আমার স্বপ্ন
আসলেই স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, যার জীবনে কোনো স্বপ্ন নেই, তার জীবনের কোনো মুল্য নেই। আমি স্বপ্নবাজ একটি ছেলে, আমার স্বপ্ন গুলো আকাশ ও ছোঁয়া।তবেঁ আমার সব চেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া করে ভালো একটি চাকরি করা,কিন্তু সেই স্বপ্ন অনুসারে লেখাপড়া করা হলনা, আমি হেরে গেলাম নিজেই নিজের কাছে। সে স্বপ্ন বাদ দিয়ে শুরু হল উদ্যেক্তা হওয়ার স্বপ্ন, বিজনেস ম্যান হওয়ার স্বপ্ন। আমি কখনো ছোট স্বপ্ন দেখতাম না, দেখিনা,ছোট কাল থেকেই তাই প্রবাসে আসা, জন্ম হওক যথাতথা কর্ম হওক ভালো। আমি সবসময় ভাবতাম যে আমাকে অনেক বড় হতে হবে, আমি পরিবারের বড় ছেলে মায়ের হাসির ও মায়ের সুখের জন্যই প্রবাসে পারি দেওয়া আমার।
পরিবারের জন্য কিছু করতে হবে, সমাজের মানুষের উপকারে আসব, এবং আমি দেশপ্রেমিক একটি ছেলে অনেক ভালবাসি আমি আমার দেশকে।যদিও প্রবাসে কিন্তু এই অন্তর থেকে দেশের জন্য একটা টান যা বলে বুজাতে পারবো না।প্রবাসে যখন অবশর সময়ে থাকতাম রাতে ডিউটি শেরে বাসায় হেডফোন দিয়ে নিরবে নিরবে আমি দেশাত্মবোধক গান গুলো শুনতাম। আবার প্রায় দিন মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি শুনতাম, গান শুনলে কান্না পায়, তখন বলি সে সময় যদি আমি থাকতাম তাহলে অবশ্যই যুদ্ধে যেতাম আমি আমার দেশের জন্য জীবনটা দিতে পারলে ও সার্থক হত।
কিন্তু স্যার যখন বলেন অন্যের জন্য কর্মস্থান তৈরি করাটা হল সবচেয়ে বড় দেশ প্রেম, তখন আমার অনেক ভালো লাগে, ভিতরে ইচ্ছে, জিদ থাকে, যদিও বর্তমানে চারজন কে কর্ম সংস্থান করে দিয়েছি।যে ইনশাআল্লাহ আমি সফল উদ্যেক্তা হবই এবং অন্যের জন্য কর্মস্থান না করা পর্যন্ত থেমে যাব না ইনশাআল্লাহ।
আমার অন্তরের গহিনে প্রতিনিয়ত বুকভরা অনেক সাহস আর ইচ্ছে পুষতাম , যদিও কিন্তু আমার স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে কিভাবে রুপান্তরিত করব, সেই গাইডলাইন সেই সাহস পেতাম না। এখন ৯০দিনের সেশনের পর কিছুটা পাচ্ছি।
গুনি জনরা বলে দুনিয়া গোলাকৃত ও ছোট চাইলে সব পাওয়া যাই। শুধু সময় ও স্থানের অপেক্ষায়। ভালো কাজ কিভাবে করবো বা কোথায় থেকে গাইডলাইন পাব তার জন্যে। আমি যখন প্রবাসে হতাশায় ছিলাম তখন থেকে মোবাইল ব্যাবহার করি, তখন থেকেই মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতাম অনেক ভালো লাগতো, হঠাৎ একদিন স্বপ্নের মত স্যারের একটি ভিডিও আমার চোখের সামনে আসল। তখন থেকে স্যারের ভিডিও অনেক ভালো লাগতো, সেই ভিডিও অনেক গুলো ডাউনলোড করাছিল, বার বার দেখতাম,তারপর আর একদিন স্যারের আর একটি ভিডিও আসে, সেখান থেকে গ্রুপে জয়েন্ট করা।প্রিয় লিবিয়া প্রবাসি @Attik Hasan ভাইয়ের মাধ্যোমে রেজিঃ করি,প্রিয় ভাই অনেক সহযোগীতা করেছেন আমার জন্য প্রিয় ভাইয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে শুরু হল প্রিয় স্যারের প্রতি ভালো লাগা ভালোবাসা, প্রিয় ভাইয়া আপুদের প্রতি ভালবাসা, এত প্লাটফর্মের ভাইয়া আপুরা এতটাই ভালো, এতটাই আন্তরিক, তাদের সাথে কথা বলে মুগ্ধ হতাম, আমাদের প্রিয় স্যার সর্বদা এক কথা বলেন, যে আমাদেরকে সবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে, আমরা সবাই বুক ফুলিয়ে বলব আমরা সবাই ভালো মানুষ, ঠিক তাই প্রিয় গ্রুপের সবাই আমরা ভালো মানুষ, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা একে অপরের সহযোগী, আমরা কেউ কার ও ক্ষতি চাই না।
আমার অনেক বড় বড় স্বপ্ন ছিলো, আছে, সেই স্বপ্ন অনুসারে গাইডলাইন আর সাহস পেতামনা, অনেক হতাশা, আর অনেক ডিপ্রেশন কাজ করত আমার প্রবাস জীবনের মধ্যে, হেরে যাওয়ার ভয় থাকত, আমি কথা বলতাম অনেক বেশি, কিন্তু গুচিয়ে কথা বলতে পারতামনা,আমি সিলেট বিভাগের একজনঃ সন্তান গ্রামের গ্রামে ,আমি আমার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতাম, সেটা কোনো ভাবেই পরিবর্তন করতে পারছিলাম না।যখন প্রবাসে অন্য কারুর সাথে কথা বলতাম তখনি আমার সিলেটী আঞ্চলিক ভাষা গুলো এসে পরতো।যেইকোনো বাংলাদেশের ভাইবোনদের সাথেই কথা বললেই আমার পরিচয় টা দেওয়ার আর বাকি থাকেনা সবাই বুজতে পারে যে আমি সিলেট এর।আমার অনেক রাগছিল সেটা কন্ট্রোল করতে পারতামনা। তবে একদিন পারবো আমি শুদ্ধ কথা বলবোই এটা আমার প্রতিজ্ঞা।
আমি গ্রুপে যুক্ত হবার পর আমার পরিবর্তন
সর্বপ্রথম আমি বলতে পারি যে আমি একজন ভালো মানুষ, কারণ প্রতিনিয়ত স্যার আমাদের কে শিখাচ্ছেন ভালো মানুষিকতার চর্চা, আমার স্বপ্ন অনুযায়ী হাঁটার সাহস পাচ্ছি, কাজ শুরু করার ভয়, হতাশা, ডিপ্রেশন এগুলো আমার জীবন থেকে মুচে গেছে, আলহামদুলিল্লাহ। হতাশ কী সে জিনিসটাই আমি ভুলে গেছি, বার্থ্য হলে মনে করি আমি তো এখন ও শুরুই করিনি, কোন যায়গায় ভুল আছে সেটা বের করে পুরন রায় আবার শুরু করি
,কারণ উদ্যােক্তা হতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। গ্রুপে এসে আমি মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে দেশি মুরগের খামার শুরু করেছি।এবং একটি বড় পাইকারি ও খুচরো বিক্রি করার জন্য ফ্যামিলি ষ্টোর নামে মুদির দোকা দিয়েছি ইনশাআল্লাহ এখন মাসে ৭লাক এর অধিক সেল হচ্ছে আমার দোকানে। তা ও আবার অফলাইনে আলহামদুলিল্লাহ্। এর সবটুকু কেডিট শ্রদ্ধেয়ের স্যার জন্য। AMAR SWAPONO Online shopping পোশাক নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমার আঞ্চলিক ভাষা সবার পছন্দ ছিলনা, আমি গ্রুপে এসে আঞ্চলিক ভাষা কে অনেকটা পরিবর্তন করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ আর ও পারব, সবার জন্য শুভকামনা ধন্যবাদ।
আর এখন আমি ফাউন্ডেশন একটিভিট থাকার কারনে অনেক অনেক গুনি ভাইবোনদের সাথে পরিচিত হতে পারছি তা আমি কল্পনা ও করিনি কখনো এইভাবে পরিবর্তন হচ্ছি আমি একদিন পূরণ হবে আমার স্বপ্ন। গল্প লিখবো নিজের এবং একদিন মাক্রোফোন হাতে নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করবো। পরিবর্তন হবো এবং পরিবর্তন হবে সেই সোনার বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালোবাসি।
__________________________________________________
বিঃদ্রঃ- আমার কথায় বা লিখায় যদি কারোর বিন্দু মাত্র কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি ক্ষমা পার্থি
ভুল হলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষিতে দেখবেন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬২১
Date:- ১৫/০৯/২০২১
মোঃ মোতালেব,
কমিনিউটি ভলেন্টিয়ার,
হাট মনিটরিং টিম মেম্বার।
১০ম ব্যাচঃ
রেজিঃ ১৫৩৪৯.
নিজ জিলাঃ মৌলভীবাজার
উপজিলাঃ কমলগঞ্জ,
বিভাগ সিলেট।
বর্তমান অবস্থান মালদ্বীপ, কেপিটাল সিটি মালে।
একজনঃ রেমিটেন্স যোদ্ধা।
______________________প্রতিষ্ঠতাঃ ফ্যামিলি ষ্টোর
AMAR SWAPONO" Online shopping
ভালোবেশে আমার পেইজটি ঘুড়ে আসতে পারেন https://www.facebook.com/amarswapno00