চললাম ঢাকায় ছোটোবোনের বাসায়
চল্লাম ঢাকায় আমার একমাএ ছোট বোন থাকতো শ্যামলী ওর বাসায় উঠলাম ।ও আপনাদের তো বলিনি সাথে আমার চার বছরের মেয়েও ছিলো।আমি বাচ্চা মানুষ করেছি ,পড়াশুনাও করেছি।শ্যামলীতে সান বিউটি পার্লার এ তানজীনা আপুর কাছে প্রথম বিউটিশিয়ান কোর্স করলাম মজার বিষয় কি জানেন তিন মাসের কোর্স আমি একমাসে শেষ করেছি।সব ই আল্লাহপাকের ইচ্ছা আর আমার প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তির ফল।কাজ তো শিখলাম এখন প্র্যাকটিস না করলে তো হাত ঠিক হবেনা তাই আমার চাচাতো বোন স্বপ্নাকে বল্লাম সপ্না শুয়ে পড় তোর কপাল টা একটু পরিস্কার করি সে তো কিছুতেই রাজি হয়না অনেক কস্টে চেস্টা সফল হলো এর পর আর একটু হাত পাকালাম আমার শিলা আন্টি আর আমার মামীকে দিয়ে।আহ আমিতো বুঝে গেলাম আমি এখন পারবো তখন নাচতে নাচতে চলে আসলাম শেরপুরে।
আসার পর শুরুহলো চিন্তা এখন কিভাবে বিউটি পার্লার টা করবো কারণ আমার তো কোন নিজের টাকা নাই কোর্সের টাকাটাই আমার মা দিয়েছিলো। চিন্তায় আমি শেষ কেও টাকা দেয়না বাট আমিও নাছোড় বান্দা বিউটি পার্লার তো আমাকে দিতেই হবে কেউ টাকা দিক বা না দিক।
আমাকে বাসা থেকে না দেবার কারন আমার আব্বু সরকারী চাকুরীজীবী ছিলেন এবং শুশ্বর ছিলেন হাইস্কুলের প্রধাণ শিক্ষক তাই উনারা কেও চায়নি আমি বিজনেস করি কারণ আমাদের দুই পরিবারে আমি এবং আরো দুজন ছাড়া সবাই চাকরিজীবি আর আজ থেকে ষোল বছর আগে মফস্বলের একটা মেয়ে বিজনেস করবে এইটা ভাবাই যায়না তার মধ্যে parlaurer বিজনেস সভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ,বউ তাও আবার শিক্ষিত সে কিনা এমন পেশায় আসবে কিন্তু সবার কথায় কান না দিয়ে একটা এন,জিও থেকে লোন নিয়ে শুরু করলাম আমার উদ্যোক্তা জীবন ।আমার মনে আছে প্রথম মাসে কাজ করে আমি চার হাজার টাকা ইনকাম করেছিলাম ,ইনকাম আমি ইন্টারমিডিয়েটের পর থেকেই করি তখন সুডেন্ট পড়াতাম।আমি আমার সুডেন্ট লাইফ থেকে কাজ করি তখন পকেটমানীর জন্যে ছিলোনা আমার আব্বুর অনেক আদরের মেয়ে ছিলাম আব্বু বলতো তোমার কেন এইগুলা করতে হবে,কত টাকা তোমার হাতখরচ লাগবে বলো আমি দিচ্ছি কিন্তু আমার মাথায় সব সময় ঘুরতো যে আমাকে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে এবং এমন মানুষ হতে হবে যাতে মানুষ চেনে
চলবে.......
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০৯
Date:- ৩০/০৮/২০২১
সেলিনা আকতার
কোরভলান্টিয়ার
রেজি4337
শেরপুর,বগুড়া।