অনিশ্চয়তার উপর চলছিলো জীবন
🤲আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ🤲
🧕 শুরু করছি পরম করুনাময় মহান রাব্বুল আলামিনের নামে , শুকরিয়া আদায় করি সেই মহান রাব্বুল আলামীনের যিনি আমাদের কে সৃষ্টি করেছে ,আর প্রতিনিয়ত আমাদের এই মহামারীর মধ্যেও সুস্থ রেখেছেন । তিনি আমার পরিবার আত্মীয়-স্বজন জ আল্লাহ তায়ালার যিনি এই সুন্দর পৃথিবীতে অনেক সুন্দর সুন্দর মনের মানুষগুলোকে সৃষ্টি করে রেখেছেন আমাদের মত অসহায় মৌসুমীর উপকার করার জন্য,🤲🤲
🙏🙏সাথে সাথে আমি আর ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি, আমাদের সকলের প্রিয় ভালো মানুষ সৃষ্টির কারিগর প্রাণপ্রিয় মেন্টর ""ইকবাল বাহার জাহিদ " স্যারের প্রতি, প্রাণপ্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার না থাকলে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম না থাকলে হয়তো আমি আজ আমার প্রিয় বাবাকে আর ফিরে পেতাম কিনা জানিনা😥😥
😥 অনিশ্চয়তার উপর আমার জীবনটা চলছিল 😥
🙏🙏কারন আজ আমি অনেক কৃতজ্ঞ আমার প্রাণপ্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি তিনি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন লক্ষ-কোটি মানুষের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ এই প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের দেখানো পথে হেঁটে সফল হতে পেরেছে এখনো সফল হচ্ছে ইনশাআল্লাহ আগামীতেও সফল হবে আমি তার কাছে চিরঋণী এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য।🙏🙏
🤲🤲প্রাণপ্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার হচ্ছেন ভালো মানুষ গড়ার কারিগর। আল্লাহর কাছে সর্বক্ষণ নামাজ আদায় করে আমি দোয়া করি তিনি যেন ভালো মানুষের কারিগর , ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে নেক হায়াত দান করে, এবং তার পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থ সুন্দর থাকার তৌফিক দান করেন আমিন।🤲🤲
🌹আজকে আমি ধন্য এমন একটা প্লাটফর্ম এ যুক্ত হতে পেরে, এই প্ল্যাটফর্ম এর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই প্ল্যাটফর্ম ছিল বলে আজ আমি অনেক বড় বিপদ থেকে উদ্ধার পেলাম। আমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার বাবাকে এই প্ল্যাটফর্মের ভাইদের মাধ্যমে ফিরে পেলাম , এর থেকে বড় পাওয়া আমার জীবনে আর কি হতে পারে, যেখানে আমি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছিলাম ।
🧕নতুন হিসেবে যুক্ত হয়েছি ""জীবনে বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনে "" মাত্র এক মাস 6 দিন আগে । এরই মধ্যে আমার জীবনের অনেক বড় একটা পাওয়া এই প্ল্যাটফর্মের ভাইদের হাত ধরে আমি পেয়েছি, পেয়েছি প্লাটফর্মে ভালো মনের মানুষের দেখা পেয়েছি ভালো মানুষ হবার অনুপ্রেরণা পেয়েছি প্রিয় কিছু ভাই ও আপু দিদি দের সাহায্য । তাদের থেকে আমি যা পেয়েছি তা আমি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারব ঠিকই ,কিন্তু ভাগাভাগি করতে পারবোনা ,সেই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো যা আমার জীবনে ২৪/০৮/২০২১ তারিখে ঘটে গেছে🧕
🌹🌹যারা ভালোবেসে সব সময় পাশে থেকেছে ,পরামর্শ দিয়েছে , সান্তনা দিয়ে আমাকে ভালো রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেছে ,বিগত আমার এই কষ্টের জীবনের একুশটা দিন, ধন্যবাদ জানাই সব ভাইয়া ও আপু দিদি দের,🌹
🌹🌹এই প্ল্যাটফর্মের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রাণপ্রিয় ভাইয়া, ❤️❤️আব্দুর রহিম ভাইয়াকে ❤️ কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ও 64 জেলার রক্তের সন্ধানে ছুটেছে দিনরাত, এই আব্দুর রহিম ভাই 24 /০7/ 2021 সালে আমাকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে , এই ভালো মানুষের পরিবারের সদস্য করে নেন ,আজীবন সদস্য করে নেন , আমি গর্বিত এই পরিবারের সদস্য হতে পেরে, শুধু তাই না তিনি শুধু রেজিস্ট্রেশন করে দেননি ভালোবেসে তিনি আমার চরম অসহায় দিনগুলোতে আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে আমার মন ভালো রাখার চেষ্টা করে গেছে প্রতিনিয়ত, 🌹🌹
🙏আমি ভীষণভাবে ঋণী ""জীবনে বলার মত গল্প " ফাউন্ডেশন এর প্ল্যাটফর্ম এর প্রতি আর ঋণী তাদের প্রতি, যাদের নাম আমি না বলে আর থাকতে পারছি না, ❤️❤️ তারা হলে ❤️❤️
❤️❤️১/আব্দুর রহিম ভাইয়া কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ❤️❤️
❤️❤️২/আব্দুল আব্দুল করিম মান্না ভাইয়া সৌদি এম্বাসেডর কোর ভলেন্টিয়ার,❤️❤️
❤️❤️৩/নিবেদিতা মল্লিক দিদি কমিউনিটি ভলান্টিয়ার❤️❤️
❤️❤️৪/শিমুল আহমেদ ভাইয়া ,❤️❤️
😥আমার বড় ভাই নেই 😥
❤️আমরা দুই ভাই বোন আমার ছোট ভাই আর আমি আমার তো বড় ভাই নেই, আমি এই দুই ভাই '"❤️❤️আব্দুল করিম মুন্না ভাই এবং আব্দুর রহিম❤️❤️ ভাইকে আমার মনের সেই স্থানে বসিয়েছি, যেখানে আমার সবথেকে প্রিয় মানুষগুলোর স্থান রয়েছে আমি আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই ভাইদের কথা মনে রাখব ইনশাআল্লাহ। যারা এই দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার একুশটা দিনে আমার সহায় ছিল মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাকে সাহায্য করেছে ।🙏
🙋🙋সবাই হয়তো অবাক হয়ে ভাবছেন এত ডায়লগ দিচ্ছি কি এমন করেছে সেই ভাইয়ারা ।🙋🙋
🙏🙏তাহলে অল্প একটু বলছি শুনুন কিভাবে ঋণী হলাম এই ভাইদের প্রতি আমি, আমি গত 24 /07/2021 বিকেলবেলা আব্দুর রহিম ভাইয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে যশোর এন আর বি সেশন চর্চা ক্লাস করি সন্ধ্যা 7 টা 20 মিনিট থেকে আটটা পর্যন্ত সবাই আমাকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয়। আব্দুর রহিম ভাইয়া , সালাউদ্দিন শরিফুল ইসলাম, অপু ভাইয়া ,নিবেদিতা মল্লিক আরো অনেকেই আমাকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয়।
😆😆 আমার অনেক ভাল লাগছিল ঐদিন এমন করেত কেউ কোনদিন আমাকে শুভেচ্ছা দেয়নি। সেশন ক্লাসটা শেষ হলো যথারীতি ঘুমালাম রাত্রেবেলা।
🙏🙏পরদিন সকালবেলা নিবেদিতা মল্লিক দিদি আমাকে ফোন করে । আমি কি ব্যবসা করি , কিভাবে এগিয়ে যেতে পারি ,সামনের দিকে আর কি কি যোগ করতে পারি প্লাটফর্মে কি কি অবস্থা কে কি কেমন কি নিয়ে কাজ করলে ভাল হবে এসব নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলি । কথার ফাঁকে নিবেদিতা মল্লিক দিদি একপর্যায়ে বলল, এটা এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে আপনি বিনা পয়সায় সৌদিআরব ঘুরে আসতে পারবেন। কথাটা খুব আমার মনে ধরল , সারাদিন মাথার ভেতর সৌদি আরব কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছিল কারণ বিগত 13 বছর আমার আব্বা সৌদি আরবে থেকে দুই বছর হলো আবার ভিসা আকামা শেষে হয়ে গেছে, অনেক চেষ্টা করছে দেশে আসার জন্য কিন্তু পারতেছে না, করোনা পরিস্থিতির জন্য হচ্ছে না ,। আব্বার যে মালিকের ওখানে থাকতো মালিক খুব বেয়াদব ছিল শুধু পরিশ্রম করাতো টাকা পয়সা তেমন দিতো না। খুব কম টাকার দিত, মাঝখানে রাগারাগি করছিল তারপর আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে।
🌲🌲আব্বা সৌদিকে বলে কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার জন্য, আজ দিব কাল দিব এমন করে শুধু ঘোরায় কিন্তু দেয় না।
🌿🌿 দিন যত গড়ায় আব্বার মন ততো অস্থির হয়ে যায় আরেকটা কথা বলি আমার আব্বা লেখাপড়া জানেনা বয়স হয়ে গিয়েছে বাইরে তেমন কিছু বোঝেনা। আমার ছোট কাকার জন্য জমা দেয়া টাকা ফেরত আনতে পারছিল না বিধায় অন্য কাকারা সবাই মিলে আমার আব্বাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।
,🍁🍁 সেই থেকে 2008 সাল থেকে আমার আব্বার বিদেশ করা শুরু। জীবনে অনেক কষ্ট করেছে আমার আব্বা। ছোটবেলা থেকে খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে মানুষ, ভাইদের কথা না ফেলতে পেরে ,জোর করে সবাই মিলে আমার আব্বাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিলো সেখান থেকে আমার আব্বার কষ্টের জীবন।
😢আব্বা বিদেশে কষ্ট করে আর আমরা বাড়িতে 😢
😥যাদের মাথার উপরে ছাদনা থাকে তাদের উপর কত ধরনের ঝড়ঝাপটা আসে ,সেটা হয়তো আমি বললে সবাই শুনবে কেউ কেউ অনুভব করবে, কিন্তু কি হয় সেটা যারা ভুক্তভোগী তারাই একমাত্র বলতে পারবে ।
🌲🌲যাইহোক নিবেদিতা মল্লিক দিদির ওই কথা আমার মাথা থেকে কিছুতেই সরাতে পারছিলাম না আমি । সন্ধ্যায় আবার যখন মিটআপে যুক্ত হলাম ,তখন আমি আমার প্রিয় ভাই আব্দুর রহিম ভাইকে বললাম ভাইয়া সৌদি আরবে কি আছে ,আমাকে একটু বলেন ভাইয়া জিজ্ঞেস করল কেন বোন কি হয়েছে?? তখন ভাইয়াকে আমি বললাম ভাইয়া আমার আব্বার খুবই খারাপ অবস্থায় আছে, অনেকদিন যাবত আমার আব্বার থাকার জায়গা নেই ,কাগজ পত্রের মেয়াদ নেই ,খাবার-দাবারের কোনো জোগার নেই, এক কথায় আব্বা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছে ,আমার তো তেমন কোনো যোগাযোগ নেই ,
❤️❤️আমরা মাত্র দুই ভাইবোন আর মা, ❤️❤️
আমার স্বামী আছে আমাদের ফ্যামিলির কোন হেল্প তার দ্বারা হয় না। যাইহোক আমি অন্য মানুষের নিন্দা করবো না । আমার চাচা দেরও কোন সাহায্য নেই। আব্বা যখন বাইরে ছিল । চাচাদের যখন টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছিল তখন থেকে আমার মা আর ভাইয়ের উপর তারা অত্যাচার শুরু করে । বিভিন্ন ধরনের ।এতকিছু বা নাইবা বললাম আমি । আব্দুর রহিম ভাইকে আব্বার সম্পর্কে যেটুকু বলেছি ভাইয়া হয়তো কিছুটা অনুভব করেছিল, ভাই আমাকে বলেছে দেখছি বোন আমি কতটুকু কি করতে পারি।
❤️❤️আব্দুর রহিম ভাইয়া মুন্না ভাইয়াকে মেসেজ করে ,আমার আব্বা সম্পর্কে ।আমার আব্বা ছিল সৌদি দাম্মামে দাম্মাম শহর টা অনেক বড়। মুন্নাভাইয়ের অনেকটা দূরে থাকতো।
🌲 আমার আব্বার ফোন নাম্বার চাইল আর কোথায় থাকে সেটা জানতে চাইল। আমি আব্দুর রহিম ভাইকে ফোন নাম্বার আর দাম্মামের কোথায় থাকে আব্বা সেটা বলে দিলাম ।আমি তখনো ভাই আব্দুল করিম মুন্নাভাই ওকে চিনি না। তার সম্পর্কে আমার কোনো ধারনাই নেই। আল্লাহ যে তাকে কত বড় মন দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন সে শুধু আল্লাহ তালায় জানে ।মুন্না ভাইয়ের সাথে আব্দুর রহিম ভাইয়ের যোগাযোগ হয়। আব্দুর রহিম ভাই আমার আব্বার ইমো নাম্বার দিয়ে দেন আব্দুল করিম মুন্না ভাইকে। ভাইয়া আমার আব্বার সাথে কন্টিনিউ যোগাযোগ করেন, এক পর্যায়ে আমার আব্বার কাছে পৌঁছে যান ভাইয়া। আব্বার কাছে জিজ্ঞেস করে যে কাকা আপনি এতদিন খুব অল্প টাকা বেতনে কাজ করেছেন বাড়িতে তো কিছুই করতে পারেননি আর কিছুদিন থাকেন বাংলাদেশে করোনার খারাপ অবস্থা। আমি আপনাকে ভাল কাজের ব্যবস্থা করে দিব ,আমার আব্বা আর কিছুতেই থাকতে চায়না সৌদি আরবে।
😥এদিকে বাড়িতে আমার বড়কাকা করোনায় আক্রান্ত খুলনা আড়াইশো বেড হাসপাতাল ভর্তি ।বড় চাচার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল ।অক্সিজেন লেভেল 40 এর উপরে উঠছিল না ।আব্বা এটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম ছোটবেলা থেকে ভাই দের জন্যই জীবন শেষ করে দিল। ভাইদের লেখাপড়া শেখানো তাদের মানুষের মত মানুষ করার জন্য নিজে একটু লেখাপড়া শিখতে পারল না ।কাকা যখন অসুস্থ ছিল আব্বা তখন প্রতিদিন দুই তিনবার অনেকবার ফোন করতো। খুব আফসোস করতো আর দুঃখ প্রকাশ করত কান্নাকাটি করত আর বলতো, আমার ভাই হয়তো আর বাজবে না😥😥, আবার সেই ভয়টা ঠিক হয়ে গেল কিছুদিনের মধ্যে আমার বড় কাকা মারা গেল ।😥😥
❤️❤️এদিকে আব্দুল করিম মুন্না ভাইয়া আমার আব্বার দেশে আসার জন্য সর্বপ্রকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার ভিসা পাসপোর্ট এর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ভিসা অফিস সৌদি আরবে থাকে আরকি আমি ভালো বলতে পারব না। আব্বার কাগজপত্র ওখানে নিয়ে গিয়েছে। দেখেছে কাগজপত্র মেয়াদ বাড়ানো যাবে কিনা কিন্তু কোনভাবে কোন কাজ হয়নি ।😥😥 এর আগে আব্বা মুন্না ভাইয়ের সাথে কথা বলে যোগাযোগ হওয়ার আগে দুইজন দালালের মাধ্যমে চেষ্টা করেছে ।আব্বা ব্যর্থ আমি এখান থেকে অনেকগুলো টাকা দিয়েছি তার জন্য টাকা পয়সা সব মার গেছে আব্বা আসতে পারেনি😥😥
😥 সেভাবে কাজ বিহীন খাবার বিহীন বিহীন ঘুরে বেড়াচ্ছিল মুন্নাভাই আবার দেশে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে অনেক কষ্ট করে । যাইহোক আল্লাহর রহমতে এখন আমার আব্বা বাড়িতে পৌঁছে গেছে 😀😀 আমার কাছে আমাদের কাছে আল্লাহর রহমতে আব্বা সুস্থ এখন।😀😀
😥😥এরি মধ্যে আমার বড় কাকা মারা গেছে ।আমার মাথা পুরটাই খারাপ হয়ে গেছে ।আমাকে আমার প্লাটফর্মের ❤️❤️আব্দুর রহিম ভাইয়া ,❤️❤️শিমুল আহমেদ ভাইয়া ❤️❤️সমান তালে সান্তনা দিয়ে গেছে ওদিকে আব্দুল করিম মুন্না ভাইয়া আমার সাথে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে কন্টিনিউ যোগাযোগ রাখে❤️❤️। তারা সবসময় বলেছেন চিন্তা করো না ,শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো 👐👐কাকা যেন সহিসালামতে বাড়িতে ফিরে আসতে পারে ।বাকিটা আমরা চেষ্টা করছি।
ইনশাল্লাহ বাড়িতে পৌঁছে যাবে যা আমি আমার পরিবারের থেকে এই শান্তনা পাই নি ।কারণ আমার পরিবারে আমার মা আর ছোট ভাই আছে যারা আব্বার সম্পর্কে তেমন কিছু জানতো না আব্বার আম্মা ছোটবেলায় মারা গেছে ,আমি তার মা তাই তার সব আবদার সব সুখ-দুঃখের কথা আমার সাথে শেয়ার করে । আবার সব কথা আমি জানি ছোটবেলা থেকে ।আব্বা আমাকে মা বলে ডাকে আমি প্লাটফর্মে (মৌ আক্তার) কিন্তু আমার আসল নাম ❤️❤️মৌসুমী আক্তার যুথি ❤️❤️সবাই ভালোবেসে মৌ বলে ডাকে সে ভালোবাসার নামটাই প্লাটফর্মে আমি যুক্ত করেছি এত বড় হয়েছি ।এত বছর বয়স হয়েছে কখনও আব্বার মুখে আমার নাম শুনিনি শুধু মা বলে ডাকে একদিন ফোন না দিয়ে আমার কাছে থাকতে পারেনা ।মোবাইলে আমার নাম্বারটাও সেভ করা আমার মায়ের নাম্বার দিয়ে। আব্বার সবকিছু আমি জানি আর কেউ জানে না আব্বা যখন ফোন বন্ধ ছিল আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার মাথা কাজ করছিল না ।কারো সাথে কথা বলতে গেলে কেঁদে ফেলেছিলাম ।কতদিন ভালোবাসার প্লাটফর্মে মিটআপের যুক্ত হইনি। আব্দুর রহিম ভাইয়া প্রতিনিয়ত লিংক দিত আর বলতো। আপু সেশন ক্লাসে যুক্ত হোন দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমার মন তো আর মানে না ।আমি যুক্ত হতে পারিনা বলি ভাইয়া আমার আব্বার কোন খোঁজ পাচ্ছিনা। ওখানে কথা বলতে গেলে আমি কথা বলতে পারবোনা। আমার কান্না পাবে ।ভাইয়া বলে প্রিয় বোন আমি আছি না আপনার জন্য আমি আপনার ভাইয়া না। এমনভাবে সান্তনা আমি কোথাও পাইনি। আমার নিজের লোকের কাছ থেকেও না।😥😥😥
🙋🙋বিদেশ মানে আমরা জানি টাকা কিন্তু বিদেশের আরেক নাম বিপদ😥😥 আমরা সবাই তা জানি না ।যাদের কেউ বিদেশে থাকে তারা জানে অসুখ-বিসুখ হয়ে মরে গেলেও কেউ দেখার থাকেনা। কোন রকম বিপদেও কেউ কাউকে পাওয়া যায় না আর আমার আব্বা তো লেখাপড়া না জানা একজন মূর্খ লোক আমার আব্বার জন্য সৌদি আরব কেন। ঢাকাই তো মোটেও আমার আব্বার জন্য ভালো জায়গা না ।সেখানে সৌদি আরব ?? যদি কিনা আব্দুল করিম মুন্নাভাইয়ের মত আল্লাহর প্রেরিত একজন দূত হিসেবে কাজ করা ভালো মানুষ না থাকতো ।।আমার মনে হয় না আমার আব্বা আর দেশে ফিরে আসতে পারতো ।আমি নামাজ পড়ে এই ভাইয়াদের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি ।আল্লাহ তা'আলা যেন আব্দুর রহিম ভাইয়া আব্দুল করিম ভাইয়া এদেরকে সব সময় সহিসালামতে রাখে। এদের নেক হায়াত দান করুক। আল্লাহতালা সব সময় যেন তাদের বিপদমুক্ত রাখে তারা সুস্থ থাকে এত মহামারীর মধ্যেও ।
❤️❤️এদের সম্পর্কে যদি আমি মুখে বলি আমার খুব কম বলা হবে। কারণ আমি ভালো কথা বলতে পারিনা ।এতটা গুছিয়ে লিখতে পারি না ।আমি আমার মনের আবেগ যতটুক প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি তার থেকে আমার ভেতরে অনেকটা রয়ে গেছে ।কারণ আমি তেমন ভাবে গুছিয়ে বলতে পারিনা ।
আমি যতোটুকু বলছি তার থেকেঅনেক করেছে। এনারা আমাদের জন্য ।ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না ভাইদেরকে এদের জায়গা আমার মনের মণিকোঠায় রইল। আল্লাহ তাআলা যদি কখনো এদের সেবায় আমাকে নিয়োজিত করে ।আমি ধন্য করব নিজেকে তাদের সেবা করে।
🙋🙋আমি গ্রুপে যুক্ত হয়েছি এক মাস 6 দিন মুন্নাভাই আমাকে চেনে না জানে না, দেখিনি কখনো ,আমার পোস্টও দেখিনি ,কখনো আমার নাম হয়তো শুনিনি , তাই আমার জন্য যা করে দিল তার জন্য আমি চিরঋণী মুন্না ভাইয়ের প্রতি ।আল্লাহ তাআলা আমাকে কখনো ওই পর্যায়ে যদি নিয়ে যায় ।তাহলে আমি ভাই এর সব ধরনের খেদমত করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা হয়তো এই সকল ভালো মানুষদের পৃথিবীতে রেখেছে বলে পৃথিবীটা এত সুন্দর আছে এখনো।
❤️❤️তাইতো আমি ফিরে পেয়েছি আমার প্রাণপ্রিয় আব্বাজান কে। সকলের কাছে আমার আব্বাজানের জন্য দোয়া চাই ভালবেসে সবাই দোয়া করবেন আমার আব্বার জন্য।❤️❤️
🙏🙏সবার কাছে ক্ষমা চাইছি ।ক্ষমা করে দেবেন অনেক কষ্ট করে আমার জীবনের বলার মত গল্প প্ল্যাটফর্মের এই এক মাসের জার্নির গল্পটা পড়ার জন্য ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি ।সকলের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০৯
Date:- ৩০/০৮/২০২১
মৌ আক্তার
ব্যাচ _১৫
রেজিস্ট্রেশন _৬৮৮৭৫
জেলা যশোর
কাজ করছি হাতের কাজের থ্রি পিস শাড়ি ওরনা কুশন কভার আর ফ্লোজেন রুটি নিয়ে 🌹🌹🌹🌹🌹🌹