♥️♥️প্রিয় বন্ধুরা♥️♥️ 🥀🥀আসুন একটু ঘুরে আসি আমার জীবনের গল্প থেকে।🥀🥀
জীবনের গল্প।
💠💠💠💠💠
🥀🥀আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওবারাকাতুহ।🥀🥀
🎀🎀প্রথমেই সেই মহান রবের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ হিসেবে সৃস্টি করেছেন, আমাকে মুসলিম বানিয়েছেন, এবং সুস্থ সবল রেখেছেন।
🌷🌷 পাষাপাষি দরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি সর্বশ্রেষ্ট এবং সর্বশেষ রাসূল রহমাতুল্লিল আলামীন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর।
💠💠 আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর, এই প্লাটফর্মের সম্মানিত সপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্টাতা, জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে। যিনি তিলে তিলে আমাদেরকে এক সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলার নিরন্তর সাধনা করে যাচ্ছেন।
🌺🌺 সাথে সাথে আমাদের এই প্লাটফর্মের সকল কোর ভলান্টিয়ার, মডারেটর, ডিস্ট্রিক এম্বাসেডর,থানা এম্বাসাডর, কমিওনিটি ভলান্টিয়ার, প্রবাসী ভাইয়েরা,আজীবন সদস্য গন সহ, যারা যেই দায়িত্য পালন করে স্যার কে সহযোগিতা করছেন, গ্রুপ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সবার জন্যই ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।
♥️♥️প্রিয় বন্ধুরা♥️♥️
🥀🥀আসুন একটু ঘুরে আসি আমার জীবনের গল্প থেকে।🥀🥀
আমি আরিফুল ইসলাম। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানায় আমার বাড়ি।আমার ফ্যামিলিতে আছেন বাবা মা এবং দু' ভাই দু' বোন। এবং আমার স্ত্রী।
তবে আমার জীবনের গল্প স্বাভাবিক গল্পের চেয়ে অনেকটা ব্যতিক্রম। এ গল্প আমি কলমের কালিতে লেখিনি। লিখেছি চোখের অশ্রু দিয়ে, হৃদয়ে বয়ে যাওয়া রক্তশ্রুতের ফোটা দিয়ে।
বলতে পারেন কেন❓❓
তাহলে শুনুন।
বাবার ইসলাম ধর্ম গ্রহনঃ
আপনারা সবাই নিশ্চয় দাদা- দাদী, নানা-নানী,চাচা-চাচী- ফুফা-ফুফু মোটকথা পরিবারের আদর সোহাগ ও মায়া মমতার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন। কিন্তু আমি কোনো দিন আমার দাদা-দাদী ও নানা- নানী ও অন্যান্য আত্মীয়দের আদর সোহাগ মায়া মমতা তো দূরের কথা দুচোখ ভরে কোনো দিন তাদের দেখতেও পাইনি।
ভাবতে পারেন কেন❓❓
আসলে আমার বাবা ছিলেন পারিবারিকভাবে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। বাবা কিশোর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার অপরাধে তাঁকে পরিবার থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কোথায় যাবেন? ঘর নেই, বাড়ি নেই, আত্মীয় স্বজন কিছু নেই। সত্য দ্বীন গ্রহণ করায় আজ তিনি সর্বহারা অবস্থা।
আল্লাহর উপর ভরসা করে অবশেষে চলে আসেন ময়মনসিংহ শহরে। সেখানে এসে তিনি দিন মজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন এক মসলার মিলে। সেখানে মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, ইত্যাদি ভাঙ্গাতেন আর মেশিনারিজের কাজ করতেন। আস্তে আস্তে হয়ে উঠেন মিলের মিস্ত্রি। এভাবে চলতে থাকে আমার বাবার জীবন।
বিয়ের বছর খানেক পর আমার মায়ের কোল আলো করে বাবার আশা-ভরসার স্বপ্ন হয়ে দুনিয়াতে আসেন আমার প্রথম ভাই । কিন্তু এক বছরের মাথায় ভাইটি তার মা-বাবার বুক খালি করে চলে যান পরপারে। সংসারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
পরবর্তীতে এক বছর পর আবার আরেক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় এই সংসারে, নাম রাখা হয় আরিফুল ইসলাম। আর আমিই সেই আরিফ।
এভাবে চলতে থাকে আমাদের এই সংসার। আমার বয়স ৫/৬ বছর পর্যন্ত আমাদের থাকার কোনো নিজস্ব জায়গা ছিলো না। আমরা থাকতাম ভাড়া বাসায়। অতঃপর আমার বাবা এবং আমার নানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তাগাছার ভাবকীরমোড়ে ৪ শতাংশের একটা জায়গা কেনা হয়। আর এখানে আসার পর আমি ভর্তি হই বাড়ীর পাশের এক কওমি মাদরাসায়।
চলতে থাকে আমার পড়াশুনা। কয়েক বছর পর আমাদের পরিবারে আসে আমার ছোট বোন। এভাবে আমি এলাকার মাদরাসায় মিযান(৭ম শ্রেণী) জামাত পর্যন্ত পড়া শেষ করি। পরবর্তীতে মনে হলো আমি আর এখানে পড়বোনা। বন্ধু বান্ধবরা মিলে মিশে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা এখানে আর পড়বোনা আরো বড় মাদরাসায় যাবো।
অবশেষে আমাদের আশা পূর্ণ হলো। আমি আর আমার আরেক বন্ধু মিলে ভর্তি হলাম, ময়মনসিংহের মাইজবাড়ী মাদরাসায়। সেখানে বোর্ডিংয়ে থেকে খাওয়া দাওয়া করা আমার পরিবারের জন্য কষ্টকর,তাই হুযুরদেরকে বলা হলো একটা লজিংয়ের ব্যবস্থা করতে, আলহামদুলিল্লাহ! হুযুররা আমার জন্য একটা লজিংয়ের ব্যবস্থা করে দিলেন। এভাবে এ বছর শেষ হলো।
পরবর্তি বছর চলে গেলাম ঢাকার মানিকগঞ্জের এক মাদরাসায়। সেখানে ৪ বছর লেখা পড়া করার পর আবার চলে আসলাম ময়মনসিংহে। ভর্তি হলাম ময়মনসিংহের মাখযানুল উলুম তালতলা মাদরাসায় জালালাইন জামাতে। এভাবে ৩ বছর পড়ার পর শেষ হল কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদীস। (মাষ্টার্সের সমমান) পরবর্তী বছর ভর্তি হলাম ইসলামী আইন অনুষদ বিভাগ তথা ইফতা- ফতোয়া বিভাগে। যেটাকে আমরা মুফতী নামে চিনে থাকি। এভাবে আল্লাহ তায়ালা দয়া করে আমাকে মাওলানা মুফতী উপাধি ধারণ করার তৌফিক দান করলেন।
তবে লেখা পড়ার এই দীর্ঘ সময়টা ছিল,আমাদের পরিবারের জন্য একটা বিরাট কষ্টের সময়।😭 আমার বাবা যেহুতু আরেক জনের অধীনে কাজ করতেন, তাই মালিকের কিছু খারাপ আচরণ তার কাছে ভালো লাগতোনা। যেমন আমার বাবা একজন দ্বীনদার মানুষ, তিনি ৫ ওয়াক্ত নামায পড়েন। কিন্তু নামাযে গেলেও মহাজন অনেক কথা বলত। তাই মাঝে মাঝেই আমার বাবা কাজ ছেড়ে চলে আসতেন।
আর এটাই ছিল, অভাবের বড় একটা কারণ, খেয়ে না খেয়ে পার করতে হতো দিনের পর দিন। আমার মনে আছে ঋনের বোঝা আর অনাহারের যন্ত্রনায় এক সময় আমার মা প্রায় পাগলের মত হয়ে যায়। এমনকি এক সময় ঢাকাতেও চলে যেতে হয় আমার মা কে। সেখানে বিভিন্ন মেসে রান্না বান্না করে নিজে চলতেন এবং পরিবারের জন্য খরচ পাঠাতেন।
সেই সময়টা ছিল, আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের সময়। বাড়ীতে আহার অনাহারে জীবন যাপন আর অপরদিকে আমার পড়াশুনার খরচ বহন। উভয়টাই ছিল অনেক কষ্টের। 😭😭
আমার এখনো মনে আছে যে, মাদরাসায় ছাত্ররা সকালে দোকানে গিয়ে বিভিন্ন জিনিষ খাওয়া দাওয়া করতো কিন্তু আমি পারতামনা। অন্যরা সুন্দর সুন্দর জামা কাপড় পড়তো কিন্তু আমার ভাগ্যে তা জুটতো না। এমনকি শীতকালে একটা জেকেট কিনে পরবো সেই সামর্থও ছিলনা আমার। 😪😪
আমরা যেহেতু মাদরাসায় আবাসিক থাকতাম আর মাদরাসার সিস্টেম হলো নিচে পাকাতেই সিট করে সকলকে থাকতে হয়, তাই সকলে শীতকালে বাড়ী থেকে লেপ তোশক নিয়ে আসতো মাদরাসায়, কিন্তু আমার থাকতে হতো কাথা দিয়ে কারন আমার তো আর লেপ তোষক কেনার সামর্থ নাই। তাই রাতের বেলা পাঞ্জাবি পায়জামা পরেই এভাবে শুয়ে পড়তাম।😭😭
আমি যখন মানিকগঞ্জে পড়ি তখন অনেক সময়ই এরকম হত যে, মাদরাসা ছুটি হলে বাড়ীতে আসা যাওয়ার ভাড়া থাকতোনা, সেজন্য আমার অন্যান্য বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে চলে আসতাম। সেই সময় আমার এক ক্লাস ফ্রেন্ড মুমিন ভাই। যার কথা আমি সবসময়ই স্বরণ করি। তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হেল্প করতেন। তিনি আসার ভাড়া বাঁচিয়ে তাদের সাথে করে আমাকে নিয়ে আসতেন।দোয়া করি আল্লাহ তাকে সবসময়ই সুখে শান্তিতে রাখুন।
আমার বাবা একটু বেশি সহজ সরল মানুষ। যার কারনে যখন তিনি কোথাও কোন কাজে যেতেন কখনো সেটা ফুরিয়ে যেতেন না। যা দিতো তাই নিয়ে আসতেন। রাতের বেলায় বাড়ীতে ফেরার সময় যখন টাকা নিয়ে আসতেন, তখন দেখা যেত অনেক টাকাই ছেড়া, অচল।😪😪
আর আমাদের ফেমিলিতে অভাবের কারন আমি মনে করি ২ টি। ১/আমার বাবার মাঝে মাঝে কাজ ছেড়ে চলে আসা। ২/ আমার এবং আমার ভাইবোনদের পড়াশুনার খরচ বহন। এই ২ কারনেই আমাদের ফেমিলিতে অনেক কষ্ট।
হায়রে দুঃখ।😭😭😭
আমার এখনো মনে আছে ঈদের দিনে আমাদের আলু ভর্তা দিয়ে খেতে হয়েছে। নতুন জামা কাপড় ত অনেক দূরের কথা।দেখতাম আশপাশের ছেলে মেয়েরা ভালো পোষাক পরে বিভিন্ন কিছু খাওয়া দাওয়া করতো কিন্তু আমাদের কপালে তা জুটতো না। তবে আমরা কখনো আমাদের কষ্টের কথা কাউকে শেয়ার করতাম না। আর আমাদের পরিবারে প্রায় সকল ঈদই এমন হয়েছে যে, ১ কেজি গরুর গোশ্ত কেনার সামর্থ হয় নাই। সর্বোচ্চ ফার্মের মুরগী দিয়ে পার হতো আমাদের আনন্দের ঈদ।
তাছাড়া সবাই ঈদের সময় দাদা-দাদী নানা-নানীর কাছে যায় কিন্তু আমরা যাবো কোথায়? আমাদের ত দুনিয়াতে কেউ নাই।😪😪 অনেক সময় নীরবে চোখের জল ফেলতাম আর আল্লাহকে মনে মনে বলতাম,
~আল্লাহ আমাদেরকে এত অসহায় বনালে কেন?
কেন আমাদের দুনিয়াতে কেউ নেই?😭😭 তবুও শান্তনা এটাই ছিল যে, কেউ নেই তো কি হয়েছে। এর বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা ঈমানের মত মহামূল্যবান দৌলত আমাদের দান করেছেন।
😪আর আমার পরিবারে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছেন আমার মা। কারন আমার ফ্যামিলির যাবতীয় চিন্তাভাবনা, খরচ যোগার, খাবার-দাবারের ব্যবস্থা সবসময় আমার মা - ই করতেন। কারন আমার বাবা আসলে তেমন সংসার সামলানোর বিষয়টা ভালো করে বুঝেন না। আসলে আমাদের জীবনে মা যে কতটা দয়ালু সেটা বিপদের সময় প্রকাশ পায়।
আহ! আমার মা যে আমাদের জন্য কতটা হৃদয়বান ছিলেন! পারব কি কখনো তার ঋণ শোধ করতে? অনেক সময় বাড়ীতে খাওয়ার কিছু থাকতো না। আমরা না খেয়ে থাাকব, এটা মা কি করে সহ্য করবেন? আশপাশের দু একটা বাড়ীর কাজ-কর্ম করে দিয়ে আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসতেন।
কেউ একটা রুটি দিলেও আমার মা নিজে না খেয়ে আমাদেরকে এসে ভাগ করে দিতেন। যাতে আমরা ক্ষুধার কষ্টে না পড়ি। পড়াশুনার খরচের ব্যাপারে বাবাকে কিছু বলতে পারতাম না। কারন আমার বাবা যখন টাকা পয়শা থাকতো না তখন রাগ করে বলতেন, আমি আর তোমাদেরকে পড়াইতে পারমুনা। 😪😪পড়ালেখার দরকার নাই। বাদ দেও। কিন্তু আমার মা কষ্ট করে, অন্যের বাসার কাজ কর্ম করে, ঋণ করে হলেও আমাদের পড়ালেখার খরচ চালাতেন। আর আমার মায়ের সেই কষ্টের বদৌলতেই হয়ত আমি লেখা পড়া শেষ করতে পেরেছি।
♥️♥️মা গো ♥️♥️তোমার ঋন সত্যিই আমি কোনদিন শেষ করতে পারবোনা।
কেননা আজকে যদি আমি লেখা পড়া না করতাম, তাহলে হয়তো অন্যান্য ৮/১০ ছেলের মত আমারো রিক্সা / অটো চালিয়ে অথবা অন্য কিছু করে চলতে হত। হতে পারতামনা একজন আলেম একজন মুফতী।
কাউকে কষ্ট দিতে নেই।😭😭😭
এখন আমি আমার চোখে দেখা আরেকটা শিক্ষনীয় ঘটনা শুনাবো আপনাদেরকে। আর তা হলো আমার বাবার কাছে আমার এলাকার এক লোক টাকা পেত। সেই টাকা অভাবের কারনে ঠিকমত দিতে না পারার কারনে সে আমার বাবার গায়ে হাত তুলে। তখন আমরা ছোট। আমার বাবা যাই হোন না কেন? তিনি অবশ্যই একজন সৎ এবং ঈমানদার মানুষ। কারো সাথে কোনদিন খারাপ ব্যবহার করতে আমরা দেখিনি তাকে। আমার বাবা আমাদের পরিবারের লোকদেরকে ছাড়া কাউকে তুমি বলেও ডাকেন না। তিনি ছোট বড় সবাইকে ‘আপনি’ করে সম্বোধন করেন।
যাইহোক সেই লোকটা বাবার গায়ে হাত তোলার পর আশপাশের মানুষ সবাই ঐ লোকটাকে অনেক কথা বার্তা বলে। আর আমার বাবা চুপচাপ তা সহ্য করে ধৈর্য ধরেন। আর নীরবে চোখের অশ্রু ঝড়ান। আর আপনাদেরকে যেই কাহিনীটা আমি মূলত বলতে চাচ্ছি তা হলো, কয়েকবছর পর ঐ লোকটা রোগাক্রান্ত হয়। এমনকি তার উভয় হাত অবশ হয়ে যায়। এমনকি পরবর্তিতে সে আমার বাবার কাছে এসে মাফ চায়, এবং এই অসুস্থ অবস্থাতেই সে মারা যায়। অতএব কাউকে কষ্ট দিলে সে যদি ধৈর্য ধরে তাহলে কষ্টদাতার শাস্তি কিন্তু নিশ্চিত। সুতরাং আমরা কেউ যেন কাউকে কষ্ট না দেই। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করি।
এই ভাবে চলতে চলতে আমার পড়াশুনা শেষ হলো এবং আমরা হয়ে গেলাম ৪ ভাইবোন। কিন্তু প্রিয় বন্ধুরা আমার যেই দুঃখের কারন সেটা হলো আমি ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা মাকে শুধু কষ্ট করতেই দেখলাম। তাদের সুখটা এখনো দেখতে পারলামনা।
♥️ বন্ধুরা♥️ আমার আপাতত স্বপ্ন হলো আমি যেন আমার পুরো সংসারের দায়িত্য নিতে পারি, বাবা মা ভাই বোন সকলের প্রয়োজন পূরণ করতে পারি। আমার মা বাবার কষ্টটা যেন কিছুটা হলেও কমাতে পারি। তবে আমি মনে করি একদিন না একদিন আমাদের সংসারেও সুখ আসবে। আমার বাবা মা র মুখে দেখতে পাবো সুখের হাসি। কেননা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন~~ নিশ্চই কষ্টের সাথে সুখ আছে।~~
সেই আশা ও ভরসা নিয়েই আছি। বর্তমানে একটা মাদরাসার শিক্ষকতা করছি আর অনলাইনে টুকটাক কাজ করছি। আর আপনাদের এই প্লাটফর্ম থেকে আমি নিজেও অনেক কিছু শিখছি। কিভাবে কথা বলার জড়তা কাটাতে হয়। কিভাবে পার্সোনাল ব্রান্ডিং করতে হয়। কিভাবে বিজনেস পরিচালনা করতে হয়। কিভাবে বিজনেসের সমস্যাগুলু সমাধান করতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং আমি আশাবাদী আমিও একদিন সফল উদ্যোক্তা হবো। হবো সেরা বিজনেস ম্যান। সেজন্য দোয়া ও ভালেবাসা চাই আপনাদের সকলের।
🔰🔰যাইহোক এখন শুনাবো
গ্রুপে কিভাবে যুক্ত হলাম❓❓
ফেইসবুকে একদিন একটা ভিডিও দেখতে পেলাম। ভিডিও টা ছিল সেল্স স্পেশালিস্ট জনাব রাজিব আহমেদ স্যারের। সেই ভিডিওতে তিনি স্বাস্থ সচেতনতা নিয়ে কথা বলছিলেন। আমার কাছে ভিডিওটা যে কারনে বেশি ভালো লাগে? তাহলো ভিডিওটাতে তার কথা গুলু ছিল এমন যেগুলুকে ইসলাম/ কুরআন সুন্নাহ সমর্থন করে।যেমন তিনি বলেছিলেন, আপনি উদ্যোক্তা হতে চান? তাহলে আপনাকে আগে আগে ঘুমাতে হবে এবং খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা রাতকে তৈরি করেছেন ঘুমানোর জন্য আর দিনকে তৈরি করেছেন কাজের জন্য। (আর এই কথাগুলু সরাসরি কোরআন হাদীসে আছে) যদিও আমরা অধিকাংশ মানুষ তা ফলো করি না। তিনি এটার একটা যৌক্তিক প্রমানও দিয়েছিলেন। আর তা হলো, মানুষ যখন ঘুমায় তখন তার শরীরে হরমোন আসে। আর এই হরমোনটা আসে রাতের মাঝভাগে। এখন আমরা ত ঘুমাই রাত ১১/ ১২ টা বাজে, যার দরুন হরমোনটা আমাদের শরীরে ঠিকমত আসতে পারেনা। অতএব আমরা যদি রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাই, তাহলে হরমোনটা সঠিকভাবে আমাদের শরীরে পৌছে। আর এই হরমোনের কারনেই একটা ছেলে ছেলের মত আচরন করে এবং একটা মেয়ে মেয়ের মত আচরন করে। ত রাজিব স্যার বিষয়টার গুরুত্য বুঝাতে যেয়ে এভাবে বলেছিলেন যে, আপনি যদি ঠিকমত না ঘুমান আপনি হয়ত বড় উদ্যোক্তা হতে পারবেন কিন্তু বাবা হতে পারবেন না।😪😪
যাইহোক ভিডিওটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই ভিডিওটার ইউটিউব লিংকে ঢুকে পড়লাম। ও মা 😀 ঢুকে দেখলাম ভিডিওটা ছিল আমাদের Utv live এর। তখন আমি Utv live সম্পর্কে রিচার্স করতে করতে আমাদের প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ কে খুজে পেলাম।
এখানে এসে ত আমি আরো অবাক।😇😇
কারন যেই দেশ বাটপারির জন্য পৃথিবী বিখ্যাত 😀সেই দেশে নাকি একজন মানুষ সত্যিকারের দেশপ্রেমের কথা বলে। কথা বলে মানবতার। কথা বলে পজিটিবির। কথা বলে ভালো মানুষ হওয়া নিয়ে। কথা বলে কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হয় তা নিয়ে। কথা বলে অন্যের উপকার করা নিয়ে। যাইহোক এই সমস্ত কারনে আমি লোকটাকে ভালোবেসে ফেল্লাম।ভালোবাসার মূল কারন ছিল যেটা?
তাহলো আমি একজন আলেম। আমার সারাটা জীবন কেটেছে, কুরআন হাদীস নিয়ে গবেষনা করে এমনকি এখনও তা করে যাচ্ছি।
আর আপনারা জেনে আরো খুশি হবেন যে দুনিয়াতে এমন কোন ভালো কাজ নাই। যেই ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসে সরাসরি কোন আলোচনা নাই।আর ব্যাক্তিগত ভাবে একটা জিনিষ আমি কল্পনা করতাম আর তা হলো আমরা যারা মাদরাসায় পড়েছি/আলেম উলামাদের সাথে সম্পর্ক আছে তারা ইসলামের সঠিক মেসেজগুলু জানি। কিন্তু আমার যেই সমস্ত ভাইও বোনদের সেই সুযুগ হয় নাই তারা কিভাবে জানবে সেগুলু❓❓
আর সব মানুষ যে আলেম হবে/ দ্বীনদার হবে এটাও ত সম্ভব না। অতএব এমন একটা প্লাটফর্ম দরকার। যেখানে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই ভালো মানুষিকতা শিখতে পারবে। পজিটিব হওয়া শিখবে। শিখবে পরোপকারী হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
যাইহোক আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আমাদেরকে সেই সুযুগটা করে দিয়েছেন।আর একটা হাদীসে আছে, যে ব্যাক্তি কোন ভালো কাজের রাস্তা দেখায় সে সেই ভালো কাজটা করারই সওয়াব পায়।তাছাড়া আরেক হাদীসে আছে, এক সাহাবী নবীজী (স) কে প্রশ্ন করেছিলেন যে, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি একজন ভালো মানুষ হতে চাই। কিভাবে হবো? নবীজী (সা) বল্লেন, তুমি পরোপকারী হয়ে যাও তাহলে তুমি একজন ভালে মানুষ হতে পারবে।
সুতরাং আমরা যদি পরোপকারি হই। তাহলে আমরা ভালো মানুষ হবো। আর এই হাদীসটার সাথে আমাদের 👉@ নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের 👈অনেক মিল আছে। কেননা এই গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্য একেকজন ভালো মানুষ। যারা পজিটিভ চিন্তাধারা লালন করে। যারা একে অপরের উপকারের সবসময় উদগ্রিব থাকে। যারা মানুষ কে সঠিক পন্য দেয়। কাউকে ধোকা দেয়না। যারা চায় দেশের জন্য, ইসলামের জন্য কাজ করতে। সালাম সেই সকল ভালো মানুষদের দের জন্য। এবং তাদের রইল হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
যাইহোক বন্ধুরা এইভাবে গ্রুপটার প্রেমে পড়ে গেলাম। এবং নিজে নিজেই গ্রুপে জয়েন করলাম। পরে জানতে পারলাম গ্রুপে নাকি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাই গ্রুপে একটা পোষ্ট করলাম- আমি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই এই নামে। তারপর কয়েকজন ভাই আমাকে হেল্প করলেন। তবে আমার দূর্ভাগ্য যে, যেই ভাই আমার রেজিস্ট্রশন সস্পন্য করে দিয়েছেন, তাকে আমি ভূলে গেছি।😢 তাই সেই প্রিয় ভাই যদি আমার লেখাটা পড়ে থাকেন অবশ্যই আমাকে ইনবক্স করবেন প্লিজ। আপনার জন্য দিল থেকে দোয়া রইল প্রিয় ভাই আমার। ♥️♥️
তারপর যুক্ত হলাম আমার প্রানের জেলা ময়মরসিংহের মেসেন্জার গ্রুপে। আলহামদুলিল্লাহ সেখানে অনেক ভাই বোন আছেন যারা আমার প্রতি খুবই আন্তরিক।তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ♥️প্রিয় মোহাম্মদ আলী ভাই (কোর ভলান্টিয়ার)। ♥️ফিরোজ আলম ভাই (মডারেটর) ♥️আবদুল্লাহ আল নাশিদ ভাই (ডিস্ট্রিক এম্বাসেডর)। ♥️ রাশেদুল ইসলাম কিং ভাই (কান্ট্রি এস্বাসেডর)♥️সৌরভ ভাই (কমিউনিটি ভলান্টিয়ার) ♥️রাবেয়া হক মুন্নি আপু (কমিউনিটি ভলান্টিয়ার) ♥️শাহাদাৎ হোসাইন ভাই (কমিউনিটি ভলান্টিয়ার) ♥️ মাহবুব ভাই। ♥️তামান্না আপু (কমিউনিটি ভলান্টিয়ার)
সহ আরো অনেকেই। তাদের সকলের ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। তারা সহ ময়মনসিংহের সকল বন্ধুদের জন্যই রইল ♥️ভালোবাসা♥️ অবিরাম।
লেখাটা হয়ত অনেক লম্বা হয়ে গেছে তাই আজকে আর লিখতে চাচ্ছিনা।
পরিশেষে যারা শেষ পর্যন্ত কষ্ট করে, সময় দিয়ে আমার লেখাটি পড়েছেন সকলের জন্যই আমার দিল খেকে দোয়া ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।
আমিও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই এবং আমি যেন একজন ভালো মানুষ হয়ে আজীবন বেচে থাকতে পারি, সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা করতে পারি, সকলের কাছে সেই দুআই কামনা করি।
🔰🔰কাজ করছি🔰🔰
💠মুক্তাগাছার মন্ডা। 💠মধু। 💠কালোজিরার তেল। 💠যইতুনের তেল। 💠তিলের তেল।💠হানিনাট।💠ড্রাই ফুড। 💠বার্মিজ আচার,চকলেট,কাঠবাদাম ইত্যাদি নিয়ে।
📢📢 আমার পেইজটাতে সবাইকে ঘুরে আসার দাওয়াত রইল।📢📢
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে নং ৬২৭.
তারিখ ঃ ২৩/৯/২০২১.
♦️আমি আরিফুল ইসলাম।
♦️১৫ তম বেচ।
♦️ রেজি ৬৮৬০৬
♦️জেলা- ময়মনসিংহ
♦️ বর্তমান অবস্থান- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।
♦️মোবাইল- 01955724757
♦️পেইজ - https://www.facebook.com/মুক্তাগাছা-অনলাইন-বাজার-100692338967160/