পরিবারের ছোটোরা সাধারনত সবার আদরের হয়,, আমিও তেমনি পরিবারের সবার চোখের মনি ছিলাম
~সবাইকে আমার সালাম আসসালামুয়ালাইকুম
আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন?
মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ করি আল্লাহ আপনাদের সফলকেই ভালো রাখুক, সুস্থ রাখুক!
কেননা, এই যেনো এক ভালো মানুষের মিলন মেলা
নিজের জীবনের গল্পটা নিজেকেই লিখতে হয়। যদি কেউ তা শুনে হাসে বুঝবেন আপনার গল্পটা এখন বিনদনের পর্যায় রয়েছে, যদি কেই উৎসাহ দেয় বুঝতে হবে রাস্তা তৈরি হচ্ছে কিন্তু হাটতে হবে নিজেকেই, আর যদি কেউ হাত বাড়িয়ে দেয় বুঝতে হবে আমার জন্য লিফটের ব্যবস্তা হচ্ছে। উপরে উঠতে পারাটা দ্রুত হবে,
আমার জীবনের গল্প
আমি আফরোজা ইরিন সাবি, লক্ষ্মীপুর জেলার,রামগঞ্জ উপজেলায় আমার জন্ম,, খুবই সাধারন & মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি,, আমরা ৬ ভাই-বোন।
আমি তার মধ্যে সবার ছোটো,
পরিবারের ছোটোরা সাধারনত সবার আদরের হয়,, আমিও তেমনি পরিবারের সবার চোখের মনি ছিলাম
আমার ছোটো বেলা
পরিবারের ছোটোরা সাধারনত সবার আদরের হয়,, আমিও তেমনি পরিবারের সবার চোখের মনি ছিলামময়টা ছিলো ১৯৯৯ তখন আমার জন্ম ও হয় নি,, আব্বুর সঞ্চয় করা টাকা দিয়েই তখন চলতো আমাদের দিন,, কিন্তু আব্বু এই অভাবের দিনেও নিজের & নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে আমার জেঠাতো ভাইয়ের জন্য প্রবাসে পাঠানোর জন্য নিজের সব টাকা প্রায় শেষ করে পেলে,, আম্মুর অসুস্থতা এর মধ্যে পরিবারের ৭ জন সদস্যের জন্য সাংসারিক খরচ জোগাড় করতে আব্বু হিমসিম খেয়ে যায়,,তখন আমার নানুরাই আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করতো,,, তারা সাহায্য না করলে পরিবারের এতো সদস্যের ভরনপোষণ আব্বুর জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যেতো,,
এর মধ্যে আম্মুর অসুস্থতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিলো, তখন আমাদের সব দায়িত্ব ছিলো আব্বুর উপর,, সন্তানদের পড়াশোনা,, খাওয়া,, ঘুম সব আব্বুর উপরে ছিলো, অনেক কষ্ট করতে হোতো আব্বুকে,, বাবার আত্মীয় দের কাছ থেকে আমরা কোনো রকম অর্থনৈতিক সাহায্য না পেলেও আমাদের সাংসারিক কাজে & আম্মুর দেখাশোনার কাজে আমার জেঠি আম্মা & চাচি অনেক সাহায্য করেছে,, আমরা আজও তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আমার বড় বোন মাত্র ৭ বছর বয়সে সংসারের সব কাজ নিজে দায়িত্ব নিয়ে করে,,, আমাদের জন্য আমার আপু অনেক কষ্ট করেন,, আপু ঠিক মতো পড়ালেখাও করতে পারেনি আমাদের জন্য,,, তবুও সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলছিলো আমাদের জীবন,,
এর মধ্যে ২০০০ এ আমার জন্ম হয়,, এতো খারাপ পরিস্থিতির পরেও আমাকে পেয়ে সবাই খুশি,, আব্বুর অনেক জায়গা-জমি ছিলো,, আব্বু ওখানেই ফসল চাষাবাদ করে মোটামুটি চলতো,, তখন আম্মুও মোটামুটি সুস্থ,,
আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করব আব্বু ২০০২ এর দিকে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন,, সব ঠিক ও করা হয়ে যায়,,, যাওয়ার জন্য অর্থও জমা দেওয়া হয়,, কয়েকদিনের মধ্যে আব্বুর বিসার তাখির পড়বে,, সেই মুহূর্তে আব্বুর এলার্জির জন্য পায়ে একটা ইনজেকশন দেয়,,, আর তা ইনফেকশন করে পরে আব্বুর পা পচেঁ যায়,, এক দিকে আব্বুর অসুস্থতা বেড়ে পা কেটে পেলতে হবে এমন অবস্থা অন্য দিকে এতো গুলো টাকার ঋন সব মিলিয়ে আবার ও আমাদের পড়তে হয় চরম হতাশায়তখনও আমাদেরকে সম্পূর্ণ ভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে আমার মামারা সাপোর্ট করে,,
অবশেষে দীর্ঘ ১০-১১ মাস পরে আব্বুর পা পুরোপুরি সুস্থ হয় আর আলহামদুলিল্লাহ সম্পূর্ণ পা ঠিকঠাক ছিলো,, এর জন্য আমার মামাদের প্রতি আমরা এখনও কৃতজ্ঞ,,,
আমি খুব ছোটো ছিলাম তাই এইসব কষ্ট উপলব্ধি আমি করিনি,,
এর পর ২০০৬ বড় ভাইয়া নিজের চেষ্টায় সরকারি চাকরি পায়,,, ছোটো ভাইয়া এর আগে থেকেই পড়ালেখা বাদ দিয়ে বাবাকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করার জন্য কাজ করা শুরু করে,,, যদিও আব্বু তাতে ভাইয়াকে সাপোর্ট করতো না আব্বু চাইতো আব্বুর শত কষ্ট হোক কিন্তু সন্তানরা মানুষ হোক,, এর পর আলহামদুলিল্লাহ আমরা আর পিছনে পিরে তাকাতে হয় নি,,
এরপর ২০১৪ তে আব্বুর আবারও গলায় অজানা একটা রোগে আক্রান্ত হয়, কি রোগ তা ডক্টর ও বলতে পারেনা,, তখন লাইফ রিস্ক নিয়ে আব্বুর অপারেশন করায় ভাইয়া,, অপারেশন এর পর আব্বুর অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেলো,, সবাই তো ধরেই নিলো আমরা এতিম হয়ে যাবো,, তখন আবার ও আমাদের পরিবারে ঝড় নেমে আসে,, তবে আমি ধন্য যে আল্লাহ আমাকে এতো ভালো ভাই & বোন দিয়েছেন মা-বাবার পরে আমার সব টুকু ভালোবাসা আমার ভাই বোনদের জন্য,, আল্লাহর ইচ্ছায় আর ভাইয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টায় দীর্ঘ ৬-৭ মাস পর আব্বু সুস্থ হয়,, এরপর আমরা আবারও অর্থনৈতিক ভাবে কিছুটা দূর্বল হয়ে পড়ি,,
আব্বুর অসুস্থতার পর থেকে,, একটা পর একটা দূর্ঘটনা লেগেই থাকে আমাদের জীবনে,, সে জন্য আমরা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক টা দূর্বল হয়ে পড়ি,,,,
আব্বুর এই অসুস্থতা আব্বুকে যতটা দূর্বল করেছে তার থেকেও বেশি দূর্বল করেছে আমার আম্মুকে,,
আম্মু অনেকটা বদলে গেছে বলতে গেলে,, কেমন যেনো বেখেয়ালি হয়ে গেছে,, তার মধ্যে আগের মতো অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা নেই আম্মুকে সব সময় একটা চিন্তার মধ্যে দেখি,,, হাসি খুশি থাকা মানুষটা মনে হয় হাসতেই ভুলে গেছে,, তবুও কষ্ট আরর জীবন টাকে তেমন ভাবে উপলব্ধি করিনি,, কারন মাথার উপর ছায়া হয়ে আব্বু-আম্মুর পাশাপাশি ভাই-বোনেরা ছিলো সব সময়। বড় ভাই-বোন থাকা মানে পৃথিবীর সব সুখ আমার,,
তবুও জীবন বাস্তববাদী,, কোনো না কোনো ভাবে আমরা এই বাস্তবতা & আমাদের খামতি গুলোকে উপলব্ধি করতে পারি। দিনটা ছিলো রবিবার & মাসটা ছিলো মার্চ মাস ২০২১,
বাসায় তখন আম্মু আর আমি ছাড়া কেউ ছিলোনা, রাতে আম্মু সুস্থই ছিলো কিন্তু সকালে নামাজে সেজদা দেওয়ার পর আম্মু আর উঠে দাড়াতে পারছিলো না,, আম্মুর নিশ্বাস যেনো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো, আম্মু কোনো ভাবে স্থির হতে পারছে না,, আম্মুর সারা শরীর ঘামছে,, আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না,, শুধু আম্মুর চিৎকার শুনে বুঝতে পারছি আম্মুর খুব কষ্ট হচ্ছে,,, আম্মুর এই কষ্টটা আমকে ৪-৫ ঘন্টার মতো সহ্য করে যেতে হয়েছে,, প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনি আমি, শ্রম দিয়েও পারিনি আর অর্থ দিয়েও না,,, বড় আপু & ভাবিরা আশার পর তারাই অর্থ যোগান দেয় আর আম্মুকে সুস্থ করার জন্য ডক্টরের কাছে নিয়ে যায়,,, যে মা-বাবা আমাদের জন্য এতো কষ্ট করেছেন এতো ত্যাগ স্বীকার করেছেন আমি তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি।মেয়ে বলেই হয়তো সেদিন পারিনি তার পর থেকেই মা-বাবার জন্য কি ভাবে কিছু করা যায় তাই নিয়েই ভাবতে থাকি,,, এই ভাবনা আমার কখনও পিছু ছাড়ে না,,, তার পর থেকেই শ্রম দিয়ে চেষ্টা করে পারলেও অর্থ দিয়ে আমি আম্মু আব্বুর কোনো উপকারে আসতে পারিনা তাদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে পারিনা,, কিন্তু আমাদের প্রিয় স্যার বলেছেন চেষ্টা করলে আর লেগে থাকলে আমরা সব কাজেই সফল হতে পারবো,,, তাই আমিও লেগে থাকবো আম্মু-আব্বুর জন্য কিছু করার অপেক্ষায়
শিক্ষা জীবন
স্কুল জীবন
প্রতিটি মানুষের প্রথম শিক্ষক হয় মা! আমার ও প্রথম শিক্ষক ছিলো আম্মু। যদিও আম্মুকে বেশি কষ্ট করতে হয়নি কারন আমি ছিলাম সব বিষয়ে একটু এক্টিভ।একটু সাপোর্ট পেলেই অনেক কঠিন কাজ ও অনেক সহযে করে পেলতে পারি। প্রাইমারি স্কুলে ভীষণ ভালোই ছিলাম পড়ালেখায়, বিশেষ করে অংকে ভালো ছিলাম,,
কিন্তু হাইস্কুল লাইফে আসার পর পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছি বোল্লেই চলে, নতুন পরিবেশ নতুন মানুষ আমার মোটেই ভালো লাগতো না,,
যদিও প্রথম ২ বছর কোনো রকম পাশ করে অষ্টম শ্রেণিতে উঠি,,
এরপর গাইড লাইন হিসেবে চলে আসে আমার ভাবি,,, পড়তেই হবে পড়া,পড়া আর পড়া,, ওনার কারনে নিয়মিত আবার স্কুলে আসা শুরু। ভাবিও বোনের মতো হয় আমি বিশ্বাস করি আর ভালোবাসা আমার ভাবির প্রতি।অষ্টম শ্রেনীতে প্রথম সাময়িক পরিক্ষা দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ইংরেজি ছাড়া বাকি সকল বিষয়ে ভালো একটা রেজাল্ট করি বিশেষ করে অংকে। সব শিক্ষক চাইবে তার স্টুডেন্ট ভালো কিছু করুক। কিন্তু অসৎপথ অবলম্বন করে না, তাই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা একজন স্টুডেন্ট সবার থেকে ভালো রেজাল্ট করায় স্যার একটু রাগান্বিত হয়েই কয়েকটা কটু কথা শুনিয়ে দেয়। বিষয়টা আমি শাসনের দৃষ্টিতে না নিয়ে একটু অপমানের দৃষ্টিতেই নেই,,তাই সেদিন থেকে চেষ্টা শুরু করি কি ভাবে এর ছেয়ে ভালো কিছু করে স্যারকে দেখানো যায়।এর পর জেএসসিতে ভালো রেজাল্ট পেয়ে স্যারের সামনে দাড়াই, কিন্তু স্যার তখনও আমার সফলতাকে পজিটিভ মাইন্ডে নিতে পারেনি, তাই স্যার আবারও আমাকে কড়া শাসনে কথা শুনায়, তখন ও বিষয়টা অপমানের দৃষ্টিতেই নেই।আর আবার ও চেষ্টা করে যাই আমার সফলতাটা যে ন্যায় ভাবে তা স্যারের সামনে তুলে ধরা,, ইংরেজি ছাড়া মোটামুটি সব বিষয়ে ভালোই ছিলাম,, বিশেষ করে একাউন্টিং & ম্যাথম্যাটিকসে আলহামদুলিল্লাহ পারদর্শী ছিলাম,, আর আমার চেষ্টার জন্যেই একদিন আমি স্যারের মাইন্ডে আমার সকল সফলতার পজিটিভ দিক গুলো ধারন করাতে পেরেছি,, যখন স্যার আমার থেকে ১০০ এ ১০০ আশা করতো। আর সে দিনই আমার চেষ্টা সফল হয়
তখন থেকেই বিজনেস আমার ভালোবাসা আর আমার স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়
স্কুল লাইফ শেষ হওয়ার দীর্ঘ ৪ বছর পরে এই কথা গুলো আবার আমার তখনি মনে পড়ে যখন আমাদের প্রিয় মেন্টর "ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের উক্তিটি দেখি,,
স্বপ্ন দেখো,সাহস করো,আর লেগে থাকো সফলতা আসবেই। আর স্যারের এই উক্তিটি দেখে আমি আবারও সাহস পাই,, স্বপ্ন দেখি, ইনশাআল্লাহ লেগেও থাকবো
কলেজ লাইফ
স্কুল লাইফ থেকেই কলেজের প্রতি আমার এক বিরিক্তিকর ভাবনা,, কলেজের নাম শুলনেই মেজাজ গরম হয়ে যেতো,,কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিলো ব্যাংকার হওয়ার পাশাপাশি একজন উদ্যোগতা & বিজনেস ম্যান হবো,,
সেই জন্যেই কলেজে আমাকে পড়তে হবে,,, আমার সৃজনশীল নলেজ ছিলো মোটামুটি,, আর ব্যবসা শিক্ষা বইয়ের প্রতিটা ওয়ার্ড ছিলো আমার স্বপ্নের সাথে জড়িত, তাই জেলারেল লাইনে ব্যবসা শিক্ষা নিয়ে পড়ার ছিলো তীব্র ইচ্ছা,, কিন্তু স্কুল লাইফের পর থেকেই আর স্বপ্ন ধীরে ধীরে শুধু দুঃস্বপ্ন হয়েই থেকে যায়,,,
যে ভাইয়া ছিলো আমার স্বপ্ন দেখার মূল কারন তার হাত ধরেই স্বপ্ন গুলো শেষ হতে লাগলো,,, যদিও ভাইয়ার দোষ ছিলোনা দোষ ছিলো ভাইয়ার প্রতি আমার প্রবল ভালোবাসা আর বিশ্বাস,, কলেজে পড়ালেখায় মন বসতো না তবুও পড়তাম আর স্বন দেখতাম আমি ব্যাংকার হতে পারিনি তো কি হইছে উদ্যোগতা ইনশাআল্লাহ হবো,,, যেখানে কলেজে সবাই আড্ডা, হই হুল্লোড় নিয়ে বিজি সেখানে আমার শুধু একটার চিন্তা কি ভাবে স্বপ্ন পূরন করবো,, যেখানে সবাই মোবাইলে ফ্রেন্ড খুজতে বিজি সেখানে সবাইকে ইগনোর করেএকটা পার্ট টাইম জব খুজতে আমি ব্যস্ত,,, জব চাইলে করা যেতো কিন্তু ভাইয়ার কড়া বারন কোনো পার্ট টাইম জব করা জাবেনা শুধু পড়া আর সরকারি জব,,, সব কিছুর পরেও কলেজে ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না ঠিকই কিন্তু মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ ভালো রেজাল্ট নিয়েই বের হয়েছি,,,
এখনো ভার্সিটি জীবনে পা দেওয়া হয় নি।তবে ইচ্ছে ছিলো & চেষ্টা করছি IUBAT তে বিএসসি করার। কিন্তু বর্তমানে এমন কাজ করা ঠিক না যা ফিউচারে আপনার জীবনকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেয়,,, ভার্সিটিতে পড়ার আর পড়ানোর তীব্র ইচ্ছা ছিলো আমার পরিবারের কিন্তু এতো অর্থ যোগান দেওয়া আমার কিংবা আমার পরিবারের সাধ্যের বাইরে।তবে আমি যদি কিছুটা অর্থনৈতিক ভাবে হেল্প করি তাহলে হয়তো ভার্সিটি লাইফ আমি পাবো।
এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি বলেই এমন সুন্দর একটি পরিবার পেয়েছি, যেখানে সব কিছু বলা যায়
এই ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হয়েছি বলেই আজ কিছু লিখতে সাহস পেয়েছি।
এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি বলেই ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি বলেই কিছু মানবিক কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি বলেই নিজের একটা গল্প লিখার সাহস পেয়েছি।
প্রিয় প্ল্যাটফর্ম কে নিয়ে আমার স্বপ্ন
আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের এই প্লাটফর্ম অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তাগণ একদিন আন্তর্জাতিক মানের প্রোডাক্ট উৎপাদন করে, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নতুন রূপে তুলে ধরবে। আজ প্রতিটি সেক্টরে বিদেশি প্রোডাক্ট গুলো আমাদের বাজার দখল করে আছে। আমাদের হাজার হাজার পোশাক শিল্প কারখানা থাকার পরও আমরা মার্কেটে গিয়ে বলি ভাই চায়না ব্যান্ডের প্যান্ট দেখান,বিদেশি কসমেটিক দেন ,এটা দেন,সেটা দেন। এর একটাই কারণ আমাদের দেশীয় পণ্যের প্রতি অনাস্থা। আমরা মনে করি আমাদের সব কিছুতেই ভেজাল মিশে আছে। তাই আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তারা মানসম্মত শতভাগ বিশুদ্ধ প্রডাক উৎপাদন করে,আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দেশীয় পণ্যের প্রতি হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস কে ফিরিয়ে আনবে। আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়া হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পকে
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৬
Date:- ০৬/০৯/২০২১
আফরোজা ইরিন সাবি
ব্যাচঃ১৫
রেজিষ্ট্রেশনঃ৬৮০৭৬
জেলাঃ লক্ষ্মীপুর
ব্লাড গ্রুপঃও+
বর্তমান অবস্থানঃ রামগঞ্জ
কাজ করছিঃ লেডিস আইটেম
পেইজঃhttps://www.facebook.com/বিজনেস-লাভার-108851991499489/