নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেয়ার গল্প
"গল্প শুধুই গল্প নয় "
" জীবন থেকেই গল্প হয় "
স্বপ্ন কবে সত্যি হচ্ছে
গুনছি বসে দিন
এভাবেই চলে যাচ্ছে
দিনের পরে দিন।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
আজকে আবারও ৭০ তম হাটবারে চলে আসলাম গল্পে গল্পে সেল পোস্ট করার জন্য।
আর আমাদের এই ভালোবাসার প্লাটফর্মে গল্প লেখার যে অনূপ্রেরনা দিয়েছেন এবং এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন। সেটা সত্যিই মনে হয় স্বপ্নপুরী।স্বপ্নের মতো মনে হলেও যে এটা বাস্তব।
আমি গর্বিত এই ফাউন্ডেশনের একজন আজীবন সদস্য হতে পেরে। আরো গর্বিত জনাব #ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারকে শিক্ষাগুরু হিসেবে পেয়ে।
এই প্লাটফর্মে যুক্ত হবার পর থেকে আমার পুরো জীবন টাই বদলে গেছে। তার জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি যে আল্লাহ আমাদের মাঝে এমন একজন ভালো মানুষকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন এই সুন্দর ধরনীর বুকে।
যার অক্লান্ত পরিশ্রম ও লেগে থাকার ফসল হচ্ছে" #নিজের_বলার_মতো_একটি_গল্প_ফাউন্ডেশন"
আরও ভালো লাগে স্যারের প্রতিদিনকার অনুপ্রেরণা মুলক সেশন পড়ে। তারই আলোকে আজ আমার গল্প লেখা।
স্যারের এই কথাটি আমাকে খুবই অনুপ্রেরণা দিয়েছে।নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ঘুমন্ত সত্তাকে জাগিয়ে তুলছে। যা সত্যি অবাক করার মতো। যা আমি আগে কখনও কল্পনাও করিনি।
তাই তো আজ এই কথাগুলোর মানে বুঝতে পেরেছি এবং এর সত্যিকার অর্থে উপলদ্ধি করতে পেরেছি ।
ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ যেমন একসাথে পাওয়া যায় না, তেমনি কাজ না করে আর মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকানোর মতো আসার যাওয়ার আনন্দ আর নিজেকে ব্রান্ডিং করার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না।
কেননা আমার মধ্যেও প্রতিভা আছে। যা দিয়ে আমিও আলোকিত হতে পারবো।এবং সেই আলো ছড়ানোর দুটি উপায়ও আছে।এক নিজে মোমবাতি হয়ে জ্বলা, আর দুই আয়নার মতো আলোকে প্রতিফলিত করা। আর সেই সত্যতার প্রমাণ পেলাম নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন যুক্ত হতে পেরে।
জীবনের সব ধরনের অনিশ্চয়তা, হতাশা আর বাধা সত্বেও নিজের সবটুকু দিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টায়ই শক্তিমান মানুষকে দূর্বলদের মধ্যে থেকে আলাদা করে। তার একমাত্র উদাহরণ হলেন আমাদের প্রিয় মেন্টর। স্যারের কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছি কি করে ভালোমানুষ হয়ে সাফল্যের পথে হেটে যেতে হয়।
সেক্ষেত্রে ছোট্ট করে একটা উদাহরণ দিতে চাই আর সেটা হলো পরিশ্রম তো গাধাও করে কিন্তু তবুও সে গাধা আর বনের রাজা হলো সিংহ।
তাই ভালো কিছু পেতে হলে পরিশ্রমের পাশাপাশি কৌশলী হতে হবে।আর সেই শিক্ষাটাই আমাদের প্রিয় মেন্টর রোজ আমাদের শিখিয়ে দিছেন।
তেমনি একটা গল্প শেয়ার করবো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবে রুপ নিয়েছে। তাই এখন বুঝতে পেরেছি
বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে দেখার স্বপ্ন আর বাস্তবতার স্বপ্ন এক নয়। বাস্তবের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে বালিশ থেকে মাথা তুলে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল ব্লক বাটিকের কাজ শেখার।
দেশ টিভিতে বাটিকের কাজ শেখার ক্লাস করানো হতো তো সেগুলো লিখে রাখতাম। কখনো ভিডিও করে রাখতাম মোবাইল দিয়ে পরে যদি ভুলে যাই। আর ডায়েরির পুরো পাতা জুড়ে ছিল। শুধু ব্লক বাটিকের সম্পর্কে লেখা।
বিকাল হলেই আমার মাথা পুরো নষ্ট হয়ে যেত কি করে আমি শিখবো।আমার ভাইবোনেরা সবাই বারান্দায় বসে গল্প করছে, আনন্দ করছে আর আমি টিভির সামনে বসে আছি। তখন আমাকে নিয়ে ওরা হাসতো। বলতো পাগল হয়ে গেছি আমি। মাঝে মাঝে কাজ ফেলে রেখেও আমি টিভির সামনে বসে থাকতাম।
এভাবেই চলতে থাকে। হঠাৎ একদিন আমাদের এলাকায় মাইকে এনাউন্সমেন্ট করে যে আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্লক বাটিকের , সেলাইয়ের কাজ শেখানো হবে। শেখানো পরে সরকার কৃতক সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
আমার তো আনন্দের শেষ নেই।
আব্বু ও ভাইয়াদের পেছনে লেগে আছি। আমাকে যেন এই প্রশিক্ষণ ক্লাসে ভর্তি করে দিতে।একসময় বড়ো ভাইয়া রাজি হয়ে গেলেন।বড় ভাইয়া একটু বেশি কেয়ার করেন।সবসময় সব জায়গায় যেতে দিতেন না।
কিন্তু আব্বু - আম্মুর পুরো সার্পোট পেতাম।এখনো তাই পেয়ে থাকি।তো শুরু হলো আমার ক্লাস করা।আর সেই ক্লাস নিয়ে আমি এতোটাই প্রভাবিত হয়ে পড়ি যে আমার চিন্তা চেতনায় শুধু একটাই কাজ করতো কখন আমি শেখা কমপ্লিট করবো আর কখন কাজ করবো।আর সেটা করতে গিয়ে আমি লেখাপড়া প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ি।
যখন আমার একাদশ ইয়ার ফাইনালের পরীক্ষায় রসায়ন বিজ্ঞানের রেজাল্ট খারাপ হলো।তখন কলেজ থেকে গার্ডিয়ান নক করলেন। তারপর প্রিন্সিপাল আমাকে আলাদা ডেকে বুঝিয়ে বললেন।
আমি যেনো দুদিক দিয়েই মনযোগ প্রদান করি।তারপর কিছুটা নড়েচড়ে বসলাম। ঠিক তো আমাকে দু'দিকেই সামাল দিতে হবে। তখন আমার টেনশন টা বেড়ে যায় একসাথে দুটো কিভাবে সামাল দেবো। কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা ছিল যে একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
তারপর প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে খুবই রিস্ক নিয়ে দুই দিকে সামাল দিতে উঠে পড়ে লেগে থাকি।সেই সকালে বের হতাম আর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতাম।
প্রাইভেট পড়া, কলেজ ক্লাস,তারপর প্রাকটিক্যাল ক্লাস শেষ করে প্রশিক্ষণ ক্লাসে যেতাম।দুইটোকে একসাথে রাখতাম।
রাতে টেবিলে পড়তে বসে সাথে সাথে সেই বাটিকের ক্লাসের লেখা পদ্ধতি গুলো পড়তাম।
এভাবেই চলতে দেখে আমার পরিবারের মানুষরা বকাবকি করতো ।আমার সহপাঠীরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতো।এমনকি বলতো আমি একজন বিরাট বাটিকম্যান হবো।তখন খারাপ লাগতো রাগ হতো।
তারপরও থেমে থাকিনি।ওদের কথা শুনতে হবে বলে একা একা যেতাম।তারপর আব্বুকে বুঝিয়ে বলি বেশি দিন তো না মাত্র ৩ মাস।এই ৩ মাস কষ্ট করলেই তো আমি শিখে যাবো।আর পড়াশোনা কোন সমস্যা হবে না।কেননা টেষ্ট পরীক্ষার অনেক দেরি আছে।
আর আমি একসাথে দুটোই সমানতালে করে যাচ্ছি। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি কিছু দিন ভোর দেখার আনন্দ উপভোগ করলে ঘুমানোর আনন্দ টা এতো সুখের হয়ে।আজ সেটা বুঝতে পারছি আমাদের প্রিয় মেন্টরের সান্নিধ্যে এসে। তার জন্য আমার স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
কেননা আমার সেই দিনও জানা ছিল না এই ৩ মাসের প্রশিক্ষণ আমার জীবনের উপার্জনের পথ হবে।শখের বসে শিখে ছিলাম। কিন্তু আজ বুঝতে পেরেছি এই প্লাটফর্মের এসে টানা ৯০ দিনের সেশন পড়ে।আগের ৩ মাস আর স্যারের সেশনের ৩ মাস এই পুরো ৬ মাস আমাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।তাই তো এখন স্বপ্ন দেখছি ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।
অবশেষে আমি সাকসেস পেয়ে গেলাম।প্রশিক্ষণ শেষ। এখন এক্সামের পালা।আবার শুরু হলো টেনশন। রং কোথায় পাবো? কিভাবে আনবো?কিভাবে কাজ করবো?
তখন সেই প্রশিক্ষকের কাছে জানতে চাইলাম। ওনি বলে দিলেন।তারপর ছোট ভাইয়াকে নিয়ে সেই সুমাইয়া বুটিক হাউজে গেলাম।
সেখান থেকে রং ডাইস সহ আরো যাবতীয় জিনিস প্রায় ৪০০০ টাকার কাছাকাছি জিনিস কিনে আনলাম।বাসায় এসে তো সবাই টেনশন করছে আমি পারবো কিনা।শুধু শুধু টাকা নষ্ট করছি কিনা।
তারপর শুরু করলাম বিছানার চাদর দিয়ে। আমাকে আপু বললো প্রথমে মানুষ ছোট জিনিস দিয়ে ট্রাই করে আর তুই বিছানার চাদর নিয়ে বসে আছিস। আমার কিন্তু ভেতরে ভেতরে একটু বেশি কনফিডেন্স ছিল যে আমি পারবো।
কাপড় কিনে আনলাম একটু বেশি প্রায় ৮ গজের মতো কাপড় কিনে আনি। তারপর সেটাতে কাজ শুরু দেখা গেল কোথাও রং টা ঠিকঠাক আসেনি।
তারপর চিন্তায় পড়ে গেলাম ভাবছি কি করবো। তখন মাথায় আইডিয়া চলে আসে। সেটার উপর ডাইস দিয়ে আরো অন্য রকম ডিজাইন নিয়ে আসলাম।
তখন দেখা গেল সেটা আরো ভালো হয়েছে।কিন্তু তখন মাথায় ছিল না যে সমস্যা থেকে সমাধান বের করা যায়। কিন্তু আজ সেই দিনের আইডিয়ার কথা ভেবে খুবই ভালো লাগছে আর স্যারের আরেকটি কথার সত্যতা প্রমাণিত হলো।
সমস্যা থেকেই সমাধান বের করার পথ।এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে যে আমার একজন শিক্ষক প্রয়োজন ছিল যার প্রতিটি কথা জীবনের প্রতি মূহুর্তে কাজে লাগে। আর আমি সেটা পেয়ে গেছি আমার প্রিয় শিক্ষক #ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যারকে।
তবে এখানেই শেষ নয় আরো সমস্যা ছিল শুধু বাটিক এর হবে একসাথে ব্লক বাটিক দুটো হবে না।তারপর আবার কাপড় কিনে আনলাম আর বকা তো খাচ্ছি। আবার রং করলাম।তারপর ঠিকঠাক আসলো ডিজাইন টা।
আমার কি যে আনন্দ হচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। কিন্তু সেদিনও আমার জানা ছিল না যে কাজ করে গেলে সফলতা আসতে পারে। সেই উপলব্ধি টাও করতে পেরেছি এই ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হতে পেরে।
তারপর দুটো চাদর নিয়ে পরের দিন ক্লাসে উপস্থিত হলাম।সবার দেখে খুব ভালো লেগেছে। সবাই খুব প্রশংসা করলো।তারপর পরের দিন ব্লকের কিছু কাজ করলাম।
তারপর হ্যান্ড পেইন্টের কাজ করলাম।অবশেষে আমি সফলতা অর্জন করি। যখন সার্টিফিকেট টা হাতে পেলাম তখন আনন্দের শেষ ছিল না।আমি আনন্দ উল্লাসে মেতে ছিলাম কিন্তু পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি।
কিন্তু আজ মনে হচ্ছে সে দিনের প্রশান্তি ছিল যে আমার এই কদিনের লেগে থাকার ফসল আমি যা পেয়েছি।আমার ভোর দেখার আনন্দ সার্থক হয়েছে। সত্যি বলতে আমি ৩ মাস ভালো করে ঘুমাইনি। খুব ভোরে উঠে যেতাম সময়টাকে ধরার জন্য। আর সেই ৩ মাসেই অনেক কিছু অর্জন করেছি।
কিন্তু তখন জানা ছিল না ভোর দেখার আনন্দ আর ঘুমানোর আনন্দ এক সাথে হয় না।কিছু দিন ভোর দেখার আনন্দ উপভোগ করলে তার ফলাফল নিয়ে আসবে প্রশান্তির ঘুম।আজ সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছি।আমার ৩ মাসের কষ্ট ও পরিশ্রমে ফলে। সেটা শুধু একটা কাগজের সার্টিফিকেট হলেও সেটা আমার হাতে যে কাজ তুলে দিয়েছে সেটা কখনো ভুলার নয়।
তারপর টেনশন থেকে যায় এতো টাকার জিনিস কিনে আনলাম কোন কাজে লাগবে এবং যে জিনিস গুলো তৈরি করেছি সেটা দিয়ে কি করবো? নাকি বাসায় ইউজ করার জন্য রেখে দেবো? তারপর খুঁজে পেলাম নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন ।
আর সেখানেই যুক্ত হবার পরে আমার মনেন সব দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবসান ঘটলো।আমিও স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম উদ্যোক্তা হওয়ার। আর স্মার্টলি সবদিক সামাল দিয়ে এগিয়ে যাওয়া পথ খুঁজে পেলাম।আর নিজেকে তৈরি করার সুযোগ পেয়ে গেলাম।সেটা সত্যিই আনন্দের বিষয়। তারপর শুরু হলো আমার পথচলা।
আর আমার এক ম্যাডাম আমাকে খুবই আদর করতেন।সেদিন ক্লাসে ঐ ম্যাডাম উপস্থিত ছিলেন। আমার কাজ দেখেছেন। তিনি একদিন ফোন করে আমাদের বাসায় চলে আসলেন। তারপর ম্যাডামের সাথে অনেক ক্ষণ কথা হলো। আমার হাতের কাজ করা বাটিকের কাজগুলো দেখলেন।
তারপর তিনি আমাদের বাসায় বসে বসেই আরও কার সাথে ফোনে কথা বলে আমাকে বললেন ওনার চাদর খুব পছন্দ হয়েছে। ওনি কিনে নিবেন।আর একটা না ৫ টা নিবেন।
সেটা আমাকে তৈরি করে দিতে হবে। একটা দাম বলার জন্য। আমি তো সমস্যায় পড়ে গেলাম কতটা দাম বলবো। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।তখন ফাউন্ডেশনের এক ভাইয়ার আপুর সাথে কথা বলেই সবকিছু বুঝাে নেই।
সেই আপু বলেছিলেন কাপড় কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম বলতে আর রংয়ের পরিমান অনুযায়ী দাম বলতে। দুটোই একসাথে মিলিয়ে।
বাটিকের চাদরের কাপড় টা উন্নত মানের সুতি কাপড়ের দিয়ে তৈরি করে ছিলাম।
আর রং টা খুব টেকসই করে করছিলাম নিখুঁতভাবে। যেন কালার না যায়।
আর সাইজে ছিল ৫.৫/ ৬
তাই দাম টা বলে দিলাম ৬০০ টাকা
কেননা তার সাথে দুটো বালিশের কাভার থাকছে।
তখন ম্যাডাম বললেন ঠিক আছে সেটার হোম ডেলিভারি দিতে হবে।ওনার শ্বশুর বাড়ি তে পাঠাবেন। আমি বললাম ঠিক আছে।সেদিনই বাটিকের ৫ টা চাদর অর্ডার কনফার্ম করেছিলাম।
তখন থেকে সেই প্রিয় ম্যাডাম আমার ব্লক বাটিকের রেগুলার কাস্টমার হয়ে গেলেন। ওনার যা কিছু প্রয়োজন আমাকে বলেন আমি সেই অনুযায়ী ওনাকে ডিজাইন করে দেই।
তখন ম্যাডাম বললেন যে ওনি আমার হাতের কাজ করা পণ্য নিয়ে কাজ করবেন। যেই কথা সেই কাজ ম্যাডাম কাপড় কিনে দিচ্ছেন আর আমি ডিজাইন করে দিচ্ছি।
এভাবেই চলতে থাকে আমাদের ছাত্রী ম্যাডামের বিজনেস অফলাইনে। হঠাৎ আমার মনে হলো না ম্যাডামকে অনলাইনে নিয়ে আসি।দুজনেই একসাথে করলে আরো ভালো হবে।
তখন ম্যাডামকে বলে রেজিষ্ট্রেশন করে দেই। ইনশাআল্লাহ এখন আমার ম্যাডামও অনেকটা এগিয়ে গেছেন।
আজকের মতো এই ছিল আমার গল্প। আমার লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আর জানিনা কতটা গুছিয়ে লেখতে পেরেছি।কারণ আমি একটু অসুস্থ তাএ চেষ্টা করে যাচ্ছি লেখার জন্য।
পরিশেষে স্যারের বাণী দিয়েই শেষ করবো।স্বপ্ন দেখুন শুরু করুন লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ।
স্টাটাস অফ দি ডেঃ৬৫৬
তারিখঃ২৬-১০-২১
রুনু বেগম
রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
ব্যাচ১২/৪৪৪৮২
জেলা - মৌলভীবাজার।