ব্লক, বাটিক ও দেশী কাপড়ের যত্ন নেবার কিছু প্রয়োজনীয় কিছু কথা
🍀🍀🍀গল্পে__গল্পে__সেল__পোস্ট 🍀🍀🍀
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতু।
শুরুতেই মহান আল্লাহ্ তায়ালার নিকট শুকরিয়া। আল্লাহর অশেষ রহমতে আশা করি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং সকলের দোয়ায় ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ পাক আমাদের অসুস্থ পৃথিবীতে রহমত দান করুন। সবার জন্য দোয়া রইল। সবাই সচেতন ভাবে চলাফেরা করবেন।
কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি যিনি অনেক পরিশ্রম দিয়ে পরম যত্নে তৈরি করেছেন বিশাল এই অনলাইন প্লাটফর্ম। যার কারনে আমরা নারীরা ঘরে বসে বিশাল প্লাটফর্মে বিজনেস করার সুযোগ পাচ্ছি। মঙ্গলবার হাটবারে সকল পণ্য সেল করার পাচ্ছি বিশাল সুযোগ। আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া রইলো প্রিয় স্যারকে নেক হায়াত ও সুস্থতা দান করুন, আমিন।
আজ আমাদের প্লাটফর্মের ৬৩ তম হাটবার চলছে। প্লাটফর্ম যুক্ত হবার পর থেকে হাটবার দিনটি খুব আর্কষণীয় ও ফলপ্রসূয় হয় সকল ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের জন্য।।
🙋♀️আমি নাসরিন আক্তার প্রিয়া।লক্ষিপুর জেলার মেয়ে। ১১ তম ব্যাচের একজন গর্বিত সদস্য। আমি অনলাইনে ব্যবসা শুরু করি প্রায় 9 মাস হল.প্রথমে ভেবেছিলাম এত এত ব্যবসায়ীর ভিতরে কি টিকে থাকতে পারব?তার উপর আমার পুঁজি ছিল মাত্র 3 হাজার টাকা.তাই প্রডাক্ট ও কম ছিল.কিন্তু আমি নিজের কাছে কমিটমেন্ট ছিলাম অল্প প্রডাক্ট হলেও কাস্টমারকে সেরা কোয়ালিটির পণ্য দিব.আলহামদুলিল্লাহ ধীরে ধীরে গ্রুপে সময় দিতে লাগলাম.সবার সাথে পরিচয় হতে লাগলাম.গ্রুপে সেল পোস্ট দিতে লাগলাম.একরকম বললেই চলে ব্যবসার পরিধি কাস্টমারের চাহিদার কারণে বাড়াতে হয়েছে "।চাকরির পাশাপাশি আজকাল নারীরা নানা ধরনের ব্যাবসায়ের কাজে লিপ্ত হচ্ছেন।বেকার নারীরা ও থেমে নেই আজ।বিভিন্ন পন্যের ব্যবসা করছেন আজ তারা।সংসারের টুকিটাকি খরচ মেটানো থেকে শুরু করে সন্তানের খরচ,পরিবারের জন্য অবদান রাখা,নারী নিজেকে সাবলম্বী করা সব-ই আজ করতে পারছেন ব্যবসা,চাকরি করাত মাধ্যমে। পাশাপাশি সংসারের কাজ,সন্তান লালন-পালন করা,পরিবারের দেখাশোনা করা- কোনটাই থেকে নেই।তরে যারা শুধু সংসার দেখাশোনায় করেন অর্থ উপার্জনের জন্য কোনো বাড়তি কাজ বা চাকরি বা ব্যবসা করেন না তাদেরকে খুটিনাটি জিনিসের জন্য স্বামীর কাছে বাহানা করতে হয়।তাই শুধু সংসারের কাজ নয় বাড়তি ইনকামের জন্য ও নারীরা কিছু ব্যাবসা শুরু করতে পারি সেই সাথে প্রিয় স্যারের কথা অনুযায়ী নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করতে পারি। এতে করে আমরা নারীরা অর্থকষ্টে ভুগবো না।নিজেরও একটা পরিচয় তৈরি করতে পারবো আবার পরিবারকে ও সহায়তা করতে পারবো। নিজেকে স্বাবলম্বী করার অন্যতম মাধ্যম আমাদের প্রিয় ফাউন্ডেশন" নিজের বলার মতো একটা গল্প "।যেখানে নিরাপদে নারীরা তাদের ব্যবসা করতে পারছেন সেই সাথে নিজের পরিচয় ও তৈরি করতে পারছেন।
🌺🌺#বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে কিন্তু ভিজে কেউ কেউঃআমি প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর প্রথম দুমাস গ্রুপে একটিভ ছিলাম না তবে গ্রুপে প্রিয় স্যারের সেশন গুলো ফলো করতাম।প্রতিটি সেশন এর মাধ্যমে স্যার আমাদের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন। হতাশাগ্রস্ত মানুষ থেকে শুরু করে সফল মানুষের মধ্যে স্যারের সেশন এর প্রতিটি কথা আমাদের নতুনকে ভাবার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।ঠিক তেমনি আমি ছোটবেলা থেকেই ভেবেছিলাম পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করব। সকল মানুষের ভেতরে পরিবার লুকায়িত থাকে। শুধুমাত্র তাকে প্রকাশ করার প্রয়োজন হয়।স্যারের সেরা ১০টি শ্লোগানের মধ্যে--- বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে কিন্তু ভেজে কেউ কেউ। এই শ্লোগানটি সত্যিই বলতে আমি প্রথমে বুঝি নি।বৃষ্টি পড়লে বাহিরে যারা থাকে তারা তো ভিজবে কিন্তু এখানে স্যার কথাটি বলেছেন- ভিজে কেউ কেউ এটা আবার কেমন কথা?যখন #ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর সেশন ক্লাসে যুক্ত হয়ে ছিলাম তখন প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা খুব সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন। তখন স্যারের এই শ্লোগানটি আমার অন্তরে ধারণ করি আর ভাবতে থাকি আমাকে সময় নষ্ট করলে চলবে না। আমাকে শুরু করতে হবে। স্যারের সেশন গুলো দিন দিন আমাকে ঘুমাতে দিত না শুধু চিন্তা করতাম আর স্বপ্ন দেখতাম আমাকে অনেক দূর পাড়ি দিতে হবে।আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য গাইডলাইন হিসেবে আমাদের প্রিয় স্যার-তো আছেন।
🍀🍀জীবনে অন্তত ৫টা বছর 9 টা- 5 টা ভুলে যেতে হবেঃবলেছিলাম যে ছোটবেলায় পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল। আমি খুব সুন্দর নকশা ডিজাইন করতে পারতাম। এই শিখার ও একটা গল্প আছে।ঈদ আসলেই সবাই হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য ছুটে যেত যে সব থেকে ভালো মেহেদি ডিজাইন করতে পার। আমি তখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি।
পাশের বাসার আপুর কাছে গিয়েছিলাম হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য। কিন্তু আপু আমাকে ২ ঘন্টা বসিয়ে রেখে পরে বলেছিল পারবে না।সেইদিন আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল।৩ বছর আগে আমার খুব প্রিয় বান্ধুবী অনেক সুন্দর নকশিকাঁথা ডিজাইন করতে পারে।অনেকেই তার থেকে এঁকে নিত।একদিন আমি কাপড় কিনে এনে ওকে বলেছিলাম আমার কাঁথাটা একটি ডিজাইন করে দিবে।সেই আমাকে সরাসরি বলেছিল পারবে না।সেই দিনেই আমার ভিতরে জিদ চেপে বসলো। আজকে তারা পারলে আমি কেন পারব না?হয়তো প্রথমে খারাপ হিবে। হোক তাও আমি চেস্টা করব।যেই চেস্টা সেই কাজ।আলহামদুলিল্লাহ। নিজেই ৩ টা নকশিকাঁথা এঁকে ফেললাম।প্রে আশেপাশের অনেক আন্টি আমাকে তাদের কাঁথা ডিজাইন করে দিতে বলেছিল যদি ও টাকা দিবে। কিন্তু আমি কাউকে ফিরিয়ে দেয় নাই,টাকাও নেয় নাই।আমার কষ্ট হওয়া সত্বেও করে দিয়েছিলাম।কারন কেউ জানে না বলেই আমার কাছে এসেছিলো। আমিও একসময় জানতাম না কিন্তু চেস্টা করলে সব-ই সম্ভব।
👉👉বিয়ের পর কাঁথার ডিজাইনেত কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।আমি যেহেতু,⭕কাজ করছিঃমহিলাদের খিমার,থ্রি-পিস,ছেলেদের পাঞ্জাবি,এসিটি পন্য,লক্ষিপুরের নারকেল ও সুপারি নিয়ে।সেহেতু থ্রি-পিস ঢাকা থেকে নিয়ে আসতাম।কিন্তু লকডাউনের কারনে ঢাকায় যাওয়া হয় নি যার কারনে থ্রি-পিস নিয়ে ব্যবসা করতে খুব সমস্যা হচ্ছিলো।
তখন একদিন #লক্ষিপুর জেলার সেশন ক্লাসে আমার প্রিয় বড় ভাই Cm Hasan ভাই আমাকে বললেন,আপু আপনি তো অনেক সুন্দর হাতের কাজ পারেন।তাহলে আপনি নিজেই কেন ব্লক,হ্যান্ড প্রিন্ট ও বাটিক কাপড়ের কাজ শিখছেন না?বর্তমানে ব্লক,হ্যান্ড প্রিন্ট ও বাটিক কাপড় বেশ জনপ্রিয়।কাপড়ে ব্লক প্রিন্ট করে আয় করা সম্ভব।তাছাড়া নিজের উৎপাদিত পন্যের গুনাগুন,মানে ও আপনি ভালো দিতে পারবেন।
নিজের পড়াশোনা, সংসার সামলিয়ে বাহিরে গিয়্র কাজ শিখা যদিও আমার জন্য খুব কষ্টকর ছিলো। কিন্তু স্যার বলেছেন-জীবনে অন্তত ৫টা বছর ৯টা-৫টা ভুলে যেতে।আমিও কাজ শিখা শুরু করলাম।এখন নিজেই পন্য উৎপাদন করছি।সেই সাথে কাপড়ের মান ও কোয়ালিটি
ও গ্যারান্টি দিতে পারছি যা অন্য জায়গা থেকে আনলে হয়তো দিতে পারতাম না।নিজের হাতে ভালোবেসে কাজ করার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ পাওয়া যায়।আমার কাজ দেখে অনেকেই পন্য নিয়ে রিপিট কাস্টমার ও হয়েছেন সাথে আমার কাজের জন্য প্রশংসা পাচ্ছি।এইটা একজন উদ্যাগত্তার সফলতা আমি মনে করি।আসলে ইচ্ছ্র থাকলে সব কিছুই সম্ভব।আপনি হেরে গেলেও উঠে আবার হ্যাঁ আমি পারব বলতে পারাটাই প্রিয় ফাউন্ডেশনের শিক্ষা।আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় স্যারের প্রতি,Cm Hasan ভাইয়ের প্রতি,আমার স্বামী Forhad Chowdhury প্রতি যে কিনা পাশে না থাকল্র আমি কখনোই শুরু করতে পারতাম না।সেই সাথে ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য প্রিয় ভাই-বোনদের প্রতি যারা সব সময় উৎসাহ দিয়ে পাশে ছিলেন।
🙋♀️সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন নিজের পন্যের বিস্তার সফলতার সাথে করতে পারি।সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমার পেইজ" জাহানারা সুলতান ট্রেডার্স "থেকে ঘুরে আসার জন্য সেই সাথে ভালোবেসে লাইক দেওয়ার জন্য।
⭕ওহ হ্যাঁ অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন,আমার পেইজ কার নাম অনুসারে রাখা হয়েছে।তাদের উদ্দেশ্যে বলছি--এটি আমার শাশুড়ীর নাম অনুসারে রেখেছি।কারন মা -তো মা এ হয় অনেকেই বলে শাশুড়ী কখনো মা হতে পারে না।সবাই এক না সেইটা ঠিক।তবে আমরা ও কখনো শাশুড়ীদের মেয়ে হয়ে উঠার চেস্টা করি না। আমার মা ও শাশুড়ী দুজনেই আমার কাছে এক।দুজন প্রিয় মায়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ রাখেন সেই সাথে আমার আব্বু ও আমার শশুড়ীরের জন্য ও দোয়া করবেন যে আল্লাহ তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
⭕ব্লকের থ্রি-পিসঃখুচরা মুল্য ১০০০টাকা মাত্র
ডেলিভারি চার্জ প্রযোজ্য।
👉👉ব্লক, বাটিক ও দেশী কাপড়ের যত্ন নেবার কিছু প্রয়োজনীয় কিছু কথা :
* প্রথমবার ধোয়ার আগে একটি বালতিতে লবণ পানি গুলিয়ে, এতে কাপড় ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে উঠাবেন।
* কখনোই কাপড় অতিরিক্ত চিপে পানি ঝরাবেন না। এটা যেকোন কাপড়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
* স্ত্রীন প্রিন্ট, ব্লকের ড্রেস বা শাড়ির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য, তবে ব্লকের কাপড় ধোয়ার আগে কড়া রোদে উল্টা করে শুকিয়ে নেবেন।
প্রথমবার ধোয়ার আগে শুকিয়ে উল্টো পিঠে ভালভাবে আয়রণ করে নিলে আরো ভালো হয়। ব্যবহার এর পূর্বে যতবার উল্টো পিঠে আয়রন সম্ভব করুন, এতে রং পাকা হবে।
* রোদে শুকাতে দেয়ার আগে অবশ্যই কাপড় উল্টে শুকাতে দিবেন। তা সে সুতি কাপড়ই হোক, সিল্কের শাড়ি, শার্ট/প্যান্ট/বা টিশার্ট। এতে কাপড় নতুনের মত থাকে এবং কাপড়ের design fade হয় না। রোদে ঝলসে রঙ হালকা হয়ে গেলে নতুন জামাও পুরানো দেখায়।
*যে কোন কাপড়, তা যে ম্যাটেরিয়ালেরই হোক, ঘন্টাখানেক পানিতে চুবিয়ে রাখবেন না, বা হার্শ detergent ব্যবহার করবেন না।
* একটু যত্নে ব্যবহার করলেই দেশী কাপড় দীর্ঘদিন পরতে পারবেন, নতুনের মতোই থাকবে।
**📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৭**
Date:- ০৭/০৯/২০২১
👩🎓 নাসরিন আক্তার প্রিয়া
🇧🇩 জেলা লক্ষিপুর
🏚️ বর্তমানঃ চাঁদপুর
🎈রক্তের গ্রুপঃ ও পজেটিভ
🏆কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
🏅টপ টুয়েন্টি ক্লাবের সদস্য
💁♀️ হাট মনিটরিং টিম মেম্বার
🙋♀️সদস্যঃরেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার
👩✈️১১তম ব্যাচ
✍️রেজিস্ট্রেশন ৩২৯২৫
🛍️পেজ জাহানারা সুলতান ট্রেডার্স