জীবনের আঁকাবাঁকা গল্প
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
(বাবাকে নিয়ে আমার জিবনের সুখ ও দুঃখের কাহিনি)
---সীমাহীন শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে যিনি আমাদেরকে এই মহামারীর কালীন সময় অসুস্থ পৃথিবীতে সুস্থ রেখেছেন রব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ
--পরম দয়াময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে কখনো শেষ হবে না। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। আল্লাহ যেন সকলকে সুস্থ রাখেন। এই করোনার হাত থেকে আমাদের সকলকে মুক্ত রাখেন এই দোয়া করি।
--চারিদিকে হাহাকার মৃত্যুর মিছিল।হাজার হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে করোনা।হাজার হাজার মানুষ অসুস্থ।তার মধ্যেও আমরা এখনো সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ।
--আমি ধন্যবাদ জানাই সকলের শ্রদ্ধাভাজন হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর আইডল শতাব্দীর সেরা পুরুষ জীবন্ত কিংবদন্তি প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।যার কারণে আমরা এতো সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি নিজ পরিবারের পরে একটি ভালো মানুষের পরিবার পেয়েছি।
😢ভাঙ্গা গড়ার খেলা😢
--এই অসুস্থ পৃথিবীতে তবুও একটু সুখের আশায়, একটু ভালো থাকার আশায়,আমরা সারাদিন ছুটে বেড়াই। আর ভালো থাকার জন্য অবশ্যই দরকার ভালো কিছু করা এবং ভালো মানুষ হওয়া।একজন ভালো মানুষ হতে পারলেই জীবনে সুখে থাকা যায়।আর সুখে থাকার জন্য ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি টাকার ও প্রয়োজন রয়েছে।
তাইতো আমরা প্রতিনিয়ত ভাবি কি করবো? কি করতে হবে আমাদের।কি করে সংসার চালাতে হবে, কি করে ভালো থাকবো সবাইকে ভালো রাখবো।
ঠিক এই সব চিন্তাগুলোই প্রত্যেক বাবারা তার পরিবারের জন্য করে থাকে। আমাদের ফ্যামিলি টা ছিল যৌথ পরিবার আমাদের পরিবারে দাদা দাদি চাচা চাচি মা বাবাকে নিয়ে আমাদের পরিবার ছিল।
আমার মায়ের কাছে শুনেছি আমার বাবা জীবনে অনেক কষ্ট করেছে। আমি জন্মের পর আমার বাবা তেলের মিলে অনেক দিন তেল ভাঙ্গানোর কাজ করেছি। তেল ভাঙ্গানোর কাজ অনেক কষ্টের। আমার বাবা রাত্রে ঘুমাতে পারতো না ব্যথার কারণে আমার মা প্রতিরাতে আমার বাবাকে তেল মালিশ করে দিত যেন তার ব্যাথাটা একটু কম হয়।
যে টাকা ইনকাম করত তা দিয়ে সংসার চলত না। অনেক কষ্ট করে সে সংসার চালাতো এভাবে কয়েকটি বছর চলতে থাকল।
-------🙂আমার বাবা পরিশ্রম🙂
-_এই ভালো থাকার আশায়,ভালো রাখার আশায়, আমার জন্মের চার পাচঁ বছর পর। অনেক টাকা ধার করে জমি বিক্রি করে আমার মায়ের গহনা বিক্রি করে নিজের পরিজন নিজ জন্মভূমি ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমান। যখন আমার বাবা বিদেশ যায় তখন আমি অনেক ছোট। আমি কখনও আমার বাবার আদর সেভাবে পাইনি।আমার বাবা বিদেশ অনেক কষ্ট করে প্রথমদিকে তার বেতনটা ততটা ভাল ছিলনা। যে টাকা বেতন পেত সে টাকা দিয়ে ধার দেনা দিতেই শেষ হয়ে যায়।আমাদের ফ্যামিলি তা ছিল যৌথ পরিবার আমার বাবা ছিল বাড়ির বড় ছেলে তাই সব দায়িত্বটা তার ছিল। সে যে টাকা ইনকাম ছিল সবই আমাদের পিছনে খরচ করেছে।সে সর্বদাই চেষ্টা করেছে আমাদের ভালো রাখতে যতটুকু সামর্থ্য ছিল সে করেছে। ক্লান্তি তার একটি অপশন আছে,,অনেক শক্তি বল ক্ষয় করেছে বিদেশের মাটিতে,যখন সে ছিন্নভিন্ন হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে,তখন সে সর্বহারা,,এক বুক দুঃখ যন্ত্রণা নিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছে দেশের মাটিতে।বাবা দেশে ফিরে আসার পর সংসারে অভাব-অনটন আবারো দেখা দেয়।আসলে বাবা বিদেশে থাকতে আমরা কোনদিনই বুঝিনি সঞ্চয় কি? হাতের মুঠোয় টাকা পেয়েছি যখন যার যতটুকু প্রয়োজন খরচ করেছি।১২টি বছর বিদেশে অন্যের গোলামী করে গায়ে খেতে আসার পর আমার বাবার বিশ্রাম হয়নি।সংসারের অভাবের টানাটানিতে আবারও আমার বাবা জমি চাষ শুরু করল, সেই ভালো রাখার চিন্তা।
বাবার কষ্ট দেখে করল, আমার ভালো লাগছিলো না।বারবার মনে হয়েছিল পিতার এই ঋণ কিভাবে শোধ করবো। জানি বাবাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না। এত কষ্ট এত পরিশ্রম শুধু আমাদের ভালো রাখার জন্য।বাবা তো বাবাই হয়,বাবাদের চোখ থাকে সব সময় সন্তানের ভালো মন্দের দিকে।হাজার হাজার স্যালুট তোমাকে বাবা।।
প্রিয় বাবা তুমি আমাদের জন্য যে ত্যাগ করেছে সেই ঋণ হয়তো বা কখনো শোধ করতে পারব না। শুধু বলতে পারি বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে কখনো সামনাসামনি বলতে পারিনি কারণ আমিতো তোমাকে কখনো কাছে পাইনি ছোট্ট বেলায়। ছোটবেলায় দেখতাম সবাই তার বাবার হাত ধরে ঘুরতে যাই। আমি তো সেটা পারেনি বাবা কারণ তুমি তো আমার কাছে ছিলে না বাবা।।।
😍আমার বাবা সুপারম্যান😍
--আমার বাবা সুপারম্যান,,,বাবা আমাদের জন্য তার জীবন যৌবনের প্রায়ই 12 টি বছর প্রবাসে কাটিয়েছে,কত প্রকার রোদে আমার বাবা কাজ করেছেন কত রাত জেগে আমার বাবা আমাদের কথা চিন্তা করেছেন।
কতো ভালো ভালো খাবার আমার বাবার চোখ দিয়ে দেখেছেন আমাদের কথা ভেবে আমরা কি খাচ্ছি এটা ভেবে আমার বাবা টাকা খরচ করে কিনে খান নাই।শুধু আমাদের কথা ভেবে,,,বাবার কাছে কখন কিছু আবদার করলে কখনও না করত না।বাবা নামের টাকার মেশিন সর্বদা টাকা পাঠাত।কখনও বুঝার চেষ্টা করি নাই আমার বাবা কত কষ্ট করে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাই আমাদের জন্য।
--এত কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে কখনো আমাদের কাছ থেকে হিসাব নেই নাই।
যে তার কষ্ট উপার্জিত টাকা আমরা কি করেছি কোনদিন সে জিজ্ঞাসা করেনি।তার রক্ত ঘামঝরা টাকা কিভাবে আমরা ব্যয় করছি।বাবা তুমিই আমার কাছে সেরা পুরুষ আমার জীবনে তুমি সুপার হিরো তুমিই সুপারম্যান।তোমায় খুব ভালোবাসি,,আজ আমি তোমার কষ্টটা মর্মে মর্মে অনুভব করি,,আজ তোমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছা করে তোমাকে খুব ভালোবাসি বাবা।
বাবারা কেন এমন হয় নিজের সব কষ্ট একা ভোগ করে সবাইকে হাসি খুশিতে রাখে। বাবারা বুঝতে দেয় না যে তাদেরও অনেক কষ্ট হয়। বাবা খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে একবার জড়িয়ে ধরি বলি বাবা আই লাভ ইউ,,,বাবা আমি তোমাকে অনেক বেশী ভালোবাসি।
-----------আমার সংগ্রাম ও দায়িত্ব-------
--আমার বাবার কষ্ট দেখে আমার ভালো লাগতো না। আমি দেখতাম আমার বাবা এত বছর বিদেশ করেও দেশে এসে কত কষ্ট করে হাল চাষ করে। বাবার কষ্ট দেখে আমি ডিসিশন নেই আমিও বাবাকে বাবার কাজে সাহায্য করবো। আমি পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার কাজে বাবাকে সাহায্য করবো।
--আমি পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার কাজে বাবাকে সাহায্য করতাম। এভাবে চলতে থাকলে অনেকটা দিন যেহেতু আমি সংসারের বড় ছেলে দায়িত্বটা আমারই বেশি ছিল।একবার ভেবেছিলাম পড়ালেখা বাদ দিয়ে দিব। আমাদের সংসার এ যেন অভাব-অনটন শেষ হচ্ছিল না।
আমি অনেক ভেবে দেখলাম আমি যদি পড়ালেখার পাশাপাশি দু একটা প্রাইভেট পড়াতে পারি তাহলে আমার নিজের খরচটা নিজে বহন করতে পারব।তারপর আমি তিন-চারটা প্রাইভেট পড়ানো শুরু করি এভাবে আমার ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত চলতে থাকে সবকিছুরই একটা শেষ থাকে।
আমার পড়ালেখা শেষ এখানে হয়ে গেল কারণ ইন্টারমিডিয়েট এর পর আমার বাবার পক্ষে আমাকে পড়ালেখা করানো সম্ভব ছিল না। এর জন্য আমি আমার পড়ালেখা বন্ধ করে দেই এরমধ্যে আমি পাসপোর্ট বানিয়ে লেবাননের জন্য পাসপোর্ট জমা দেই। বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করার পর আমার লেবাননের ভিসা লেগে যায় আমি চলে আসি লেবাননে।।
😟😟😟😟আমার প্রবাস গমন😟😟😟😟
--পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে ফ্যামিলিকে ভালো রাখার জন্য নিজে ভালো থাকার জন্য অনেক টাকা ধার দেনা করে জমি বিক্রি করে চলে আসলাম স্বপ্নের দেশ লেবাননে।
প্রথমে ভেবেছিলাম বিদেশ অনেক টাকা বিদেশে যেয়ে দুই হাতে টাকা কামাবো বাবাকে একটু সুখ দিব। কিন্তু সব সুখ সবার কপালে সয়না কিছু কিছু সুখ মানুষের সাথে বেইমানি করে,,টাকা পয়সার ঋণ করে মায়ের গয়না গাটি বিক্রি করে,বাবাকে সর্বহারা করে বিদেশে আসলাম।,কিন্তু ভাগ্যটা খুবই খারাপ তাইতো প্রবাস এসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয়েছে কাজের জন্য।অনেক ঘোরাঘুরি করেছি কাজ পায়নি,কাজ না পেয়ে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া তাও করতে পারেনি।আর বাবার মাথায় ঋণের বোঝা রেখে আসলাম দেশে টাকা ত্ত পাঠাতে পারিনি।
এভাবেই টানাটানির মধ্যে চলে যায় কয়েকটি মাস,,কোন মতে দিন এনেছি দিন খেয়েছি বিদেশের বাড়িতে,,কয়েকটা বছর নিজে কোনরকম কষ্ট করে চলেছি। কিছুদিন যাওয়ার পর আমি যে কোম্পানিতে এসেছি কোম্পানিতে গিয়ে কাজ পেলাম কিন্তু যে কাজ দিয়েছে অনেক কষ্টের ছিল। অনেক কষ্ট হত কাজটি করতে কিন্তু কিছুই করার ছিল না অনেক টাকা ধারদেনা করে বিদেশে এসেছি।মা-বাবাকে একটু ভালো রাখার আসা এভাবেই কেটে গেল আমার বিদেশের পাঁচটি বছর।
কথায় আছে কষ্টের পরে সুখ আসে আমার কষ্টের দিন আস্তে আস্তে শেষ হয়ে গেল। আমি সুখের মুখ দেখতে শুরু করলাম আমার ছোট দুই বোনের বিয়ে দিলাম ছোট ভাইকে পড়ালেখা করালাম।বাবা অনেক পরিশ্রম করে কাজ করতো বাবাকে বললাম তোমার আর কাজ করতে হবে না তুমি এখন বিশ্রাম করবে ।কিন্তু হয়তো ভাগ্য খারাপ ছিল তাইতো লেবাননে বিশাল সমস্যা দেখা দিল।
এরপর আবার সমস্যা দেখা দিল করোনা পাশাপাশি ডলারের সমস্যা।যেটা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে দিল।তারপরও একটু ভালো থাকার আশায় প্রতিনিয়ত ভাবতে হয় কি করব।
ভেবে কুল পাচ্ছিলাম না যে এখন কি করবো। যে টাকা বেতন পাই সে টাকা দিয়ে আমার পরিবার চলবে না আবারো দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কি আমি করব। আমি কিভাবে বাবাকে টাকা পাঠাবো কোন কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ আলাদিনের চেরাগের মত খোঁজ পেয়ে গেলাম ভালো মানুষ গড়ার কারিগর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে।
ইউটিউবে স্যারের মোটিভেশনাল কথা শুনতে থাকি অনেক ভালো লাগতো। আমি ভাবতাম কিভাবে এই পরিবারে যুক্ত হব।কিছুদিন যাওয়ার পর আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে যুক্ত হলাম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে।।
❤️❤️❤️❤️অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা❤️❤️❤️❤️ ____
--যেখানে আমি স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম স্যারের প্রতিদিন সেশন ও মোটিভেশনাল কথাগুলো শুনে অনুপ্রাণিত হতে থাকলাম।আমার ভিতর সাহস কাজ করতে শুরু করলো না আমিও পারবো আমাকে পারতে হবে।শুরু হয়ে গেল আমার উদ্যোক্তা জীবন।শুরু করে দিলাম একটি অনলাইন বিজনেস
আব্দুল্লাহ ফ্যাশন নামে অনলাইন একটি পেজ ক্রিয়েট করে ফেললাম।আমি চির কৃতজ্ঞ আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।তার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এত সুন্দর একটি নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন পেয়েছি।
যেখান থেকে আমরা প্রতিনিয়ত ভালো মানুষ হতে পারছি,শিখছি কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারব এবং পরিবারের সকলকে কিভাবে ভালো রাখতে পারব।প্রিয় মেন্টর সবসময় আমাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন আমাদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হতে হবে।মা-বাবার দেখভাল করতে হবে মা-বাবাকে ভালবাসতে হবে। প্রিয় মেন্টরের একটি কথা আমার মাথায় সর্বক্ষণ থাকে মা বাবার দোয়া হল সবচাইতে বড় মিরাক্কেল।
আপনি যাই করুন না কেন আপনার সাথে যদি আপনার মা বাবার দোয়া না থাকে তাহলে আপনি কোন কিছুই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। মা বাবা হল পৃথিবীতে সবচাইতে পরম আপনজন'' ধন্যবাদ প্রিয় মেন্টর আপনি আমাদেরকে প্রতিদিন সুন্দর সুন্দর দিকনির্দেশনা দিয়ে আমাদের জীবনটা গড়ে তুলেছেন।পরিশেষে একটি কথাই বলবো ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা মা❤
আল্লাহর কাছে সর্বক্ষণ প্রার্থনা করে বলি :
🤲রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা🤲
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০৭
Date:- ২৬/০৮/২০২১
শরিফুল ইসলাম
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
টপ টেন ক্লাব মেম্বার
রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার
হাট মনিটরিং টিম মেম্বার
কুইজ বিজয়ী
এসো কোরআন শিখী
রোলনম্বর: ৩৭
ব্যাচঃ ১২তম
রেজিষ্ট্রেশনঃ৪৪৯২৩
জেলাঃ কুমিল্লা
উপজেলাঃ মুরাদ নাগর
ব্লাড গ্রুপঃ(O+)
বর্তমানে লেবাননে আছি
আমার ব্যবসায়িক পেজে ঘুরে আসবেন লাইক কমেন্ট দিয়ে পাসে থাকবেন আসা করি।
https://www.facebook.com/Abdullahfashion64/