বাস্তব জীবনের গল্প
🌹বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 🌹
🌼আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ🌼
❤সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে।যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমাকে হাজারো রোগ বালাই থেকে সুস্থ রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। ❤
❤💐আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি।💐❤
💎🥀শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের সকলের প্রাণ প্রিয় মেন্টর শ্রদ্ধেয় জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।যিনি আমাদেরকে এত সুন্দর একটি ভালো মানুষের পরিবার উপহার দিয়েছেন।যে মানুষটার চেষ্টায় আজ বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করার প্রচেষ্টা।যিনি তৈরি করে যাচ্ছেন লাখো তরুণ তরুণী কে উদ্যোক্তা।🥀💎
🍀☘অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অফুরন্ত ভালবাসা জানাই "নিজের বলার মতো একটা গল্প "ফাউন্ডেশনের সকল পরোপকারী আপু এবং ভাইয়াদের। এখানে সবাই আন্তরিক এবং ভালো মনের মানুষ। 🍀☘
💥💥💥বাস্তব জীবনের গল্প 💥💥💥
প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব কাহিনী থাকে ।কিছু লোকের গল্প খুব আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ।কিছু গল্পের মধ্যে দুঃখ এবং বেদনা থাকে,আবার কোনও টিতে প্রেম ও সুখ থাকে।কিছু জীবন খুব চ্যালেঞ্জিং হয়।কিছু গল্প সম্পূর্ণ আলাদা - সবচেয়ে আলাদা ,অনন্য, অনন্য।
তবে চলুন শুরু করি আমার জীবনের গল্প :
🥰❤আমার পরিচয় ❤🥰
আমার নাম আফরোজা সুলতানা নাদিয়া।ডাক নাম নাদিয়া।
আম্মার কাছ থেকে শুনেছি আমার নামটি আমার দাদি রেখেছিলেন।🥰
আমার বয়স পঁচিশ বছর। আমি একজন গৃহিণী।আমি লেখাপড়া করেছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত।
🌹🌷আমার জন্মস্থান 🌷🌹
আমার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার, চন্দনাইশ উপজেলার পাঠানদন্ডী গ্রামে।আমাদের গ্রাম আমাদের উপজেলার মধ্যে একটি আদর্শ গ্রাম। আমাদের গ্রাম দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার ফলে সবাই পড়াশুনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।আমরা আমাদের গ্রামের প্রতি গর্ব অনুভব করি এবং ভালোবাসি।
🌼🌹👨👩👧👦আমার পরিবার👨👩👧👦🌹🌼
পরিবার হলো আমাদের সকলের জীবনের সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
কোন একটি গাছের জন্ম যেমন ভূমিকে আঁকড়ে ধরে হয়,তেমনি মানুষের জন্ম তার পরিবারকে আঁকড়ে ধরে হয়।কোন মানুষ নিজের পরিবার ছাড়া বাঁচতে পারে না।
আমরা দুই ভাই এবং দুই বোন।আমি পরিবারের তৃতীয় সন্তান। আমার বাবা একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা(প্রবাসী)।
আমার মা একজন গৃহিণী।আমাদের পরিবারের দায়দায়িত্ব সব মায়ের উপর।কেননা বাবা অনেক বছর ধরেই বিদেশে আছেন।জীবনের বেশিরভাগ সময় সেখানেই কাটিয়েছেন ।
আমার পরিবার মধ্যবিত্ত পরিবারের অন্তর্গত। আমার বড় ভাই একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। আপু মাস্টার্স এ অধ্যয়নরত এবং একজন গৃহিণী।ছোট ভাইটা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র।
🌷🌹🧑✈️শিক্ষা জীবন👩✈️🌹🌷
আমি আমাদের গ্রামের পাঠানদন্ডী উজির আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যায়ন করি।
এরপর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় গ্রামের সুচিয়া আর কে উচ্চ বিদ্যালয়ে।নবম শ্রেণিতে পাঠ্যক্রম নির্বাচনের সুযোগ আমরা পেয়েছি।আমি ব্যবসায় শিক্ষা শাখাকেই বিশেষ ভাবে পছন্দ করেছি।ছাত্রী হিসেবে খুব বেশি ট্যালেন্ট না হলেও মেধা তালিকায় থাকতাম। এস .এস. সি. পাস করি A গ্রেড পেয়ে।এস,এস,সি পরীক্ষার পর থেকেই টিউশন করি বন্ধের সময় টাকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্য পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু করি টিউশন। বাবার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও টিউশন করে নিজের লেখাপড়ার খরচ এবং পরিবারের জন্য কিছু একটা করতে পারলে খুবই ভাল লাগত।
মাধ্যমিক পাস করে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ভর্তি হলাম একটা মহিলা কলেজে। সেই কলেজ থেকে এইচ,এস.সি, পাস করি তা ও A গ্রেড এ। স্কুল জীবন এবং কলেজ জীবনে লেখাপড়ায় ভাল ছিলাম সেই সুবাদে স্যারদের কাছে প্রিয় ছাত্রীদের তালিকাই আমিও ছিলাম।
তার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সবাই ভর্তি পরীক্ষা দিল ।আমি কোন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলাম না।কলেজের স্যারেরা অনেক বকা দিল।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স পড়ব সেই ইচ্ছা ছিল তাই অন্য কোন খানে চেষ্টা করি নাই। গ্রেডের উপর ভিত্তি করে ভর্তি হলাম গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজে অনার্সে(বিষয় - হিসাব বিজ্ঞান )।গ্রেজুয়েশান কমপ্লিট করার আগেই ২য় বর্ষে লেখাপড়ার জীবনের ইতি টানতে হল।😥
🌹🌹বিবাহিত জীবন 🌹🌹
২০১৭ সালে সিঙ্গেল জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিবাহিত জীবনে আবদ্ধ হয়।আমার বিয়ে হয় এক প্রবাসীর সাথে।সে সৌদি আরবে থাকে ।আমার হাজব্যান্ড অসম্ভব একজন ভালো মানুষ এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যরা অনেক ভালো।সে আবার আমার পূর্ব পরিচিত আমার বড় খালাম্মার ছোট ছেলে।
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই এত ভালো একজন মানুষ আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে পেলাম এবং সেইসাথে একটা ভালো পরিবার ও পেয়েছি।
বিয়ের পর থেকেই মা(শাশুড়ি) অসুস্থ ছিল এবং হাজব্যান্ড ও বিদেশে চলে গেল।তাই আমার লেখাপড়া আর চালিয়ে যেতে পারলাম না।এছাড়া হিসাব বিজ্ঞান বিষয় প্রাইভেট আর ক্লাস করা ছাড়া বাড়িতে পড়ে লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল না।
২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে মা আমাদের পেলে চলে যান না ফেরার দেশে।😥
সবাই আমার শ্বশুর শাশুড়ীর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাদেরকে বেহেস্তের উচ্চ স্থান দান করেন। আমীন!🤲
আমি একা হয়ে যায় তাই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি সৌদি আরব চলে আসি।এখন বর্তমানে সেখানেই আছি।
ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই ।প্রতিটি মুহূর্তেই জীবন থেকে একটি একটি করে সেকেন্ড হারিয়ে যাচ্ছে।যারা সেকেন্ড ধরে ধরে জীবনকে রাঙাতে পারে তারাই একসময় সাফল্যের শীর্ষে পা রাখে।
জীবনে সবকিছুই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। হাসি- কান্না,আনন্দ বেদনা,গান ,কবিতা ,স্মৃতি সবই।জীবন কখনো সুখের কখনো দুঃখের হতেই পারে তাই বলে থেমে থাকা না!কখনোই না।
🌺🌷🌹এই ফাউন্ডেশনে।কিভাবে যুক্ত হলাম 🌹🌷🌺
একদিন আমি ইউটিউবে utv live এ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটা ভিডিও দেখি।যেখানে দুজন ব্যক্তির নিজের বলার মতো একটা গল্পের কথা বলছিল।সেখান থেকে জানতে পারি "নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন" নামে স্যারের একটা প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে ৯০ দিনের সেশনের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয় ।একজন ভালো মানুষ এবং উদ্যোক্তা হতে যা প্রয়োজন তার সব শিক্ষায় রয়েছে এই প্লাটফর্মে।
আমি ফেইসবুকে সার্চ করে এই গ্রুপ খুঁজে পেতে সক্ষম হয়।প্রথমে কিছু পোস্ট পড়ে জানতে পারি ১৫ তম ব্যাচের রেজিস্ট্রেশন এর কথা।তারপর ইনায়া ইসলাম বৃষ্টি আপুর সহযোগিতাই রেজিস্ট্রেশন করলাম। এরপর শিরীন সুলতানা আপুর সহযোগিতাই জেলা মেসেন্জার গ্রুপ এ এড হলাম এবং আনিস রুবেল ভাইয়ার সহযোগিতাই সেশন চর্চা মিটআপ এ অংশগ্রহণ করলাম ।
এই ফাউন্ডেশনের ভাইয়া এবং আপুরা এতটাই আন্তরিক যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।যখন যাকে নক করেছি তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন।
সবার প্রতি জানাই আন্তরিক ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা।❤
স্বপ্ন পূরণের যে প্লাটফর্ম আমি পেয়েছি সেটা আমার চলার পথে শক্তি যোগাবে, অনুপ্রেরণা দিবে।
স্যারের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
🌹আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🤲আপনাদের সকলের কল্যাণ কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
আল্লাহ হাফেজ।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১২
Date:- ০২/০৯/২০২১
আফরোজা সুলতানা।
ব্যাচ ১৫
রেজিস্ট্রেশন নং ৬৮৩৯৬
জেলা : চট্টগ্রাম।
এই ফাউন্ডেশনের একজন সদস্য।