আমার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রচেস্টা
অাসসালামু অালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
সকল প্রশংসা মহান অাল্লাহর জন্য যিনি অামাকে সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ জাতি মানুষ বানিয়ে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত দো-জাহানের সর্দার নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত করে এ-ই পৃথিবীর জমিনে পাঠিয়েছেন এবং বিশ্ব করুনার এ-ই সংকটময় মুহূর্তে ও অামাকে সুস্থতার নেয়ামত দিয়ে এখন পর্যন্ত জীবন যাপন করার সুযোগ দিয়ে রাখছেন অালহামদুলিল্লাহ।
🌱কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি অামাদের সকলের প্রাণ প্রিয় শিক্ষা গুরু মানবতার কান্ডারী ভালো মানুষ তৈরির কারিগর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ সারকে।
যার মেহনতের বিনিময়ে অামরা উপহার পেয়েছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন নামক প্লাটফর্ম।
প্রিয় সার ও সারের পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য অাল্লাহর কাছে সুসাস্থ এবং দীর্ঘায়ু নেক হায়াত কামনা করছি।
🌱অামি এই প্লাটফর্মের একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বীত মনে করছি। সাথে সাথে এই প্লাটফর্মের সকল দায়িত্বশীল ও অাজীবন সদস্যদের প্রতি রইলো অামার পক্ষ থেকে রিদয় নিংড়ানো দোয়া ও ভালবাসা এবং সকলের সুসাস্থ কামনা করছি।
🌱🌱🌱🌱অামার জীবন কথা 🌱🌱🌱🌱
অামি অাঃরহমান-অাল হাবিব। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার অন্তর্গত নলবাটা গ্রামের এক খেটে খাওয়া কৃষক বাবার ঘরে ০৫/০১/১৯৯৪ সালে জন্ম গ্রহণ করি।🌱
মা বাবার অাদরের সন্তান হিসেবে অামরা ৪ ভাই ও ৪ বোন পৃথিবীতে অাসি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অাল্লাহ পাকের ইচ্ছায় মা-বাবার কুল খালি করে ২ ভাই ও ১ বোন অল্প বয়সেই পৃথিবী ছেড়ে পরপারে চলে যায়। এখন অামরা দুই ভাই ও তিন বোন অাছি,
এদের মধ্যে অামি সবার বড়।
🌱মা বাবার স্বপ্ন ছিল অামাদের মাদ্রাসায় পড়াবেন অালেম বানাবেন। তাই অামাকে অল্প বয়সেই মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। দুই বছর যেতে না যেতেই
ছোট ভাইকে ও অামার সাথে দিয়ে দেন।
যতটুকু মনে পড়ে লেখা পড়ার শুরু জীবনটা ভালোই কাটছিল। যখন যা চাইতাম সবই পাওয়া যেত। এক কথায় লেখা পড়ার যা প্রয়োজন সবই পাওয়া যেত। অানুমানিক অামার বয়স তখন ১২ বছর হবে হঠাৎ বাবা মানুষিক রোগে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন যে এক কথাই কর্মক্ষম। যেহেতু তখন পর্যন্ত পরিবারটি বাবার উপরই নির্ভর ছিল তাই স্বাভাবিক ভাবেই অর্থ নৈতিক সংকটে পরে গেল পরিবারটি।
নিম্ন মধ্যবিত্তপরিবারের বড় ছেলে হিসেবে তখন থেকেই অামি সুখ দুঃখ অানন্দ বেদনা অনুভব করতে শুরু করলাম। অামাদের হাফেজ অালেম বানানোর জন্য বাবা এতটাই অাগ্রহী ছিল যে অসুস্থ অবস্থায় ও বাবা মাকে বলেছিল অামি যদি মরেও যাই তার পরেও তাদের লেখা পড়া নষ্ট হতে দিওনা।
প্রয়োজনে অামার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে তাদের লেখা পড়া চালিয়ে নিবে। ছোট বেলা থেকে অামি ছিলাম বাবা-মার প্রতি দুর্বল। অামাদেরকে নিয়ে তাদের স্বপ্নের কথা বুঝতে পেরে ভাবলাম যত কষ্টই হোক লেখা পড়া শেষ করবো। মা-বাবার স্বপ্ন পুরণ করবো।
কিন্তু পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে পেরেশানি সহ স্বপ্ন পুরণের পথে সকল প্রকার বাধা এক এক করে যুগ হতে লাগলো।কিন্তু হাল ছাড়িনি। কখনো খেয়ে কখনো না খেয়ে এক কথায় কিছু মেনে অার কিছু নিজেকে মানিয়ে অনেক বাধা উপেক্ষা করে হাঁটি হাটি পা পা করে উস্তাদ গনের দোয়ার বরকতে অাল্লাহর ইচ্ছায় ২০১৪/১৫তে বাবার স্বপ্ন একজন অালেম তথা দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান)শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হয় অালহামদুলিল্লাহ।
বলে রাখা ভালো সমাপনী পরীক্ষা যত ঘনিয়ে অাসছিল ততোই মাথায় একটা প্রশ্ন নাড়া দিচ্ছে অামার পরিক্ষার পরতো বেকার থাকা যাবেনা পরিবারে কিছু অর্থ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে কিন্তু অামার চাকরি কি হবে? অামারতো একটা কিছু করতেই হবে। সামনে পবিত্র মাহে রমজান পরিক্ষার পুর্ণ প্রস্তুতি চলছে। হটাৎ এক সাথি ভাই বলে উঠলো অামি তো টেইলারিং কাজ জানি তাই চিন্তা করছি একটা দোকান চালু করবো পরিক্ষার পরই।
এই সময় কারিগর পাওয়া কঠিন তাই ভাবছি কেউ চাইলে অামি তাকে নিজ দায়িত্বে কাজ শিখিয়ে কাজে লাগাবো। তাই অামি রাজি হলাম এবং নিজের সাথে কথা বলি যে রমজানের পর কোথাও চাকরি হলে অালহামদুলিল্লাহ। না হলেও অাপাতত চলবে প্রয়োজনে এখানেই থেকে যাবো।
অালহামদুলিল্লাহ অল্প সময়ের অভিজ্ঞতা দিয়ে ঐ রমজান মাসেই ১৫০০০/-ইনকাম করি।
এখানে একটি কথা না বল্লেই নয় অামাদের প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ সার ১৫ তম ব্যাচে , ৪৪ তম দিনের , ৪৪ তম সেশনে আমাদের কে শিক্ষা দিয়েছেন
সার্টিফিকেট বানানোর শিক্ষা নয়,
দরকার কাজ শেখার শিক্ষা,
দরকার দক্ষতা।
স্যারের ক্লাসটি আমাদের জীবন কে বদলে দিতে পারে।
অামাদের কাজ শিক্ষার দক্ষতা অামাদের সফলতার দোয়ারে পৌঁছে দিতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
য🌱ঈদের পরে এক উস্তাদের সহযোগিতায় অালহামদুলিল্লাহ এক মাদ্রাসায় চাকরিও হয়ে গেল।
সব থেকে অবাক করার বিষয় হলো লেখা পড়া শেষ করে অাজ পর্যন্ত একদিন ও অামাকে চাকরি হারা বেকার থাকতে হয়নি। অথচ অামি এসবের জন অনেক পেরেশানি করেছি।
অামি বিশ্বাস করি বাবা মায়ের নেক দোয়া, উস্তাদ গনের সু দৃষ্টি এবং অাল্লাহর রহমত অাছে বলেই পিছনের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব হচ্ছে অালহামদুলিল্লাহ।
🌱অাজ থেকে প্রায় এক বছর অাগে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর দেখা মিলে তখন থেকে সারের প্রতিটি সেশন, ভিডিও ক্লাস, ইউটিভি লাইভের সাক্ষাৎকার এইসব ফলো করে অনুপ্রেরণা পায়।বর্তমানে একজন সফল উদ্ধেক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুকে লালন করে এগিয়ে যাচ্ছি। সারের সু দৃষ্টি ও নেক দোয়া থাকলে সফল প্রিয় ভাই বোনদের পাশে পেলে
একজন সফল উদ্ধেক্তা হতে পারবো অাশা করছি।এতক্ষণ যাবৎ অামার লেখা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অাপনাদের সকলের প্রতি অামি
চির কৃতজ্ঞ।সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্টাটাস অফ দি ডেঃ৬৫৭
তারিখঃ২৭-১০-২১
🇧🇩নাম অাঃরহমান-অাল হাবিব
ব্যাচতম ১২
রেজিষ্ট্রেশন নং ৩৮৫৬৯
থানা রায়পুরা জেলা নরসিংদী 🇧🇩