুপুর বিক্রি করে দিলাম আর কিছু বাজার সদাই করে ফেললাম নুপুর বিক্রি করে। এখন হাতুড়ি কিনতে যেতে হবে। হাতুড়ি কিনলাম পাথর ও কিনলাম ।কাজ করতে যেতে হবে প্রায় বাসা থেকে ১০ কিলো দূরে। পাথর মাথায় নিয়ে তুললাম এবং হাটা শুরু করলাম ভোর চারটায় উঠে যেতাম ৫ টা বাজলে হাটা শুরু করতাম পৌঁছাতে পৌঁছাতে সাতটা বেজে যেত সাতটা থেকে কাজ শুরু সন্ধ্যা পর্যন্ত। আমার মনে আছে যেখানে আমি ভাবছিলাম আমি দুই থেকে তিনশ ইট খোয়া করব সেখানে সারাদিনে আমি মাত্র ২৫ টি ইট খোয়া করতে সক্ষম হয়েছিলাম মানে ৯ টাকা কাজ করেছিলাম সারাদিনে। তো যার ইট খোয়া করছিলাম উনি আমাকে ১০টাকা দিয়েছিলেন। তারপর হাতের ব্যথা সেটা তো আলাদা বোনাস। এখন আমি ভাবছি এই ১০ টাকা দিয়ে আমি কি করব। বাসায় গিয়ে মাকে বললাম সারাদিনে ১০টাকা ইনকাম করেছি মা। মা বলল রাজিব এভাবে তো সম্ভব না। তুই আমাকেও নিয়ে চল। আমি রাজি হচ্ছিলাম না। কিন্তু উপায় ছিলনা। নিয়ে গেলাম মাকেও। আমি ইট খোয়া করতাম মা আমাকে হেল্প করত। দুজনে মিলে ৪০ টাকা ৫০ টাকা ৬০ টাকা ৮০টাকা ১০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কেটে যাচ্ছিল দিনগুলো। ভাতের কষ্ট দূর করতে সক্ষম হয়েছিলাম। বোনকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মায়ের ভিতরে একটা রোগ বাসা বেঁধে ফেলেছিল এটা মা আমাকে বলতো না। আমার মায়ের লিভার প্রায় ফোরটি পার্সেন্ট ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল। না খেয়ে থাকতে থাকতে যেটা হয় আরকি। আর এই অসুখটি ছিল খুলনায় আসার ইউটার্ন। আমরা যখন সৈয়দপুর রাস্তার পাশে ইট খোয়া করতাম। খুলনার একজন লোক আমাদের চিনে ফেলেছিল যে আমরা অমুকের লোক । মানে আমার বাবার কথা বলছি। লোকটি এসে বলল আপনি অমুকের স্ত্রী না? আমাকে বলল তোমার বাবার নাম কি? আমি বললাম আমার বাবার নাম। ব্যাটে-বলে মিলে গেলো। আমার বাবা তখন নতুন নতুন মোবাইল নিয়েছিলেন। ওই লোকটির কাছে আব্বুর মোবাইল নাম্বার ছিল। লোকটি আমাদেরকে আব্বুর মোবাইল নাম্বার দিলেন। আমি আব্বুর সাথে কোন রকমে কথা বলার চেষ্টা করি। আমার মা তখন অনেক অসুস্থ। তখন ১২ থেকে ১৫ টাকা মিনিট ছিল। আব্বু বললেন তোর মাকে নিয়ে খুলনা চলে আয় দেখি কি করা যায়। আমি বললাম আব্বু মায়ের যে অবস্থা তাতে ট্রেনে আনবো কি করে। মা শুকিয়ে একদম কাট হয়ে গিয়েছিল। আব্বু বলল আনতে তো হবে না হলে চিকিৎসা করাবি কি করে। আমি কোন রকমে ব্যবস্থা করলাম তখন একটু জ্ঞান বুদ্ধি হয়ে গিয়েছিল । যাক সৈয়দপুর থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ট্রেনে রওনা দিলাম। সে সারা রাত ট্রেনে। সকালে খুলনার স্টেশনে বসা কেউ আসেনি আমাদের নিতে। হঠাৎ দেখি আমার সৎ মা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যাহোক মাকে ধরে কোনো রকমে বাসায় নিয়ে আসলাম। একটা কাঁচা ঘর ছিল সেই ঘরে আমাদের তিনজনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবং আমার অন্য মা থাকতো দালান ওয়ালা ঘরে। এটা দেখে একটু কষ্ট লাগছিল। আর কষ্ট লাগলে কারকি আসে যায়। এখন মায়ের চিকিৎসা করাতে হবে। এই ডাক্তার সেই ডাক্তার সবাই বলে তোমার মা যে কদিন বাঁচে যা খেতে চায় খাইয়ে দিও সময় খুব অল্প উনার কাছে। কিন্তু আমার না বিশ্বাস হতো না আমার মা মরে যাবে এটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হত। তারপর আবার অনেক ঝামেলা আমার বোনটাকে নিয়ে এই কাজ কর সেই কাজ কর সৎ মায়ের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। মার সাথে আলাপ করলাম আলাদা থাকবো। এই বাড়িতে থাকব না। মা বলল ঠিক আছে চল। বাসা ভাড়া করলাম এই খুলনার খালিশপুরে। সে থেকে এখনো ভাড়া বাসায় থাকি খালিশপুরে। এখন আমার একটা উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। একটা দোকানে ঢুকলাম ওই একটা সিট কাপড়ের দোকানে ৫০০টাকা বেতন একবেলা। ৫০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা বেতন হয়েছিল। প্রায় ১০ বছরে। দোকানদারি করতে করতে দেখলাম আমার ভবিষ্যৎ অন্যকে বড় করতে করতে আমার সময় চলে যাচ্ছে। আমিতো এক জায়গায় লক হয়ে আছি। আমি কি কিছু করতে পারবোনা? এ প্রশ্নটা যখন করলাম নিজেকে ভাবলাম কি করব। কাজ তো জানি দক্ষতা ও আছে কিন্তু একটা সাপোর্ট দরকার। তারপর আবার মূলধন ও দরকার। আর একটা কথা না বললেই নয়। কাপড়ের দোকানে দোকানদারি করতাম কষ্ট করতে করতে আমার অনেক বড় একটা অসুখ হয়ে গিয়েছিল। এই অসুখটিকে আমি বয়ে বেড়িয়েছি প্রায় ১৪ বছর। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। এখন আমার মা সুস্থ কিন্তু আমি অসুস্থ। দোকানে যেতে পারি না। দোকানে না গেলে বেতন নাই। অনেক অভাব। ভাতের কষ্ট আবার শুরু হয়ে গেল ওষুধের পয়সা জোগাড় করতে পারতাম না। চাল কিনব কোথা থেকে। যে বাসায় থাকতাম অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা কোন দিন সকালের নাস্তা দিত কোন দিন দুপুরে ভাত দিত এভাবে কাটছিল দিনগুলো । আর ঘরের ভাড়া সেতো অনেক টাকা হয়ে গিয়েছে বাড়িওয়ালা ও রাখবেন না আমাদের। বাড়িওয়ালা বলল ঘরের মাল সামানা রেখে ঘর ছেড়ে চলে যাও। বাধ্য হলাম ঘর ছাড়তে হবে। একদিন মনে আছে আমার অসুস্থতা অনেক বেশি। ওষুধ পানি না থাকলে যেটা হয় আরকি। আমার মা আমার বাবার কাছে গিয়ে বলল রাজিব অনেক অসুস্থ তুমি একটা কিছু করো মা একটু দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। আমার বাবার উত্তর ছিল এটা ভদ্রলোকের বাড়ি আস্তে কথা বল। মা চিল্লাচিল্লি করতে লাগলো আমার সুস্থতার জন্য কিন্তু কোন খান থেকে কোন রিপ্লাই আসছিল না আমার এক মামাতো ভাই সে কিছু টাকা দিলেন ওইটা দিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হলো আমার রোগ ধরা পরল চিকিৎসা হলো। সুস্থ হলাম। অসুস্থতার কথা যদি বর্ণনা করতে যাই তাহলে একটা কথাই বলি আমি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলাম আমার পায়ে কোন পাওয়ার থাকতো না। পড়ে যেতাম আমি। সমস্যা ছিল অনেক। যেটা লিখে বোঝানো সম্ভব না। যখন ভাবলাম নিজে কিছু করব প্রশ্ন মনে নাড়া দিচ্ছিল মূলধন কোথায় পাব। তাই নিজের কিছু করার সাহসই পেতাম না। এদিকে আমি অসুস্থ থাকার কারণে আমার দোকানে চাকরি টা চলে গেল। শুরু হলো জীবন সংগ্রাম এই সংগ্রামের অধ্যায়ের শেষ নেই শুধু শুরুটাই আছে। সে ভাবনা চিন্তা থেকে মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে চোখে পরলো #Iqbal bahar jahid স্যারের ভিডিও সেশন। সেশন গুলো দেখতে থাকলাম। যেটা কিনা মনের ভিতর ঔষধ এর মত কাজ করতো। শুরু হলো স্বপ্ন দেখা। সুরু হল স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার একটা প্রচেষ্টা। সাহস বেড়ে গেল#নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন এর নাম শুনে। নাম টার ভিতরে একটা অন্যরকম সাহস ফিল করতে লাগলাম। গল্পটা নিজের হবে। ১০থেকে ১০হাজার মানুষের সামনে প্রেজেন্ট করার মত একটা গল্প।
কেমন জানি মনে হল মাথার উপরে বৃষ্টির সময় যেমন ছাতার প্রয়োজন ঠিক তেমনি একটি ছাতা পেয়ে গেছি। এখন স্বপ্নটাকে বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। পোস্টটি লিখতে কিছু সময় নিয়েছি। ভুল হলে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। একটু সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৫
Date:- ০৫/০৯/২০২১
মোঃ রাজিব হোসেন
ব্যাচ নং -13
রেজিস্ট্রেশন নং- 64854
মোবাইল নং -01932240334
জেলা -খুলনা