আমি চাকরি করার স্বপ্ন দেখি না চাকরি দেওয়ার স্বপ্ন দেখি।
আমার কাছে উদ্যোক্তা মানে কারো কথা মত না চলে, কারো হুকুম না মেনে নিজের মত করে নিজের একটা সাম্রাজ্য তৈরি করা।একজন উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক রিস্ক নিতে হয়।
আমাদের স্যার বলেন "প্রতিটি উদ্যোগই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তাই যে কোনো কাজ চ্যালেঞ্জ নিয়ে করতে হবে।তাহলে জীবনের কোনো অবস্থায় বাধার সম্মুখীন হব না।
এই ফাউন্ডেশন আসার পূর্বে আমি ছিলাম এক কথায় অলস, ভিতু একটা মেয়ে।ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি আমাকে ভালো মত পড়াশোনা করতে হবে এবং ভালো একটা চাকরি করতে হবে।স্কুল জীবনে আসার পর আমি A+ এর পিঁছনে দৌড়াতাম।কিভাবে প্রতিযোগিতা করে ভালো রেজাল্ট করা যায় সেই চিন্তা করতাম।কখনও ভাবি নাই যে সার্টিফিকেট এর পাশাপাশি আমাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।কারন বলার মত কেউ ছিলো না।যারা ছিলো তারা চাকরি কেই প্রাধান্য দিতো।আমিও সেই পথে চলতাম।পরিশ্রম করতে মন চাইতো না।নিজের কাজ গুলাও নিজে করতাম না ঠিক মত।এককথায় পরনির্ভরশীল যাকে বলে।
এই ফাউন্ডেশনে এসে আমি সফল উদ্যোক্তা হতে পারব কিনা জানি না।তবে আমি ভালো মানুষ হতে পেরেছি।এখন হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগবে তাহলে কি আগে খারাপ ছিলেন? স্যার বলেছেনঃ
আমি কখনও নিজেকে ভালো রাখতাম না।নিজের যত্ন নিতাম না।নিজের কাজ নিজে করতাম না।কারো সমস্যা দেখলে সাহায্য করার জন্য তেমন আগ্রহ দেখাতাম না।কিন্তু আজ এই গ্রুপের শিক্ষা নিয়ে আমার মধ্যে অনেক অনেক পরিবর্তন আসে।স্যার বলছেন,,, সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে।এখন নিজের যত্ন নিজেই নেই।এখন যত টুকু পারি অন্যকে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করি।নিজে না পারলে আরেক জন কে বলি। কারন এই গ্রুপে এতো ভালো ভালো ভাইয়া আপুরা আছেন যারা আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।তাদের কাজ দেখলেই মনে হয়, তারা প্রবাসে থেকে পারে আমরা দেশে থেকে পারব না কেনো।তখন নিজের মধ্যেই কাজ করার স্পিহা চলে আসে।এই ফাউন্ডেশনে না আসলে এতো পরিবর্তনের হয়তো সুযোগ হতো না।
পয়েন্ট আকারে কিছু পরিবর্তন নিম্নরুপঃ
আমার মধ্যে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার তাড়না হচ্ছে।
কথা বলার জড়তা কমে গেছে।তাই খুব সহজে সবার সাথে কথা বলতে পারি।
প্রতিদিন এর সেশন চর্চা করে উপস্থাপনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইংরেজি লিখা ও বলার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কনটেন্ট তৈরি করার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খুব সহজে সবার সাথে মিশতে পারতেছি।যা আগে কখনও পারতাম না।
কুরআন শিক্ষা ক্লাস করে সহিহ শুদ্ধ কুরআন পড়তে পারি।
বিভিন্ন পোস্ট লিখে এখন ভালো বাংলা লিখতে পারি।
এই অল্প দিনে অনেক অনেক কিছু অর্জন করেছি এই ফাউন্ডেশন থেকে।এখানে দেওয়ার মত কিছু নেই নেওয়ার মত অনেক কিছু আছে।শুধু লেগে থাকতে হবে তাহলেই নিতে পারবে।আমার জীবনে দেখা সেরা একটা ফাউন্ডেশন। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ভালো মানুষ।
প্রতিদিন স্যার এর শিক্ষা নিয়ে এখন আমিও সবার মত স্যার এর একজন নিয়মিত ছাত্রী। এখন আমার প্রিয় স্লোগান,
এখন আর আমি চাকরি করার স্বপ্ন দেখি না।চাকরি দেওয়ার স্বপ্ন দেখি।তাই আমার লক্ষ্য আমি একজন সফল উদ্যোক্তা হব।শুধু আমি সফল হলে হবে না তাই আমি আমার মত যারা ছাত্র জীবনে আছে তাদেরকে এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত করার জন্য কাজ করব।আমি কলেজ ভিত্তিক কাজ শুরু করে দিয়েছি।ইনশাআল্লাহ এক দিন সব ছাত্র -ছাত্রীর কাছে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের শিক্ষা পৌঁছে যাবে।আর তাদের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব আমাদের।কারন ছাত্র জীবনে থেকেই যদি কেউ এই ফাউন্ডেশনের শিক্ষা নিতে পারে তাহলে সফলতা তার জীবনে খুব তাড়াতাড়ি ধরা দিবে।
আমার মত যারা শিক্ষার্থী আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃপ্রিয় আপু ভাইয়ারা আমরা যে কলেজ বা ভার্সিটিতে পড়ছি আমরা আমাদের বন্ধুদের ফাউন্ডেশন সম্পর্কে বুজাবো।একবার যদি কেউ ফাউন্ডেশনে আসে এবং স্যার এর শিক্ষা নিতে পারে সে আরও ১০ জন কে আনবে এ ভাবেই আমাদের ফাউন্ডেশন বড় হবে।সবাই শিখার সুযোগ পাবে।বিনা মূলে ৯০ দিনের এই কোর্স বাংলাদেশের কোথাও করানো হচ্ছে না।তাই নিজে শিখি এবং অন্যকে শিখতে সাহায্য করব।
- আমার এতো পরিবর্তনের পিছনে সেশন চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।শুধু গ্রুপে থাকলেই হবে না।নিয়মিত সেশন চর্চা করতে হবে।কারন সেশন চর্চায় আসলেই সবাই সবাইকে চিনে।আমাদের জেলার অনেক ভালো আপু আছেন কিন্তু ২০/২৫ জন ছাড়া কেউরে চিনি না।কারন তারা সেশন চর্চায় আসে না। তাই নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য সেশন চর্চা এবং বিভিন্ন মিট আপে থাকা খুবই প্রয়োজন।আমি সেশন চর্চা কে আমার প্রতিদিন এর রুটিনে একটা জায়গা করে দিয়েছি।যেখানে আমাকে থাকতেই হবে।ইনশাআল্লাহ আমি যত দিন পারি লেগে থাকব এই ফাউন্ডেশনের সাথে।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬২৯
Date:- ২৬/০৯/২০২১ইং
ধন্যবাদান্তে
আমি তাহামিনা আক্তার
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
ব্যাচঃ১৪
রেজিষ্ট্রেশনঃ৬৬৩৯৩
জেলাঃ লক্ষ্মীপুর
বর্তমান অবস্থানঃ নোয়াখালী
কাজ করছিঃ বেবি কাঁথা নিয়ে