আমি গ্রামের মেয়ে গ্রামেই আমার বেড়ে উঠা।
💁♀️বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
🙋♀️আসসালামু আলাইকুম ওরাহ্ মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
🙏🙏প্লাটফর্ম এর সকল ভাই ও বোনদের অনুরোধ করছি সময় নিয়ে পুরোটা পড়ার জন্য।
💖💖শুরুতেই মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া এবং বাবা-মা ও গুরুজনদের প্রতি রহিলো হাজারো সালাম, কৃতজ্ঞতা ও অকৃত্রিম এবং নিরন্তর ভালোবাসা।
❣️❣️ লাখো কোটি দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি।
🙋♀️🙋♀️ অজস্র শ্রদ্ধা,কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা উৎসর্গ করছি লাখো তরুণ তরুণীর প্রাণের স্পন্দন, যার প্রতিভার পরশ কাঠির ছোঁয়া, দেশ জাতি ও তরুন প্রজন্মের প্রজ্বল্লিত হচ্ছে, তিনি আমাদের #ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।যার জ্ঞান সাহস এবং অনুপ্রেরণায় আমরা এগিয়ে চলেছি আমাদের স্বপ্নের দিকে।
💁♀️💁♀️ সেই সাথে ফাউন্ডেশনের সকল আজীবন সদস্য প্রিয় ভাই ও বোনদের জানাই আমার হৃদয়ের গহীন থেকে একরাশ লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ভালোবাসা অবিরাম।
🙅♂️🙅♂️ আরও ধন্যবাদ জানাই যারা এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত থেকে বিভিন্ন পদে অবস্থান করে যারা নিঃস্বার্থ ভাবে আমাদের সাপোর্ট ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
🤲🤲এই প্লাটফর্ম এর ভাই বোনদের প্রতি রইলো আমার হৃদয় নিঃসৃত অকৃত্রিম ভালোবাসা। যাদের বিচ্ছরিত প্রতিভা, মেধা, অনুপ্রেরণায় আমাকে করেছে অনুপ্রাণিত অভিভুত, মুগ্ধ, বিমোহিত ও জাগ্রত।
💁♀️💁♀️ আমরা যাকে জীবনের গল্প বলি, সেটা কি শুধুই নিজের জীবন????
না তাতে মিশে আছে বহুজনেরই জীবন বহুভাবে।
নিজের জীবন এর গল্পটা কখনো কারও কাছে শেয়ার করে দুঃখের ভাগাভাগি করতে পারিনি। আর এটা কখনো সম্ভব ও ছিলো না কারন সমাজে আজ নানানরকম মানুষের বসবাস। কারো কোন দূর্বল দিক পেলে তাকে নিয়ে উপহাস শুরু করে।
💞
কিন্তু আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি আমাদের সবার প্রিয় স্যার #জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ এর প্রতি। যিনি আমাদের জন্য একটা বিশাল ভালো মানুষের প্লাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছেন।। আর সবার না বলা কথা গুলোর ভাগাভাগি করার সুযোগ দিয়েছেন।
💕আমাদের প্রিয় পথপ্রদর্শকের একটি পোস্টে আমি দেখতে পাই স্যার বলেছিলেন আপনারা আপনাদের জীবনের সকল সুখ দুঃখ শেয়ার করেন।সেরা ২৫ জন নির্বাচন করা হবে। এবং তাদের কে স্যার এর ইউটিবি তে তুলে ধরবেন।
আমার মাথায় সেই থেকেই কিলবিল করতে শুরু করেছে। তারপর থেকে ফাউন্ডেশনের সকল আপু ভাইয়া দের জীবন কাহিনী গুলো পড়ে আজ আমি নিজেও লিখতে সাহস করলাম।
😪আজকে আমি দীর্ঘ একটা নিশ্বাস নিয়ে একটু স্বস্তি পাবো। কারন আমার দুঃখ গুলো সবসময় চিৎকার করে এ দুনিয়াবাসীদের সামনে বলতে চাইতাম কিন্তু কখনো করতে পারিনি। কিন্তু আজ আমি আমার ভালোবাসার এই প্লাটফর্ম এ আমার ভালো মনমানসিকতার ৫ লক্ষ ভাইবোনদের মাঝে বলতে পারছি।
💗💓💓প্রিয় ভাই ও আপুদের প্রতি আমার অপরিসীম ভালোবাসা। আশা করি সবাই ধৈর্য্য ধরে আমার পুরো গল্প টা শোনে আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থাকবেন। আপনাদের সহযোগিতা আমার একান্তই কাম্য।
🤲🤲আশা নয় বিশ্বাস সবাই ধৈর্য্য ধরে আমার পুরো গল্প টা পড়বেন।
💞💞😭আমার জীবনের গল্প 😭💞💞
.🧚♀️🧚♀️
জন্ম আমারব এক মধ্যবিত্ত পরিবারের। আমি গ্রামের মেয়ে গ্রামেই আমার বেড়ে উঠা। আজ থেকে ২৭ বছর আগে আমার জন্ম হয়।আমার নানু আমাকে সবসময় বলতো বোন তুমি পুরো ঘরে আলোকিত করে জন্ম নিয়েছো।যা অন্ধকারে ও পুরো ঘরে আলোকে প্রজ্বলিত হয়ে থাকতো। বাবায় আমার নাম রেখেছেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার ভুট্রোর মেয়ে বেনজীর ভুট্রো নামে নামকরণ করেছেন। আমার নামে বাবা আমাদের এলাকার স্কুল উন্নয়ন এর কন্ট্রাকটারের কাজ নেয় আর সেখানে নাম দেয় মেসার্স বেনজীর ভুট্রো এন্টারপ্রাইজ। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় সেই খাতায় আমি নিজে লিখার অবদান পেয়েছি। বাবার অনেক আদরের মেয়ে ছিলাম আমি।
♥আমার শৈশব ঃ
===========
শৈশব টা আমার অনেক ভালো ছিলো কারন তখন আমি সবার অনেক আদরের ছিলাম।আমি খুব শান্ত, বুদ্ধিমতি,জ্ঞানী এবং বিচক্ষণতার ছিলাম।তাই আমাকে পাড়া-প্রতিবেশী,স্কুল টিচার, আত্নীয় স্বজন এবং পরিবারের সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতেন।
লেখাপড়ায় ও বেশ মনোযোগী ছিলাম।আমার বাড়ির পাশেই ছিলো প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল এবং নুরানি মাদ্রাসা সব।প্রাইমারীতে যখন পড়তাম পুরো বাড়িতে ই আমি ছিলাম একমাত্র অনেক মেধাবী। যখন পরীক্ষা চলতো তখন বাড়ির বড় রা গিয়ে খুব উৎসুক ভাবে আমার এটেনডেন্সড গুলো দেখতো।যখন ক্লাস টুতে পড়ি তখন ১২ টা পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস হতো সেখানে ছুটির পর বাড়ি আসলেই মা গরম ভাত দিতো তারাহুরো করে একটু খেয়েই আবার চলে যেতাম নুরানিতে পড়তে। অনেক আনন্দ পেতাম।এভাবেই সকল হুজুররা এবং স্যারেরা আমাকে অনেক আদর যত্ন করতেন এবং অনেক ভালোবাসতেন।আমি কখনো বিনা অজুহাতে এমনকি মারাত্মক সমস্যা ব্যতীত স্কুল বন্ধ দিতামনা।।
♦মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জীবন ঃ
===================
যখন ক্লাস সিক্সে ভর্তি হই তখন আমার বয়স মাত্র ১০ পুরো স্কুলের বড় ভাইয়া ও আপুরা আমাকে এতো আদর করতো যা আমি কখনোই ভুলতে পারবোনা। আমার বাবা তখন সেই স্কুলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।আমার সব প্রিয় শিক্ষকরা ক্লাসে ঢুকেই রোল কল শেষ করে আমাকেই প্রথমে পড়া ধরতেন।আমার রোল সবসময় ১-১০ এর মধ্যে ছিলো।কারন আমাদের স্কুল টা ছিলো ছেলে মেয়ের কনভাইন্ড স্কুল। একবার ইংরেজি রচনা জুট পড়া ছিলো সেদিন আমার প্রচন্ড জ্বর ছিলো তারপরও আমি ২ প্যারা শিখে জ্বর নিয়ে গিয়েছি স্কুলে। স্যার প্রথমেই আমাকে পড়াটা ধরে পুরো টা বলতে না পাড়ায় স্যার আমাকে বেত্রাগাত করেছিলো আর সেদিন তো পুরো ক্লাসের সবাই এমনকি স্যার ও অবাক হয়ে গিয়েছিল। আমার ঘৃণা হওয়ায় ফুফিয়ে ফুফিয়ে অনেক কান্না করছিলাম।বাবা তখন অফিসে ছিলো ক্লাস শেষে স্যার বাবার কাছে বিষয় টা বলে।লেইজার টাইমে ভাত খেতে বাড়ি যাই বাবা তখন আমাকে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলে আমি তখনও কেঁদে ফেলে মা তখন ঘটনা শুনে অনেক রাগ হয় কেন আমাকে এই অসুস্থ শরীরে মারলো।আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর কখনো পড়ার জন্য মাইর খেতে হয়না।
স্কুলের সাংস্কৃতিক সকল কর্মকান্ডে আমার অংশগ্রহণ অবশ্যই থাকতো।ফলাফল স্বরূপ অনেক অর্জন ছিলো।আলহামদুলিল্লাহ। এভাবেই কাটে আমার শৈশব ও স্কুল জীবন।
🥰আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম🥰
বিঃদ্রঃ কলেজ জীবনের স্মরনীয় দিনগুলো নিয়ে আবার কোন একদিন আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।।ইনশাআল্লাহ।
💗🕵️♂️🕵️♂️🤦♂️<><><><><><><><><><
♥প্রেমময় জীবন ঃ
=========
ছেলেটি ছিলো আমার এলাকারই একজন।ছোট বেলা থেকে দেখতাম কিন্তু কখনো তার সাথে পরিচিত ছিলাম না।সে আমাকে প্রায় ফলো করতো যখন আমি একটু বুঝতে পারি তখন আমার প্রচন্ড রাগ হতো।সে আবার অন্য স্কুলে পড়তো।হঠাৎ ক্লাস সেভেনে এসে আবার আমাদের সাথে ভর্তি হয়।তারপর তার সাথে অনেক ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। একি সাথে দৈনিক স্কুলে আসা যাওয়া হতো।ক্লাস এইট এ যখন উঠি তার ৪-৫ মাস পরে ও আমাকে প্রপোজ করে। এ বিষয়ে আমার রুচি না থাকায় পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে ওকে প্রত্যাখ্যান করি।সেই থেকে শুরু ওর অভিযান। সে তো আমার পিছনে লেগেছে আর ধীরে ধীরে তার প্রতি আমারও আকর্ষন বিকর্ষন ঘটলো।।কি আর করা তারপর থেকে একটু একটু করে চুটিয়ে প্রেম করা। এভাবে চলতে লাগলো। ১-২ বছর এর মাঝেই পরিবারে জেনে যায়। আর সেই থেকে আমার উপর পরিবারের অভিযান অত্যাচার শুরু।। কতো মিথ্যে বলতে হয়েছিল শুধু ওর জন্য। এমনিতেই আমি মিথ্যা বলিনা আর মিথ্যুককে ও পছন্দ করিনা। কিন্তু ওকে বাঁচানোর জন্য আমাকে মিথ্যা বলতে হতো।।কখনো স্বীকার করিনি ওর সাথে যে আমার সম্পর্ক টা ছিলো।এভাবে এস,এস,সি শেষ হলো।
উচ্চ মাধ্যমিক জীবন ঃ
====================
এস. এস. সির আমার পরিবারের আশা আমাকে ঢাকা ভালো কোন কলেজে পড়াবেন।যেহেতু রেজাল্ট ছিলো ভালো।এদিকে ও ওর পরিবারকে মানিয়ে নেয় সে ও ঢাকা পড়বে।ওর পরিবার ও রাজি হয়ে যায়। তারপর ২ জনেই ঢাকা গিয়ে ভর্তি হই।দুইজন দুই কলেজে।।এখানে দুরত্ব টা অনেক বেড়ে যায়। বাড়ি আসলে দেখা সাক্ষাৎ হতো।তাঁর মাঝে আমার উপর ভাইদের অত্যাচার আছেই।যখন কিছু শুনতে পায় তখনই আমাকে মারতো। কত যে মাইর খেয়েছি শুধুমাত্র এই একটি কারনে। আমি চাইতাম না আমার পরিবারের মানসম্মান নষ্ট হউক। আমি পড়াশোনা খুব মনোযোগী ছিলাম।। মনে মনে শুধু ভাবতাম আমি ভালো রেজাল্ট করলে হয়তো আমার পরিবার আমার কথা ভেবে রাজি হয়ে যাবে। কিন্তু না এসব ই বিপরিতগামী ছিলো।এদিকে আমার কমনসেন্স ও লোভ পেতে থাকে একদিকে ওর কষ্ট অন্যদিকে পরিবারের মানসিক চাপ।একপর্যায়ে টেস্ট এক্সাম এর আগে ও আমাকে কোর্টে নিয়ে বিয়ে করে ফেলে।বয়স ও তেমন বেশি ছিলো না আমার আমি তেমন কিছুই বুজতামনা।পরিবার থেকে ও কোন বুজ পেতাম না শুধু প্রেসার দিতো আমাকে কেন ওর সাথে কথা বলি।যাহোক তারপর ও আমাকে বাসায় পৌঁছে দিল। আর ও চলে যায় ওর বাসায়। আমায় বলেছিল তুমি চিন্তা করিওনা এগুলো সব গোপন থাকবে।তুৃমি তোমার বাসায়ই থাকতে পারবা।
😭😭
সেদিন এর পর থেকে যা যা ঘটেছে সবিই ছিলো আমার জীবনের বেদনা।এরপর ও যোগাযোগ এর জন্য একটা বাটন ফোন কিনে দেয় আমাকে।একদিন রাতে যখন কথা বলি তখন বড় আপু শুনে ফেললো এরপরই শুরু হলো আমার জীবনের করুন দশা।ফোন টা নিয়ে যায় সকালে ভাই কে বলে দেয় এবং মোবাইল টা ভাইকে দেয় ভাইয়া মোবাইল টা এক আচারেই ভেঙে ফেলে এবং আমাকে অনেক মারে তাকে ফোন দেয় রাগারাগি করে আর সেই তখন বলে ফেলে বিয়ের কথা।এখন আর কি করা আমিতো কিছুই বুঝতে পারলাম না। পুরো পরিবার এ তখন হাহাকার বাবা-মা সব গেলো এমনকি জোর করে ডিভোর্স ও করালো।এদিকে সে আমাকে বলতে থাকে সে আত্মহত্যা করবে। বাবা-মা মিথ্যে বলে সাইন নেয়। তখন আমার বেহাই আমাকে পারসোনাল নিয়ে বলে তুমি এটা কি করছো।ওনার কথা শুনে আমিও বুঝতে পারি যে আমাকে এখানে ধ্বংস করা হচ্ছে।
ভালোবাসা কি মহাপাপ?? আর এটাই ছিলো আমার যাবজ্জীবন দন্ডায়মান অপরাধ???? 😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
.🤔🤔বিয়ে জীবন ঃ
==========
এভাবে কিছুদিন যায় তারপর ও আমাকে বলে ওর সাথে দেখা করার জন্য আমিও গেলাম সেখানে ও ছিলোনা ওর ফুফাতো বোন আমাকে নিয়ে যায় আমার অচেনা একটা বাসায়। আমি তখন চিন্তা পরে যাই কি হবে আমাকে এখানে কি করবে আমার অনেক ভয় লাগা শুরু হয় কিন্ত কিছু বলতে পারছিলাম না তারপর সে আসে এবং ওর ফুফুর বাসায় আমায় নিয়ে যায়। আমার সাথে কিছুই ছিলোনা। যাকে বলে এক কাপড়ে বের হওয়া।
===========
👉সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর আর আমার পরিবারের কারো যোগাযোগ করতে দেয়নি।ওদিকে শুরু করে আমাকে খোজাখুজি এদিকে ও ফোন ও অফ করে দেয়। এখনতো ওর সকল কথা শুনতে হবে কারন আমি তার বউ।।এদিকে সাইনের কথা সে জানেনা।যাহোক এভাবে দুই পরিবারের লোকেরা মিলে আবার ঢাকা হাইকোর্ট এ বিয়ে হয়।আমাকে ওরা ওদের সাথে নিয়ে যায়। এদিকে ওর পুরো পরিবার আমাকে পেয়ে খুশি সব রাজি।।।সেদিকে আমার পরিবারের একজনও রাজি নেই।সেই থেকে আর আমার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। সামনে ইন্টার পরীক্ষা। পরীক্ষা তো দিতেই হবে টেস্ট এর রেজাল্ট দেয় আমি কলেজে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি।এখন একসাথে থেকেই দুজনে পরীক্ষা দিলাম।।তারপর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা দুজনেই পাশ করি এবং অনেক ভালো রেজাল্ট করি।তারপর আবার নিয়ে যায় গ্রামে তার পরিবারে।
😭😭
🤐🤐সংসার জীবনে লেখাপড়া ঃ
==================
তারপর শুরু হয় আমার লেখাপড়া নিয়ে যুদ্ধ।
এখন তো আর পড়ালেখা করার সাপোর্ট নেই।স্বামী নিজে ও পড়বেনা আমাকে ও পড়াবে না। আর এর কারন হলো আমার পরিবার আমাকে মেনে নেয়নি অন্যদিকে ওর কোনো ইনকাম নাই সম্পুর্ন বেকার।ওর প্লান হচ্ছে ও বিদেশ চলে যাবে। দেশে থেকে কিভাবে চলবে সেই চিন্তা ভাবনার ওর ভিতরে কাজ করে। তারপর ওনি বিদেশে লাইন দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে তারমধ্যে আমাদের প্রথম সন্তান জন্ম নেয়। এভাবে আমার পরা লেখা এক বছরের গ্যাপ পরে যায়। এখন তো দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। তারপর নিজে ও চিন্তা ভাবনা করি যে আমাকে পড়াশোনা টা চালিয়ে যেতেই হবে। না হলে যে আমার ভবিষ্যত অন্ধকার। শ্বশুর শাশুড়ী কে অনেক বলে রাজি করি।তারপর স্বামী কে রাজি করিয়ে ডিগ্রিতে ভর্তি হই কারন এখানে কোন অনার্স শাখা নেই 😭😭😭।
তারপরই শুরু হয় আমার নিজের সাথে পরিবারের সাথে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ। স্বামীর বাড়িতে যৌথ পরিবার। বড় ঝা- ভাসুর আছে।যেই আমি কলেজে ভর্তি হই সেই থেকে ওনারা আমার পেছনে লেগে পড়লো কেন আমি একই পরিবারে থেকে পড়ালেখা করব।ওনাদের মাঝে হিংসা কাজ করে আমি অনেক বড় হয়ে যাবো। এ বলেই আমার ঝা সংসারের কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে পুরো পরিবারের দায়িত্ব আমার উপর চাপিয়ে দেয়।ঐ দিকে স্বামী ও চলে যায় মালয়েশিয়াতে এদিকে আমি একা।কি আর করার আমার একটাই টার্গেট ছিলো আমি আমার কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছবোই।
সংসার জীবনের লেখাপড়ার রুটিনঃ
=========================
👉যে কথা সেই কাজ আমি আমার লক্ষ্য কে সামনে রেখে শুরু করলাম দিনরাত প্রচেষ্টা। কলেজে প্রতিদিন যাওয়া যাবে না ফ্যামিলির কন্ডিশন সপ্তাহে তিনদিন যেতে হবে কি আর করা ওদের কথা মেনেই চলতে হবে। তারপর কলেজের টাইম মতো যাওয়া ও সম্ভব হয়না। কারন কাজ শেষ করতে অনেক সময় লেগে যেত।তাই কলেজে গিয়ে স্যারদের সাথে পরিচয় হয়ে সপ্তাহে তিনদিনের জন্য প্রাইভেট ঠিক করি।ব্যবসা শাখা নিয়ে পড়েছি।তাই হিসাববিজ্ঞান এর জন্য তো ক্লাস/ প্রাইভেট যেকোন একটা করতেই হবে না হলেতো ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব হবে না। সেই থেকে আমার দৈনিক রুটিন টা এমন হয় ( ফজরের নামাজ পড়ে ১৩-১৪ জনের নাস্তা তৈরি করে একা হাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমায় আমার নাস্তা তৈরি করা হলে সবাই উঠতো,,, তারপর আবার দুপুরের রান্নার যাবতীয় সব কাজ ঘুছাতাম, এদিকে বাচ্চার যত্ন ও করতাম,, ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এইসব আমি ১১.৩০ টার মধ্যে শেষ করতাম তারপর শুধু রান্নার দায়িত্ব আর আমার বাচ্চা কে শাশুড়ীর হাতে তুলে দিয়ে, তারাহুরো করে ১২ টার মধ্যে কলেজে পৌছাতাম কোনদিন দেরি ও হয়ে যেত তারপর ২-৩ ঘন্টার মাঝেই বাড়ি ফিরতাম। ফিরে এসে দেখতাম আবারও সবকিছু অগুছালো করে রেখেছে এদিকে বাচ্চার গোসল,খাওয়া সব বাকি, কি আর করা যেহেতু আমি আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতেই হবে তাই সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করে নিজের বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে আবারও সব ঠিক মতো করতাম।এদিকে ক্ষুধা টা মজে যেতো সেই সকালের নাস্তার উপর সারাটা দিন যেতো।এরমাঝে ছেলেটা যে মা ছাড়া থাকতো কোনদিন ও আমার জা তাকে কিছু করতোনা বরং আমি আসলে উল্টো ওর নামে নালিশ বিচার করতো।তাও কোনদিন কিছু বলিনি আমি।তারপর আসরের পরে গিয়ে দুপুরের খাবার টা খেতাম মাঝে মাঝে চোখের পানির সাথে ভাত খেতাম।তারপর সন্ধ্যা হলেই আবার শুরু হতো এক আড্ডার আসর শাশুড়ীর,,,রাত ১১.৩০ টা বাজাতো ওদের খাবার আড্ডার শেষ হতো।এই সারাদিন এ যে এতো পরিশ্রম করলাম এদিকে একটুও ওদের খেয়াল নেই,, 😭😭😭রাতের ১২ টার পরে পড়তে বসতাম কারন এতো নয়েজ এর ভিতর আমার পড়া হতো না।১.৩০-২.০০টা বাজতো ঘুমাতে যেতাম। আবারও সকালে শুরু হতো ঐ রুটিন মেনে চলা।এদিকে নবাবজাদি জা আমার শুধু খাবারের সময় খেত আর বিলাসিতায় জীবন কাটানো শুরু করলো। এই চার-পাঁচ বছরের একদিন ও সে আমার ছেলেটাকে ও একটু কোন আদর করতো না তার স্বামী ও তারজন্য করতে পারেনা,, শ্বশুর শ্বাশুড়ি করতো বলে এনিয়ে অনেক ঝগড়াঝাটি করতো। এতো কষ্ট করার পরও কখনো কিছু করতে একটু কম হলে শুনতে হতো কতো রকমের কথাবার্তা আর আচরণ। এর মাঝে আবার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাই।এভাবে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়।এবং আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমার সকল কষ্টের প্রতিদান দিয়েছেন। আমার রেজাল্ট ছিলো ঐ কলেজের বিগত সকল রেজাল্ট এর রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে আমি ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হই।সেদিন পুরো এলাকা শুধু আমার কথা বলেছেন বাড়িতে কতজন এসেছেন। কিন্তু এদিকে আমার মনে এতো খুশির মাঝে ও অনেক কষ্ট লুকিয়ে ছিলো কারন বাবা তখনও আমাকে মেনে নেয়নি।আর এই পুরো সময়ে আমার শিক্ষক রা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহস যুগিয়েছেন। আর আমার খুব ঘনিষ্ঠ দুজন ফ্রেন্ড আমার সাথে আঠার মতো লেগে ছিলো।
#MdNurulaminmazomder #papiyadas
😭😭তারপর মাস্টার্স এর ভর্তি শুরু হয় এদিকে এখন শ্বশুর শ্বাশুড়ির কথা হলো মেয়ে মানুষ বিয়ে হয়েছে এরপর ও যা পড়েছো তাই চলবে আর পড়তে হবে না।কিন্তু আমার এই অদম্য মন যে কিছুতেই থেমে যাবে না। স্বামীকে রাজি করিয়ে ভর্তি ফরম তুলি এবং কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ এপ্রিলিমাস্টার্সে প্রথম মেরিটে চান্স পেয়ে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ।এখন তো এতো দুর গিয়ে ক্লাস / প্রাইভেট কিছুই সম্ভব না। একদিন কলেজে গিয়ে ২-৩ জনের সাথে একটু ভালো সম্পর্ক করে ওদের ফোন নাম্বার নেই, এবং কলেজের সকল তথ্য ওদের কাছ থেকে জানি।এবং নিজেই বাড়িতে পড়া শুরু করি প্রতিটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি ভালো ফলাফল করি। তারপর টেস্ট পরীক্ষার আগে হাজব্যান্ড ছুটিতে দেশে আসে শুরু হয় টেস্ট পরীক্ষা প্রথম দিন২ টা ছিলো ওগুলো দিয়ে আসি পরেরদিন আবারও আছে সারাদিন এর এতো জার্নিতে ক্লান্ত হয়ে যাই এবং ঘুমিয়ে পরি ভোররাতে উঠি একটু প্রিপারেশন নিয়ে আবার যেতে এরই মাঝে শরীরটা অনেক খারাপ হয়ে যায় যার কারনে সেদিন আর পরীক্ষা টা দেওয়া হয়নি। স্বামী ডাক্তারের কাছে নিলে ২ য় সন্তানের সংবাদ আসে।আলহামদুলিল্লাহ। সাতমাসের অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় ফাইনাল পরীক্ষা আরম্ভ হয়। এবং ৯-১০ ঘন্টার জার্নিতে এভাবে শেষ হয়। আলহামদুলিল্লাহ এখানে ফাস্ট ক্লাস পাই এবং আবারও ফাইনালে প্রথম মেরিটের চান্স পেয়ে ভর্তি হয়ে যাই।বর্তমানে করোনার কারনে আমার সেশন স্থগিত হয়ে আছে।আপনাদের দোয়া চাই যেন এ-ই সকল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ও যেন ভালো ফলাফল টা করতে পারি সে দোয়া করবেন।
😭😭 এদিকে বাচ্চা পেটে আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি কিন্তু আমাকে যে কেউ একটু সেবা করবে সকল বিপদ আপদে থাকবে সেখানে ও কেউ নেই। সবকিছু ভেবে ৯ মাসের সময় স্বামী আমার দেশে আসে অনলি ৬ মাসের মাথায় অনেক খরচ হয়ে যায়। তবুও সে টাকার কথা ভাবেনি শুধু আমার তার সন্তানের জন্য চলে আসে। এদিকে পরিবারে তো শুরু হয় গোলমাল আনাগোনার। যাহোক তারপর আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দ্বিতীয় সন্তানের( ছেলের) ভুমিষ্ট হয়। এদিকে তাদের আরও হিংসা বেড়ে গেলো আমার ২ ছেলে,,স্বামী বিদেশে ইনকাম করে আবার আমি ও পড়াশোনা করছি,আমার যদি চাকরি হয়ে যায়। তাহলে আমি নাকি অনেক বড় হয়ে যাবো।কিন্ত কোনদিন তাদের লাভের কথাটা ভাবেনি।আমার ভিতর সবসময় একটা কাজ করতো শুধু যে আমি যদি নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি তাহলে ওনাদের ব্যাক গ্রাউন্ড সেটাকে পরিবর্তন করবো এবং সবাইকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলবো।কিন্তু ওনারা কোনদিন ও আমাকে একটু সাপোর্ট করেনি।বরং এতো কষ্ট করার পরেও দিনশেষে আমাকেই অনেক কথা শোনাতো।আর আমি সবসময় ন্যায়ের পথে চলেছি আর তার পেতে সবকিছু সহ্য করে নিয়েছি।শুধু আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছি।তারপর আবার সে তার ছুটি শেষে চলে যায়।
😭😭😭আমি চিৎকারবকরে কাঁদিতে
চাহিয়া ও করিতে পারিনি চিৎকার।
বুকের ব্যাথা বুকে চাপিয়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার। 🤭🤭
অনাকাঙ্ক্ষিত জীবন ঃ
===============
.😭😭তারপর আসে ২০২০ সাল অভিশপ্ত করোনা আমাদের বিশ্বে আলোড়ন জাগিয়েছে চারদিকে শুধু ভয় আতংক আর হাহাকার। ঠিক ঐ সময় দেবর এর বিয়ে সম্পন্ন হয়। তার বিয়ের অনেক দায়িত্ব আমি নিজে পালন করি।
সেদিকে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন এর ঘোষণা করা হলো।বাড়ি থেকে গিয়ে সে ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দেয় সেখানে টাকা লাগে তার অনেক কিছু ধার দেনা করে ভিসার জন্য আবেদন করে।
সেখানে কোন কাজ নেই কোম্পানি থেকে ত্রাণ দিচ্ছে আর ওনারা খাচ্ছে। এভাবে প্রায় ৪-৫ মাস চলে যায়। আর এদিকে পরিবারে টাকা দিতে পারছেনা বলে ওনাদের অভিযোগ হলো সে আমার কথা শোনে টাকা জমাচ্ছে। এই নিয়ে শুরু ওনাদের আমার উপর আক্ষেপ। এখন তো ছোট বড় সকলে আমাকে যেমনে ইচ্ছে কথা শোনাচ্ছে দোষ না করলেও দোষ ধরছে।যে দেবর ননদ দের কে ছোট থেকে আদর যত্ন করে আপনের মতো করে বড় করেছি আজ তারা ও আমার সাথে খারাপ আচরণ করছে। এমনকি নতুন বিবাহিত বউ আমার সেজো জা ও বলতে দ্বিধা করছেনা।যে সংসারে আমি ১০ টি বছর দিনরাত পরিশ্রম করে সব কিছু মুখ বন্ধ করে সহ্য করে তাদের সাথেই ছিলাম। আজ শ্বশুর শ্বাশুড়ির কাছে ও কোন ন্যায় বিচার পেলামনা।😭😭😭😭😭
বর্তমান পরিস্থিতি এবং একাকিত্ব সংসার ঃ
==============
.🙄গত বছর কোরবানি ঈদের দুদিন পরে দেবর শ্বাশুড়ি ননদ এরা সবাই মিলে আমার সাথে যে আচরণ করছে তা আপনাদের বুঝানোর মতো আমার ভাষা নেই। তারপর আমার স্বামী শুনতে পায় এবং সে আমাকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় আমাকে একটি ভাসা ভাড়া করে দেয় আর আমাকে বলে ওখানে যাওয়ার জন্য। আমি তার কথা মতো ছোট এই দুটি বাচ্চা সাথে নিয়ে একা বাড়ি থেকে বের হই। সেদিন কেউ একবারের জন্যও বাধা দেয়নি আমি কেন যাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি। দুইদিন না খেয়ে আমি এদিকে বাচ্চাগুলোও না খাওয়া। সারাদিনে একটা বাচ্চাকে একটু কেউ খাইয়ে দেয়নি।তারপর সন্ধ্যা হলে একটা আত্মীয় এর বাসায় উঠি।ওখানে ২-৩ দিন থাকি তারপর বাসায় উঠি।এদিকে শ্বশুর বাড়ির একজনও একটু ও খোঁজ নেয় নি। এভাবেই চলতে থাকে আমার আবারও বাচ্চাদের নিয়ে নতুন সংসার সামলানোর দায়িত্ব।। বাচ্চার তখন মাত্র নয় মাস। একা একা ওদের দেখাশোনা সেবাযত্ন সংসারের সকল কাজ, বাজার করা করা লেখাপড়া সব কিছু এখন ও একাই চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে পরিবারের অমতে বিয়ে হওয়ায় এখানেও নেই কোন প্রকার সাপোর্ট একটু স্বস্তি কোনকিছু। এখানে ও প্রতিনিয়ত অপমানিত / অবহেলিত হতে হচ্ছে। বিয়ের এগারো বছর এর মাথায় এখনো কোনদিন বাবা এক মিনিটের জন্য ও ফোন দিয়ে জানতে চায়নি যে মা তুই কেমন আছোস😭😭😭😭😭চার ভাইয়ের মধ্যে শুধু মেঝো ভাই মাঝে মাঝে একটু খোঁজ খবর নেয়।ভেবেছিলাম ছোট টা হয়তো নিবে কিন্তু সে ও হয়তো সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে যার কারনে সেও আজ চিনেনা।বাকি দুজন ও কোনদিন বলেনি বোন তুই কেমন আছোস😭😭😭😭 বড় বোন বোনের বাচ্চাদের কতইবা তোষামোদ করে আমার চোখের সামনে তবুও কোনদিন আমি বিচক্ষণ করি না।কারন আমি ভুল করেছি পাপ করেছি আর এর মাশুল পাচ্ছি। আমাদের সৃষ্টিকর্তা বলেছেন তার বান্দারা যদি কবিরা গুনাহ করে ও তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে তিনি মাফ করে দেন।কিন্তু আমার পরিবারের কতবার যে ক্ষমা চেয়েছি তাও কিন্তু ক্ষমা পাইনি।আমার বাচ্চা দুই টাকে ও কেউ একটু বুকে টেনে একটু আদর একটু মায়াও কোনদিন করেনি।।আজ আমার একটা ভুলের জন্য আমি নিজে যেমন প্রাশ্চিত্য পাচ্ছি তেমন আমার এই অবুঝ দুইটি বাচ্চা ও কারো আদরের পাত্র হতে পারেনি।তাদের বাবা থেকেও কাছে নেই। আজ না পায় দাদা-দাদীর,আদর, চাচা-চাচী জেঠা- জেঠী,ফুফু,মামা- মামী,নানা কারোর আদর ই তাদের ভাগ্যে জুঠেনা,তাদের মামারা, নানা কোনদিন ও একটু কোলে পর্যন্ত ও নেয়নি।তাদের দাদা-দাদী ও চাচাজেঠাদের জন্য আদর করতে পারেনি যদি করতো তাহলে তারা অনেক কথা শোনাতো,।এখন আমার খবর নেওয়ার দুইটি ব্যক্তিই শুধু আছে তারা হলো আমার মা আর আমার স্বামী।
আর সকল নির্মম পরিহাসের কারনে আজ আমার হার্ড অনেক দূর্বল হয়ে গেছে। মানসিক ভাবে বিপর্জিত হয়ে পরেছি। আমার স্মরণশক্তি কমে গিয়েছে। এবং নিজের মেধার লোপ পেয়েছে। আজ আমি ভালো করে কারো সাথে কথা বলতে পারিনি। কাউকে আমার মনের কথাগুলো বুঝিয়ে বলতে পারিনি।
কিন্তু না আমি এতো সহজে হার মানতে চাইনি।আমি আমার সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাবো। যতক্ষণ না সাকসেসফুল হতে পারি।
আমাদের প্রিয় স্যার এর অন্যতম একটি বানী আমার জীবনের মোর ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো সাহস যুগিয়েছে।
💕আমাদের স্যার বলেছেন
🥰🥰স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন আর লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ।। 😍😍😍
ইনশাআল্লাহ আমি লেগে থাকব।
জীবনের এসকল পরিস্থিতিতে ও আমি পজেটিভ থাকার চেষ্টা করছি।
আমি আমার জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই।আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজের উন্নয়ন এবং যাদের মনমানসিকতায় নেগিটিভিটি ভরপুর তাদের পজিটিভ করে তুলতে চাই।
কারন আমার প্রিয় মেন্টর এর প্রিয় প্লাটফর্ম এর একটি বাক্য আমি বুকে ধারন করে নিয়েছি।
💓জীবনের যেকোন পরিস্থিতিতে পজিটিভ থাকবো💓
আমি এখন আর কিছুই লিখতে পারছিনা কারণ আমার ভেতর টা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। লিখলে শেষ হবে না কোনদিন। তবুও একটু স্বস্তি একটু সাহস একটু ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সাথে জড়িয়ে আছি।
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার প্রিয় মেন্টর #iqbalbaharjahid স্যার এর প্রতি। যার অনুপ্রেরণায় আজ আমি আমার না বলা কথাগুলো সবার মাঝে তুলে ধরতে পেরেছি।
আমার জীবনের এই পরিস্থিতিতে ও আমি থেমে যায়নি।কারন আমি আমার ভালোবাসার এই প্লাটফর্ম এ যুক্ত হয়ে অনেক অনেক প্রিয় ভাইবোন পেয়েছি। যাদের ছাড়া কখনো ও চলতে পারবোনা।এখানে ও ভালোবাসাটা অনেক জড়িয়ে গেছে।
এতোটা সময় ধরে আমার পুরো লিখাটা পড়ার জন্য
আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা পোষণ করছি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে।
আপনাদের সাপোর্ট পেলে আবারও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ । সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপদ এ থাকুন।
আর আমার অগোছালো লিখার ভুলত্রুতি গুলো আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৮
Date:- ০৮/০৯/২০২১
বেনজীর আক্তার
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য
এসো কোরআন শিখি কাফেলায় নিয়মিত নিয়মিত ছাত্রী।
এগ্রো ফোরাম এর সদস্য
ব্যাচ নং ১৩
রেজিষ্ট্রেশন নং ৫৮১৩৭
উপজেলা ঃ কচুয়া
জেলা ঃ চাঁদপুর।
আমি কাজ করছি খাঁটি ঘি এবং মধু নিয়ে।
আমার পেইজঃhttps://www.facebook.com/Afz400/