মায়ের পায়ের ধূলোমাখা আশির্বাদ আমার জীবনের হতাশা মুক্তির মিরাক্কেল
🌿🌿🌿🌿বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম🌿🌿🌿
🔴আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ 🔴
🌿সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের জন্য, শান্তি বর্ষিত হোক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর।🌿
💥 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ভালো মানুষ, একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ ও পরিবেশ। যার অনুপ্রেরণা আজ আমরা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদের অনুপ্রেরণা উৎসহ জীবন কাহিনী আনন্দ বিনোদন লিপিবদ্ধ করার সাহস পেয়েছি। পেয়েছি লক্ষ মানুষের মানুষ উৎসাহ অনুপ্রেরণা-ও ভালোবাসা
💥জীবন মানে সুখ দুঃখের গল্প💥
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটা গল্প থাকা দরকার নিজের যোগ্যতা ধৈর্য্যর সময় মেধা দিয়ে একটি সুন্দর গল্প তৈরি করা দরকার -আমিও শিখেছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে- কিভাবে নিজের জীবনের গল্প তৈরি করতে হয়- কিভাবে সকলের সাথে চলতে হয-় কিভাবে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি দেওয়া যায় -পরাধীনতার নাম জীবন নয়- নিজের পায়ে নিজে দাঁড়িয়ে থাকার নামই শক্তিশালী জয় -আমিও চেষ্টা করছি আপনাদের কাছ থেকে শিখে একটু একটু করে উদ্যোক্তার পথে হাটা- আমার জীবনে যদিও সেরকম কোন গল্প নেই- যে গল্প আপনাদের জীবন অনেক উৎসাহিত করবে আমার গল্প পড়ে আপনার অনুপ্রাণিত হবেন তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের মাঝে কিছু উপস্থাপনা করার।
আজ আমার হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা কিছু গল্প, কিছু আবেগ, কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো সকলের মাঝে নিজের কথা বলতে পারলে হয়ত আমারও কিছুটা ভালো লাগবে- প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হবার পর থেকেই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কারো না কারো জীবনের গল্প পরী পড়ার চেষ্টা করি সকলের কাছ থেকে উৎসরিত অনুপ্রাণিত হয়ে আজ আমিও আমিও লিখতে বসে গেলাম, আমার নিজের জীবনের একটি গল্প। যদিও আগে কখনো নিজের সম্পর্কে কিছু লেখা হয়নি। তাই লিখতে বসে ভেবেছিলা যে শুরুটা কিভাবে করবো।এরপর নিজেকে প্রশ্ন করলাম কি হতে পারে আমার জীবনের গল্প?স্যারের কথার অনুযায়ী নিজের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম। এবং অবাক কান্ড আমি আমার উত্তর পেয়ে যাচ্ছি। তাই আমার জীবন থেকে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
💥আমার পরিচয়💥_______
আমি,, মোহাম্মদ হাসান আহমেদ রুবেল । নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার এক অজপাড়া গায়ে আমার জন্ম। আমি এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠি একটু একটু করে- আমাদের ছোট পরিবারে আমি ৩ ভাই এবং ১ বোনের মাঝে আমি ২য়। অনেক আদর ভালোবাসা বেড়ে ওঠা । আমাদের সকলের বাবা-মা অনেক ভালবেসে আমাদেরকে বড় করেছেন - ছোট বেলা যখন আমি স্কুলে পড়তাম । আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখতেন। আমার বাবা যখনই আমি পড়তে বসতাম তখন আমার পাশে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতেন । আমার ছেলে একদিন অনেক বড় ডাক্তার হবে আর না হয় ইঞ্জিনিয়ার হবে । আমার যতই কষ্ট হোক না কেন আমার ছেলেকে আমি একজন হয় ডাক্তার নয় একজন ইঞ্জিনিয়ার বানাবো । তাই ছোটবেলা থেকেই আমার ব্রেনে ধরে গেছে আমাকে হয় একজন ডাক্তার নয় একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে । যখন আমাদের ক্লাসে কখনো "Aim in life"লিখতে বলতেন মনের অবচেতন মন ধরেই নিয়েই Doctor/Engineer লিখে দিয়েছি। আর Doctor/Engineer হতে হলে অবশ্যই SSC এবং HSC তে ভাল ফলাফল করতে হয়। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়ে চলছিল আগামীর পথচলা। লেখাপড়ায় অনেকটা ভালো ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ সব সময় চেষ্টা ছিল ভালো কিছু রেজাল্ট করবো এবং বাবার স্বপ্নকে সত্যিকারে রূপ দেবো......সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলা, স্বপ্ন অনেক, আশা অনেক, জীবনের চলার পথটা ও অনেক বড়-ছোট বেলা থেকেই একজন ভালো ছাত্র হিসেবে বাবার অনূপ্রেরনায় নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছিলাম। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত টানা রোল নম্বর ১ অর্জন করায় ফাষ্ট বয় হিসেবে প্রতিমাসে সন্মাননা পেয়েছি । যা বাবা মায়ের চোখে মুখে আমার জন্য আশার আলো ঝলমল করে ঝলছিল। কিন্তু সে আলো বেশিদিন ঝলে উঠতে পারেনি।...................
💥 কিছু কিছু দক্ষ চিরদিনের জন্য💥
আমার আব্বা দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক ডাক্তার দেখালাম। হঠাৎ করে একজন ভাল ডাক্তার বাবাকে দেখে বললেন এর পিছনে টাকা খরচ করাই বৃথা হয়তো টাকা খরচ করতে পারবেন কিন্তু কোনো লাভ হবে কিনা তা জানা নেই কারণ বাবার মরনব্যাধী ক্যান্সার ধরা পরছে। ঢাকায় বড় হাসপাতালে বড় বড় ডাক্তার দেখানো হলো কিন্তু অর্থ ব্যয় ছাড়া কিছুই উপকার হলোনা। যে রোগের কোন চিকিৎসা নেই সেই মরনব্যাধী ক্যান্সার আমার স্বপ্নদ্রষ্টা আমার নয়নের মনি, আমার হৃদয়ের স্পন্দন, আমার ভালোবাসার অমলিন হাসি, আমার ভরসার হাত প্রিয় বাবা আমাকে ফাঁকি দিয়ে চির বিদায় নিলেন। ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেলো আমার স্বপ্ন , বাবার দেখানো স্বপ্ন বড় বড় স্কুলে লেখাপড়া, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব যেন অনিশ্চয়তায় ধূলিসাৎ। চোখ যেন অন্ধকার ধূম্রজাল অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। সবেমাত্র ৫ম শ্রেণীতেই আমার স্বপ্ন ভঙ্গ- স্বপ্ন দেখার আগেই আমার স্বপ্ন ভেঙে পড়ল কাঁচের টুকরোর মতন ভেবেছিলাম লেখাপড়া মনে হয় আর হবে না আমার স্বপ্ন মনে হয় সত্যি হবে না কারণ লেখাপড়া করার মতো এতো অর্থবিত্ত আমাদের কাছে ছিল না অনেক হতাশার পরে আবার নিজেকে একটু শক্ত করে পথ চলার জন্য শক্তি অর্জন করলাম-----
💥নতুন এক শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া💥_
নতুন করে হাই স্কুলে ভর্তি হলাম। লেখাপড়া শুরু করলাম। বাবার জায়গা দখল করলেন আমার প্রিয় বড় ভাই। বাবার দেখানো স্বপ্ন , বাবার অনুপ্রেরণা ও বড় ভাইয়ের স্নেহ ভালোবাসায় এসে এক সময় ভালোভাবেই ভালো রেজাল্ট নিয়ে এস সি পাশ করলাম। এলাম কলেজে। শুরু হলো কলেজ জীবন। নতুন কলেজ নতুন জায়গা জেলা শহর। সবকিছু কেমন নতুন নতুন। ভালোই লাগছিলো উন্মোক্ত কলেজ জীবন। জীবনের সব বাঁধা পেরিয়ে জীবনে মুক্ত বিহঙ্গে উড়ে বেড়াতে ভালোই লাগছিলো । কলেজ জীবন আসলেই অনেক মধুর জীবন । এখনো অনেক মিস করি । লেখাপড়া চালিয়ে যেতে যেতে ফাষ্ট ইয়ার শেষ করে সেকেন্ড ইয়ারে উঠলাম-এক সময় সেকেন্ড ইয়ার ও শেষের দিকে চলে আসলো -সামনে ইন্টার ফাইনাল ইয়ার- লেখাপড়ার প্রচুর চাপ এর মধ্যে হঠাৎ পেপারে একটি নিয়োগ চোখে পরলো- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তে লোক নিবে নরসিংদী ষ্টেডিয়াম থেকে কিন্তু দরখাস্ত দিতে হবে ঢাকা বি আর ইউ তে- সময় আছে আর একদিন- কিন্ত কি করি ভাবছিলাম। সমস্ত কাগজ পত্র ডাকযোগে পাঠানো হলে -কোনভাবেই কালকের মধ্যে পৌঁছাবে না- আমি কাউকে কিছু না বলে নিজেই দরখাস্ত একটা লিখে সংবাদপত্রে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী ঢাকা বি আর ইউ তে জমা দিয়ে আসলাম। আর মনে মনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে হাত তুলে দোয়া করলাম হে রব্বুল আলামীন তুমি রহম করো আমার উপরে যেন আমার ইন্টারভিউর জন্য ডাক পড়ে এর মধ্যে ইন্টার পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে- তার কয়েকদিন পরেই নিজের বাড়ির ঠিকানায় আমার নামে একটি সরকারি খামে একটা চিঠি আসলো তার মধ্যে ছিল আমার চাকরীর ইন্টারভিউ কার্ড। এই ইন্টারভিউ কার্ড পেয়ে এত খুশি হয়েছিলাম মনে হয়েছিল আমি চাকরি টাই পেয়ে গেছি। খুশিতে মনটা ভরে গেল। শুধু মাকে জানালাম এই ইন্টারভিউ কার্ড এর খবরটা। আর কাউকেই জানালাম না। সময় এলো নিজের বুক থরথর করছে। সকালে যাবো নরসিংদী ষ্ট্যাডিয়াম। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের পায়ে সালাম করে মায়ের দোয়া নিয়ে চলে গেলাম ইন্টারভিউ দিতে। নরসিংদী ষ্ট্যাডিয়াম গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য অনেক লোক উপস্থিত- আর্মিরা মাইক দিয়ে ডাকছে আর বলছে যাদের হাতে ইন্টারভিউ কার্ড আছে শুধু তারাই মাঠে থাকবে বাকি লোক মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে। তখন আমার সাহস এলো। আমার তো ইন্টারভিউ কার্ড আছে। কার্ড ছারা লোক গুলো মাঠ থেকে চলে যাওয়ার পর দেখলাম অর্ধেক লোক কমে গেলো। মনে তখন একটু সাহস পেলাম। কিছূক্ষন পরেই শুরু হলো নিয়োগ কার্যক্রম। ফিজিক্যাল টেষ্ট, রিটেন এক্সাম ও মেডিক্যাল টেস্ট। একে একে সব শেষ হলো, সব শেষ হতে রাত হয়ে গেল। এখন অপেক্ষায় আছি ফাইনাল এ্যাপয়েনমেন্ট লেটার হাতে দিবে। খুবই টেনশনে শরীর ঘামছে- মনে মনে ভয় লাগছে আর আল্লাহ কে ডাকছি। বুক আবার ও দরফর করছে কি জানি কি হয়----অবশেষে হাতে দিলো একটা খাম এবং বলে দিলো আগামী ৩১ ডিসেম্বর চাকরির জন্য জয়েন করার জন্য- নাচাইতে আমার হাতে যেন পূর্ণিমার চারটা চলে আসলো খুশিতে আমি আত্মহারা চাকরি টা হয়ে গেছে খুশিতে কেঁদে দিলাম-নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না-
💥টাকা ছাড়া, তদবির ছাড়া, নিজের যোগ্যতা বলে একটা সরকারি চাকরি পেয়ে গেলাম- এটা সম্ভব,,,,,,,, এটা আমার জীবনে বড় ধরনের মিরাক্কেল আমি বিশ্বাস করি এটা শুধুই আমার মায়ের দোয়া আমার মায়ের দোয়া ভালোবাসার হাত ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে চাকরি পাওয়া সত্যি বলছি মা আমার মিরাক্কেল।
💥মায়ের পায়ের ধূলোমাখা আশির্বাদ আমার জীবনের হতাশা মুক্তির মিরাক্কেল।...............
💥বাবারস্বপ্নঃ💥_________________
বাবা আমার জীবনের অনুপ্রেরণা, স্বপ্ন , ভরসার হাত, সীমাহীন দিগন্তের নীল আকাশ-যাকে আমি আজও অনুপ্রেরণার জায়গায় সব সময় খুঁজে পাই- যার স্বপ্নে আজো ও বিভোর হয়ে স্বপ্ন দেখতে সাহস পাই- যার ভরসার হাত বড় ভাই আজো ও ভরসা পাই। সীমাহীন নীল আকাশের মতো বাবা আজো ও আমায় ভালোবাসায় আগলে রেখেছে- বাবা আমার সেই ছোট্ট বেলায় আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল - আজ আমার বাবার মুখ আমার চোখে আবছা আবছা আলোয় অস্পষ্ট- তবু ও তোমায় ভুলিনি বাবা- তোমাকে খুবই মিস করি। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তুমি ঐপাড়ে ভালো থেকো সুখে থেকো। আল্লাহ তোমায় জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন আমিন-মাঃ- মা আমার মিরাক্কেল - বাবা হারানোর পর
মা ই ছিল আমার বাবা, মা ই ছিল আমার মা।
মা ই ছিল আমার পৃথিবী- মায়ের কাছেই করতাম মত সব আবদার। মাকে অনেক ভালোবাসতাম। মাকে নিয়ে অনেক সুখেই কাটছিল আমার সুখের পৃথিবী- কিন্তু সেই সুখ ও কেড়ে নিলো ভাগ্য বিধাতা। ২০১৭ সনে মা আমার আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল এই পৃথিবী ছেড়ে। আমি চিরতরে এতিম হয়ে গেলাম। মাকে খুবই মিস করছি। মা আমার জন্ম দুঃখী। মা আমার সাত রাজার ধন মানিক রতন। মা ছাড়া আজ আমি জনম দুঃখী।
💥প্রিয় ফাউন্ডেশনের সন্ধান পাওয়া💥
প্রবাসীদের জীবন কাটে অনলাইনে- বাবা-মা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন স্ত্রী-সন্তান পুত্র প্রত্যেকের সাথেই কমিউনিকেশন হয় অনলাইনে সেইসাথে প্রবাসীদের মার্কেট দৈনন্দিন জীবনের কেনাকাটা সবকিছুই হয় অনলাইনে- তেমনি আমিও কাজ করি অনলাইনে ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে- মাঝে মাঝে মোটিভেশনাল ভিডিও গুলো দেখে থাকি- আমার ইউটিউব চ্যানেল "প্রজিপতি টেলিভিশন" দেখতে দেখতে একদিন সামনে চলে আসে একটি বক্তব্য যার অসাধারণ কথাগুলো আমার হৃদয়টা কেড়ে নিয়েছিলেন যেখানে লোকটি বলেছিল, “আমি HSC তে ফেল করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইনি এখন আমার অনেক গুলো কোম্পানি এরপর চ্যানেলটির ভিতরে প্রবেশ করি এবং ভিডিও গুলো দেখতে থাকি- ভিডিওগুলো অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক- এই ভিডিও দেখার মধ্য থেকে আবিষ্কার করি, এই প্রিয় ভাইটি কাজ শিক্ষা এত কনফিডেন্সের সাথে এত সুন্দর বক্তব্য দিয়েছেন সন্ধান করতে গিয়ে ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের নাম চলে আসে আমার সামনে আমি একটু একটু সার্চ দিয়ে দেখতে থাকি দেখতে দেখতে এক সময় দেখতে পেলাম তার নিজের একটি প্লাটফর্ম রয়েছে যার নাম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশান যেখানে তিনি উদ্যোক্তা এবং ভালমানুষ তৈরীর জন্য ৯০ দিনের প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন। খুজতে থাকি প্রশিক্ষন কোথায় দিয়ে থাকে, সন্ধান করতে করতে একদিন যুক্ত হয়ে গেলাম প্রিয় ফাউন্ডেশন
ব্যাপারটা আমার কাছে মিরাক্কেল মনে হল আজ আমি সকল ভাই বোনকে খুব কাছ থেকে চিনতে পারছি আমার নিজের এলাকা অনেক পরিচিত ভাই-বোনদের সাথে আমি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি---কুয়েত টিমের এক ভাইয়ের পোস্টে কমেন্ট করি যে আমি রেজিস্ট্রেশন করতে চাই প্রিয় ভাই ভালোবেসে আমাকে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিলেন।
💥ফাউন্ডেশন থেকে যা পেয়েছি💥__________
রেজিস্ট্রেশন করার পর একটি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পেলাম একটু ব্যাচ পেলাম আস্তে আস্তে সকলের সাথে পরিচিত হওয়া শুরু করি আমার জেলা মেসেঞ্জার নরসিংদীতে যুক্ত হই--় এবং কুয়েতের যুক্ত থেকে স্যারের প্রতিদিন সেশন ক্লাস করা শুরু করি প্রতিনিয়ত নিজেকে একটু একটু গড়ার চেষ্টা করছি চাকরির পাশাপাশি যাতে আমি একজন উদ্যোক্তা হতে পারে তার কলা কৌশল শিখতে শুরু করলাম আলহামদুলিল্লাহ প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হলে অনেক কিছুই জীবনের শিখেছি নিজের অনেক পরিবর্তন এনেছি পাশা পাশি একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছি।
ভালো বাসার প্লাটফর্ম থেকে অনেক জ্ঞান অর্জন করছি প্রতিদিনই। প্রতিনিয়তই কিছু কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন হচ্ছে জীবনে......
১) ভলান্টিয়ারিং করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি
২) অনেক বড়ো একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।
৩) সাহস করে একটা ব্যবসা শুরু করেছি।
৪) দেশে এবং দেশের বাইরে পরিচিতি পেয়েছি।
৫) দশজন মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
৬) রাস্তায় দাড়িয়ে পন্য বেচাকেনা করার চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
৭) দশে মিলে মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পাচ্ছি, যা এই গ্রুপে না আসলে কখনোই করা হতো না।
৮) নেতৃত্ব দেওয়ার গুনাবলী অর্জন করছি।
৯) সর্বপরি নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেতে পেরেছি।
১০) আর সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথেই হাটছি।
💥প্রিয় স্যারের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা💥___________
আমাদের প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার সব সময় বলেন আপনারা সকলেই ভলান্টিয়ারিং করেন --নিজেকে লিডার হিসেবে তৈরি করেন-- নিজেকে একজন ভাল মানুষ হিসেবে তৈরি করার বিকল্প আর কিছুই নেই--- আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করার--তার ধারাবাহিকতায় আমি কয়েকটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর সাথে যুক্ত হই এবং নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি “মা বাবা কল্যাণ পরিষদ” যেটি প্রতি নিয়ত অসহায় বৃদ্ধ মা বাবার সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ গ্রহন করে থাকি- এছাড়াও অংশগ্রহণ করেছি সেবামূলক সামাজিক সংগঠন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যাণ সোসাইটি, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটিতে--সিনিয়র সহ-সভাপতি নরসিংদী জেলা শাখা--ফাউন্ডার মেম্বার - উদয়ন কিন্ডার গার্টেন স্কুল ও আফসার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, রায়পুরা নরসিংদী-আমার একটি ভালোবাসা এবং আগ্রহ কাজ করে সেটা থেকে আমার নিজের একটা অফলাইন বিজনেস আছে - "নরসিংদী টেলিকম" এছাড়াও আমরা ৭ জন বন্ধু মিলে একটা কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন করি -"৭ ষ্টার প্রাইভেট কোম্পানী লিমিটেড--""""বৃষ্টি সবার জন্যই পড়ে ভিজে কেউ কেউ” আমি এই বৃষ্টিতে ভিজতে চাই"""""এখন আর আগের হতাশাগুলো কাজ করে না ।এখন ইচ্ছা একটাই উদ্যোক্তা হই বা চাকুরী করি বা না করি সবার আগে একজন ভালোমানুষ হওয়া। স্যারের কথামত ফেসবুক বায়োতে লিখে ফেলেছি “ আমি একজন ভালো মানুষ” এবং হৃদয়েও ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছি--পরিশেষে সকলের নিকট দোয়ার দরখাস্ত রাখছি। আপনাকে ধন্যবাদ মনযোগ সহকারে লেখাটি পড়ার জন্য। দোয়া রইলো আপনাদের সকলের জন্য এবং আমাদের প্রিয় মেন্টর এর পরিপূর্ন সূস্থ্যতা কামনা করছি।
স্টাটাস অফ দি ডেঃ৬৫৮
তারিখঃ২৯-১০-২১
নাম: মোহাম্মদ হাসান আহমেদ রুবেল
গ্রুপ: নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন
ব্যাচ: ১৩
রেজিষ্ট্রেশন : ৫৫৮৪৩
ব্লাড :o+
নিজ জেলা: নরসিংদী
বর্তমান অবস্থান-কুয়েত