একটা গ্রামে জন্ম হয়।গ্রামেই বড় হওয়া,বেড়ে ওঠা।
#গল্পে_গল্পে_সেল_পোস্ট
"আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ"
কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া আদায় করছি সেই মহান রবের নিকট যিনি আমাকে /আপনাকে আরেকটি সকাল দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।আলহামদুলিল্লাহ
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করছি সবার প্রিয় মেন্টর,প্রিয় শিক্ষক, হাজারো তরুণ তরুণীর স্বপ্নের নির্মাতা Iqbal Bahar Zahid স্যার। যার অনুপ্রেরণা এবং শিক্ষা নিয়ে হাজারো স্বপ্নবাজ তরুণ তরুণী তাদের স্বপ্ন পূরণ এর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ভালোবাসার প্লাটফর্ম এর সকল আজীবন সদস্যদের প্রতি রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
প্রতি সপ্তাহের মত আজও হাট বারের সকল নিয়ম মেনে চলে আসলাম আমার পণ্য নিয়ে।আশা করছি সবাই পাশে থেকে সাপোর্ট করবেন।
#কিভাবে_বেবি_কাঁথা_নিয়ে_উদ্যোক্তা_জীবন_শুরুঃ
✍️আমি তাহামিনা আক্তার। ছোট্ট একটা গ্রামে জন্ম হয়।গ্রামেই বড় হওয়া,বেড়ে ওঠা।তাই গ্রামের নারীদের অনেক কাজ চোখের সামনে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে।বর্ষা শুরেই দেখতাম গ্রামের নারীরা নকশি কাঁথা নিয়ে বসে পড়ে। কারন পুরা বর্ষার সময় কেউ বাহিরে যেতে পারে না।তখন নারীরা ঘরের কাজ শেষ করে নকশি কাঁথা নিয়ে বসে যেতো।নিজেদের মনের সব কথা, কল্পনা,স্বপ্ন কাঁথার ফোঁড়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলত।
✍️নকশি কাঁথা হচ্ছে সাধারণ কাঁথার উপর বাহারি নকশি করে সুন্দর রুপ দেওয়া। এইটা আমাদের বাংলাদেশের কারুশিল্প। আমাদের ঐতিয্য।কিন্তু দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে।গ্রামে থাকার সুবাদে চোখের দেখায় অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।তবে অলসতা এবং পড়াশোনার জন্য কখন একটা কাঁথাও করি নাই।মা চাচিরা করতে দেখতাম।
গ্রামের বাড়িতে যখন শুনত নতুন অতিথী পৃথিবীতে আসবে তখন সবাই মিলে বসে যেতো বেবি কাঁথা তৈরি করার জন্য।একজন একরকম ভাবে ফুল তুলে নানা রকম বাহারি নকশা আঁকত।প্রতিটি ফোঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক স্বপ্ন, অনেক মনের কথা।নারীরা যেটা মুখে বুজিয়ে বলতে পারে না কিন্তু কাঁথার ফোঁড়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারে।
✍️বাচ্চাদের জন্য সুতি কাপড়ের তৈরি এই কাঁথা অপরিহার্য।নরম কাপড়ের এই কাঁথা মুড়িয়ে ঘুম পাড়ালে তাদের ভালো ঘুম হয়।পরিষ্কার করতে জামেলা থাকেনা।পাতলা ও সুতি কাপড় হওয়াতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
✍️আমার মা এর থেকে আমার কিছু কাজ শিখা। ওখান থেকেই হাতে খড়ি।কথায় আছে মেয়েরা মা এর অনেক গুন পায় কিন্তু সব গুন না পেলেও কিছু গুন পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
✍️সব সময় স্বপ্ন দেখতাম আমি একটা সরকারি চাকরি করব। আমি একজন শিক্ষক হব।আমি কখনও ভাবিনি একজন উদ্যোক্তা হব।ছোট বেলা থেকেই অনেক আঁকার আঁকি করতাম।ভালোবাসার একটা জিনিস ছিল। কাঁথা না আঁকলেও খাতায় এঁকে মনের ভাব প্রকাশ করতাম।আঁকা আঁকি ছিল আমার শখ।
✍️যখন করোনা মহামারি আসল। পৃথিবী স্তব্ধ। কেউ কোথাও যেতে পারছে না।ঘরে বসতে বসতে নিজের মধ্যেও বিরক্ত চলে আসছে তখন বুজলাম আমার কিছু করা দরকার।এ ভবে দিন চলে না।কিন্তু কি করব। কি ভবে করব।নানা প্রশ্ন নিজেকে করতে থাকলাম।কোনো পথা না পেয়ে ভাবলাম নিজের প্রিয় কাজটি দিয়ে শুরু করি।যেহেতু আঁকতে ভালোবাসি। সেহেতু ঐকাজ টা করলে বিরক্ত আসবে না।তবে স্বপ্নই দেখেছি।একটা পেইজ খুজেলছি।কিন্তু শুরু করিনি।
✍️হঠাৎ যখন #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প গ্রুপের দেখা পেলাম।নিয়মিত স্যার এর সেশন গুলো পড়তে লাগলাম।সেশন চর্চা করতে লাগলাম নিয়মিত।স্যার এর এই বাণীটি আমাকে খুব ভাবাচ্ছিলঃ
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফল হবেনই ইনশাআল্লাহ।
তখন থেকে আমার শুরু করা।স্বপ্ন টাকে ললন করা থেকে বাস্তবায়ন করার সহস করে শুরু করে দিলাম।লেগে আছি।আশা করি সফল হব ইনশাআল্লাহ।
✍️স্যার সব সময় বলেন যে,নিজের ভালোবাসার কাজটি দিয়ে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করুন।,কাজ করতে করতে কখনও বিরক্ত বা ক্লান্তি আসবে না।আমিও সেই শিক্ষা নিয়ে নিজের পছন্দের কাজটি শুরু করে দিলাম।সবার ভালোবাসা এবং সাপোর্ট পেলে অন্যান্য জিনিস নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে।
✍️আমার মা আমার সব থেকে বড় সহযোগী।মা না সাহস দিলে আমি কোন দিন শুরু করতাম না।মা আমার সকল ভালো কাজের অনুপ্রেরণা। এমন বাবা মা পাশে থাকলে আমার /আপনার সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবে না।এই গ্রুপের আপু ভাইয়ারা অনেক অনেক সাহায্য করেন।তাদের জন্য আমি অনেক সাহস নিয়ে কাজ করতে পারছি।এ ভাবেই আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু।
#জীবনের_সবচেয়ে__বড়_বিনিয়োগ_হচ্ছে_সততা_ও_কমিটমেন্ট
✍️স্যার এর এই বানী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।বিশ্বাস করি কেউ সততার সাথে কাজ করলে কখনও অসফল হবে না। আমি একজন শিক্ষিতা মেয়ে আমি এই কাজ না করলেও পারতাম। আরও কত বিজনেস আছে।সবাই এই কাজকে ছোট করে দেখলেও আমি কখনও কোনো কাজ কে ছোট করে দেখি না।কারুশিল্প আমাদের দেশের ঐতিয্য দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিত আমাদের এই কারুশিল্পের প্রতি সচেতন হওয়া।
#চাকরি_করব_না_চাকরি_দিব
✍️আপাদত নিজের কাজ নিজে করি। শুরুটা কষ্টের হলেও শেষ টা ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। আমি স্বপ্ন দেখি আমার এই শিল্প নিয়ে অনেক বড় একটা প্রতিষ্ঠান হবে।অনেক অবহেলিত নারী আছে। যারা সুযোগের জন্য নিজের হস্ত শিল্প কে বিলিন করে দিচ্ছে।তাদেরকে নিয়ে কাজ করব আমি।অনেক নারী আছে অনেক ভালো শিল্পী কিন্তু তাদের শিল্পটাকে সঠিক কাজে লাগাতে পারছে না।তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রবল আগ্রহ নিয়েই আমি এই পথে পা পেলেছি।আমি একা ভালো থাকব সেই ইচ্ছা নিয়ে নয়।আমাকে দেখে অন্যরা এগিয়ে আসবে। আমাদের ঐতিয্য কে ধরে রাখতে আমাদের সবার এগিয়ে আসা খুব দরকার। আমি সেই প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।আশা করি সবাইকে পাশে পাব।
✍️পণ্য বা সেবা যেটাই আমরা বিক্রি করি না কেনো প্রতিটি জিনিসের পিঁছনে সফলতার এক গুপ্ত সুভাস লুকিয়ে থাকে সেই সুভাসের আসায় প্রতি দিন বিক্রেতারা সেল পোস্ট দিয়ে থাকে। তারই ধারা বাহিকতায় ক্রেতারাও অপেক্ষায় থেকে কখন একটা পছন্দের পণ্যের দেখা পাবে।
আর সেই পণ্য নিয়ে ভাবতে ভাবতে যখন একটা সময় সে তার পছন্দের পণ্যটি দেখতে পাই অনলাইনে তার পর শুরু হয় জাস্টিফিকেশান ও ভেরিফিকেশান করা।দুইটি স্টেপই যখন কপ্লিট হয়ে যায় তখন সে নিঃসন্দেহে অর্ডার করতে পারে।আর অর্ডার করার যে মাধ্যমটা যেমনঃ ই-কমার্স বা এপ কমার্স।তার যে ধারাবাহিক মধ্যম টা তা অবশ্যই বিশ্বাস যোগ্য হওয়া দরকার। আর সেই বিশ্বাস যোগ্য মাধ্যমের জন্য একটা মাধ্যম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন দিয়েছেন আমাদের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। যার অনুপ্রেরণায় সব সময় আমরা ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
(বিঃদ্রঃ পন্যের ডিজাই ও সাইজের উপর দাম নির্ধারণ করা হয়)
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৭
Date:- ০৭/০৯/২০২১
👩🎓আমি তাহামিনা আক্তার
🏅কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
🎗️ব্যাচঃ১৪
া✍️রেজিষ্ট্রেশনঃ৬৬৩৯৩
🇧🇩জেলাঃ লক্ষ্মীপুর
🏡বর্তমান অবস্থানঃ নোয়াখালী
🎨কাজ করছিঃ বেবি কাঁথা নিয়ে
🎀পেইজঃhttps://www.facebook.com/অনলাইন-বেবি-কাঁথা-হাউজ-110173391120586/াাাা