আপনার জীবনে যদি কোন ভাগ্য, চমক, মিরাকেল ঘটে থাকে, তা ঘটেছে শুধুমাত্র মা-বাবার দোয়ার কারণে। ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার
নমস্কার - আদাব 🙏🙏
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,
✍️ ঈশ্বরের নামে শুরু করছি,এবং সকলে মোঙ্গল কামনা অর্থে প্রর্থনা করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভালো মানুষ, একটি ভালো উদ্যোক্তা সমাজ, ভালো পরিবা ও ভালো পরিবেশ। যার অনুপ্রেরণা আমার আমাদের জীবন ও জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা লেখার সাহস পেয়েছি। পেয়েছি লক্ষ মানুষের মানুষের উৎসাহ অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা।
আশা করি আমার পাঠক বন্ধুরা আপনারা সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভাল আছি।
প্রতিদিনের মত আমি আজ আপনাদের সাথে "" প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার" এর ১৫তম ব্যাচ, দিন ১৯ ,ও সেশন ১৯। এই সেশন এর বিষয় উপস্থাপন করছি আমি।
👉 স্যার সেশনে বলেছেন """ ভাগ্য, চমক, মিরাকল এগুলো আমরা সবাই পেতে চাই – সবার জীবনে।"""
এই সেশন মাঝে স্যার কিছু কথা বলেছেন এবং কিছু প্রশ্ন করে গিয়েছে আমাদের তা হলো --------
১/ আপনার কষ্ট দেখে আপনার মা-বাবা কতবার কেঁদেছেন, মনে আছে?
২/সেই বাবা-মার জন্য আমরা কি বা করতে পারছি বা পেরেছি? এই প্রশ্ন নিজেকে করা দরকার।
এবং স্যার আরো বলেছেন আমদের / আপনার জীবনে যদি কোন ভাগ্য, চমক, মিরাকেল ঘটে থাকে, তা ঘটেছে শুধুমাত্র মা-বাবার দোয়ার কারণে।
✍️ এই জন্য মাকে নিয়ে লেখা -----"মা "
✍️ তাই আজ আমরা একটু মায়ের হয়ে কিছু কথা শুনবো ও বলবো।
""মা"" আমাদের এমন একটা শক্তি যার কথা বলতে গেলে দিন থেকে রাত আর রাত থেকে দিন হয়ে যাবে। আমরা সত্যি কোনোদিন "মা"কে নিয়ে একটু বিশেষ ভাবে ভাবিনা, কোনোদিন বোঝার চেষ্টা করিনা। তবে এটুকু জেনেছি, তোমাকে বুঝবার ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের বোঝার ক্ষমতা নেই যে তোমার ত্যাগ গুলো কি কি বা কোথায় কোথায় তোমার ত্যাগ আছে আমাদের জন্য, সেটা আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যা আমরা মনে রাখিনা। তবে আমাদের "মা"আমাদের এক শান্তি ও নিরাপদ আশ্রয়। আমাদের মা আমাদের মাথার আশ্রয়। আমাদের মা আমাদের বর্ষার ছাতা আর আমাদের মা আমাদের শীতকালের কাঁথা। 😢😢
শুনেছি জাপানে কোন বিদ্যাশ্রম নেই কারণ সেই দেশে প্রতি বছর তাদের স্কুল কলেজে ছেলে মেয়েদের ডেকে সকলের সামনে তার বাবা মায়ের পা ধুঁইয়ে সেবা করানো হয়। তাই হয়তো তারা বুঝে বা জানেন বাবা মায়ের ভালবাসার মত পরম আনন্দ আর কোথাও পাবেন না। আমরা সকলে বাবা- মা দিবস এলে শুধু ফেসবুকে লোক দেখানো ছবি বা লেখা পোস্ট করে থাকি। না আপাদের বাস্তব জীবনেও বাবা-মাকে ভালবাসতে হবে কোন লোক দেখানো নায়।
পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু খারাপ মা একটাও নেই। মা মানে বটবৃক্ষ, তিনি একাই একটি প্রতিষ্ঠান। মা এমন একজন মানুষ , যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে আগলে রাখেন, ছায়ার মতো পাশে থাকেন, নির্ভরতা দেন। নিজের শত সমস্যা সত্ত্বেও সন্তানদের সুরক্ষিত রাখেন, সন্তানের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না। আপাতগম্ভীর খোলসের আড়ালে থাকে তাঁর অন্য রূপ। বাইরেরটা শক্ত খোলসে আটকে রাখেন আর ভেতরটা নরম নারকেলের মতো। সন্তানের সংকটে তিনি নিভৃতে চোখের জল ফেলেন। আর সামনে দাঁড়ান ঢালের মতো।
আমরা চাইলে মা"দিবস প্রতিটা দিন প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে , তবে আমরা মা দিবস দিনটিতে একটু, বেশী ই জোর দেওয়া হয় সমাজে, কোনো ব্যাপার না, মায়েদের আশীর্বাদ ও সন্তানের ভালোবাসা একে ওপরে, সর্বদা বিরাজ মান থাকে, থাকবে, এতো সুন্দর এক মায়াবী পৃথিবীতে।
,"" মা"" তোমাকে কোনোদিন হয়তো জাপটে ধরে ভালোবাসি বলা হয়ে ওঠেনি। 😞 আজ হয়তো মা দিবস ও নয়…তবুও এই লিখাটা দিয়েই সবটা প্রকাশ করলাম "মা"। হয়তো এটা তুমি দেখতে পাবেনা কখনো, তবু বলবো এভাবেই আমাকে জড়িয়ে রেখো মা, খুব ভালোবাসি তোমায় ❤️ "মা" 😭😭
আমাদের মাঝে মাঝে এমন একটা সময় সবার জীবনেই আসে যখন আমরা একটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগি, তখন কারো পরামর্শ খুব জরুরী হয়ে পড়ে আমাদের । ঠিক সেই সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মতো একজন আদর্শ মানুষ হল মা।।
(মা, তোমাকে মনে পড়ে, আমার স্বপ্নভঙ্গের দিনগুলোতে, কিংবা পরম সুখের মূহুর্তগুলোতেও, মা, তোমাকে মনে পড়ে খুব মনে পড়ে!)
যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি, মাথার উপর তোমাকেই পেয়েছি,, সেই অভাবও মিটিয়েছ তুমি, অনেক আদরে, পরম স্নেহ মায়ায়, আমি হেসে বলতাম, মা তোমার দোয়া সাথে আছে তো আমার!! 😭
আমার যখন বাসায় ফেরার সময় হতো দেখতাম, দাঁড়িয়ে আছ তুমি বারান্দায়, তীর্থের কাকের মত! আমার অপেক্ষায়। মা তুমি যেই দিন থাকিবেনা আর। আমি সেই দিন হয়ে যাবো একা; বড় একা! আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেনা কেউ আর বারান্দায়, মাথায় রাখেনা ভরসার হাত!😭😭
তখনকি মা তুমিহীনা কষ্টের প্রহরগুলো, বুকের ভিতর জমাট কান্নার ঢেউ তুলে যাবে!, প্রতিদিন ঘর হতে বের হবার সময় তুমি বলতে, সাবধানে চলিস বাবা ! সাবধানে থাকিস বাবা। এটা বলার থাকবেনা কেহো।😭😭😭
মা ঠিক সেই সময়ে মনে হবে। তোমাকে দেয়া কথাগুলো এখনও ভুলিনি মা ! তোমার শেখানো পথে আজও হেঁটে চলেছি, দুর্গম সে পথে ঝড় আসে, ঝঞ্ঝা আসে, তবু ছুটে চলি অবিরাম, জানি, পাশে আছ তুমি; ছায়ার মত মা !! 😭😭😭😭
মা বিষাদে ছেয়ে যাওয়া মনটা, বার বার খুঁজে ফিরবে শুধু তোমায় মা, চোখের কোণে তপ্ত জল জমে,, মাঝে মাঝে বড্ড জ্বালা করবে চোখদুটো,, বার বার তোমাকে মনে পড়ে যাবে, খুব মনে পড়বে খুব মা !😭😭😭😭😭
মা মনে পরবে তোমায় খাওয়ার টেবিলে, মনে পরে যাবে স্মৃতি নিজের পাতের খাবার আমায় তুলে দিয়ে বলতে- মা তুমি খাও বেশি করে আমি তো আনেক খেয়েছি । মনে পরবে তুমি ঘুমের সময়, পাশে বসে থাকতে। না ঘুমানো পর্যন্ত আমার- মাথা টিপে দিতে। মনে পরবে তখন আমার কোন সমস্যা হলে পাশে নেই মা। তখন হয়তো অনেক বেশি মনে পরবে মা তোমায়।😭😭😭😭😭😭
তখন সুধ একটা কথাই বলবো। মা কোথায় তুমি হারিয়ে গেলে, কোন অচিনপুরে? তোমার ছেলে কাঁদছে মা- কাঁদছে একা বসে। কতদিন হয় আমি দেখিনা তোমায়, দেখে নি দু’চোখ ভরে, এসো তুমি কাছে আমার এসো মা ফিরে। 😭😭😭😭😭😭😭😭
মা ! এই একটা শব্দ আমাদের জীবনে জীবনের সমান। আমাদের জীবনে মা এমন একটা জায়গা যা আমরা ঠিক সুস্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যাই করতে পারিনা। মা আমাদের সেই গাছ তলা যেখানে জীবনের কঠোর তপ্ত রোদের মধ্যে একফালি ছায়া। যেখানে আমরা চলার পথে কিছুটা বিশ্রাম পাই। মা হলেন আমাদের বাড়ির সেই একটা কোন, যেখানে আমাদের কোনো কিছু ভুল হলে আমরা গিয়ে বসে নিঃস্বাস নিই। আমাদের জীবনে আমাদের মা ই একমাত্র মানুষ যে একদম ভেতর থেকে বোঝে, মা'য়েদের কিছু বলে দিতে হয়না, আমাদের মুখ দেখলেই কেমন করে যেন আমাদের মনের অবস্থা বুঝে ফেলে। আর তাইতো ঠিক সময়মত সঠিক সমাধান চলে আসে আমাদের হাতের কাছে।এমন কোনো অনুভূতি নেই যে আমাদের মায়েরা আমাদের জীবন সম্পর্কে জানেনা। তার জন্য আমাদের সঠিক সমাধান বলে দিতে পারে। একদিনের এর্টটি একটা মেয়ে ৯ মাস তার সন্তান কে জঠরে লালন করে এক দিনের মধ্যেই হয়ে ওঠে মা। যার ভাবনা ভালোবাসা তার সন্তান ও আর বাকি পৃথিবীর সমস্ত সন্তানের প্রতি এক ই থাকে। জীবনে যে মানুষের কাছে তার মায়ের স্নেহ থাকে সে সেই স্নেহ ভালোবাসার জোরে সারা পৃথিবী জয় করতে পারে। এমন কোনো পরিস্থিতি জীবনে থাকেনা এমন কোনো অসুবিধে আমাদের জীবনে থাকেনা যা আমাদের মা ঠিক করে দিতে পারেনা। তাইতো এখনো আমরা কোনো বিপদে পড়লে বা আমাদের কোনো পরামর্শ লাগলে আমরা প্রথমেই মায়ের কাছে যাই। এবং মা আমাদের সঠিক সমাধান খুঁজে দেন।
মা এমন একজন মানুষ যে নিজে না খেয়ে তার সন্তান কে খাওয়ালে সত্যি তার খিদে মিটে যায়। সন্তানের হাসি মুখ দেখলে তার প্রাণ খুশিতে ভরে ওঠে, ভরে ওঠে তার মন। মায়েরা সারা জীবন আমাদের সন্তানদের জন্য তাদের জীবনের সুখ শান্তি স্বাচ্ছন্দ ত্যাগ করে, সারাজীবন শুধুমাত্র কিভাবে তার সন্তান ভালো থাকবে সেই চিন্তায় তাদের দিন কাটে। মায়ের কাছে সেই সোনা কাঠি রূপ কাঠি টা থাকে যেটা দিয়ে ঘুম চলে আসে এক পলকে আর চোখের ওপর স্বপ্নের চাদর বিছিয়ে দেয় আর এক লম্বা প্রশান্তির। মায়ের সাথে শুধু কথা বলে এমন এক শান্তি পাওয়া যায় যা আমাদের সারা দিনের সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দেয়, এক অদ্ভুত ভালো লাগা ভরে দেয়। আমাদের জীবনে মা ছাড়া আমরা সকলেই অচল, তাই মায়ের জন্য উৎসর্গিত কিছু গান, কিছু কবিতা ও কিছু লেখকদের বক্তব্য থেকে তুলে এখানে দেওয়া হল কিছু। মা নিয়ে কবিতা বা মাকে নিয়ে গাওয়া গান যা আপনারা মা দিবসের ছবি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
“মায়ের গায়ে একটা গন্ধ থাকে ,ঘামে ভেজা কিংবা কোনো সুগন্ধির, বা সুনির্দিষ্ট একটা ঘ্রাণ। শুধু সন্তানরাই সে গন্ধ পায়। আমরা অনেকেই গন্ধ দিয়ে মানুষ চিনি, একটা মানুষের সঙ্গে একটা গন্ধ সেটা সুগন্ধির হোক বা তা নিজের সেটাকে আমরা একাত্ম করে নিই, তাকে সেই গন্ধ দিয়েই চিনি; আর মায়ের ক্ষেত্রে সেটা হয় আরো জোরালো।
এই জগতে সেই তো হল মা –
“ছেলেবেলায় আমায় যখন গান গেয়ে মা ঘুম পারতো , মায়ের দুটি চোখের পাতা জলে তখন কে ভেজাতো ? কি কারণে কাঁদে যে মা, বুঝিনিতো !
আঠারো শতকের মা হোক বা বিষ শতকের সন্তানকে গান গেয়ে বা গল্প বলে ঘুম পাড়ানোর অভ্যেস এ যেন একটা অমলিন অভ্যাস কথাটা বৃষ্টির সময়ে তেলেভাজা খাবার মতই অনিবার্য এই অভ্যেস যা চলে আসছে এক ই যাবে আর চলবেও হাজার বছর পরেও।
“এই জগতে সেই তো হল সত্যিকারের মা, সন্তানেরই সুখে যে হয় সুখেরি প্রতীমা !”
মায়েরা সঠিক অর্থেই সন্তানের ভালো লাগে ভালো থাকেন, সন্তানের ভালোই তারা ভালো থাকেন, তাদের সারা পৃথিবী তাই যেন তাদের সন্তান ময়, তাদের যাতে ভালো হয় তারা তাই করে একথা তো বলাই বাহুল্য।
“পৃথিবীতে সবাই বদলে যেতে পারে, কিন্তু মা কখনোই বদলায় না।”
মা আমাদের জীবনে এমন একজন যে আমাদেরকে ভালোবাসে একদম তার নিজের অংশ হিসেবে, আর তা সঠিক অর্থেই আমরা সত্যিই তো তাঁদের নিজের অংশই হই, তাই তাঁর যে ভালোবাসা আমাদের প্রতি তা কখনোই বদলায় না।
ঈশ্বর দেখিনি আমি
“মায়ের স্নেহ, মায়ের ভালোবাসা, মায়ের আশীর্বাদই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, জ্ঞানে বা অজ্ঞানে কখনো যদি তাকে অবহেলা করে থাকো, তবুও ক্ষমাসুন্দর মা ই এ জীবনে সবচেয়ে আপন।”
আমাদের জীবনে আমাদের মা বাবার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ এর কোনো মূল্য হয়না। যার কাছে মায়ের আশীর্বাদ আছে তার কাছে পৃথিবীর সবথেকে মূল্যবান ধন আছে তাই সবসময় তাদের কাছে সবকিছু আছে।
মা তোমায় ভালোবাসি।“মা গো এমন হয়না কেন,ছোট্ট দাঁড়ের বুলবুলিটি যেন, ভোরবেলা রোজ মিষ্টি সুরে, ফুল ফোটানোর মত, ঘুমটি আমায় ভাঙিয়ে দিতে সোহাগ করে কত, চোখটি মেলে খুঁজলে আমায় শিস দিতাম তখনো “
মা হল এমন এক মানুষ যার কাছে আমরা সবথেকে বেশি নিরাপদ থাকি, আমাদের জীবনের সবথেকে আরামের জায়গা হল আমাদের মা। আমাদের ছোটবেলার সমস্তটা জড়িয়ে থাকে আমাদের মা , তাদের ছাড়া আমরা আমাদের ছোটবেলা ভাবতে পারিনা।
মায়ের কোলে সব দুঃখ দূর “একটা আঙুলের ছোয়ায় সব বাধা পার, এক আঁচলের পালিশ সারা পৃথিবী পরিষ্কার, খেয়েছিস? এত দেরি কেন হল?খবর কে নেবে আর ?”
আমাদের কাছে মা মানে শুধু একটা রক্ত মাংসের অবয়ব না বদলে কিছু প্রশ্ন, কিছু উষ্ণ সমস্যা, কিছু অসম্ভব কষ্টের সময়ে পাওয়া খানিকটা আরাম আর অনেকটা ভালোবাসা সীমাহীন, অর্থহীন, স্বার্থহীন ভালোবাসা।
মায়ের হাতের শুকনো মুড়ি –“মায়ের হাতের শুকনো মুড়ি
হার মানে পোলাও লুচি।তোমার পায়ের ধুলো মাগো, ধুলো নয়তো হীরের কুচি “
মা এমন একজন মানুষ যার হাতের সমস্ত রান্না আমাদের অমৃতের মত লাগে, পৃথিবীর জট বড় রেস্তোরাঁতেই আমরা যায়না কেন আমাদের মায়ের হাতের রানার মত কারুর রান্না ই ভালো লাগেনা, আর সেই হাতে যদি আমাদের শুকনো মুড়ি ই খেতে দেয়া হয় তবে সেটাই আমাদের কাছে পোলাওয়ের সমান লাগে।
মায়ের স্নেহ।
“মাগো কোনদিন বুঝিনি তুমি কতখানি জুরে ছিলে-
বুঝিনি আমার জীবনে তুমি কতখানি ছিলে দামী ।
বুঝেছি তোমার স্নেহকে আজ মা, মেয়ের পানেতে চেয়ে, স্নেহ যে নিম্নগামী “
বর্তমানে জীবনের গতির সঙ্গে মায়ের আদরের দৈর্ঘ্যও কমেছে বেশ, চাকুরীরতা মায়ের কাছে সময় একেবারে হিসেবে করা, তার বাইরে ইচ্ছে হলেও সময় যে হয়না। তাই কোথাও গিয়ে সম্পর্কের অনুপাত গুলো বদলে গেছে, তৈরী হয়েছে নতুন নতুন অনুপাত যা কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালোই বলা যায় আর এই বদলে যাওয়া মাতৃত্বেরও আছে এক অন্যরকম স্বাদ।
মা গো তোমার ডাকে –
“মা গো তোমার ডাকে দেব সারা, তাইতো আমি জাগি
মাগো আমি জানি তুমি তন্দ্রা হারা, জাগো আমার লাগি
তাইতো আমি জাগি। “
মায়ের ডাক, মায়ের আদর, মায়ের হাত বলেন সবটাই আমাদের কাছে এক্কেবারে কাছের আদরের, ওর থেকে ভালো কিছু হয়না
মা!
আমি তোমায় খুব ভালবাসি। সন্তান হয়ে তোমাতেই আমার শুরু আর সন্তান হয়েই তোমার শেষটুকু যেন আমার কাছেই হয় হাসিমুখে।
মা, জানি তুমি কষ্ট পাচ্ছো, জানি নিজের কষ্টের মাঝেও তুমি আমায় নিয়ে চিন্তিত, আমার মঙ্গল কামনায় তুমি আজও নিবেদিত। মা আমি তোমার জন্যে, তোমাদের জন্য এভাবেই নিবেদিত প্রান হয়ে থাকতে চাই।
আমার মায়েদের আমি ভালবাসি। প্রতি মুহুর্তে বলি আমার মা’কে সুস্থ রাখো হে! শারীরীক ও মানসিক কষ্ট হতে দ্রুত মুক্তি দাও, আমার যা কিছু পুণ্য আছে তার সবটুকু দিয়ে হলেও আমার মাকে তুমি সুখে রাখো, সুস্থ রেখো, আনন্দে রাখো।
আমি আর কিছুই চাই না, চাই শুধু আমার মায়ের হাসিমুখে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার মুহুর্তগুলো যেনো আমৃত্যু থাকে আমার সাথে।
হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমার মায়ের জন্য, সকল মায়ের জন্য সন্তানের হয়ে আমার এই প্রার্থনা মঞ্জুর করে মা’কে সুস্থ স্বভাবিক আনন্দে ও খুশীতে রাখো। আর কিছুই চাই না আমার।
অনেক দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা বাবা-মা এই পৃথিবীর মায়া ছেরে চলে গিয়েছেন। আবার আমাদের অনেকের থাকতেও তাদের সন্মান করেন না বা ভালোবাসেন না।অনেকে বাবা-মা সন্তানের কাছ থেকে অবহেলিত হয়ে আজ আমাদের দেশে বিদ্যাশ্রম গোলায় রয়েছে । আর দিন কে দিন এটা বাড়ছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন এই বাবা মা না থাকলে আপনার ঠিকানা কোন অনাথ আশ্রমে হতো। এই বাবা মা না থাকলে আপনার পৃথিবীর আলোর দেখা পেতাম না।
✍️ শেষ কথা
বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে মা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ উপহার হল বাবা মা । দুনিয়ার সব মানুষের বিকল্প কল্পনা করা সম্ভব হলেও মা-বাবার বিকল্প নেই। যেমন- ভাই একাধিক হতে পারে। বোন একাধিক হতে পারে। সন্তান একাধিক হতে বাধা নেই। কাকা – কাকিমা একাধিক হতেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মা-বাবা একবার যদি দুনিয়া ছেড়ে চলে যান তাহলে তার বিকল্প কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। তাই সকলের উদ্দেশে একটাই কথা বলবো যে ভগবান কে ফুল বেলপাতা তুলসী পাতা দিয়ে ভক্তি করে পুজো দেবার আগে জ্যান্ত ভগবান অর্থাৎ আপনার বাবা মা কে একবার পুজো করুন, দেখবেন আপনার সকল দেব দেবীর পুজো আপনা আপনি হয়ে গেছে। ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন আর বাবা মাকে অবশ্যই ভালোবাসবেন।
ধন্যবাদ।
যাদে মা আছেন, আমি সেই সকল মা দের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।তোমরা আছো তাই আমরা আছি, এভাবে সাথে থেকো, এভাবেই পাশে থেকো।৷ """ মা"""
আমার লেখাটায় যদি অজান্তেই কাহারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি তা হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
✌️স্টঢাটাস অব দ্যা ডে নং ৬২৭
তারিখ ঃ ২৩/৯/২০২১.
ধন্যবাদান্তে, 🌹🌹🌹🌹
🌿🌿🌿নাম-- সুজন কর
🌿🌿🌿🌿ব্যাচঃ ১৫
🌿🌿🌿🌿🌿রেজিষ্ট্রেশন নংঃ ৬৮৬৬৩
🌿🌿🌿🌿🌿🌿জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ।
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿ব্লাড গ্রুপ- O+
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿ব্লাড মেনেজমেন্ট টিম মেম্বার 🩸
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿পেশা - ব্যবসা।