জীবনের গল্প
🙏🙏নমস্কার// আদাব
শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি সহকারে স্বরন করছি পরম করুণাময় ঈশ্বর যিনি এই বিশ্বব্রম্মান্ডের সকল সৃষ্টির মালিক । যার অশেষ কৃপায় সুন্দর এই ধরণীর বুকে এখনো
আমরা সুস্থভাবে বেঁচে আছি🙏🙏
🙏🙏বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি আমার /আপনার/ সবার প্রিয়... শ্রদ্ধেয় জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি,, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি এমন গর্বিত একটা প্লার্টফর্ম🙏🙏
🌹🌹ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি প্রিয় সকল ভাই, বোন ও বন্ধুদের প্রতি যারা সবসময় আমাদের পাশে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের🌹🌹
🎀🎀 ___গল্প শুরুর আগে____🎀🎀
✅✅ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে___
মানুষের জীবন বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভক্ত, কোন অধ্যায় হয় সুখকর, কোন অধ্যায় হতে পারে দুঃখে রচিত, কোন অধ্যায় আবার সুখ ও দুঃখ এই দুই অনুভূতির সংমিশ্রণে অনেক সময় ঘোলাটে হয়ে যায়, এর বাইরেও নিয়তি নামক একটি অধ্যায় থাকে যেখানে মানুষের কোন হাত থাকে না....আমার কাছে
জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা খুব কঠিন একটা কাজ। এর চেয়ে গল্প উপন্যাস লিখা অনেক সহজ,,কারন জীবনের গল্প গুলো যেমন হয় রোমান্সকর,, তেমনি হয় রোমহর্ষক,,, আসলে..
আমার জীবনের গল্প এখনো লেখা যাবে বলে আমার মনে হয় না,, কারন জীবনের এখনো আরো অনেক গুলো অধ্যায় বাকি আছে,তবে আমি আশা রাখি একদিন হয় তো আমি ও এমন একটা গল্প লিখবো যেখানে থাকবে সফলতার ছোঁয়া,,,,
প্রতিটা মানুষই একেকটা গল্পের ভান্ডার,, আমি ও এর ব্যতিক্রম নই.. তাই নিজের জীবনের ছোট্ট একটা অধ্যায় নিয়ে আজ আসলাম আপনাদের মাঝে,
আশা রাখছি
আপনাদের মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় নিয়ে আমার জীবনের অধ্যায়টা পড়বেন,,,
##___গল্পের __#শুরু__ # এখান__# থেকে
__৪ ভাই বোনের মধ্য আমি সবার ছোট। ছোট বলে বাবার চোখের মনি ছিলাম.. আদর করে বাবা ডাকতেন ও মনি বলে... বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবি, যার কারনে চাকরির সুবাদে শুরুর দিকটা আমরাও চট্টগ্রামেই অবস্থানরত ছিলাম।কিন্তু পরবর্তিতে নানান কারনে আর থাকা হলো না চলে এলাম গ্রামের বাড়ি অর্থাৎ বর্তমান অবস্থান ফেনীতে।তো যাই হোক আমরা থাকতাম ফেনীতে আর বাবা চট্টগ্রাম।বাবাকে সপ্তাহের ৬ দিন চট্রগ্রাম থাকতে হতো একদিন ছুটি অর্থাৎ শুক্রবার ছুটির দিন, সেই একদিনই বাবাকে কাছে পেতাম, আর ঐ একটা দিনকে বিশেষ দিন মনে হতো,, বিশেষ দিন বলছি এই কারনেই যেটা শুরু তেই বলেছি আমি ছিলাম বাবার মধ্যমনি।সেই কারনেই বলা,,,,,
এভাবেই চলতে থাকলো... পরিবারের সকল দায়িত্ব বাবার উপর,,,তাই প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হতো বাবাকে... পরিশ্রম এবং সকল দায়িত্বের মাঝে বাবা ভূলে যেতেন নিজের কথা, ভূলে যেতেন যে তার সুস্থতার উপর সকলের সুস্থতা নির্ভর করে, তার নির্ভরযোগ্যতার উপর সকলে নির্ভর করে,, শুধু মাএ তিনি বেঁচে থাকলেই বেঁচে থাকবে পরিবারের সকল প্রান গুলো,,
___ভূলে যেতেন,,.,, ভূলে যেতেন নিজের সমস্ত কিছু... কখনো অসুস্থ হলে ঔষধটা পযর্ন্ত কিনে খেতেন না,, টাকাটা বাঁচিয়ে রাখতেন সংসারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য,সদস্যদের চাহিদা পূরনের জন্য,,, তিনিই আমার বাবা....
___সাল...২০০২ ___
বাবা চলে গেলেন,,পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে,,
পাড়ি জমালেন ওপারে.. রয়ে গেলাম আমরা একা এপাড়ে... চারিদিকে অন্ধকার... কিভাবে চলবে সবকিছু, এতগুলো মানুষের দায়িত্ব।
বড় দাদা সবে কলেজ জীবন শুরু করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে,,ইন্টার ফাষ্ট ইয়ার অধ্যয়নরত,, পুরো সংসারের দায়ভার তার উপর... দিশেহারা ,,, কি করবে কি করবে চারদিকে চাকরির চেষ্টা করতে লাগলো... আগে থেকেই দাদা কম্পিউটারে বেশ পারদর্শি ছিল.. যার বদৌলতে একটা কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে দাদার চাকরি হয়ে গেল.. শুরু হলো দাদার সংগ্রামী জীবন,,
__আমি তখন অনেক ছোট... সব কিছু তেমন বুঝতাম না,, তবে সেই বয়সে বাবা হারানোর ব্যথাটা বুঝতাম,,খুব মিস করতাম বাবাকে,, পরে আস্তে আস্তে সবকিছু কাটিয়ে উঠি...
মফস্বলে বেড়ে উঠা আমার .. সেই সময় মেয়েরা লেখাপড়া করবে,, চাকরি করবে এসব যেন কেউ মেনেই নিতে পারতো না, সবার কথা বলবো না.. কারন হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান হয় না তেমনি সমাজের সকল মানুষ ও সমান না.. দাদার ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া চালিয়ে যাবো কিন্তু তখন সংসারের যে অবস্থা তা বলার অপেক্ষা রাখে না..তাও লেখাপড়া বন্ধ করিনি কারন আমার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল আমি লেখাপড়া করবো.. তাই কষ্ট হলেও লেখাপড়া বন্ধ করিনি।।এস. এস. সি কমপ্লিট করলাম.. তখনই বিয়ের জন্য নানান জায়গা থেকে প্রস্তাব আসতে লাগলো.. পরিবার পরিজন অনেকেই নানানভাবে দাদাকে উৎসায়িত করতে লাগলো.. আমার বিয়ের ব্যপারে... দাদার ভিতরও একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম । হঠাৎ একদিন দাদা বললো তোমার আর পড়াশুনা করতে হবে না। আমি আর পারছি না।।তাছাড়া তোমার জন্য অনেক প্রস্তাব আসছে। তোমাকে একটা ভালো ছেলে,,একটা ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারলে আমার দায়িত্ব শেষ হতো।দাদার কথা শুনে খুব দুঃখ পেলাম। আহারে মেয়েরা বুঝি এতটাই বোঝা বাবার সংসারে.. যত তাড়াতাড়ি নামানো যায় তত তাড়াতাড়িই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচা যায়।মা দাদার সিদ্ধান্তে সহমত পোষন করলো। যদিও আমি প্রচন্ড ডিপ্রাইজড ছিলাম কিন্তু হাল ছাড়িনি। প্রচন্ড কান্নাকাটি করলাম আর মাকে বুঝালাম। অবশেষে সাহস করে দাদাকে বললাম দাদা আমি পড়াশুনা করবো। এখন কোন কিছু নিয়ে ভাবতে পারছি না। তখনকার দিনে এমন একটা কথা কেউ সহজ ভাবে নিবে না এটাই স্বাভাবিক। অনেক কথা শুনালো শুনে থাকলাম কিন্তু ডিটারমাইন্ড ছিলাম পড়াশুনা আমি করবোই। তাই কোন কিছুতে টলিনি। পরে একটা সময় দাদা রাজি হলো। আবার শুরু হলো স্টাডি লাইফ। ফেনী জয়নাল হাজারি কলেজে ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারে ভর্তি হলাম। পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু এর মাঝেও নিজেকে অপরের সামনে সোআপ করা বন্ধ ছিল না। একটু স্বস্তির নিঃশাস নিতে না নিতেই এক একটা পাএ পক্ষ হাজির। নিলামে উঠতে হবে আমাকে।দর কষাকষি চলতো।কিন্তু তার মাঝেও আমার নিজেরও কিছুটা অবদান ছিল নিজেকে বাঁচানোর।সে কি অদম্য প্রচেষ্টা সবার অন্তরালে চালিয়ে নিতাম আমি...
হুম... আমি...আমিই সেই মেয়ে... যার পড়াশুনা এমনি এমনি হয়ে উঠেনি.. এর পিছনে অনেক ফাইট ছিল।
যাই হোক, ইন্টার শেষ করি এর মধ্য একটা কিন্ডার গার্টেন স্কুলে আমার জব হয় ।একবছর চাকরি করলাম,, এবার কি?মেয়েকে তো আর রাখা যাবে না এবার তো পরের ঘরে পাঠাতে হবে।আবার আমার সেই আকুল আবেদন আমি পড়াশুনা কমপ্লিট করবো। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না।
__ সাল ২০১২___
বিয়ে হয়ে গেলো আমার,,,শুরু হলো জীবনের আরেকটা অধ্যায়...
এই অধ্যায়ে সবকিছুই আমার কাছে নতুন। একটা নতুন জায়গা, নতুন একটা পরিবেশ, নতুন সব মানুষ, প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা... প্রতিদিন নতুন নতুন পরীক্ষা আমার সামনে, কোনটায় উত্তীর্ণ হই আবার কোনটায় হই না।তবে পাশের চেয়ে ফেলের অংশটাই বেশি ভারি ছিল। তাই মানসিক ভাবে খুব জর্জরিত থাকতাম, কারো সাথে শেয়ার ও করতে পারতাম না।কারন বাবা তো ছিলেন না মাও অসুস্থ দাদার তো সংগ্রামী জীবন, অনেক আশা নিয়ে আমাকে বিয়ে দিয়েছে আমার কষ্ট হচ্ছে জানতে পারলে অনেক ভেঙে পড়বে।তাই উনাদের সাথে কিছু শেয়ার করতাম না।খুব হিমসিম খাচ্ছিলাম। স্বামিকে বললে সে বলে তোমাকে সবকিছু মানিয়ে নিতে হবে নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে।তুমি একটা মাএ ছেলের বৌ তাই সকল দায়িত্ব তোমার,, সবাইকে খুশি রাখা
ভালো রাখা তোমার দায়িত্ব। তোমার বিয়ে হয়ে গেছে এখন আর নিজের বলতে কিছু নেই সব অন্যর জন্য। তারপর ও যদি কিছু চাও সেটা তাদের অবর্তমানে। এখন নয়। মানসিক ভাবে একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থা আমার। ভাবতাম সব বুঝি শেষ,,আমার পড়াশুনা বুঝি আর হবে না। কারন উনারা চায় না আমি আর পড়াশুনা করি। উনারা চায় না বলে স্বামিও মত দিতে রাজি নন। অনেক বুঝালাম কিন্তু মানতে রাজি না। পরে যাই হোক তাকে কোন ভাবে রাজি করলাম এবং ফেনী সরকারী কলেজে বি. এস. এস এ ভর্তি হলাম।
___সাল ২০১৪___
🌻 জুলাই _ ৩১_ গোধূলি লগ্ন... বেলা ৪ ঘটিকা🌻
আমার কোল আলো করে আসলো আমার মেয়ে #""" অবন্তিকা"""# এক মুহূর্তের মধ্যে ভূলে গেলাম সমস্ত দুঃখ কষ্ট, যাতনা, অপূর্নতা.. সবকিছু ।প্রচণ্ড রকমের একটা সাহস আসলো আমার ভিতর।।মনে হলো যেন কেউ একজন আসলো আমার পাশে দাড়ানোর মতো। মাতৃত্ব কাকে বলে এর মিনিংটা কি সেই মুহূর্তে ফিল করলাম
কি যে সেই অনূভুতি তা হয় তো একজন মা ছাড়া আর কারো পক্ষে অনুভব করা সম্ভব না
যাইহোক ৪ দিন ক্লিনিক এ থাকার পর বাসায় আসলাম। আবার শুরু হলো আরেক নতুন পরিক্ষা,, নিজেকে আদর্শ মা হিসেবে প্রমান করার পরীক্ষা,...তো এভাবেই সময় গুলো যেতে লাগলো সবকিছু মিলিয়ে।।।
এর মাঝে বলে রাখি,, এই সমস্ত কিছু সামলেও ২০১৫ সালে ফেনী সরকারি কলেজ থেকে 2nd Class নিয়ে আমার গ্র্যাজুয়েশান কমপ্লিট করি...
এর মাঝে ও আমার প্রচেষ্টা থেমে থাকলো না।সেটা হলো আমি লেখাপড়া টা কন্টিনিউ করতে চাই।হাসবেন্ডকে আবার রাজি করাতে লাগলাম,, বললাম আমি মাস্টার্স করতে চাই,,কোন কথা নেই,, কয়েকদিন গেলো আবার বললাম,, নো রেসপন্স,, আমি সময় নিলাম কিন্তু হাল ছাড়িনি,, এরপর একদিন খুব সিরিয়াস হয়ে তার কাছ থেকে মতামত জানতে চাইলাম। এক বাক্য উওর দিলো যথেষ্ট হয়েছে আর লাগবে না। মনটা ভেঙে গেল এবং সেদিনের পর থেকে আর কখনও তাকে এই ব্যপারে ফোর্স করিনি। কিন্তু আমি আশা ছাড়িনি এবার চিন্তা করলাম আমি সবার অজান্তেই মাস্টার্স করবো, কিন্তু কি করে একটা বিশাল এমাউন্ট,, কে দিবে আমাকে,কোন ভাবেই জোগাড় করতে পারছিলাম না কারন হাসবেন্ড নিষেধ করছে যার কারনে নিজের পরিবারকেও জানাতে পারছি না যার কারনে টাকা জোগাড় করতে আমি অক্ষম ছিলাম।। অবশেষে একটা সময় নিজের মনকে বুঝালাম আমার জন্য হয় তো এতটুকুই লিখা ছিল, তারপর আরকি সংসার সন্তান দায়িত্ব এসব নিয়েই চলতে থাকলো আমার জীবিকা। যতটুকু পড়াশুনা করেছি চেয়েছি এটাকে কাজে লাগাই একটা চাকরি যাতে করতে পারি। কিন্তু সে তাতেও রাজি নয়। আসলে সে একটু অন্য রকম।যাই হোক সেগলো আর বলতে চাই না।।।চাকরি করার অদম্য ইচ্ছে থাকা সত্বেও সাপোর্ট পাইনি কারো কাছ থেকে যার কারনে সেটাও হলো না।
যাই হোক এতো... no_ no _ _ _শুনতে শুনতে আমার ভিতরে একটা জেদ কাজ করলো... যে আমাকে কিছু করতে হবে যেকোন মুল্য... জানি আমার এই পথ চলা এতটা সুগম হবে না। কারন অনেক প্রতিবন্ধকতা আমি পেরিয়ে এসেছি এখনো অনেক পেরোনোর বাকি আছে এবং সেটা ভেবেই নিজেকে বুঝিয়েছি আমার পাশে কেউ থাকুক আর নাই থাকুক আমার নিজেকেই নিজের পাশে দাঁড়াতে হবে।যার জন্য ঠিক করলাম নিজের ছোটখাটো সিদ্ধান্ত গুলো নিজেই নিবো এবং সেটা ভেবেই কাউকে না জানিয়েই আমি কম্পিউটার এর একটা কোর্চে ভর্তি হয়ে যায় এবং কম্পিউটার এর উপর একটা বেসিক কোর্চ গ্রহণ করি।
এরপর একদিন এক ছোট বোনের সুবাদে যুক্ত হলাম একটা অন লাইন বিজনেসের সাথে। সেখান থেকে ১৫,০০০ টাকার একটা প্যাকেজ কিনে তাদের সাথে এড হলাম, কাজ শুরু করলাম রিসেইলার হিসেবে,, এখনো করছি,, এরপর খুঁজে পেলাম এই গর্বিত প্লাটফর্ম
_# নিজের # বলার # মতো # একটা # গল্প # ফাউন্ডেশন....
দিতে পারিনি কিছুই কিন্তু পেয়েছি অনেক কিছু,, এত বিশাল একটা প্লাটফর্ম, লক্ষ্য লক্ষ্য সদস্যর সমাগম, তার মাঝে আমি ,,
রেজিস্ট্রেশনটা সম্পন্ন করি। যুক্ত হয় ফেনী সদর উপজেলার ম্যাসেনজার গ্রুপে,, প্রতিদিন সেশন চর্চা ক্লাসে এটেইন করি নিজেকে উপস্থাপন করি, কয়েকদিনেই আমার উপস্থাপনা দক্ষতা দেখে বা শুনে অনেকেই আমাকে এপ্রিসিয়েট করতে লাগলো।। এবং কয়েকটা সেশন পরই আমাকে উপস্থাপনার দায়িত্ব দিতে চাইলো আমার ও খুব লোভ হলো তাই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনি
সবার অনুপ্রেরণায়,,সাহস করে শুরু করলাম
জীবনের প্রথম উপস্থাপনা,,, অনেক ভয় ছিল, জড়তা ছিল এবং ভুলও ছিল কিন্তু নিজের প্রতি একটা বিশ্বাস ছিল আমি পারবো এবং পারতে আমাকে হবেই সেই তাগিদেই এবং প্রত্যকের সাপোর্টিং এ উপস্থাপনায় আমি মোটামুটি একটা জায়গা তৈরি করেছি তারপর থেকে আরো কয়েকবার ও সেশন চর্চা মিটে উপস্থাপনার দায়িত্ব আমার উপর পড়েছে,, এবং সম্পন্ন ও করেছি,, আমি প্রফেশনাল সিংগার নই তবে গান গাইতে ভালোবাসি, এবং অনেকেই আমার গানের ভক্ত, তাই প্রায় সেশন শেষে মাঝে মাঝে অনেকের অনুরোধে গান গাইতে হয়, অবশ্যই নিজের ও একটা ভালো লাগা কাজ করে।।।
এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি সবার অনুপ্রেরণায়, ভালোবাসায়... এবং এভাবেই পাশে চাই সবাইকে..
আসলে জীবনের গল্প তো আর এতো অল্পতে শেষ হওয়ার নয় এবং একটা গল্পে সবকিছু লিখে শেষ ও করা যাবে না, তাই অন্য একটা গল্পের জন্য বাকিটা তোলা থাকলো,, আসবো অন্য আরেকদিন বাকি গল্পটা নিয়ে...
পরিশেষে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি এমন সুগঠিত একটা প্লাটফর্ম যেখানে প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন ভাবে তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছি... কৃতজ্ঞ থাকবো সারাটি জীবন স্যারের প্রতি,,প্রিয় প্লাটফর্ম এর প্রতি,,
যাই হোক,, আজকে আর লম্বা করবো না... অবশেষে শুধু অনেক অনেক দোয়া ও আশির্বাদ চাই আপনাদের কাছ থেকে ,, আমি একেবারেই নতুন এই পরিবারে, উদ্দোক্তা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা। সবাই আমার পাশে থাকবেন,, এই কিছুদিন হলো আমি একটা নতুন উদ্দোগ গ্রহন করেছি।
আমার নতুন উদ্দোগের নাম
🌹 Obonita(অবনিতা)🌹
___সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন,,
ধন্যবাদান্তে,,(((নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের )))
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১২
Date:- ০২/০৯/২০২১
___ অনিতা কর (একজন গর্বিত সদস্য নিজের
___ বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন )
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
ব্যাচ - ১৫
রেজি- ৬৮০২৬
জেলা- ফেনী
উপজেলা - ফেনী
ব্লাড গ্রুপ-A+
কাজ করছি.. গার্মেন্টস আইটেম ( ছেলেদের
ও মেয়েদের )