জন্মের পর থেকেই দেখেছি পরিবারে অভাব-অনটন, ঝগড়াঝাঁটি হিংসা বিদ্বেষ, চারদিকে শুধু অভাব আর অভাব।
জন্মের পর থেকেই দেখেছি পরিবারে অভাব-অনটন, ঝগড়াঝাঁটি হিংসা বিদ্বেষ, চারদিকে শুধু অভাব আর অভাব। সেখানে আমার পরিবার এবং আশেপাশের মানুষজন কিভাবে তিনবেলা খাবার জোটাবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকতো।
কাপড় চোপড়ের অভিলাষ সেটা অনেক বিলাসিতা ছিল, তিনবেলা খাবার পাওয়াটা যেন ছিল চরম একটা যুদ্ধ।
আমার মা বাবাকে দেখতাম তারা না খাইয়ে আমাদেরকে খাওয়াতেন, উপার্জনের প্রধান উপায় ছিল সামান্য একটু জমি আর অন্যের জমি বর্গা চাষ করা, তবে তার লাভ খুব একটা হতো না, প্রত্তেক বছর কয়েক বার বন্নার ফলে বারবার ফসলের জমি নষ্ট হতো, খুব একটা ধান পাওয়া যেত না।
সবারই অনেক কষ্ট হতো, গ্রামে খাবারের জন্য একটা হাহাকার থাকত।
আমি এমনও অভাব দেখেছি সেটি ইতিহাসের বিভিন্ন মন্বন্তর এর সাথে তুলনা করা যায়। নিজের চোখে দেখেছি মানুষ ধানের জমির পাশে বসে থাকত কবে ধান পাকবে, সে ধান কেটে চাউল করে সেই ভাত খাবে, অনেক দিন শুধু রুটি এবং আটা দিয়ে যাও রান্না করে খেত।
আমাদের পারায় চাকুরীজীবী ছিল দু একজন তারা একটু সচ্ছল ছিল আর বেশিরভাগই ছিল কৃষক অথবা বর্গাচাষী।
এমন একটা পরিবেশে আমার শৈশব কেটেছে আমাদের এলাকাতে ভালো কোন স্কুল ছিল না। দুটো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল অনেক দূরে দূরে, পাড়ার বড় ভাইরা স্কুলে যেত তাদের সাথে সাথে আমি স্কুলে যেতাম।
আমাকে কেউ স্কুলে যেতে বলেনি, নিজ থেকে জেতাম খেলার ছলে, এভাবে আমার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষাজীবন শুরু হয়।
যখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার রুল ১ হয় তাই আমাকে সবাই একটু পড়ালেখার যত্ন নিতে শুরু করে।
এর পর হাই স্কুলে পড়ালেখা শুরু করি হাইস্কুলে আমার রোল নং ছিল এক থেকে তিন এরমধ্যে।
যখন আমি যখন হাইস্কুলে পড়ি তখন আমার বড় ভাই পারিবারিক অভাব অনটনে নিজের পড়ালেখা বাদ দিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নেন। তার সহায়তায় পড়ালেখা চালিয়ে যাই।
২০০৮সাল এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হই টাঙ্গাইল পলিটেকনিক. সেখানেও রুল ১ ছিল., পলিটেকনিকে পরতে অনেক কষ্ট করতে হয়, কারন আমার বড় ভাই মাসে 2000 টাকা দিতে পারতেন, আর বাকি টাকা জোগাড় করতে ৪টা টিউশনি করতাম।
টিউসনি করা শুরু হয়েছিল ক্লাস ৮ থেকে।
ডিপ্লোমা পাশ করার পর এক টি চাকরিতে জয়েন করি যেখানে কোন বেতন দেওয়া হতো না শুধুমাত্র থাকা-খাওয়া দিত।
সেখানে কয়েক মাস থাকার পর আমি 2013 সালের পহেলা জানুয়ারি ঢাকাতে একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে চলে আসি।
পরের বছর আরেকটি কোম্পানিতে জব হয় তো আমি সেখানে জয়েন করি। বেতনের কথা আর নাই বললাম। এরপর থেকে মোটামুটি চলছে আল্লার রহমতে।
2018 সালের সর্বপ্রথম ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ভিডিও দেখি আমি এবং কয়েকটি পোস্ট পরি, আমার খুবই ভালো লাগে বাট কিভাবে তার এই প্লাটফর্মে যুক্ত হবে সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম না।
তখন ২য় বেচ চলছিলো, তখন থেকে প্রথম পোষ্ট পড়া শুরু।
রেজিস্ট্রেশন করি 11 তম ব্যাচে।
আমি নিজে থেকে কিছু করার সপ্ন দেখি।
সপ্ন দেখি মানুষের জন্য কিছু করার।
প্রতিনিয়ত ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আর এই প্লাটফরম থেকে শিকছি, হয়ত আমার সপ্ন একদিন পুরন হিবে।
পরিশেষে কৃতজ্ঞতা জানাই ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার ক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই সুন্দর একটি প্লাটফর্ম গড়ে উঠেছে এবং এখান থেকে হাজারো দিশেহারা তরুণ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হচ্ছে।
কৃতজ্ঞতা জানাই সকল ভাই-বোনদের যারা বিনা পারিশ্রমিকে এ এই গ্রুপের জন্য কাজ করতেছেন ।
আমার বিশ্বাস একদিন এই ফাউন্ডেশন থেকে এমন অনেক মানুষ তৈরি হবে যারা এই দেশের অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দিবে, যারা অনেক কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং একটি উন্নত সুন্দর সুখী দেশ গডবে এবং ভালোমানুষীর চর্চা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।
যারা কষ্ট করে আমার লেখা পরেছেন তাদের কাছে আমি রিনি।
ভুল গুল ক্ষমা করবেন।
# *📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৩৩*
Date:- ৩০/০৯/২০২১
সুমন খান
ব্যাচ -১১
রেজিষ্ট্রেশন -২২২৬৫
জেলা-টাংগাইল, ধনবাড়ি থানা
বরতমান ঠিকানা - বাড্ডা, ঢাকা