একজন সংগ্রামী নারীর গল্প
_______বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহীম ________
_________ আসসালামুয়ালাইকু _________
________________ শুকরিয়া__________________
সর্বপ্রথমে শুকরিয়া জ্ঞাপন করিতেছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের যিনি আমাদেরকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর এই কঠিন মুহূর্তে আমাদের কে এখন পর্যন্ত সুস্থ এবং সুন্দর রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ ।
___________কৃতজ্ঞতা_____________
অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরী করেছেন। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা সবাই নিজে একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করিতেছি এবং একটা গল্প লিখার সুযোগ পেয়েছি । যে মানুষটার চেষ্টাই আজ বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরী করার প্রচেষ্টা। এবং তৈরি করে যাচ্ছেন লাখো তরুণ তরুণী কে উদ্যোক্তা।
#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প ফাউন্ডেশনের সকল আপু ভাইয়াকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন যারা নিজের অতি মূল্যবান সময় ব্যয় করে একজন অন্য জনকে সাহায্য করে ভালো মানুষীকতার চর্চা করে। যাদের ভালোবাসাপূর্ন সহযোগিতায় হাজার তরুণ তরুণী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করেছেন।
আজ আমি গল্পে গল্পে শেয়ার করব আপনাদের মাঝে আমার জীবনের গল্প সবাইকে মনোযোগ দিয়ে কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ রইল 🙏🙏🙏
আমার ছোট বেলা কথা: 👩 মাসুমা সুলতানা ( জুইঁ ) আমি সিরাজগঞ্জ সদরের সুনামধন্য মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে। ছোট বেলাই ছিলাম অনেক দুষ্ট এবং চঞ্চল পরিবারের ছোট বলে পরিবারের সকলের আদরে মনি । যতই দুষ্টামি করতাম আম্মু কখনো বকাঝকা করতেন না ছোট বলে সকল ভাই-বোনদের ছিলাম আদরের দুলালী মূলত আমি মুসলিম ধার্মিক পরিবারে মেয়ে বেড়ে উঠেছি নিয়ম শৃংখলার মধ্যে । আমার বাবা একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী ছিলেন জীবনের প্রথম থেকে কিভাবে সৎ এবং নিষ্ঠাবান চলতে হয় সেটা বাবার থেকে শিখেছি বলাছলে বাবাই হচ্ছে আমাদের জীবনের প্রথম আদর্শ একজন শিক্ষক। জন্মের পর থেকে ব্যবসায়ী বাবাকে দেখেছি ব্যবসা মিশে রয়েছে আমার রক্তে সাথে। আমরা ৬ ভাই ও ৫ বোন অনেকটা বড় পরিবারে বাবা-মায়ের অনেক আদর যত্নে বেড়ে উঠা ছোট সন্তান। পরিবারে সবার ছোট মেয়ে হিসেবে মা বাবা ভাই বোন সকলের অনেক আদরে ছিলাম।
✍️✍️ সামাজ সেবা: মেয়ে হিসাবে জম্ম গ্ৰাহন করে আমাদের সমাজে সমাজসেবা করাটা অনেক কঠিন তার পরেও আমি আমার অবস্থান থেকে সবসময় চেষ্টা করি সমাজের অসহায় দরিদ্র অসুস্থ সকলের পাশে দাঁড়িয়ে কিছু একটা করার জন্য এবং করি অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি এবং আমি সেটা করতে অনেক আনন্দ পায় আমি এবং সব সময় করার চেষ্টা করব এবং আপনাদের সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা সকলে ও করবেন কারো একার পক্ষে কোন কিছু সুন্দর ভাবে করা সম্ভব না আসুন আমরা সকলে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়ায় সমাজকে সুন্দর এবং সুশৃংখলভাবে গড়ে তুলতে হবে।
✍️✍️বাবার শাসন: আম্মাকে বলতে শুনেছি, আব্বা আমাদের সকল ভাই বোন দের কে অনেক আদর করতেন কিন্তু ৭ বছর বয়স থেকে নামাজ পড়া জন্য সকলকে অনেক তাগিদ দিতেন এবং নামাজ না পরলে আমাদের সাথে রাগারাগি করতেন এবং আম্মুর সাথে চেঁচামেচি করতেন কখনো নামায কাযা করতে দিতেন না সন্তান হিসেবে আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি এরকম একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান বাবা পেয়েছি আমি এখন প্রতিটা মুহূর্তে অনুভব করি বাবা কারন একজন আদর্শ পিতা কেমন হয় সেটা আমার বাবাকে দেখলে বুঝতাম।
✍️✍️বাবা এবং মায়ের কথা: আমি আমার জীবনে যতটুকু বাবাকে পেয়েছি আমার বাবা একজন সৎ নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী ছিলেন কখনো কোন কিছুতে অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি আমাদের অনেক বড় পরিবার ৬ ভাই ৫ বোন বলতে পারেন আমাদের বিশাল পরিবার আব্বা ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে কখনো আমাদেরকে কষ্ট অনুভব করতে দেয়নি বাবা ছিলেন মাথা উপর বটবৃক্ষের ছায়া। আম্মু ছিলেন সহজ সরল এক জন ধার্মিক একজন মহিলা কিন্তু আমার সকল ভাই বোন দের কে অনেক আদর যত্নে বড় করে চেন কখনো কোন কষ্ট অনুভব করতে দেইনি বাবার মৃত্যুর পর আমাদের পরফ্যামিলিতে অনেক ঝড় সমস্যা সৃষ্টি হয় সবকিছু এলোমেলো করে দে কিন্তু আম্মু আমাদের কে বুকে আগলে রেখেছেনএটা অনুভব করতে দেয়নি আব্বু আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে আই লাভ ইউ আব্বু আম্মু আমি তোমাদের দুজনকে অনেক ভালোবাসি।আমার আম্মু একজন আদর্শিক ধার্মিক মহিলা আমাদের কি কখনো কোন অন্যায় কাজে প্রশ্রয় দেননি নিয়ম এবং শৃঙ্খলা মধ্যে বড় করেছি আম্মু আমাদের জন্যে অনেক কষ্ট করেছে আম্মু তোমার ঋণ কখনো শোধ করার মতো নয়
✍️✍️ আমার শিক্ষা জীবন:আমাদের বাসার পাশের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয় ওখান থেকে আমার শিক্ষা জীবন শুরু । ওখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করি তার পর পাশে হাই স্কুলে ভর্তি হয় এবং সেখান থেকে মেট্রিক পাস করি। ছাএী হিসেবে মোটামুটি ভালো ছিলাম। আমার কলেজ লাইফ শুরু হলো ইচ্ছে ছিলো ভালো ইনভারসিটি তে ভর্তি হবার কিন্তু। সেটা আর হলো না কারন আমি একজন মেয়ে। আব্বু বাড়িতে দূরে দূরে থাকা নিরাপদ মনে করেনি কিভাবে একজন মেয়ে বাইরে থেকে পড়ালেখা করবে সেজন্য পাশের সিরাজগঞ্জে মহিলা কলেজে ভর্তি করে দে কলেজ দুই বছর নিয়মিত ক্লাস করি এবং ইন্টার মিডিয়েট পাস করি। পাশ করার পরে এই বার অনাস্ ভতি্ হওয়ার কথা আব্বু কে বলি কিন্তু আব্বু অনুমতি দিলেনা । অনেকটা বাধ্য হয়েই ভর্তি হয়ে পাশের মহিলা ডিগ্রী কলেজ। অনেক দুঃখ এবং কষ্টের মাঝে ডিগ্রী কমপ্লিট করি। এবং আমি মাস্টার্সে ভর্তি হয়।
ইতিমধ্যেই বড় বোনদের পযায়ক্রমে বিয়ে হচ্ছে পরিবারের ধারণা মেয়েরা শুধু লেখাপড়া করে শিক্ষিত হবে।চাকুরী করার দরকার নাই। চাকুরী করা শুধু ছেলেদের প্রয়োজন।
আমার বড় বোনের বিবাহের কিছুদিন পরে নেমে আসে অনেক বড় বিপদ যেটা ছিল আমার জীবনের দুঃস্বপ্ন সেই কথা মনে পড়লে আজও আমি ভয় পাই সালটা ছিল ২০১০ বাবা নামের বড় বৃক্ষটি আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে চলে যাওয়াতে আমার জীবনটা এলোমেলো হয়ে যায় 😭😭😭 এখন যখনি বাবার কথা মনে পড়ে মনে হয় আমার জীবনের মূল্যবান একটি অংশ আমার জীবন থেকে হারিয়ে ফেলেছি বাবা যদি বেঁচে থাকতো আজকে হয়তো আমার জীবনটা অন্যরকম সুন্দর হতে পারতো।
তখন পরিবারে আমি, আম্মা ও এক ভাই আছি। আব্বার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারি নাই কিন্তু বাস্তবকে তো মেনে নিতেই হবে। ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবারের জন্য বোঝা মনে হচ্ছে। সবাই বিয়ে কথা বলতে থাকে। আমি আম্মা ও ভাইয়ের টেনশনের কারন ছিলাম। তখনই প্রথম উপলব্ধি করি মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়া কতটা জরুরি। আজ আমি অথনৈতিকভাবে সচ্ছল হলে কারো মাথায় উপর বোঝো হতাম না। তখন প্রতিদিন কান্নাই আমার নিত্যসঙ্গী কিন্তু কিছুই করার নেই।
দুঃখ এবং কষ্টের মাঝেও ডিগ্রি কমপ্লিট করলাম পরে মাষ্টাসে্র ভর্তি হই ফাইনাল পরীক্ষার সময় আমার বিয়ে হয়ে যায় যায়।
শুরু হলো আমার জীবনের নতুন এক অধ্যায় তখন থেকে আমি নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে থাকি আসলে আমার পরিচয় কি???
কোন উওর পাই নাই। তখন বুকের ভিতর অনেক হাহাকার করত। সত্যি, আমি একজন পরিচয় বিহীন মানুষ।🤔🤔🤔
মাঝে মাঝে মনে অনেক কষ্ট পাই সে কথা মনে করে আমি আমার পরিবার থেকে যদি সাপোর্ট পেতাম,তাহলে নিজেকে প্রতিষঠিত করতে পারতাম আজ হয় তোবা নিজেকে আরেক জনের উপর বোঝো হয়ে থাকতে হতো না নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতাম যে কোন কাজে পরিবারের সাপোট্ থাকা একান্ত প্রয়োজন। পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া কোন কিছু করা জীবনের সম্ভব নয় পরিবারের সাপোর্ট আমাদের সকলের জীবনে একান্ত প্রয়োজন।
✍️✍️ বিবাহিত জীবন: মনে হয়েছে বাবা মৃত্যুর পরে অনেক দুঃখ পেয়েছি বিবাহর পরে হয়তোবা সুখী হব কিন্তু সেটার আমার কপালে জুটে নাই 😭😭😭 কারণ বিবাহর পরে যখন শুনি আমার স্বামী পূর্বে বিবাহ করেছে এটা ওনার দ্বিতীয় বিবাহ তখন আমার মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছে কি করবো ভাগ্যটাই আমার এমন পড়ালেখার জীবনটাতে বাবা মৃত্যুর পরে দুঃখ কষ্টের মাঝে পড়ালেখায় কমপ্লিট করেছি আশা ছিল স্বামীর ঘরে এসে সুখী হব কিন্তু সেটার আমার কপালে ছিল না বলে আমি ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছি সবকিছুর পরেও যখন বিবাহর পরে ঢাকাতে এসে যায় আসার পরে স্বামীর ভালো চাকরি দেখে মনে হয়েছিল হয়তোবা জীবনটা ভালোই যাবে কিন্তু স্বামী যাই কামাই করে মাস শেষে দেখি হাতে কোন টাকায় থাকে না সঞ্চয় করার মতো কোনো মন-মানসিকতা নেই আমি পড়েছে অনেক দুশ্চিন্তায় শুধু চাকরি করবে বেতন পাবে খাবে আমাদের ভবিষ্যৎ কী আমার ছেলের ভবিষ্যৎ কী তার পরেও মেয়ে বলে কথা সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিদুঃখের মাঝেও ছেলের দিকে তাকিয়ে একটু সুখ খোঁজার চেষ্টা করি যখন ছেলের মুখের দিকে তাকায় সব কষ্ট ভুলে যায় এখন স্বামী এক ছেলে নিয়ে আমার সুখী পরিবার আলহামদুলিল্লাহ ভালো চলছে সাংসারিক জীবন আমি পরিবার নিয়ে ঢাকাতে অবস্থান করতেছি আপনাদের সকলের দোয়া আমাদের সাংসারিক জীবন সুখী ও সুন্দর অতিবাহিত হইতেছে ।সংসারে ঝামেলা কি জিনিস সেটা আসলে আমি উপলব্ধি করতে পারেনি কারণ আমার বিবাহের পরে আমি আমার স্বামীর সাথে ঢাকাতে চলে আসি একা সংসারজীবন যৌথ সংসারজীবন কি সেটা উপলব্ধি করতে পারেনি আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালই অতিবাহিত করিতেছি।
✍️✍️ আমার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প: আমি চিন্তায় পড়ে যায় স্বামীর কথা বেবি যায় কামাই করে সবটুকু খরচা করে ফেলে টাকা জমা করার মন মানসিকতায় তার নেই 😥😥😥তখন থেকে আমি ভাবলাম ছেলের ভবিষ্যতের কথা আমি চিন্তা করলাম কি করা যায় ফেসবুকে প্রথম একটা বিজনেস পেজ খুললাম অনলাইন বিজনেস করবো বলে সেটা তো সহজে সম্ভব না ছোট করে একটি অনলাইন বিজনেস করার প্রস্তাব রাখি
কিন্তু ছোট ব্যাবসা শুরু করতে আমাকে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে কিন্তু আমি হার না মানসিক ও তার মানুষ প্রথম বাঁধা আসে স্বামী কাছ থেকে যখন আমার স্বামী কাছ আমি প্রস্তাব রাখি আমার স্বামী কিছুতে রাজি হচ্ছে না আমাদের সমাজে তো একটা নিয়ম আছে স্বামীর ওপরে কথা বলা যাবে না স্বামীকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করলাম স্বামী রাজি হলেন নিজেকে তো অনেক আনন্দিত মনে হচ্ছে এখন চিন্তা মূলধন কোথায় পাবো আবার আমার স্বামীর কাছে ধরনা দিলাম
স্বামীকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ৮০০০ টাকার মূলধন নিয়ে মার্কেট থেকে কিছু মহিলাদের
কাপড় নিয়ে আসলাম সেটা শুরু করলাম ইতিমধ্যে এক ভাই ৫ হাজার টাকার কিছু থ্রি পিস অর্ডার করল।মনে হলো, মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি খুশিতে আত্মহারা আত্মহারা। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়া পর বুঝতে পারলাম সে একজন প্রতারক 😥😥😥 মনে হলো উদ্যোক্তা জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটল। কয়েকদিন পর আমার হাজবেন্ড এর মাধ্যমে এই গ্রুপের কথা জানতে পারি।দেরি না করে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম। স্বপ্ন মানুষকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়। এখন মাশাল্লাহ আমার বিজনেস মোটামুটি ভালোই আপনাদের সকলের দোয়ায় গ্রুপ থেকে মাশাল্লাহ ভালই সাড়া পায় আশা করি সকলে সব সময় আমার সাথে থাকবেন পাশে থাকবেন এই ভাবে সাপোর্ট করবেন ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে।
✍️✍️কিভাবে প্রিয় গ্রুপের সাথে যুক্ত হলাম: আমার বিজনেস করার ইচ্ছে দেখে আমার স্বামী আমাকে বলে আমি একটা গ্রুপের সাথে যুক্ত আছি তুমি এটার সাথে যুক্ত হবে কিনা আমি কিছু বোঝার আগেই আমাকে আ ১১তম ব্যাচ থেকে গ্রুপের সাথেই যুক্ত করে আমি আমার স্বামীকে বলি এটা কিসের গ্রুপ এটাতে কি লাভ কিভাবে বিজনেস করা সম্ভব তখন সে আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ভিডিও গুলো আমাকে দেখানো শুরু করলেন এবং সেশন গুলো পড়ার জন্য অনুরোধ করলেন আমি দেখতে লাগলাম পড়তে শুরু করলাম এবং দেখতে দেখতে পড়তে পড়তে আমি যেন মনে হয় আমি যাই খুজতেছি তাই পেয়ে গেছি এখন প্রতিদিন প্রিয় স্যারের কথাগুলোশুনি এখন প্রতিদিন স্যারের শেসন গুলো পড়া এবং ভিডিও দেখা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে যদি না পড়ি আমার মনে হয় দিনের আমার একটা কি কাজ বাকি রয়ে গেল। এখন প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের প্রিয় স্যারের সেই বাণীটি মনের মাঝে বলতে থাকে
________স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন
শুরু করুন এবং লেগে থাকুন
সফলতা আসবেই _________
✍️✍️ কি শিক্ষা পেলাম প্রিয় গ্রুপ থেকে: গ্রুপে কথা না বললে নয় এমন একটা গ্রুপ যদি আরো আগে পেতাম তাহলে হয়তোবা জীবনটা আরো অনেক সুন্দর করে করতে পারতাম গ্রুপ থেকে কি পেয়েছি১/কিভাবে ভালো মানুষ হতে হয়২/অপরকে ভালবাসতে হয় ৩/কিভাবে অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করা যায়৪/কিভাবে মানুষের সাথে মিশতে হয় ৫/কোন কিছু সুন্দর করে অন্যের সামনে উপস্থাপন করা৬/কিভাবে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তৈরি করতে হয় ৭/কেমন করে মা-বাবাকে ভালবাসতে হয়৮/শিখেছি আমি কিভাবেকিভাবে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়।
✍️✍️আমার ইচ্ছা পোষণ : আমাদের প্রিয় মেন্ট, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রম হিসেবে আমরা বিশাল প্লাটফর্ম পেয়েছি।আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। দোয়া করি স্যারকে আল্লাহ যতদিন বেচেঁ রাখবে যেন হাজার হাজার তরুণ /তরুণীর মনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারে। তিনি আমাদের লাখো লাখো তরুণ /তরুণীর মুখে হাসি ☺️☺️ ফুটিয়েছেন।প্রতিনিয়ত জীবনের নানা সমস্যা ও ঝড় ঝাপটা থেকে তিনি আমাদের আগলে রাখছে।স্যার আমাদের এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছে সেখানে নিশ্চিতে লেনদেন করার সুযোগ পেয়েছি।সবদা্ পজিটিভ থাকতে শিখিয়েছে নেগেটিভ চিন্তা করার সুযোগ নেই।
আমার ইচ্ছা কমিউনিটি ভলিটিয়ার হয়ে সকলের সাথে কাধেঁ কাধ মিলিয়ে কাজ সুযোগ পেলে নিজের ভাগ্যবান মনে করব। সকলের সহযোগিতা পেলে অবশ্যই কাজ করার সুযোগ পাব ইনশাআল্লাহ।
এই" ফাউন্ডেশন " ভালো মানুষ তৈরীর কারিগর হিসেবে দেশ -বিদেশে অধিক জনপ্রিয়। এসব সম্ভব হয়েছে সেই নিঃশর্ত বড় মনের মানুষ "শ্রদ্ধেয় জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের নিরলস পরিশ্রমের ফল।
আমি আজ ভবহারা জীবন থেকে আলোর নিশানা খুঁজে পেয়েছি। প্রিয় স্যারের প্রতিটি কথায় মনে সাহস পাই, নতুন করে পথ চলার অনুপ্রেরণা যোগায়।এভাবেই একদিন আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
আমার লেখা লেখির অভ্যাস ছিল না। প্রিয় স্যারের অনুপ্রেরণায় আজ প্রথম লেখলাম। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। 🙏🙏🙏
যে সব ভাই/ বোনেরা ধৈর্য্যসহকারে লেখাটা পড়েছেন তাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১২
Date:- ০২/০৯/২০২১
💢 মাসুমা সুলতানা ( জুইঁ )
💢ব্যাচ: ১১ তম
💢রেজি: ৩০২৩৫
💢জেলা : সিরাজগঞ্জ
💢আমি ঢাকায় থাকি
💢 রক্তের গ্রুপ -0+
💢ই-মেইল : Masumajui866@gmail
💢কাজ করছি:
১, মেয়েদের হাতের কাজের থ্রি পিস
২, শাড়ী
৩,হিজাব
৪, ছেলেদের হ্যান্ড পেইন্ট পাঞ্জাবি
৫, হোমমেড চাটনি ও আচার
৬, রান্নার গুঁড়া মসলা - ১, পিয়াজ গুঁড়া,
আদা গুঁড়া, রসুন গুঁড়া
৭,ছোট্ট সোনামনিদের সাইকেল
পেইজ-
https://www.facebook.com/abuniq/
সবাইকে ধৈর্যধরে গল্পটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ