শীতের পিঠা মেলা ভ্রমন
💝💝💝💝💝মেলা মেলা মেলা💝💝💝💝💝
হ্যা ঠিকই শুনছেন আপনারা।আজ আমরা চলে এসেছি মেলা পরিদর্শন করতে ও অনেক অনেক মজা ও আনন্দ করতে।তাহলে চলুন ঘুরে আসি আমাদের আজকের মেলা আয়োজনে।
শীতকে উপলক্ষ করে "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন" আয়োজন করেছে বিশাল এক পিঠাপুলি মেলা উৎসব।যেখানে প্লাটফর্মের সকল উদ্যোক্তা আপু ও ভাইয়ারা তাদের পিঠার স্টল নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সকলকে পিঠা খাওয়াতে।
আসলে সত্যি বলতে শহুরে মানুষজন আজকাল আর তেমন পিঠাপুলির উৎসব পালন করে না।আমরা ছোটবেলায় গ্রামে শীত এলেই প্রতিটি ঘরে চলতো পিঠাপুলির ধুম।খেজুর রস ও মিঠাই এর ঘ্রানে মৌ মৌ করতো এলাকা।সেইসব মধুর স্মৃতিগুলো শহরের ইট পাথরের দালানের ভীরে সত্যি খুজে পাওয়া মুসকিল।
তবে আজ আমি সোনিয়া সালমান আপনাদের আবারও সেই উৎসবের আমেজে মাতিয়ে রাখতে চলে এসেছি এই পিঠাপুলির মেলা উৎসবে।
তাহলে চলুন ঘুরে আসা যাক আজকের পিঠাপুলির মেলায়🥰
আমি চলে এসেছি মূল মেলা প্রাঙ্গনে।চারদিকে মিস্টি গন্ধে মৌ মৌ করছে যা আপনি স্বশরিরে উপস্থিত না হলে বুঝতেই পারবেন না।চারদিকে শুধু পিঠার স্টল আর কাস্টমারের ভিড় লেগেই আছে প্রতিটি স্টলে।সকলেই বেশ মজা ও আয়েস করে পিঠা খাচ্ছে।
আচ্ছা, তাহলে আমি বাদ থাকবো কেন বলুন তো?এত এত মজার মজার পিঠার স্মেল পেয়েই চুপ করে বসে থাকা সত্যি অসম্ভব। আমার তো এখনই জিভে জল চলে আসছে😋😋
প্রথমে ঝাল কিছু দিয়েই শুরু করি।কেননা বাঙালিরা শেষপাতে মিস্টি খেতে পছন্দ করে।আমার সামনে চলে এসেছি গরম গরম জাল ঝাল মাংসের পিঠা।উফ অসাধারণ দেখতে এটা।(পিঠায় কামড় দিয়ে)অবিশ্বাস্য সুস্বাদু টেস্ট এটার।শীতের সন্ধায় এরকম গরম গরম পিঠায় কামড় দিয়াটা অমৃত ছারা আর কিছুই না।আমি তো পরপর খেয়ে নিচ্ছি।তবে আর না,কেননা সামনে আরো স্টল ঘুরবো আর মজার মজার পিঠা খাবো আজ।
এবার চলে আসছি ভাপা পিঠায়।সাদা সাদা গোলাকার পিঠায় মিঠাই এর লাল খয়েরি রংটা সত্যি নজর কারার মতই।নারিকেল আর মিঠাই এর কম্বিনেশনটা সবসময়ই সেরা হয়,আর সেটা যদি হয় ভাপা পিঠায় তাহলে তো.........নাহ আর কিছু বলবো না,কেননা নয়তো পিঠা রাগ করবে আমার ওপর,তখন সে তার বেস্ট টেস্টটা আমায় দিবে না😉
আমি বরং পিঠা খাওয়াতেই কনসেন্ট্রেট করি🥰🥰
কি বলবো আপনাদের বুঝতে পারছিনা।এতটা সুস্বাদু মনে হচ্ছে বাসায় বসে বসে পিঠা খাচ্ছি। ছোটবেলায় দাদু উঠোনে মাটির চুলায় পিঠা বানাতো,আর আমরা ভাইবোনরা চারপাশে বসে থাকতাম।পিঠা তুলে দিলেই গরম গরম পিঠায় কামড় দিয়ে যেই স্বাদ আর মজাটা পেতাম, ঠিক সেই স্বাদটাই এখানেও পাচ্ছি। এক কথায় অসাধারন।
দুধ চিতই এর কথা আপনাদের মনে আছে কি?গরম গরম চিতই পিঠাগুলো রসে ভিজানো হয়।তারপরদিন সকালে সেই রসে ভিজা টুইটুম্বুর পিঠাগুলো।যদি ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে এখনি চলে আসুন এই মেলা প্রাঙ্গনে।কেননা এখন আমি চলে যাচ্ছি সেই রসে ভিজা টুইটুম্বুর দুধ চিতই এর কাছেই।
সকলে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন কি সুন্দর এই পিঠাগুলো।তবে কেউ নজর দিবেন না,এগুলো কেবলমাত্র আমার জন্যই নেয়া।আপনারা আপনাদের পরিবার নিয়ে একটা মজার সময় কাটাতে ও উপভোগ করে এই পিঠাগুলো খেতে চাইলে আর অপেক্ষা কেন।জলদি চলে আসুন এই পিঠা প্রাঙ্গনে।
আচ্ছা ক্ষিরসা পাটিসাপটাগুলো কি রাগ করলো আমার ওপর।খুজে পাচ্ছিনা কেন ওদের কে?নিশ্চয়ই অভিমান করে লুকিয়ে আছে।তবে আমি ও হাল ছাড়তে রাজি নই,ঠিকই খুজে নিবো পাটিসাপটা স্টল।😍
ঐ তো পেয়ে গেছি অতি সুস্বাদু পাটিসাপটার স্টল।এক আপু অতি যত্নসহকারে পিঠাগুলো তৈরী করছে।সম্ভবত স্টক আউট।হবে নাই বা কেন?অনায়াসে একত্রে এতগুলো পিঠার স্টল পেলে কেউ কি আর ঘরে বসে থাকে।সকলের এই উপচে পড়া ভিড়ে পিঠাগুলো সব নিমিষেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আমি সব পিঠা পাবো কিনা সেটাই সন্দেহ?
চলে এসেছে আমার প্রিয় পাটিসাপটার প্লেট।ওমা সাথে দেখছি পুলি পিঠাও আছে।এতো ডাবল বোনাস।মুখে দিতেই ক্ষিরসার সেই ফ্লেবার ও টেস্ট মন ভরিয়ে দিলো।এতটা এতটা এতটাই সুস্বাদু আমি নিমিষেই পুরো প্লেট খালি করে দিলাম।😁😁😁
আজ আমি পেটুক হলাম পিঠাপুলির উৎসবে।🥰🥰🥰
একটা আলাদা অন্যরকম স্মেইল পাচ্ছি। কিসের স্মেইল এটা?মিস্টি মিস্টি নেশাতুর একটা স্মেইল।
ওহ হ্যা এটা তো তালের ঘ্রান।নিশ্চয়ই তালের বড়া ভাজা হচ্ছে কোথাও?কিন্তু কোথায় এটা?গন্ধে যে নেশা লেগে যাচ্ছে আমার?
অবশেষে খুজে পেলাম তালের পিঠার স্টল।সাথে তালের পায়েস ও আছে।কোন কথা হবে না আর।শুধুমাত্র খাওয়া হবে এবার।আমি শুরু করছি,আপনারা দেখতে থাকুন এই মেলা উৎসব।
হঠাৎ মেলাতে হইচই পড়ে গেলো।কি হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না।ছুটে গেলার সেখানে। হঠাৎ দেখলাম মেলার ভেতরে ডুকছেন আমার সকলের প্রিয় "ইকবাল বাহার জাহিদ " স্যার,উনার সহধর্মিণী, নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর কয়েকজন মডারেটর ও কোর ভলান্টিয়ার। সাথে আরো অনেকেই আছে।সকলের মুখেই হাসি।আর সেই প্রিয় মানুষগুলো হাসি মুখগুলো দেখার জন্যই সকলেই ছুটে এসেছে।এতেই শোরগোল হয়েছিলো।
স্যার এবার প্রতিটা স্টল ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো ও পিঠা খেতে লাগলো।সকলেই তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে। এটা প্লাটফর্মের সকলের কাছেই এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি হয়ে থাকবে,নিজ হাতে তৈরী শীতের পিঠা প্রিয় স্যার ও গ্রুপের প্রিয় সদস্যদের খাওয়ানোর সুযোগ পাওয়ার জন্য।সকল উদ্যোক্তা তৃপ্ত এই মেলা উৎসবের আয়োজনে।
অতঃপর স্যার মাইক হাতে নিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলা শুরু করলো।সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানালো।এবং মেলায় সবচেয়ে বেশি সেলদাতাকে পুরস্কৃত করবেন জানালেন।এতো সকলে আরো বেশি খুশি হলো।
আমি তো স্যার আসার পর থেকেই সকলের সেই তৃপ্তিময় মুখের ছবি তুলতে ব্যস্ত।বিশেষ করে স্যারের ছবিগুলো।হঠাৎ করে স্যারের পাশ থেকেই কেউ একজন আমায় ডাকতে শুরু করলো।সম্ভবত ছবি তোলার জন্যই।আমি একটু অন্যমনস্ক ছিলাম।তাই কয়েকবারই ডাকতে হলো আমায়।
সোনিয়া সালমান শুনতে পাচ্ছেন?সোনিয়া সালমান,সোনিয়া সালমান।
তখনই ঘুমটা ভেঙে গেল।দেখি আম্মু ডাকছে নামাজ ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য।অনেকক্ষণ যাবতই ডাকছে,আমি নাকি উঠছি না,তখনই বুঝতে পারলাম আমি এতসময় স্বপ্নচারীনি হয়ে পিঠা মেলার উৎসবে বিচরন করছিলাম😥
কি সুন্দর একটা মুহুর্ত ছিলো?কত মজা করছিলাম আমি,পিঠা খাচ্ছিলাম আয়েস করে।সবকিছুই শেষ হয়ে গেল নিমিষেই।কিন্তু সেই সব মুখগুলো,ছবিগুলো সবকিছুই চোখে ভাসতে লাগলো।হয়তো স্মৃতির পাতায় মনের দেয়ালে আবদ্ধ হয়ে থাকবে সেইসব মজার ও আনন্দের মুহুর্তগুলো।
তবে এরকম একটা মেলা উৎসব হলে মন্দ হয়না?কি বলেন আপনারা?😜😜😜😜
যাইহোক বিদায় নিচ্ছি এখন।
অনেক লোভ দেখালাম সকলকে।আন্তরিকতভাবে দুঃখিত এজন্য।সকলেই ভাল থাকবেন,আর দোয়া করবেন আমার জন্য।
স্টাটাস অফ দি ডেঃ৬৫৬
তারিখঃ২৬-১০-২১
সোনিয়া সালমান
ব্যাচ নংঃ১৩
রেজিষ্ট্রেশন নংঃ৫৭২১৪
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার
কেরানীগঞ্জ জোন
নবাবগঞ্জ ঢাকা
কাজ করছি " ইসলামিক গিফট প্যাকেজ" নিয়ে