জুতা পায়ে দিয়ে স্কুলে যেতে পারতাম না টাকার অভাবে
* বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম*
আসসালামুয়ালাইকুম
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি, মহান আল্লাহ তায়ালা এখন পর্যন্ত আমাদেরকে সুস্থ এবং সবল রাখছেন। সেই সাথে রোগমুক্তির দোয়া করি আমাদের প্রান প্রিয় স্যার ও মেন্টর "জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার" সহ যেসকল মানুষ অসুস্থ আছে আল্লাহ তাদের সবাইকে সুস্থ করে দিন, আমিন।
দরুদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের বিশ্ব নবী (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) প্রতি।
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, সেই মহান ব্যক্তির যিনি আমাদের জন্য তৈরি করেছেন সুবিশাল এক ভালো মানুষের প্ল্যাটফর্ম। "নিজের বলার মতো একটি গল্প গ্রুপ ফাউন্ডেশন" প্রিয় স্যার ও প্রিয় মেন্টর জনাব" ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যারের প্রতি।একই সাথে এই প্লাটফর্মে শিক্ষা দেওয়া হয় ১২টা বিষয়ের উপর, সেই সাথে উদ্যোক্তা তৈরি এবং অনলাইনে কেনা-বেচাও হয়,এবং স্বপ্ন দেখাচ্ছেন হাজার তরুণ-তরুনীকে। কতটা হৃদয়বান ব্যক্তি হলে তার পক্ষে এরকম কাজ করা সম্ভব। সত্যি অবিস্মরণীয়।
.আজ আপনাদের সাথে আমার জীবনের কিছু গল্পের কথা শেয়ার করতে আসলাম,
আমি মোঃ সুমন রায়হান। আমি আমার পরিবারের প্রথম ও বড় সন্তান।আমার বাবারা দুই ভাই দুই ভাইয়ের মধ্যে আমার বাবা ছোট, কিন্তু দুই পরিবারের ভিতরে আমিই প্রথম, আমরা এক ভাই এক বোন ছিলাম।আমার ছোট বোন আমার ১১ বছরের ছোট ছিল সেই হিসাবে তাকে আমি আমার মেয়ের মতো করেই কোলেপিঠে করে মানুষ করেছি। কিন্তু ভাগ্যের এক নির্মম পরিহাস আমার সেই মেয়ের মতো বোনটি ২০১৭ সালের ২৯ শে এপ্রিল সর্প দংশনে মারা যায়। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি, হয়ত এই পর্যন্তই বিধি তাকে মায়ার বাঁধনে আমাদেরকে আঁকড়ে ধরার জন্য এই ধরণিতে পাঠিয়েছিল।আমার বাবারা দুই ভাই ছিল পৃথক পরিবার, আর তায় আমি সেই পৃথক পরিবারে বেড়ে উঠেছি, আমার বাবা ছিলেন একজন খাঁটি কৃষক ও দিনমজুর আর মা ছিলেন গৃহিনী। আমার দাদার আদর আমি পায়নায়, কারণ আমার জন্মের কিছুদিন পরেই আমার দাদা মারা গেছে। কিন্তু হ্যাঁ আমি যাকে পেয়েছি যার ভালবাসায় আমি বড় হয়েছি যার অনুপ্রেরণার কারণে আজ আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য সে হল আমার দাদী। যদিও দাদী কিন্তু আমি দুই পরিবারের বড় সন্তান হওয়াতে আমাকে মায়ের মতো করেই ভালবেসে গেছে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। আর আমার জন্য দুঃখের বিষয় হলো আমি আমার কর্মের টাকা দিয়ে আমার সেই ভালবাসার মানুষকে খাওয়াতে পারি নায়, কারণ আমার কর্মের আগেই তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। আমার সকল আবদার আল্লাদ আমি আমার দাদীর কাছে করতাম, দাদীর সামর্থ মতো আমাকে দিত, আর যখন না পারত তখন বাবাকে বলে আমার আবদার পূরণ করার চেষ্টা করত।আমার বাবা দিনমজুর হওয়াতে আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না।তারপরও আমার দাদী ও মায়ের ভালবাসার কারণে অভাব জিনিসটা খুবই কম বুঝেছি আমি ছোটবেলায়, অভাব বুঝতে শুরু করলাম কিশোর বয়সে এসে, যখন কিছুটা বিবেক বুদ্ধি হয়েছে।
আমি লেখাপড়াই বরাবরই মোটামুটি ভালো ছিলাম। যখন পঞ্চম শ্রেণী থেকে ৬ষ্ট শ্রেণীতে উঠি তখন থেকেই শুরু হয় আমার জীবন যুদ্ধ, টাকা পয়সার অভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারি নায়, ১ বছর গ্যাপ দিলাম, আবার ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ৭ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলাম, কিন্তু সেই একই কেস। আবার ৭ম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিতে পারলাম না, ১ বছর বিভিন্ন কাজকাম করে ভর্তি হলাম ৭ম শ্রেণিতে, উত্তীর্ণ হলাম ৮ম শ্রেণিতে। কিন্তু পড়তে পারলাম না কিছুদিন পরে অভাব অনটনের কারণে,এর মাঝখানে একজায়গায় কাজ নিলাম মাসিক একহাজার টাকা বেতনের আর থাকা খাওয়া মালিকের, ভালোই যাচ্ছিল দিন কিন্তু আমার শুধু পড়ালেখার কথা মাথায় ঘুরত, ভাবতাম আমি কি কোনদিন এস এস সি পাশ হলে যেতে পারব না। এরকম ভাবতে ভাবতে ভর্তি হয়ে গেলাম ভোকেশনাল স্কুলে ক্লাস নাইনে, ভাবলাম বাসার থেকে যদি কোন টাকা পয়সা নাও দিতে পারে আমি কামলা দিয়ে লেখাপড়া করব, লক্ষ্য ছিল একটায় পাশ করি আর ফেল করি আমাকে এস এস সির হলে যেতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ পড়াশোনা ভালোই চলছিল, নিজের খরচ নিজেই জোগাতাম সেই ক্লাস নাইন থেকেই, বাসা থেকে শুধু খাবার টা খেতাম। আমি বীমা কোম্পানিতে কাজ করেছি, ওষুধের ফার্মেসিতে থেকেছি,টিউশনি করেছি,অবশেষে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেছি।এভাবেই চলতে চলতে ৯ম শ্রেণী থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ১০ম শ্রেনীতে উঠলাম এবং ভালো ফলাফল করেই। কিন্তু ১০ম শ্রেণিতে পড়াকালীন পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার কারণে লেখাপড়া শেষ হয়ে যেতে থাকে, তারপরও কোনরকম ভাবে ধরে রেখে ২০১০ সালে এস এস সি পরীক্ষা দিই,কিন্তু ওই যে ভাগ্যের খেলা, করলাম এক সাব্জেক্টে ফেল। এক বছর পরে আবার রেফার্ড দিয়ে ৪.২৭ নিয়ে পাশ করলাম। এবার পাশ করার পরে ইচ্ছে হলো কলেজে যাব,অন্তত এইচএসসি টা পাশ করি, ভর্তি হলাম কলেজে আর পাশাপাশি করি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরী, পরিবারের অবস্থাও খুব খারাপ, ইতিমধ্যে বাবা এক্সিডেন্ট করে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছে, ডান পায়ের উরুর হাড় ভেঙে গেছে, গচ্ছিত টাকা পয়সা যা ছিল বাড়িতে সেসব টাকা পয়সা দিয়ে এবং জমিজমা বন্ধক রেখে করানো হয় বাবার চিকিৎসা,চলছে সংসারের বেহাল দশা, কিছুই বুঝে উঠতে পারি না।
সাল ২০১২ আমার জীবনের আরেক অধ্যায়, ২০১২ সালে আমি এইচএসসি পড়া অবস্থায় খুলনাতে সেনাবাহিনীর মাঠ হয়, আরেকটা কথা বলে রাখি আমি কলেজে ভর্তির পরেই কলেজে বি এন সি সি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর)এ নাম লেখায়, কারণ আমি জেলা মাঠ ছাড়াও স্পেশালভাবে আলাদা মাঠ পাব এবং অনেক ছাড় পাওয়া যায় এই মাঠে। তায় সেই স্পেশাল মাঠের সুবাদে খুলনাতে যায় সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য, কিন্তু কপাল এমন খারাপ ছিল যে, মাঠে যাওয়া আসা এবং যেহেতু আমার জেলা থেকে অনেক দূরে তায় সেখানে থাকা খাওয়ার একটা ব্যাপার আছে, আর সেই খরচপাতি দেবার মতো অবস্থা তখন আমার পরিবারের ছিল না। কারণ বাবা অসুস্থ, আর আমি যে চাকরি করি সেই বেতন দিয়েই আমাকে সংসার চালাতে হয়, আমিই একমাত্র আয়ের উৎস আর পরিবারের সদস্য চারজন।তায় কোন বেতন অবশিষ্ট তো দুরের কথা সংসার ভালো ভাবে চালাতেই হিমশিম খেতে হয়, তারপরও মাস হইতে এখানে ১০-১২ লাগবে। কিন্তু আমি এখন খুলনাতে যাওয়ার টাকা পাব কই, এইসব চিন্তা করতে করতে কখন জানি চোখের কোণা থেকে পানি পড়তে শুরু করেছে, এদিকে বাবাও বলে চাকরির দরকার নায়, যেই চাকরি করতেছ সেই চাকরিই কর, সেনাবাহিনীর চাকরির দরকার নায় আর আমরা টাকা পয়সাও দিতে পারব না তোমার চাকরিও হবে না। একথা শোনার পরে আমার কান্না যেন আরও বেশি হতে লাগলো,আমি কাঁদতে কাঁদতে রুমের ভিতরে চলে গেলাম, আমার মাকেও দেখলাম সেও কাঁদছে, আর বাবা মুখে বলল ঠিকই কিন্তু তার চোখের কোণেও পানি জমা দেখতে পেলাম।এমতবস্থায় মা আমার বড় খালার কাছে গেল টাকা ধার করার জন্য, যাইহোক টাকা পাওয়া গেল কোনভাবে, আমাকে টাকা দেওয়ার সাথে সাথে আমি কোনরকমের একটা জামা প্যান্ট পরে রওনা দিলাম খুলনার উদ্দেশ্যে, রাতে পৌছালাম খুলনাতে,যেহেতু স্পেশাল মাঠ তায় একই কলেজ থেকে অনেক গুলো ক্লাসমেট আগেই চলে গিয়েছিল, আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে গিয়েই উঠলাম একই হোটেলে। টাকা বেশি খরচ হবে তায় ভালোমন্দ তেমন কিছু খায়না, কোনরকম যেন খেয়ে থাকা যায় সেরকমই কিছু খেয়ে চলে আসি খাবার হোটেল থেকে কারণ টাকা বেশি খরচ করা যাবে না অন্তত দুইদিন থাকা লাগবে।যাইহোক সকালে মাঠে গেলাম এই পরীক্ষা সেই পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে চলে গেলাম ফাইনাল মেডিক্যালে, বসে থাকতে থাকতে রাত ১০ টা বেজে গেল কিন্তু মেডিক্যাল হয়না। আমি ভাবলাম আমার চাকরি হয়ত হবেই না, তায় ১০০০ টাকা মানিব্যাগের এক কর্ণারে রাখলাম যদি চাকরি না হয় তাহলে বাড়িতে আর যাব না, চলে যাব ঢাকাতে। পরেরদিন আবার গেলাম সকাল ৮ টা থেকে মাঠ শুরু হল আর আমার মেডিক্যাল হল দুপুর ১ টার সময়, কিছক্ষণ পরে মেডিক্যাল রিপোর্ট আসল আমি মেডিক্যাল এ উত্তীর্ণ হলাম কিযে এক আনন্দ পেলাম এভাবে করতে করতে বিকাল চারটার দিকে আমাদের ৩২ জনের এপারমেন্ট কার্ড হাতে দিল, সেদিন মনে হল দুনিয়ার সব সুখ আজ আমার কাছে ধরা দিয়েছে, আমি মহা আনন্দ, মাকে ফোন দিলাম মা আমার চাকরি হয়ে গেছে, মা সাথে সাথে কান্না করে দিল আমি বললাম মা আমি আগামীকাল বাড়ি আসতেছি। আমার ট্রেনিং শুরু হবে ৬ই জানুয়ারি ২০১৩ সালে।
২০১৩ সালে এখন আমার নতুন জীবন শুরু হল, আমি কিন্তু সেই সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি ছাড়িনি কারণ আমি ট্রেনিং এ যাওয়ার আগ পর্যন্ত যদি চাকরি না করি তাহলে আমাদের সংসার চলবে না তায় ট্রেনিং-এর ৩ দিন আগে চাকরি ছেড়ে দিই। যেদিন ট্রেনিংয়ের জন্য বাড়ি থেকে রওনা দিলাম মায়ের সে কি কান্না, মাকে বিদায় দিয়ে চলে আসলাম বাজারে গাড়ির জন্য, একসময় গাড়ি আসল গাড়িতে উঠব এমন সময় দেখলাম আমার সেই পঙ্গু বাবার কান্না , আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, কান্না করতে করতে গাড়িতে উঠে গেলাম এবং অনেকখানি রাস্তা কান্না করেছি আমি সেদিন। সেদিন বাবার চোখে দেখতে পেয়েছিলাম আনন্দের কান্না, এবং এই প্রথম বাবা আমার সামনে জোরে জোরে কাঁদতেছে।চলে আসলাম চিটাগং ট্রেনিং সেন্টারে ৬ মাস ট্রেনিং শেষে বাসায় গেলাম এসময় আরেক মহা আনন্দ, এখন সব আত্বীয় স্বজন খোঁজ খবর নেয়, বাসায় যাইতে বলে অথচ আমাদের যখন দুরাবস্থা ছিল তখন কেউ খোঁজ নেয়নি। তবুও আমি সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলি সবার সাথে ভালো ব্যাবহার করি,এভাবেই চলতে থাকল আমার চাকরি জীবন। এখন মহা আনন্দে দিন যাপন করি।
কিন্তু মনে মনে ভাবতাম এই চাকরি যদি না থাকে তাহলে আমার কি উপায় হবে, আমি কি করে চলব৷ এরই মধ্যে সন্ধান মিলল আলাদীনের চেরাগের মতো নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের, এই নাম দেখে গ্রুপে জয়েন্ট হই দেখি মোবাইলে নোটিফিকেশনে প্রতিদিন একটা করে পোস্ট আসে আর আমি সেটা মনোযোগ দিয়ে পড়ি, যতই পড়ি ততই যেন আমি নিজেকে অন্যরকম ভাবি, এভাবে কয়েক্টা পোস্ট পড়ার পড়ে সেই সেশন শেষ হয়ে গেল। আমি রেজিষ্ট্রেশন করলাম ৯ম ব্যাচে ভর্তির পরে একে একে ৯০ টি ক্লাশ করার পরে আমার ভিতরে এত আত্তবিশ্বাস জন্ম নিল যে এখন ভাবি আমি চাকরি না করেও ব্যাবসা করে বা উদ্দোক্তা হয়ে খুব ভালো ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব এবং আরো ৫ জনের কর্মের ব্যাবস্থা করে দিতে পারব। আর এখন সেটা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি,বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা আর আমার নিজের চেষ্টা।
আমার দাদী আমার কষ্ট দেখে বলত দাদাভাই তুমি একদিন অনেক বড় হইবা, একদিন অনেক টাকা হবে তোমার এমনো সময় ছিল আমি জুতা পায়ে দিয়ে স্কুলে যেতে পারতাম না টাকার অভাবে, তায় কান্না করতাম তখন আমার দাদী বলত দাদাভাই একদিন তোমার ভালো ভালো জুতা থাকবে কাপড় থাকবে এই অভাবের দিন সবসময় থাকবে না তোমার, আজ আমার সেই দাদীর কথাগুলো সত্যি হয়েছে ঠিকই কিন্তু দেখার জন্য সেই দাদী আর নায়। এখন আল্লাহর রহমতে চাকুরির সুবাদে আর স্যারের দিকনির্দেশনা মতো অসহায় দুস্থ মানুষদেরকে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করি, আল্লাহ যতটুকু টাকা পয়সা দিয়েছে তার মধ্যেই অসহায় মানুষকে দিই, বাড়ির পাশের প্রতিবেশীর খোজ খবর নিই, তাদের মুখেও হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি। আল্লাহ যদি আমাকে আরো বড় করে ইনশাআল্লাহ তখন মানুষকে আরো সাহায্য করব।
পরিশেষে বলতে চায় গল্প লিখতে গেলে আরও অনেক কিছু লেখা যেত কিন্তু বড় হয়ে যাওয়ার কারণে মেইন মেইন পয়েন্ট গুলো উল্লেখ করে নিজের জীবনের গল্প আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম। আর একটা কথা চেষ্টা করলে সফল হওয়া যায়।
নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের" ভাইয়া এবং আপুদের জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা।
শ্রদ্ধা ভালবাসা এবং সালাম জানাচ্ছি গ্রুপের সকল #কোরভলান্টিয়ার_মডারেটর_কান্ট্রিএম্বাসেডর_কমিউনিটি_ভলান্টিয়ার_ডিস্ট্রিক্ট_এম্বাসেডর_হাটমনিটরিংটিমের সদস, টপ ২০ ক্লাবের সদস্য,উপজেলা এম্বাসেডর, ক্যাম্পাস এম্বাসেডর সহ গ্রুপের সকল ভাইয়া ও আপুদেরকে, যাদের সর্বাত্বক প্রচেষ্টার ফলে আমরা ভাল মানুষের গ্রুপটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি।
আরও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমার প্রান প্রিয় জেলা চুয়াডাঙ্গার সকল ভাইয়া ও আপুদের কে।
"নিজের বলার মত গল্প প্ল্যাটফর্ম "একটা পরিবারের মতই। আমরা একে অপরের ভাই- বোন, আমরা সবাই সবার বিপদেআপদে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। #আর_সবসময়ই_একটা_কথা_মাথায়_রেখে_চলতে_হবে_যে_আমি_কারো_উপকার_না_করতে_পারলেওযেন_ক্ষতির_কারণ_না_হয়।
আমি দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থী আপনাদের কাছে, আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার লেখাটি পড়ার জন্য। আমার লেখার ভিতরে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি" নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপ ফাউন্ডেশন "এর গর্বিত সদস্য।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে--৬১০
Date: 31/08/2021
মোঃ সুমন রায়হান
উপজেলা এম্বাসেডর, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা।
ব্যাচঃ- নবম
রেজিস্ট্রেশন নংঃ ১১৯৩২
রক্তের গ্রুপঃ- এ পজিটিভ
উপজেলাঃ চুয়াডাঙ্গা
জেলাঃ- চুয়াডাঙ্গা
বর্তমান অবস্থানঃ চট্রগ্রাম সেনানিবাস।