আমি #জান্নাতুল_ফেরদৌসী ডিগ্রীতে ভর্তির পর থেকে ঢাকাতে ছিলাম। কারন ডিগ্রীতে তো তেমন ক্লাস করা লাগে না তাই বাবা-মাকে বুজিয়ে কর্মের সন্ধানে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া।
#গল্পে_গল্পে_সেল_পোষ্ট
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতু।
প্রথমে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহর নিকটে, যিনি আমাকে এই করোনা মহামারীতেও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেছেন, সুস্থ ও সুন্দর রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্।
আমি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার প্রাণপ্রিয় মেন্টর আমাদের আইডল, শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার এবং তরুণ তরুণীর আস্থার ঠিকানা মহান ব্যাক্তিটির নিকট যার গুরুত্ব ও অনস্বীকার্য। তিনি আর কেউ নন আমাদের সকলের ভালবাসার মানুষ, প্রিয় ব্যক্তি শ্রদ্ধেয় " Iqbal Bahar Zahid " স্যার।
#যাকে_চিনি_তার_কাছ_থেকেই_কিনি.......
ব্যবসা শুরু করার আগেই নিজেকে চমৎকারভাবে ব্রান্ডিং করে তুলতে হবে। আর সেই লক্ষ্যেই প্রিয় গ্রুপে অবিরাম অ্যাক্টিভনেসের অব্যহত ধারাবাহিকতায় আজ আমি এসেছি ৬৩ তম হাটে-
প্রিয় স্যার এর প্রতি আমরা অনেক বেশি কৃতজ্ঞ যিনি এই করোনা মহামারিতে আমাদের কথা চিন্তা করে সাপ্তাহিক হাটের আয়োজন করেছেন। যেখানে ক্রেতা বিক্রেতারা নিশ্চিন্তে ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন।
পণ্য বা সেবা যেটাই আমরা বিক্রি করি না কেনো প্রতিটি কাজের পিঁছনে সফলতার এক গুপ্ত সুভাস লুকিয়ে থাকে সেই সুভাসের আসায় প্রতি দিন বিক্রেতারা হাটে হাজির হয়।
আমি #জান্নাতুল_ফেরদৌসী ডিগ্রীতে ভর্তির পর থেকে ঢাকাতে ছিলাম। কারন ডিগ্রীতে তো তেমন ক্লাস করা লাগে না তাই বাবা-মাকে বুজিয়ে কর্মের সন্ধানে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া। যাওয়ার কিছু দিন পরে কাজ পেলাম বায়িং ওফিসে। কাজের সুবাদে অনেকের সাথেই পরিচয় হয় কিন্তু একজনের সাথে শুধু পরিচয় নয়,দুইজনের সম্পর্ক অনেক ভালো এখন পর্যন্ত। তার নাম #রোকসানা বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সে একটু রাগি কিন্তু মনটা অনেক ভালো। আমি যে ঢাকায় থেকে কাজ করতাম থাকতাম আমার খালার বাসায়। একদিন রাতে খালাতো বোনের সাথে রাগ করে বল্লাম যে আমি তোমাদের বাসায় থাকবো না। প্রথমে রোকসানাকে কল করি সে রিসিভ করে না,পরে পরিচিত অনেকেরে কল করি সবাই বলে রোকসানার কাছে চলে যাও যেহেতু সে একটা মেয়ের সাথে থাকে তোমার সেখানে থাকতে সমস্যা হবে না। আমি বল্লাম সে তো কল ধরে না, সেই কথা শুনে একে একে সবাই রোকসানাকে কল করে অনেকক্ষন পরে কল রিসিভ করে। পরে তাকে সব বলা হয়,সে শুনে বল্লো এখনি আপনি চলে আসেন আমার বাসায় রাত তখন ৯.৩০ বাজে। যেই কথা সেই কাজ আমি রওনা দিলাম তার বাসার উদ্দেশ্যে ১০.৩০ গিয়ে তার বাসায় পৌছাইলাম। তার বাসায় থেকেই কাজ করছি ২ দিন থাকার পর হটাৎ করে আমার প্রচন্ড জ্বর আসলো। ওফিসে গেলাম জ্বর নিয়েই কিন্তু কাজ করা সম্ভব না দেখে আমাকে ছুটি দিয়ে দিলো। রোকসানার বাসায়ওই আছি আমি কিন্তু সমস্যা হয় দিনে ওরা ২ জনই ওফিসে চলে যায় একা একা বাসায় জ্বর নিয়ে বিছানা থেকেই উঠতে কষ্ট হয় কেমনে কি করবো? এদিকে বাবা কল দিয়ে কখন কি খাবো না খাবো সব বলে দিচ্ছে আমাকে এবং রোকসানাকে। যখন যেটার কথা বলছি সে তাই এনে হাজির করছে। আমার সারাদিনের কষ্ট দেখে সে ওফিসে সবার সাথে আলোচনা করলো কি করবে আমায় নিয়ে? পরে ওফিসের একটা ভাই বল্লো আমি বাসায় গিয়ে তোমার ভাবির সাথে আলাপ করি দেখি তোমার ভাবি কি বলে? বাসায় গিয়েই সেই ভাই কল দেয় রোকসানাকে যে তুমি জান্নাতকে আমার বাসায় দিয়ে যাও। আমি যেতে ইচ্ছুক ছিলাম না যে ওনার স্ত্রী কি মনে করে বলা যায় না। তবুও রোকসানার জোড়াজোড়িতে রাজি হলাম। সেখানে ২ দিন থাকলাম, ওনার স্ত্রী, মেয়ে এবং মা আমাকে অনেক যত্ন নিয়েছেন, আপন মানুষের মতো। ৪ দিন হয়ে গেলো জ্বর কমছে না এই দেখে বাবা রোকসানাকে বল্লো মারে জান্নাতকে তুমি ওর ফুফুর বাসায় দিয়ে আসো। সেখান থেকে আমার এক জেঠা বাড়ি আসার কথা তাই এই কথা বলছিলো বাবা। রোকসানা কাজ শেষে আমাকে নিয়ে রাতে গেছে ওখানে। আমার ফুফু রাতে ওকে আসতে দেয়নাই সকালে কাজ আছে তাই চলে আসছে। কিন্তু ওখানে গিয়ে তো আরো বিপদে পরে গেলাম কারন জেঠা এখন আসবে না বাড়ি। চিন্তা করছি কি করবো? বাবাকে বল্লাম কি করবো এখন? বাবা বল্লো যেভাবেই হোক বাড়ি চলে আসো কিন্তু আমার এমন অবস্থা একা চলতে পারবো না। কি করবো ভাবতেছি সেই মুহুর্তে আমার খালাতো ভাই কল দিছে কেমন আছি জানার জন্য। পরে ভাইকে সব বল্লাম, ভাই শুনে বল্লো কেমনে যামু আজকে আসলাম আমি কক্সবাজার থেকে আর হাতে টাকাও নাই। এই কথা বলার পর আমি আমার ছোট খালাকে বল্লাম খালা ভাই বল্লো তার কাছে নাকি টাকা নাই কেমনে আমাকে নিয়ে যাইবো আর আমার হাতেও এখন তেমন টাকা নাই কারন এই কয়দিনে ডাক্তার দেখাইয়া সব শেষ। খালা বল্লো চিন্তা করিস না আমি ওরে টাকা দিয়ে পাঠাইতে আছি। সেই রাতেই ভাই আমাকে নিয়ে রাতের লঞ্চে বাড়ি আসলো। বাড়িতে এসে পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পর ধরা পরলো টাইফয়েড। ১০ দিন থেকে চিকিৎসা করে মুটামুটি সুস্থ হয়ে আবার ঢাকায় ফিরলাম। আমি অসুস্থ হওয়ার পর অনেকে আমার জন্য অনেক কিছু করেছে তবে তাদের মধ্যে রোকসানা অনেক বেশি করেছে। তার সাথে সম্পর্ক শুধু আমার আর তার মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই আমার সাথে তার পরিবার এবং তার সাথে আমার পরিবার অনেক ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে,সেই সুবাধে আমি তার বাড়িও গেছি বেরাতে তবে সে এখনো আমাদের বাড়ি আসে নাই, আসবে ইনশাআল্লাহ আগামিতে কোন একদিন। আমি সেই কাজ ছেড়ে দিছি ২ বছর হয়ে গেছে তবুও তার সাথে সম্পর্ক আছে এবং কি আগের মতোই।
#গ্রুপে_যুক্ত_হওয়ার_পর
চলছি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রিয় প্লাটফর্ম Young Entrepreneurs "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হই ১৩ তম ব্যাচে। যুক্ত হওয়ার কিছুদিন পরেই সৌভাগ্য হয় স্যারের সাথে দেখা করার। স্যারের ভিডিও, সেশন এবং সরাসরি স্যারের কথা শুনে অনেক বেশি সাহস পাই এবং অনুপ্রাণিত হই।
প্রিয় একটা বানী-----
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফলতা আসবেই
ইনশাআল্লাহ
স্বপ্ন আগেই ছিলো কিন্তু কোন কিছু শুরু করার সাহস ছিলো না। স্যারের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা এবং সাহস পেয়ে শুরু করে দিলাম। কিছু প্রোডাক্ট কিনে আনলাম, কিনার আগে আমার মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন এবং সেই রোকসানার সাথে মুটামুটি সবাই সহমত পোষন করলো।
রোকসানাঃ- কল দিয়ে বল্লো আমার বিক্রয়ের প্রথম কাস্টমার সে হতে চায়।
আমিঃ- আচ্ছা তাহলে তো অনেক ভালো। কিভাবে কি নিবেন?
রোকসানাঃ- আপনি কিছু থ্রি-পিছের ছবি আমাকে ইমুতে পাঠান আমি সেখান থেকে পছন্দ করে দিবো।
আমিঃ- পাঠিয়ে কল দিলাম দেখেন কোনটা পছন্দ হয়?
রোকসানাঃ- সেখান থেকে একটা কাতান ড্রেস পছন্দ হইছে বল্লো।
আমিঃ- আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু কিভাবে নিবেন?
রোকসানাঃ- আপনি এসে দিয়ে যাবেন।
আমিঃ- প্রাইজ জিজ্ঞেস করলেন না?
রোকসানাঃ- সবার কাছে যা বিক্রি করবেন আমিও তাই দিবো। এজন্য জিজ্ঞেস করি নাই।
আমিঃ- আচ্ছা তাহলে কালকে নিয়ে আসতেছি।
রোকসানাঃ- ঠিক আছে, তবে টাকা এখন দিতে পারবো না বেতন পাই নাই।
আমিঃ- আচ্ছা সমস্যা নাই আমি থ্রি-পিছ দিয়ে যাই পরে আপনি বিকাশে টাকা দিয়ে দিয়েন। আমি আবার বাড়ি চলে যাবো ২ দিন পরে।
রোকসানাঃ- ঠিক আছে তাহলে কালকে আসেন।
নিজে গিয়ে তাকে দিয়ে আসলাম থ্রি-পিছ। অনেক পছন্দ করেছে। এভাবেই চলছে স্যারের বানী অনুযায়ী সাহস নিয়ে শুরু করা আমার ছোট খাটো একটা ব্যবসা। আশা রাখি আগামিতে এই ব্যবসা অনেক বড়ো হবে ইনশাআল্লাহ। শুধুমাত্র ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকতে পারলেই সম্ভব সফলতার মুখ দেখা। আজ আর নয় এখানেই শেষ করলাম।
সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাদের মুল্যবান সময় থেকে কিছু সময় দিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য। লেখার মাঝে কোথাও কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
#ইন্ডিয়ান_বুটিক্স_থ্রি_পিছ।
ওরনা - ২.৫ গজ সুতি ওড়না (৫হাত)
কামিজ -৩ গজ।
সেলোয়ার -২.২৫ গজ।
খুচরা মুল্য-৮০০ টাকা।
**📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৭**
Date:- ০৭/০৯/২০২১
জান্নাতুল ফেরদৌসী
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
টপ ২০ ক্লাবের সদস্য
ব্যাচঃ১৩
রেজিনং-৫৪৭১১
সখিপুর,শরীয়তপুর।
ওনার ওফ:- স্বপ্নের লক্ষ্যে-Dream's Target.