জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প
💕💦🌼☀️ সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ দরবারে শোকরিয়া আদায় করি যিনি এই বিশ্বব্রম্মান্ডের সকল সৃষ্টির মালিক । যার অশেষ কৃপায় সুন্দর এই ধরণীর বুকে এখনো
আমরা সুস্থভাবে বেঁচে আছি আলহামদুল্লিলাহ 💞 ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি 💕. বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি আমার /আপনার/ সবার প্রিয়... শ্রদ্ধেয় জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি,, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি এমন গর্বিত একটা প্লার্টফর্ম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন যেখানে আমরা প্রতি নিয়ত শিক্ষা অর্জন করতেছি 'আল্লাহ হাজার বছর আমাদের মাঝেই
💕ভালোবাসা উৎসর্গ 💞 প্রিয় প্লাটফর্মের সকল ভাই ও বোনদের জন্য
ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি প্রিয় সকল ভাই, বোন ও বন্ধুদের প্রতি যারা সবসময় আমাদের পাশে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের💞
☔গল্প শুরুর আগে☔
👉 জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে💦
মানুষের জীবন বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভক্ত, কোন অধ্যায় হয় সুখকর, কোন অধ্যায় হতে পারে দুঃখে রচিত, কোন অধ্যায় আবার সুখ ও দুঃখ এই দুই অনুভূতির সংমিশ্রণে অনেক সময় ঘোলাটে হয়ে যায়, এর বাইরেও নিয়তি নামক একটি অধ্যায় থাকে যেখানে মানুষের কোন হাত থাকে না....আমার কাছে
জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা খুব কঠিন একটা কাজ। এর চেয়ে গল্প উপন্যাস লিখা অনেক সহজ,,কারন জীবনের গল্প গুলো যেমন হয় রোমান্সকর,, তেমনি হয় রোমহর্ষক,,, আসলে..
আমার জীবনের গল্প এখনো লেখা যাবে বলে আমার মনে হয় না,, কারন জীবনের এখনো আরো অনেক গুলো অধ্যায় বাকি আছে,তবে আমি আশা রাখি একদিন হয় তো আমি ও এমন একটা গল্প লিখবো যেখানে থাকবে সফলতার ছোঁয়া,,,,
প্রতিটা মানুষই একেকটা গল্পের ভান্ডার,, আমি ও এর ব্যতিক্রম নই.. তাই নিজের জীবনের ছোট্ট একটা অধ্যায় নিয়ে আজ আসলাম আপনাদের মাঝে,
💐আশা রাখছি
আপনাদের মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় নিয়ে আমার জীবনের অধ্যায়টা পড়বেন,,,
👉##_নিজের জীবনের গল্পের #শুরু__ # এখন#👈. আমি মুহাম্মদ রমজান আলী জম্ম তারিখ 1992নিজ জেলা চট্টগ্রাম আনোয়ারা থানা গ্রাম শিলাইগড়া ৬নং বার খাইন ইউনিয়ন পরিষদ ৪নং ওয়ার্ড আমরা তিন ভাই পাঁচ বোন আমার নিম্ন একটা পরিবারে জন্ম আমি
পড়াশোনা তেমন ভালো ছিলাম না তার পরেও লেখা পড়া চালিয়ে গেছি আমাকে মাদ্রাসার দিছে কোন তদারকি করত না আমার ছেলে কি পডা লেখা করে না কিকরে কোন কোজ নিত না মাদ্রাসায় দিছে নাম বাবার কোন শিক্ষা নাই আমার মায়ের ও শিক্ষা নাই আবার আমার মায়ের কোরান শিক্ষা আছে অনেক পারদর্শী ছিলেন মা কোরান শরীফে আমাদের পরিবারের সব ভাই বোনদের কোরান শরীফ শিক্ষা আছে কারণ ছোট কাল থেকে মা কোরান শরীফ শিক্ষা দিছে আমার বাবা একটা কথা বলত সব সময় অন্য শিক্ষা ভালো ভাবে শিক্ষা দিতে না পারলে ও কোরান শরীফ শিক্ষা দিছি আমি মরার পর সবাই আমার পাশে বসে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করতে পারবে আর কিছু চাওয়ার নাই ' আমার বাবা অনেক পরিশ্রমি মানুষ ছিলেন সংসারে আমার বাবা একজনই উপার্জন করত আমরা তখন ছোট আগে বলছি বোন বড় ছিল এমন সময় গেছে আমাদের পরিবারের বাজার করত আমার বাবা সন্ধ্যা বেলায় বাজারে যেত কারণ সন্ধ্যার সময় দাম কম পাওয়া যেত তাই আমার বয়স যখন ৯অথবা ১০ তখন আমি নিজে বাজারে যেতাম ৫০ টাকা দিতেন মা বলে দিতেন সব মিলিয়ে আনার জন্য তার পর 2002 সাল আমার বড় ভাইকে সৌদি আরব মামা নিয়ে
যাই আমাদের পরিবারের অভাব অন্টন দুর হতে থাকে সেই পাকে একটা কথা আমার বাবা তিন বোন কে বিয়ে দিয়ে দিছে নিজে কষ্ট করে আমার বাবার কেউ ছিল না বাবার মুখে শুনেছি দাদা মৃত বরণ করেছিলেন বাবার কৎনা করার পর দাদু বড় করেছে বাবাকে বিবাহ করাই বাবার একজন ভাই ছিল সেই বিবাহ করার একবছর পর মারা যাই চাচার একটা মেয়ে ছিল তাকে আমার মা বড় করে বিবাহ দেয় চাচিকে তার মা বাবা নিয়ে যাই মেয়েকে রেখে আমার মা লালন পালন করছে ' আর একটি কথা বলা হল না সেইটা হচ্ছে আমার বাবা চাষাবাদ ও গরু পালন করে সংসার চালাত একদিন আমার বাবাকে এলাকার বাসিন্দা ওয়ার্ড মেম্বার বাবার এবং বোনদের কাছে শুনছি এক বছর আমার বাবাকে চাষ করতে দিবে না জমিতে ধান লাগাতে পারবেনা বলে দিছে তখন আমার বাবা বলল আল্লাহ দেখি আমার মেয়েদের বরকতে কি রিযিক রাখছে তখন আমাদের গরু ছিল আমার বড় ভাইকে নিয়ে আমাদের পূর্ব আনোয়ারাতে একটা বজার আছে ঐ খানে গরু বিক্রি করতে গেছে গরু বিক্রি না করলে চলতে অসম্ভব হয়ে যাবে এত গুলো মানুষ খাওয়ার উপযুক্ত ধান লাগাতে দিবে না সেই জন্য বাবার কেউ নাই শক্তিই দেখার মত আল্লাহর কি মহিমা বাবা বাজার থেকে আসতে না আসতে যে লোক চাষ করতে পারবে না বলছে সেই লোক মারা গেছে তাই বলি পৃথিবীতে অহংকার কর না আমাদের এলাকায় ঘটনাটি সবাই জানে যখন বাবা আর ভাই বাজার থেকে এসে এলাকায় ঢুকে সবাই বলতে লাগল তুর ছেলে মেয়ের অভিশাপ লাগছে আল্লাহ বেশি দূরে না এটা সবার মুখে মুখে
আমাদের পরিবারের মধ্যে বোনদের লেখা পড়া পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করার পর আর পড়াই নি আমার বড় ভাই ২০০১সালে এস এস সি পরীক্ষা পেল করে তার পর বিদেশ যাই মেঝ ভাই নবম শ্রেণীর পর লেখা পড়া করে নাই সেইও ২০০৪সালে দুবাই যাই
আমি আমার জীবনে কোন সময় কারো কাছে প্রাইভেট পড়ি নাই ভাইরা বসিয়ে যা পড়াইছে তাই দুইবার পেল করি আমি একবার ক্লাস তিরি এবং সেবেন তার পরেও লেখা পড়া ছাড়ি নাই ২০১২ এস এস সি অর্থাৎ দাখিল পাশ করি ৩.৬৫ পেয়ে এবং আলিম পাশ করি ৩.৬৯ পেয়ে তার পর পরিবারের সমস্যার কারণে বিদেশ পাড়ি দেওয়া আসার আগে এমন কথা বলেছে অনেক ভালো কাজ আসার পর দেখি গানাম ছাগলের কাজ তার পর চিটির মধ্যে দোকানে কাজ করাত বেতন বাড়ানোর কথা বললে চার বছর কাজ করছি বেতন বাড়ায় না বললে বলে পালিয়ে যা সমস্যা নাই তার পর এখন আকামা নাই দুই বছর হল এই পর্যন্ত আছি সবাই দোয়া করবেন ' আমি অনেক দিন ধরেই স্যারের কথা গুলো ইউটিউব থেকে দেখতাম অনেক অনুপ্রাণিত হতাম নিজের ভিতরে কেমন জানি একটা অনুভূতি সৃষ্টি হত' তাই একদিন হঠাৎ করে পেয়ে যাই যার কথা না বললেই হয় না ইনায়া ইসলাম বৃষ্টি আপু আমাকে বলে ১৫ তম রেজিষ্ট্রেশন চলতেছে করলে আমাকে জানান করে ফেলছি রেজিষ্ট্রেশন ১৫তম ব্যচে আবার আমাকে জেলা মেসেজারে এড করে দেন আপু' তার পর আমাকে আমাদের NRB KUWAIT মেসেজারে এড করে দেন শামসুল ইসলাম রুবেল ভাইয়া ধন্যবাদ আমাকে এই রকম ভালো মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ
এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি সবার অনুপ্রেরণায়, ভালোবাসায়... এবং এভাবেই পাশে চাই সবাইকে..
আসলে জীবনের গল্প তো আর এতো অল্পতে শেষ হওয়ার নয় এবং একটা গল্পে সবকিছু লিখে শেষ ও করা যাবে না, তাই অন্য একটা গল্পের জন্য বাকিটা তোলা থাকলো,, আসবো অন্য আরেকদিন বাকি গল্পটা নিয়ে...
পরিশেষে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি এমন সুগঠিত একটা প্লাটফর্ম যেখানে প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন ভাবে তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছি... কৃতজ্ঞ থাকবো সারাটি জীবন
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৮
Date:- ০৮/০৯/২০২১
☀️নাম : মুহাম্মদ রমজান আলী
☀️জেলা :চট্টগ্রাম
☀️ থানা: আনোয়ারা
☀️ব্যাচ নং:১৫
☀️রেজিষ্ট্রেশন নং:৬৮৭০৯
☀️ব্লাড গ্রুপ: B+
☀️সদস্য : নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন শৃঙ্খলায় একধাপ এগিয়ে NRB KUWAIT টিম
💕ধন্যবাদ সবাইকে সম্মানিত ভাই ও বোন🌼