সবার নিকট সবার মা একজন পৃথিবীর সেরা মানুষ,ও সেরা মা। এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার,কিন্তু আমার নিকট আমার মা তার থেকেও আরে বেশি কিছু,যার কোন উপমা হয়তো আমার জানা নেই
🥀🥀বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম🥀🥀
**************************************
[ একজন মা.......ও আমার ছোট বেলা ]
***************************************
🌼আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহ🌼
সর্বপ্রথম ঐ মহান আল্লাহ তা'আলার প্রশংসায় সেজদায় অবনত হচ্ছি🕋, যিনি আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে সুস্থ, সুন্দর রেখেছেন। তার জন্য মহান আল্লাহতালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি ,আলহামদুলিল্লাহ।
দুরুদ ও সালম পেশ করছি মানবতার মুক্তির দূত, দু জাহানের সরদার,সায়্যিদুস্সাক্বালাইন, খাতামুন্নাবিয়্যন হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মুবারকে,।
💐💐কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সেই মানুষটার প্রতি, যিনি সুখ খুঁজে না আপন নীড়ে, প্রাণের টানে এই আঙিনায় বারে বারে আসে ফিরে, যার চিন্তা ভাবনা এই স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম কে ঘিরে, যিনি সবসময় যুক্তিময় উক্তি দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, তিনি হলেন আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। যার অনুপ্রেরণায় আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজারো শুকরিয়া,স্যার সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে এসেছে ❤️
🖊️নিজের জীবনের গল্পটা নিজেকেই লিখতে হয়। যদি কেউ তা শুনে হাসে বুঝবেন আপনার গল্পটা এখন বিনদনের পর্যায় রয়েছে, যদি কেই উৎসাহ দেয় বুঝতে হবে রাস্তা তৈরি হচ্ছে কিন্তু হাটতে হবে নিজেকেই, আর যদি কেউ হাত বাড়িয়ে দেয় বুঝতে হবে আমার জন্য লিফটের ব্যবস্তা হচ্ছে। উপরে উঠাটা দ্রুত হবে,
🍁আমার প্রিয়া মা🍁
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
সবার নিকট সবার মা একজন পৃথিবীর সেরা মানুষ,ও সেরা মা। এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার,কিন্তু আমার নিকট আমার মা তার থেকেও আরে বেশি কিছু,যার কোন উপমা হয়তো আমার জানা নেই।
আমার মা ছোট থেকেই ছিলেন অনেক নম্র ভদ্র, আমার নানার সন্তান ছিলো ৫ জন,তার মধ্যে একজন ছোট অবস্থাতেই মৃত্যু বরন করেন,
বাকি চার জনের মধ্যে আমার মা ই সবার বড়
আমার মা ছোট বেলায় ইস্কুলে ক্লাস সেভেন কিংবা নাইন পর্যন্ত পড়েছেন, তখনকার সময়ে পড়ালেখার জন্য এতো সুন্দর ব্যাবস্থা ছিলনা
তারপরও আমার মা আমার নিকট একজন শিক্ষিকা,একজন মানুষ গাড়ার কারিগর, কারন ছোট বেলায় মায়ের কাছ থেকেই স্বরবর্ণ ব্যান্জন বন্য, শতকিয়া, মোট কথা প্রাথমিক শিক্ষা গুলো মায়ের কাছ থেকে শিখেছি,
আমার মা আমাকে কখনো পড়ার জন্য জোর করা লাগতোনা, আমি নিজেই নিজের পড়া পড়তাম,এতে আমার মা অনেক খুশি হতেন,
যখন,ক্লাস টু তে পড়ি আমি,তখন মাদ্রাসা থেকে ক্লাসে যে সব বাড়ীর কাজ(হাতের লেখা) দেওয়া হতো সেগুলা বাড়ীতে এসে বিকেলেই লিখে পেলতাম যেন রাতে পড়তে না হয়,
ছোট বেলার কিছু কথা এখন মনে পড়লে খুব হাসি আসে, ছোট বেলায় আমার একটা রুটিন ছিলো,আর সেটা হলো দুপরে মাদ্রাসা থেকে আসার পর প্রথম গোসল তারপর নামেজের জন্য মসজিদে জাওয়া,তারপর এসে মায়ের হাতে ভাত খাওয়া তারপর ঘুম জাওয়া, কিন্তু আমার ঘুমের বিষয়টা ভালো লাগতো না, তাই মাঝে মাঝে আম্মু যখন ঘুমানোর জন্য বলতেন তখন আমি ঘুমের অভিনয় করে চোখ বন্ধ করে রাখতাম, তারপর আম্মু এসে দেখে যেত ঘুমাইছি কিনা,
যখন দেখতো ছোখ বন্ধ তখন ভাবতো আমি ঘুমিয়ে গিয়েছি,তারপর যখন আম্মু ছলে যেত তখন সুযোগ বুজে ঘর থেকে পালিয়ে বের হয়ে যেতাম, এবং বাড়ির পোলাপানদের সাথে খেলাধুলা করতাম, অতঃপর সন্ধ্যায় যখন বাসায় আসতাম তখন আম্মু কানে ধরে জিগাস করতো কি ব্যাপার তোমার ঘুম কই ইত্যাদি ইত্যাদি........
তারপর রাতে পড়ার টেবিলে ঘুম আসলে আম্মু ছোটখাটো পানিশমেন্ট দিতো,সকালে মাদ্রাসা যাওয়ার আগেই ড্রেস (পান্জাবী পায়জামা)রেডি করে রাখতো আম্মু , তাড়াতাড়ি নাস্তা করে রেডি হয়ে পা বাড়াতাম মাদ্রাসার পথে, ক্লাসে উপস্থিত হতে দেরি হলে হুজুর পানিশমেন্ট দিতো, তাই তাড়াতাড়ি যেতাম প্রতিদিন।
আমার মা হয়তো অন্য মায়েদের মত আমাদেরকে আদর করতে পারতোনা, কাজের কারনে, কিন্তু মায়ের আদর আমারা ঠিকই অনুভব করতাম, সবসময় আমাদের কে জিজ্ঞেস করতো আজকে কি রান্না করবো কি খাইবি
অন্য মায়েদের মত আমার মা হয়তো ভালোবাসা প্রকাশ করতো না ঠিক,কিন্তু আমার মায়ের গোপনে আমাদের জন্য ভালেবাসার কোন প্রকার কমতি ছিলনা,
👨🦯প্রিয় একজন মানুষ 👨🦯
আমার নানা জান..
আমার নানা ছিলেন একজন আলেম ও একজন বিজনেস ম্যান
ছোট বেলায় যখনই নানার বাড়ি যেতাম, তখনই আমার নানু আমকে কোলে নিয়ে আদর করতো এবং ভিবিন্ন প্রকারের আঁচার খাওয়াতো
আর নানা তার কাছে ডেকে পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করতো যদিও আমার নিকট বিরক্ত লাগতো, যখন থেকে কুরআন শরীফ পড়তে পারতাম তখন নানার বাড়ি গেলেই নানা তার কাছে ডেকে কুরআন তেলোয়াত শুনতেন আমর কাছ থেকে, এজন্য মাঝে মাঝে নানু নানাকে বলতো নাতিরা আসছে একটু বেড়াতে আর আপনি তাদেরকে আপনার কাছে বসিয়ে রাখেন,
যাইহোক দিন শেষে নানা কিন্তু আমার ভালোর জন্যই বলতেন, হয়তো তখন বুজিনাই আজ যখন নানাকে চিরতরে হারালাম এখন বুজতেছি যে নানার প্রতিটি কথা ছিলো আমাদের ভালোর জন্যই, এখন নানার প্রতিটি কথা খুব মিস করি খুব মনে পড়ে, যখন বুজার বয়স ছিলনা তখন নানা ছিল, আর যখন বুজার বয়স হলো তখন নানা জান নেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম।
ও পারে ভালো থেকো প্রিয় নানা জান, দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার কবরকে জান্নাতের টুকরো বানিয়ে দেন,এবং জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন
💰অন্যরকম এক দিন💰
আমি আর আমার বাড়ির একটা ছেলে আমরা মাদ্রাসায় সবসময় একসাথে আসতাম এবং একসাথে বাড়ীতে যেতাম,যাইহোক প্রতিদিনের মত ঐ দিনও বিরতি (টিফিন টাইম) দিল,আমরা দু জন মাঠে গেলাম খেলাধুলা করার জন্য, মাঠের এক পাশে ছিলো চালতা গাছ,আমরা দৌড়া দৌড়ি করতে করতে চালতা গাছের নিছে ছলে আসলাম তার পর হঠাৎ দেখলাম আমার সাথের টা একটা লাফ দিলো এবং কি যেন কুড়িয়ে হাতে নিলো, আমি জিজ্ঞেস করলাম, কিরে কি পাইছোছ, সে বলে আরে কিছু না এমনিই,আমি বললাম সত্যি কথা বল কি পাইছচ, সে বলতে ছায়না, অনেক পিড়াপিড়ির বললো টাকা পাইছে,বললাম কত টাকা, সে বলে খেয়াল করিনাই পেয়েইতো পকেটে ডুকিয়ে ফেলছি, তারপর ঐ দিন তো আর আমদের ক্লাসে মন বসেনা, কখন মাদ্রাসা ছুটি হবে, কখন টাকা গুলো দেখবো,অতঃপর ক্লাস ছুটি হওয়ার পর একজায়গায় বসে সে পকেটে থেকে টাকা বাহির করলো,তারপর দেখি যে ৫০০ টাকা,
বললাম এখন কি করবি,সে বললো দোকানে গিয়ে অনেক কিছু কিনবে, আমি বললাম ভাই টাকা গুলো রেখে আস,যেখানে পাইছোছ সেখানে, সে বলে দূর বেটা এরকম আর সুযোগ আসবে?? ছল আমি ৩০০টাকা আর তুই ২০০ টাকা, আমি বললাম না ভাই আমি নিবোনা আমি সবার কাছে বলে দিবো, তারপর সে বললো আচ্ছা ২৫০,২৫০ ফিফটি ফিফটি আমি রাজি হলামনা, তারপর সে আমাকে বললো তোর বল আছে?? আমি বললাম না, বললো আমরা বল কনবো বলের কথা শুনে আমি রাজি হয়ে গেলাম, তারপর দোকানে গেলাম, এবং দু জনে দুইটা টেনিস বল ও কস্টেপ কিনলাম, এবল অনেক কিছু খেলাম,অতঃপর বাড়ির পথে রওনা দিলাম
দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো হাসি
😯একটি বিষয় খুবই আশ্চর্য জনক😯
আমাদের সবার প্রিয় স্যার যখন অসুস্থ ছিল, তখন পুরো প্ল্যাটফর্ম যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিল। আমাদের প্রিয় স্যারের রোগমুক্তির জন্য বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ভাই ও বোনেরা,মহান আল্লাহ তালার দরবারে যেভাবে দোয়া প্রার্থনা করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। যেখানে বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতা মারা গেলে দেশের জনগণ খুশিতে আলহামদুলিল্লাহ পড়ে। সেখানে আমাদের প্ল্যাটফর্মের নেতা অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে প্ল্যাটফর্মের প্রত্যেক ভাই ও বোনেরা স্যারের জন্য অশ্রুসিক্ত হয়েছেন। স্যারের জন্য অনবরত দোয়া প্রার্থনা করেছেন,দোয়া ইউনুস পড়ে প্রিয় স্যারের সুস্থতা কামনায় আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছেন।আমি মনে করি এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা শুধু মাত্র স্যার নিজের এই ভালো উদ্যোগ নেয়ার কারনেই পেয়েছেন ।
গল্পটা লিখতে গিয়ে বহুবার কেদে ফেলেছি, অনেক জাইগাই আমার হাত বন্ধ হয়ে গেছে, চিন্তাশক্তি স্থির হয়ে গেছে শুধু মায়ের চেহারাটা ভেসে উঠেছে, আমার মা আছে তাই আমার পৃথিবীটা অনেক বড়, আমার জন্য বাবা মাই একটা পৃথিবী, অনেকের বাবা নাই, কারো কারো মা নাই তাদের বাবা মার প্রতি দোয়া রইলো, কারণ বাবা মা ছাড়া পুরো দুনিয়াটা শুন্য মনে হয়।
🥀🥀প্রিয় প্ল্যাটফর্ম কে নিয়ে আমার স্বপ্ন 🥀🥀
আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের এই প্লাটফর্ম অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তাগণ একদিন আন্তর্জাতিক মানের প্রোডাক্ট উৎপাদন করে, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নতুন রূপে তুলে ধরবে। আজ প্রতিটি সেক্টরে বিদেশি প্রোডাক্ট গুলো আমাদের বাজার দখল করে আছে। আমাদের হাজার হাজার পোশাক শিল্প কারখানা🏭🏭 থাকার পরও আমরা মার্কেটে গিয়ে বলি ভাই চায়না ব্যান্ডের প্যান্ট 👖দেখান,বিদেশি কসমেটিক দেন ,এটা দেন,সেটা দেন। এর একটাই কারণ আমাদের দেশীয় পণ্যের প্রতি অনাস্থা। আমরা মনে করি আমাদের সব কিছুতেই ভেজাল মিশে আছে। তাই আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তারা মানসম্মত শতভাগ বিশুদ্ধ প্রডাক উৎপাদন করে,আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দেশীয় পণ্যের প্রতি হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস কে ফিরিয়ে আনবে। আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়া হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পকে
নতুন রূপে ফিরিয়ে আনবে। এভাবেই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা প্রতিটি পণ্যের দেশীয় ব্যান্ড তৈরি করবে আর আমাদের দেশের মানুষ দেশীয় পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করে অনেক উপকৃত হবে এবং সেই সাথে আমাদের
অর্থনৈতি সমৃদ্ধ হবে।
বাংলাদেশে ভ্রমণকৃত বিদেশি পর্যটকগণ আমাদের দোকানে গিয়ে বলবে,প্লিজ গিভ মি সাম প্রোডাক্ট প্রিপেয়ার্ড বাই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন ইন্টারপ্রেনার। তখন গর্বে বুকটা ভরে যাবে।
আজ না হয় কাল নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই আমার এই স্বপ্ন পূরন হবে ইনশাআল্লাহ্
গল্পটি যারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আপনাদের বাবা মায়ের প্রতি আমার সালাম
বাবা, মা তোমাদেরকে অনেক ভালবাসি
💛💛আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করে,
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ
💻বর্তমানে কাজ করছি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে
🖊কাজের বিবরণ
👉পেইজ লোগো
👉ওয়েব ব্যানার
👉ফেসবুক প্রোফাইল ও কাভারফটো
👉ভিজিটিং কার্ড
👉গ্রুফ লোগো
👉ব্যানার ও শুভেচ্ছা কার্ড
👉নাম কালিগ্রাফি ডিজাইন
✌️স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে, নং ৬২৯.
তারিখ ঃ ২৬/৯/২০২১.
🥀নাঈমুল হাসান(বিপ্লব)
🥀কমিনিটি ভলেন্টিয়ার
🥀জেলা★লক্ষীপুর
🥀থানা★রামগন্জ
🥀ব্যাচ★১৫
🥀রেজিঃ★৬৭৬৫০