সফলতার গল্প
-----------------বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম-------------
--------------------আসসালামু আলাইকুম---------------
✅আমার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু এবং বর্তমান অবস্থা।
✅আশা করি নতুন উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন সম্পুর্ন লেখাটা পড়ে।
❤️ প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান আল্লাহতালার নিকট যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই বিশ্ব মহামারি করনা পরিস্থিতিতে এখনো আমাকে সুস্থ রেখেছেন আপনারও নিশ্চয়ই ভালো আছেন।
❤️তারপরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের প্রাণ প্রিয় ভালোবাসার মানুষ লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণীদের আইডল আমাদের অনুপ্রেরণা ভালো মানুষ তৈরি করার কারিগর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। আল্লাহ তায়ালা স্যারকে নেক হায়াৎ দান করুন।
❤️ভালোবাসার পরিবারে আমি আপনাদের একজন সহযোদ্ধা।
আমি মোঃ রিয়াজ মোরশেদ তুহিন
একজন ভালো মানুষ হবার স্বপ্ন দেখছি।
ব্যাচ ১৩ তম
রেজিষ্ট্রেশন ৬১৬৪৫
#বাগেরহাট জেলা টিম টাইগার্স
ব্লাড গ্রুপ A-
বর্তমানে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা জোন
✅আজ আমি আপনাদে জানাবো আমার উদ্দোগতা জীবনের শুরু থেকে সফল হওয়ার গল্প।
🌱উদ্যোক্তা জীবন শুরু
------------------------------
✅আমি ব্যবসা শুরু করেছি একটা জেদের বসে।রাগ করে নয়।আমার উদ্দোগতা জীবন শুরু ২৭-০৭-২০১৫ সালে হঠাৎ করে। ব্যাবসা শুরু করবো কিন্তু মূল ধন হাতে নাই।আমি তখন চাকরি করতাম চট্টগ্রাম ইপিজেড স্মার্ট জেকেট নামক একটি গার্মেন্টসে।
✅আমার সাথে আমার এক মামা ও একই সাথে চাকরি করতো। মামাকে বললাম মামা আমার একটা উপকার করতে হবে আমার ৫০০০ টাকা লাগবে। আমি বেতন পেয়ে দিয়ে দিবো। মামা বললো আচ্ছা কালকে দিবো। মামা থেকে টাকা নিয়ে একটা চেনা দোকান গেলাম দোকান দার ভাইকে বললাম ভাই আমি কিছু প্যান্ট নিবো ব্যাবসা করার জন্য তখন ভাই বললেন আচ্ছা ঠিক আছে নিতে পারবে।আমি ৭/৮ পিচ জিন্সের প্যান্ট ও ২ জোড়া জুতা নিলাম তার থেকে।
✅ জুতা টা নেয়ার কারন ছিলো আমি যে জুতাটা নিয়েছি একই ব্যান্ডের জুতা আমার বস পড়তেন। বস যখন পড়ে তখন অবশ্য এটা ভালো মানের হবে তাই জুতাটা নেওয়া। পরের দিন কিছু প্রডাক্ট নিয়ে আমার কর্মস্থান গেলাম। কারণ আমার প্রথম টার্গেট ছিলো আমার অফিস কলীগ ও আমার সিনিয়ার পারসন এবং আমার বস দের। অফিস গেট গেলে সিকিউরিটি গার্ড আমার ব্যাগ গেটে আটকে দেয়। আমি কিছু বলিনি আমি কাজের স্থানে চলে যাই লাঞ্চ টাইমে গেটে যাই এবং আমার পরিচিত মুরব্বি সিকিউরিটি ছিলেন তাকে বলি নানা আমার ব্যাগটা একটু ভিতরে নিতে হবে। প্রথমে না করছিলেন পরে অবশ্য দিয়েছেন। এখনো মনে পরে সেই দিনের কথা। প্রডাক্ট গুলো অফিস রুমে নেয়ার সাথে সাথে সবাই ভাগ করে নিয়ে গেলো। জুতা ২ জোড়া আমার এক বস নিয়ে গেলো।💙💜
✅আমার বস এখন ও ফোন দিয়ে আমার কাছে জুতা খুজে। কারন আমি এক্সপোর্ট প্রডাক্ট বিক্রয় করি তার জন্য। পরের দিন বাকি প্রডাক্ট গুলো নিয়ে গেলাম অফিস গেটে রাখলাম লাঞ্চ টাইমে ভিতর নিলাম আলহামদুলিল্লাহ বিক্রি শেষ। কিন্তু সব প্রডাক্ট বিক্রয় হলো বাকিতে। কারন মাস শেষ সবার হাতে টাকা নাই গার্মেন্টসের বেতন কত আর। আনন্দ লাগছে।আবার চিন্তা ও হচ্ছে প্রডাক্ট কিনতে হবে কি করবো।
✅ছুটি পরে বাসায় গিয়ে মন খারাপ করে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর আমার সহধর্মিণী কর্ম শেষে বাসায় আসলো। তখন সেও গার্মেন্টস কর্মী। আমাকে বলো কি হয়েছে মন খারাপ করে বসে আছেন কেন।আমি বললাম আমার কিছু টাকা দরকার। ব্যাবসার জন্য আমি যে প্রডাক্ট গুলো কিনে ছিলাম সবগুলো বাকিতে বিক্রি করেছি এখন আরো প্রডাক্ট কিনতে হবে।
❤️ তখন তার গলায় একটা স্বর্ণের চেন ছিলো তার বোনের মেয়ের সে চেনটা খুলে আমাকে দিয়ে বললো এটা বন্ধোক রাখো আমি বললাম কি বলো পরের জিনিস কি ভাবে বন্ধোক রাখবো।সে বললো সমস্যা নাই। তারপর স্বর্ণের দোকানে চেনটা বন্ধোক রাখলাম। ৫০০০ হাজার টাকা পেলাম আবার প্রডাক্ট আনতে গেলাম। আমি যে ভাইয়ার থেকে প্রডাক্ট আনতাম তাকে বললাম ভাই আমি তো আপনার ভাবির গলার চেন বন্ধোক দিয়ে টাকা আনছি আমার কাছে টাকা নাই। তাই কম প্রডাক্ট নিতে হবে। তখন ভাই আমাকে বকাবকি করেছিলো। এবং বলো এটা ঠিক করেনি রিয়াজ। তখন ভাই বললেন আজ থেকে প্রতি মাসে তোমার যত পোডাক লাগবে নিয়ে যাবে কিন্তু তুমি প্রতি মাসের ১০ তারিখ আমার টাকা পরিশোধ করবা। আমি তো মহা খুশি। ভাই এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এখনো ভাই এর নাম ছিলো মোঃ মাহাবুব।
❤️আমার ব্যাবসা খুব ভালো চলছে এভাবে চলতে থাকলো ৩/৪ মাস এবার আমার মাথা ডুকলো আমার একটা দোকান নিতে হবে অফিস ছুটির পরে আমি দোকান করবো। দোকান খুজা শুরু করলাম একটা মার্কেটে একটা দোকান পেলাম কিন্তু ঐ দোকানের যে ডিমান্ড তা আমার কাছে তো নাই। 😥আশা ভেঙে চুরমার আমি তা ও থেমে যায়নি।পরে জানতে পারলাম আমার অফিস এর বস এর একটা দোকান আছে। তিনি দোকান টা আর চালাবেন না। খোজনিয়ে দেখলাম দোকানএর এডভান্স ২০ হাজার টাকা। আমি তো মহা খুশি কারন এতো টুকু পুজি আমার হাতে জমা হয়েছে ৩/৪ মাসে আমার ব্যাবসা থেকে। বস এর সাথে কথা বললাম। তিনি বললেন হ্যা দোকান টা আমি চালাবোনা তুমি নিয়ে নিতে পারো তুমি নিলে ভালো হবে।
✅বস এর কথা আমার ভালো লাগলো আমি রাজি হয়ে গেলাম। বস এর সাথে গেলাম দোকান দেখার জন্য। বস কি করলো দোকান খুলে দোকানের মালামাল আমাকে গুনতে বললো আমি সহজ মনে গুনলাম। তারপর বস হিসাব করলো দোকান এডভান্স সহ ১৮০০০০ টাকা।বলেন আজ থেকে দোকান তোমার আমার তো মাথায় হাত কই ২০ হাজার কই এক লক্ষ আশি হাজার। আমি বসকে বললাম আমার কাছে এত টাকা নাই আমি দোকান নিবোনা।তখন সে বললেন তুমি দোকান চালাও এখন যা পারো দেও বাকি টাকা প্রডাক্ট বিক্রয় করে করে দিয়ো।আমি সরল মনে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। কারন আমার দোকান নেয়ার একটা পাগলামি মাথায় ছিলো। দোকান বন্ধ করে চাবি ধরিয়ে দিলেন আমাকে।আমি বাসায় চলে গেলাম। আমার স্ত্রী কে বললাম দোকান নিয়েছি আমি।সে বলে কথায় কি সের দোকান টাকা পাবে কোথায়। আমি বললাম দেখি কি করতে পারি। সারা রাত আমি একটুও ঘুমাতে পারিনি এখনো মনে পরে সেই রাতের কথা হয়তো আপনার অনেক বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু এটাই বাস্তবতা আমাদের মতো গরিব ঘরের পিতার সন্তানদের।
✅পরদিন সকালে আমার ব্যাবসা লাভের টাকা গুলো বের করলাম গুনে দেখি ৪৩৫০০হাজার টাকা ওখান থেকে ৪০০০০ হাজার নিয়ে বসকে দিয়ে দিলাম।দুই তিন যেতে না যেতে বস বলে টাকা দেও এখনো আমার মনে খটকা লাগলো কিরে তার সাথে তো আমার এমন কথা ছিলোনা। এদিকে আমি দোকান ও খুলতে পারছিলামনা কারন অফিসে আমার ডিউটি বেড়ে যায় ওভারটাইম করতে হতো। কি করবো ভেবে পাছিলাম না। বাড়ি থেকে আমার বাবাকে ফোন করে বলি আমিতো একটা দোকান নিয়েছি কিন্তু এখন আমার ডিউটি বেড়ে গেছে আমি দোকান খুলতে পারছি না আর কিছু টাকার ও দরকার। বাবা বলো আমার কাছে তো টাকা নাই তুমি যে টাকা দেও প্রতি মাসে আর আমি যে রোজগার করি তাতে মোটামুটি সংসার চলে। ঠিক বলেছিলেন বাবা কারন তখন আমি খুব অল্প বেতন পেতাম খুব কম টাকা দিতাম বাড়িতে।
✅ আমি বাবাকে বললাম বাবা আপনি চলে আসছেন ১ সপ্তাহের ভিতর। তখন আমার বাবা বলো আমি আসবো কিভাবে। আমি বললাম কেন বাবা বলেন আমি কিছু ছাগল পালোন করছি এগুলো কি করবো কে দেখবে।আমি বললাম বিক্রি করে চলে আসেন। ঠিকই আমার বাবা ছাগল বিক্রি করে ১ সপ্তাহের ভিতর চট্টগ্রামে চলে আসেন।
❤️❤️আমার বাবা আমার কাছে আমার মহা নায়ক। কারণ বাবা আমার কাছে এসে আমাকে মোট ৬০হাজার টাকা দিয়ে ছিলেন এবং আমার দোকান পরিচালনা শুরু করছিলেন। মাসে প্রথম দিকে ১৫ দিন সেল হলো না। এদিকে বাবার দেয়া ৬০ হাজার টাকা ও বসকে দিয়ে দি তারপর ও সে আমাকে চাপ দিতে থাকে টাকা জন্য। দোকান ছিলোনা বেচা বিক্রি তারপর প্রডাক্ট ও ছিলো না তেমন অন্য দিকে বসের টাকার জন্য পেসার আমি নিতে পারছিলাম না। তার পরেও আমি ভেঙে যায়নি। আমার বস আমার সাথে প্রতারণা করেছিলো পরে বুঝতে পারি কারন আমি যে দোকান টা তার কাছ থেকে ভারা নিয়েছিলাম তিনি ঐ দোকানের মালিকের সাথে আমাকে পরিচয় করে দেয়নি এবং আমাকে শীত কালিন পোশাক হিসাব করে দিয়েছেন। 😥😥ভালো প্রডাক্ট গুলো নিয়ে অন্য দোকানে বিক্রি করে ছিলেন পরে যানতে পারি। অনেক কস্টো করে বস এর টাকা সোধ করে দেই।
✅একটু পরিচিত হওয়ার পরে আমি একটা সমিতির থেকে কিছু টাকা লোন নিয়ে দোকানে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তুলি।মোটামুটি বেচা বিক্রি শুরু হয়। দোকানে তখন বিভিন্ন ধরনের পোশাক খোজা শুরু করে কাস্টমাররা চিন্তায় পড়ে গেলাম কোথায় থেকে প্রডাক্ট আনতো সবাই। আমার অফিস ছুটির পরে বিভিন্ন দোকান থেকে কিছু কিছু পোশাক নিয়ে আসতাম তার দাম বেশি নেয়াতে আমার লাভ কম হতো।
✅পরে দোকানের ভিতর কিছু চালান কপি পাই এগুলো চেক করে কয়েকটি ঠিকানা পাই তাদের থেকে প্রডাক্ট আনতে শুরু করি। একবার এক দোকান থেকে প্রডাক্ট কিনে আমার বিল হয় ১৪৫০০ টাকা আমার কাছে ১০ হাজার টাকা ছিলো কি করবো দোকানদার আমাকে প্রডাক্ট গুলো দিয়ে দিলো এবং বললো পরে প্রডাক্ট নিতে আসলে তখন দিলে হবে আমি খুশি হয়ে গেলাম। কিন্তু সে চালান কপিতে আমার মোবাইল নাম্বার ভুল লিখে ছিলো।আমি প্রডাক্ট গুলো আনার পরে ২/৩ মাস অফিসার কাজের চাপে প্রডাক্ট আনতে যেতে পারিনি। আমি মনে মনে ভাবছি লোকটা বিশ্বাস করে আমাকে প্রডাক্ট গুলো দিয়ে দিলো আমি টাকাটা দিয়ে আসলাম না কেমন হলো। তারপর আমি ৩ মাস পরে প্রডাক্ট আনতে গেলাম তার থেকে প্রডাক্ট নিলাম চালান কপি করলো শুধু মাত্র ঐদিনের প্রডাক্ট এর।
❤️আমি বলাম আমার কাছে আর টাকা পাবেন দোকান দার বললো কিসের টাকা আপনি কি আমাদের থেকে আরো প্রডাক্ট নিছেন আমি বললাম হ্যা ৩ মাস আগে আমি কিছু প্রডাক্ট নিয়ে ছিলাম ওখানে ৪৫০০ টাকা বাকি আছে। তারপর পুরনো চালান কপি খুজে পেলো হিসাব টা তখন আমি দেখলাম আমার মোবাইল নাম্বার টা ভুল লিখেছেন। তখন তারা বললো আমার কয়েক দিন ফোন করেছি দেখি বন্ধ তখন তারা ভাবলো ঐ টাকা পাবেন আর কোনদিন। তারপর তারা আমাকে বলো আপনার যখন যা পোডাক লাগবে নিয়ে যাবেন প্রতি সপ্তাহে ১ দিন করে কিছু কিছু করে দিলে হবে। আর পুরনো ৪৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা নিলেন ৫০০ টাকা মউকুব করে দিলেন।❤️
❤️তখন আমার দোকান ভালোই চলছিল আমার মহা নায়ক বাবা ভালোই বুজে গেছিলেন ব্যাবসা। একদিন এর একটা কথা বলি আপনাদের একলোক প্রতি দিন আসতো বাবার কাছে বসে গল্প করতো মাজে মধ্যে কিছু কিনতো।একদিন লোকটা এটা শপিং ব্যাগ নিয়ে দোকান আসে ভিতরে ডুকে বসে। যখন কাস্টমার দের চাপ দেখে রেগ থেকে কিছু টি শাট নিয় শপিং ব্যাগে ভরে নেয় হটাৎ বাবার চোখ পরে টিশার্ট এর রেগে দেখে টিশার্ট কম তখন তারমনে সন্দেহ হয় লোকটা টিশার্ট গুলো দেখছিল।বাবা লোকটা হাত থেকে শপিং ব্যাগটা টান দিয়ে নিয়ে নেন বলেন কি কিনছেন দেখি। ব্যাগ খুলে দেখে আমাদের দোকানের টিশার্ট। লোকটা বলে আমি অন্য দোকান থেকে কিনেছে বাবা সাথে সাথে দিলেন মাইর লোকটা জুতা রেখে দৌউরে পালালো।
😥😥কিছু দিন পড়ে আমার জীবন এবং আমার সপ্নের দোকানে এলো ঝর-কারণ তখন আমাদের বাগেরহাটে বন্য হয় আর ঐ বন্যায় আমাদের ঘরের কিছু ক্ষতি হয় আমার বাবা বাড়িতে যান ঘর ঠিক করার জন্য কয়েক দিন পরে আমার কাছে খবর আসে আমার বাবা অসুস্থ কি হয়েছে ব্রেনস্টক করেছেন। এদিকে আমি আমার বস এর সাথে কথা কাটাকাটি করে চাকরি থেকে রিজাইন দিয়ে চলে আসি। দোকানে ঠিকঠাক সময় দিতে শুরু করলাম।
✅এবার আমি এলাকায় থেকে বিভিন্ন প্রকারের গার্মেন্টস পোশাক কিনে শহরের শোরুম গুলোতে হোল ছেল করা শুরু করি।ভালোই চলছিলো আমি আরো একটা দোকান নিয়েছি একজন কর্মচারী নিয়োগ দেই।বাবা চিকিৎসা চলতে থাকে বাড়িতে।
✅আর এজনে কথা না বললে নয়।সে হলো আমার স্ত্রী আজ আমি যার কারনে এখানে এসে পৌঁছেছি।২ টা দোকান নেয়ার পরে আমার স্ত্রী চাকরি টা ছেরে দিতে বলি। একটা দোকান আমি দেখা সুনা করতাম আর একটা কর্মচারী দেখতো কিন্তু কিছু দিন পড়ে ঐ কর্মচারী আমার পিঠে ছুঁড়ি মারে।😥😥 মানে হলো চুরি করা শুরু করে দোকান থেকে।
✅কর্মচারী বাদ দিয়ে আমার দুই জনে ব্যাবসা সামলে থাকি এর মাজে আমার বাবা মোটামুটি সুস্থ হয় এবং বাড়ি থেকে চলে আসছে আমার কাছে আমাকে না জানিয়ে। বাড়িতে বলেন আমি আমার বাবার কাছে যাবো আমি তার কাছে গেলে ভালো হয়ে জাবো।
✅ ঠিকই আমার কাছে এসে আমার বাবা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। কিছু দিন পড়ে আবার বাড়ি যান বাড়ি গিয়ে আবার অসুস্থ হয়ে যান। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনে মিলে দুইটা দোকান এর ব্যবসা করতে থাকি কিছু দিন পড়ে ১ টা দোকান ছেড়ে দি। এবং আমার প্রথম দোকানের পাশে ছোট একটা মিনি শোরুম দিয়ে দি আমার স্ত্রী কে এবার আমার দুজনে মিলে রাত দিন কষ্ট করে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে থাকি।
❤️ তার এই অক্লান্ত পরিশ্রমে কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। এখনো আমাকে সে ব্যাবসার কাজে সাহায্য করে। ❤️❤️
❤️😥সুখের মাঝে ও অনেক কস্ট থাকে। আমি যে সমিতি থেকে লোন নিয়ে আমার দোকান রানিং করেছিলাম সেই সমিতির কাছে আমার ব্যাবসার লাভের জমানো ৬ লক্ষ টাকা এফ ডি আর রাখা ছিলো সমিতির মালিক সমিতি বন্ধ করে পালিয়ে গেলো।কি আর করার কপালে যা ছিলো তাই হলো আমার বাবা মাকে কখনো বলিনি। 😥😥😥
❤️❤️আল্লাহর রহমতে আমার বাবা পুরো পুরি সুস্থ হয়ে গেছেন তিনি আবারও আমার প্রথম দোকানে ব্যবসা শুরু করেন আমি ২০১৯ সালে একটা বড়ো শোরুম নি ৩ জন পাটনারে শোরুম শুরু ১ সপ্তাহের মধ্যে আমার পাটনারেরা চলে যায়। কারন টা আমি হিসাব টা একটু করাকরি করতাম এবং শোরুম সি সি কেমেরা লাগিয়েছি তার কারণে। পাটনার ২ জন চলে গেলে আমি একটু সমস্যা পরে যাই আল্লাহর রহমতে সমস্যা থেকে রক্ষা ও পাই।আমার মিনি শোরুম টা ছেরে দিতে হয়। কারন বড় শোরুমে সময় দিতে হবে তাই।কিআর করা।
✅আমি কিন্তু ব্যবসার পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ঘাটতাম কি ভাবে মানুষ বড়ো বড়ো বিজনেস ম্যান হয়েছেন। তাই শুধু দেখতাম আর পরতাম। একদিন হটাৎ করে আমার চোখে পড়ল নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন। লেখা টা দেখে আমর কৌতুহল হলো এটা আবার কি?
✅ গ্রুপে ডুকে আমি স্যারের ভিডিও গুলো দেখতে থাকি এর পর আমার মধ্যে কাজকরে আমিও জদি স্যারের সামনে গিয়ে এভাবে কথা বলতে পারতাম। এরপর প্রতি দিন শুধু ভিডিও গুলো দেখতে থাকি এবং তার পরে একদিন মেইন গুরুপে ডুকে দেখি রেজিস্টেশন নিয়ে পোস্ট। তখন আবার কৌতুহল হয় এটা আবার কি।অনেক চেষ্টা করে কষ্ট করে ১৩ তম ব্যাচে ভালোবাসার পরিবারের রেজিষ্ট্রেশন করতে পারি। স্যারের প্রতি টি সেশন দেখি সপথ বাক্য মনে ধারণ করি। স্যার উক্তি গুলো আমার বেশি ভালো লাগে মনে ধারণ করি। স্যারের একটা উক্তি আমাকে বেশি ভাবায়।🌿
🌻সপ্ন দেখুন,
সাহস করুন,
শুরু করুন,
এবং লেগে থাকুন,
সাফল্য আসবে। 🌻
✅ভাবতে ভাবতে আমি চিন্তা করি আমি আমার নিজের একটা নিজেস্ব বান্ড তৈরি করবো। এবং শুরু করি প্রথমে চিন্তা করি ১০০ পিজ জিন্স প্যান্ট তৈরি করবো কিন্তু ১০০ করতে গিয়ে আমি ৪/৫ হাজার পিচ প্যান্ট তৈরি করি এ বছর রমজানের আগে। রমজানের ঈদে ৫০% বিক্রি হয় বাকি৫০% প্রডাক্ট গুলো করনা পরিস্থিতির কারনে বিক্রি করতে পারিনি।ইনশাআল্লাহ বিক্রি হয়ে যাবে। আমার ব্যান্ড এর নামটা এখনো প্রকাশ করিনি কারন আমার ইচ্ছে আছে আমি কোন একদিন নিজে একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি দিয়ে আমার প্রডাক্ট তৈরি করবো। আমার ফ্যাক্টরি টা স্যার হাতে উদ্বোধন হবে আল্লাহ তালা সহায় হলে আমার মনের আশা পূরন হবে ইনশাআল্লাহ।🌿
❤️🌱ভালোবাসার পরিবারের যুক্ত হয়ে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি অনেক ভাই বোন পেয়েছি। আর এই প্রিয় ভাই ও বোনদের নিয়ে আগস্ট মাসে১ তারিখ আমার একটা কোম্পানি লন্স করছি। আমার কোম্পানির নাম@Bagerhart 7star Limited. 🌿
💜💙আর একটা খুসির সংবাদ পাবেন আপনার।ভালোবাসার প্রিয় প্লাটফর্ম এর সফল এবং নতুন উদ্যাক্তাদের নিয়ে আরো একটা কোম্পানি আপনাদের মাঝে লন্স করবো ইনশাআল্লাহ।🌿
❤️❤️সবশেষে আমি একটা কথা বলবো আমার বাবা ও আমার স্ত্রী এই দুজনের ভালোবাসা ও কঠোর পরিশ্রমে আজ আমি প্রতিষ্ঠিত। এমন বাবা এবং স্ত্রী সবার ভাগ্যে হয়না। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন প্রিয় স্যারে শিক্ষা কাজে লাগিয়ে আমি আরো প্রতিষ্ঠিত হতে পারি এবং বেকার ভাই বোনদের জন্য কর্ম সংস্থা তৈরি করতেপারি।🌿
🌼ভুল ত্রুটির হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দখবেন। 🌼
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৩
Date:- ০৩/০৯/২০২১
মোঃ রিয়াজ মোরশেদ তুহিন
ব্যাচ ১৩ তম
রেজিষ্ট্রেশন ৬১৬৪৫
#বাগেরহাট জেলা টিম টাইগার্স
ব্লাড গ্রুপ A-
বর্তমানে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা জোন