কোন অবহেলা বা অনাদর আমাকে পোহাতে হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।
আমি মধ্য বিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমরা তিন ভাই বোন।আমি পরিবারের বড় মেয়ে, তারপর আমার বোন এবং ভাই সবার ছোট। আমার আব্বু গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন। আমার আম্মু গৃহিনী।আমার শৈশব কাটে আমার নানুর বাড়িতে।আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশি দুরে নয়,১৫ মিনিটের রাস্তা। নানু বাড়ির কাছাকাছি মসজিদেই আব্বু আজান দেন এবং নামাজ পড়েন।আমার জীবনে আমার নানু, নানা, মামা,খালাদের অবদান অনেক বেশি। আমার আব্বু মাঝে মাঝে বলেন, আমার শরীরের চামড়া দিয়ে আমার নানুর জন্য জোতা বানিয়ে দিলেও নাকি আমার নানুর ঋণ আমি সুধ করতে পারবো না। আমি খুব ছোট থাকতেই নাকি আমার বোন জন্ম নেয়, আর আমার বোন আসার পর থেকে নানুর কাছেই আমাকে রেখেছেন। নানুই আমাকে লালন পালন করেন।আমাদের তিন ভাই বোনের পোশাক আসাক এবং পড়া লেখার খরচ মামারাই বেশি দিতেন।
আল্লাহ যেন আমার নানু এবং নানা ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মালিক বানিয়ে দেন। আমার মামা এবং খালাদের নেক হায়াত দান করেন। তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করেন। আমার শৈশব খুব আনন্দেই কেটেছে, আলহামদুলিল্লাহ...।
কোন দুঃখ কষ্ট আমাদের স্পর্শ করে নি।
আলহামদুলিল্লাহ....।
আমি ছোট বেলা থেকেই ছিলাম খুব সান্ত, লাজুক এবং চাপা সভাবের।তার জন্য কোন সমস্যা হয়নি, সবাই আলহামদুলিল্লাহ আমাকে ভালো বাসতো। কোন অবহেলা বা অনাদর আমাকে পোহাতে হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।
স্কুলেও একই অবস্থা। ২০০৭ সালে আমি SSC পরীক্ষা দেই। আর পরীক্ষার পরপরই আমার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের একদিন পর রেজাল্ট বের হয়।বিয়েটা হয় আমার মামাদের অমতে। মামারা যা-ই করুক আমার জন্য, মেয়েতো আব্বুর। তাই আব্বু কাকাই বিয়ে ঠিক করে। বিয়ে তো নয় যেন আমাকে যুদ্ধের ময়দানে ছেড়ে দেয়া হলো।
এতো দিন জীবনটা যতটা সহজ,আনন্দময় ছিলো, এখন ততোটাই কঠিন মনে হতে লাগল। যখন বিয়ে হয় তখন আমার বয়স ১৬ বছর শেষের দিকে। তারপরও সংসারের মানে বুঝতামনা এখন যতটা বুজি।আমি ভাবতাম বিয়ের আগে যেমন পরেও তেমন। আমার বাড়িতে আমি যেমন স্বামীর বাড়িতেও তেমন। আমার আম্মু, আব্বু, ভাই, বোন আমার কাছে যেমন, স্বামীর মা,বাবা,ভাই, বোন আমার কাছে তেমন। কিন্তু না পুরোটাই আলাদা জগৎ। আমার সান্ত,লাজুক, চাপা সভাবের জন্য বিয়ের আগে যতোটা প্রশংসা, ভালোবাসা পেতাম, বিয়ের পর এই সভাব আমার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়।পরিবারের বড় মেয়ে হওয়া যতোটা আনন্দের,বড় বউ হওয়া ততোটা জটিল। আমাকে বুঝানোর কেউ ছিল না কিন্তু ভুল ধরার অনেক লোক ছিলো। যাইহোক নেগেটিভ পজিটিভ নিয়েই মানুষের জীবন। ২০০৮ সালে আমার প্রথম সন্তান জন্ম নেয়।সাথে সাথে সমস্যাও আমার প্রতি অবহেলা বাড়তে থাকে।আমার এই কষ্টের দিনে আমার আম্মু ছাড়া কেউ আমার পাশে ছিলো না।আম্মু এবং নানু আমাকে অনেক বুঝাতো এবং সান্ত্বনা দিতো।কষ্ট চেপে রাখতে রাখতে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। অনেকবার আত্মহত্মাও করতে গিয়েছিলাম। আল্লাহ আমাকে এই ফিতনা থেকে বাচিয়েছেন,আলহামদুলিল্লাহ...। তারপর ২০১২ সালে আমার বড় মেয়ে জন্ম নেয়। আর কন্যা সন্তান যে "আল্লাহর অশেষ রহমত" আমি তার প্রমাণ পেলাম। আমার মেয়ে দুনিয়ায় আসার পর আমার সকল নেগেটিভ ছায়াগুলো পজিটিভ রুপ নিতে শুরু করে, আলহামদুলিল্লাহ...। আমার স্বামী আমাকে বুঝতে এবং মুল্যায়ন করতে চেষ্টা করে।আর কোন স্বামী যখন তার স্ত্রীকে মুল্যায়ন করে, সারা পৃথিবী তাকে মুল্যায়ন করে। আমি তার প্রমাণ। তারপর ২০১৫ তে আমার ছোট মেয়ে হয়। এখন আমার মনে হয় আমার চেয়ে সুখী দুনিয়ায় আর কেউ নেই। যদিও অঢেল টাকা পয়সা নেই তবুও সুখের অভাব ছিলো না।আমার স্বামী একজন সরকারি চাকুরিজিবী। কিন্তু আমার সব বাচ্চাই সিজারিয়ান, তাই দিন দিন আমি অসুস্থ হতে থাকি। মাইগ্রেনের ব্যাথা,বেকপেইন,চোখে কম দেখা ইত্যাদি।সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে ৫ দিনই অসুস্থ থাকতাম।
তারপরও আমার স্বামী আমার খুব খেয়াল রাখে। সবই ছিল আল্লাহর অশেষ রহমত।হয়তো ধৈর্যের পুরস্কার।আমার আম্মু পাশে না থাকলে হয়তো আমি ধৈর্য ধারণ করতে পারতাম না। সবই আল্লাহর ইচ্ছে।
তবে আমার আম্মু সবসময়ই আমার জন্য টেনশন করতো, বলতো আমি নাকি বেশি দিন বাঁচবো না।২০২০ সালে আমি আবার কন্সিব করি।ব্যাপারটা আমি আর আমার স্বামী গোপন রাখি।আমি বলতে ভুলে গেছি, বিয়ের ২ বছর পরে আমি আমার স্বামীর সাথে কোয়ার্টারে চলে আসি।করুনা মহামারীর কারণে আমাদের বাড়িতে যাওয়া হয়নি এবং বাড়ি থেকেও কেউ বাসায় আসেনি তাই গোপন করা সম্ভব হয়। তবে, পড়ে বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে আম্মুকে বলতে বাধ্য হই। আবার শুরু হয়ে গেল আম্মুর টেনশন, আমাকে আর বাচানোই যাবে না। আমি আম্মুকে বুঝাই, যে আমার আয়ু থাকলে আমি অবশ্যই বাঁচবো এবং সুস্থও হবো ইনশাআল্লাহ..., তুমি শুধু আমার জন্য দোয়া করো।
সেই থেকে শুরু হয় আম্মুর প্রস্তুতি, আমাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে, আমাকে কিভাবে সেবা যত্ন করবে, কে বাড়িতে থাকবে, কে হাসপাতালে থাকবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। কেননা, এটা আমার ৪র্থ সিজার। এভাবে, আমি তখন আট মাসের প্রেগন্যান্ট। করুনা পরিস্থিতি তখন ভয়াবহ। হঠাৎ আম্মু অসুস্থ হয়ে যায়। আম্মুর জ্বর হয় এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আম্মুর আগে কখনো এতো শরীর খারাপ হয়নি, শ্বাসকষ্টও কখনো হয়নি।
পরে আম্মুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়,তাও আবার ICU তে সিফ্ট করতে হয়।
ধিরে ধিরে আম্মু আরও বেশি অসুস্থ হতে থাকে, কিন্তু আমাকে জানানো হয় আম্মু আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন।আমার স্বামী নাকি নিষেধ করছে, আম্মুর অসুস্থতার কথা আমাকে জানাতে। কারণ আমিও তখন অসুস্থ। আমি আশায় থাকি যে আম্মু আবার সুস্থ হয়ে যাবে। হঠাৎ একদিন আমার স্বামী অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলে, তুমি রেডি হও, আমি গাড়ি ঠিক করছি, আমরা বাড়িতে যাবো।আম্মুর তখন হাসপাতালে ৭ম দিন। আমরা তখন চট্টগ্রামে থাকতাম। আমি আমার স্বামীকে বললাম যে আম্মুর কি হইছে, বলেই কান্না করতে লাগলাম।সে বললো আম্মু ঠিক আছে তবে আমরা আম্মুকে দেখতে যাবো।
আমরা রেডি হই এবং কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম, কথা ছিল যাওয়ার পথে হসপিটাল হয়ে আম্মুর সাথে দেখা করে তারপর বাড়িতে যাবো।কিন্তু আব্বু এবং বাড়ির বড়রা বারবার ফোন দিয়ে নিষেধ করছে।কুমিল্লা হাসপাতালের কাছাকাছি আমাদের গাড়ি থামানো হলো, আমার মামা
হাসপাতাল থেকে এসে আমাদের গাড়িতে উঠলেন। মামা বললো তোর আম্মু এখন ভালো আছে, শুধু শরীর খুব দুর্বল, অনেক দিন ঠিক করে খাবার খেতে পারেনি তাই।
আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে, শুধু একটু সময় লাগবে। আর,তোকে এখন হসপিটালে ঢোকার অনুমতি দিবে না কারণ তুই অসুস্থ। আসলে তখন করুনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয় বেশি ছিলো, আর আমি ছিলাম প্রেগনেন্ট।মামা বললো আগামী কাল ফজরের নামাজ পড়ে আমাকে নিয়ে হাসপাতালে আসবে, তখন মানুষ কম থাকবে তখন হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দিবে। আমির রাজি হয়ে গেলাম।মামা আমাদের বাড়িতে যেতে দেয় নাই, জোর করে মামার বাড়িতে নিয়ে যায়।
ততক্ষণে মাগরিবের আজান পরে গেছে।
আব্বু ইশার নামাজ পড়ে আমার সাথে নানু বাড়ি গিয়ে দেখা করে। নানুর বাড়ি মসজিদের কাছাকাছি। আব্বু খুব কান্না কাটি করছিল।আমি আব্বুকে সান্ত্বনা দেই। আসলে, সবাই জানে আম্মুর শরীর বেশি খারাপ, আম্মুকে আর বাচানোই যাবে না। সবরকম চেষ্টা করা হয়ে গেছে। শুধু আমাকে জানানো হয় আম্মু আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবেন। মামিরা সবাই আমাকে ভুলানোর চেষ্টা করছিলো,হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করছে।ভাবতে পারছেন আপনারা, আমি কতটা বোকা।এভাবে রাত ১১ টা বেজে গেলো।আমি ইশার নামাজ পড়ে ঘুমাতে গেলাম, ১২ টায় আমার চাচি ফোন করে আমার স্বামীকে বলে আম্মুর শরীর বেশি খারাপ হয়ে গেছে, দোয়া করবেন। আমি তখনও ভাবতে লাগলাম হয়তো আব্বু অসুস্থ, কারণ আব্বু কান্না কাটি করে, আবার ঘরে একা আছে। আমার ভাই বোন দুজনেই আম্মুর কাছে।তারপর আমি হসপিটালে আমার ভাইয়ের কাছে ফোন দেই, ভাই বলে আম্মু ভালো আছে,তুমি সকালে ফজর নামাজ পড়ে মামা আর ভাইয়াকে হসপিটাল আইসো।আমি দারোয়ানকে বইল্লা রাখমু,এখন তুমি ঘুমাও। আমি বাচ্চাদের মতো বললাম যে, আচ্ছা। পড়ে আমি আরও কিছুক্ষন নফল নামাজ পড়ে ২ টা বাজে ঘুমাতে গেলাম। ঠিক ফজরের আজানের সময় আবার হসপিটাল থেকে ফোন আসে, আমি ভাবছি হয়তো আম্মু মনে হয় আবার বেশি অসুস্থ হয়ে গেছে। আমি তারাতাড়ি অজু করে নামাজ পড়ার জন্য দাড়ালাম,আমার স্বামী এবং মামা তার মধ্যেই নামাজ শেষ করে বেড়িয়ে গেছে। আমি ভাবছি হয়তো গাড়ি আনতে যাচ্ছে। আমি নামাজ শেষ করে রেডি হওয়ার জন্য তারাহুরো করছি, আম্মুকে অনেক দিন পরে দেখবো।ঐদিকে মামিরা সবাই কি যেন বলাবলি করতে লাগলো, আমাকে কিছু বলছে না। আমি আমার ছেলে,মেয়েদের ডাকছি নামাজ পড়ে আম্মুর জন্য দোয়া করার জন্য। তার মধ্যে মসজিদে এলাম হলো,মসজিদের মুয়াজ্জিন সাহেব এর স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন, "ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন "আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না।আমার আম্মুর মৃত্যুর সংবাদ আমি মসজিদের মাইকে শুনলাম। যেভাবে অন্যের মৃত্যুর সংবাদ শুনি।আমার মামিরা আমাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে।ততক্ষণে আম্মুর জন্য নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। আম্মুকেও নিয়ে আসছে।সবসময়ই বাড়ি আসলে আম্মুকে ডাইনিং টেবিলের পাশে সরবত নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখি।এইবারও ব্যাতিক্রম হয়নি, আম্মুকে ডাইনিং রুমেই দেখতে পাই তবে আমার জন্য আর অপেক্ষা করছে না,টেবিলের জায়গায় আম্মু শোয়ে আছে।
আব্বুকে সবাই সামলানোর চেষ্টা করছে, আমার ভাই বোন দুজনেই খুব দুর্বল, কান্নাও করতে পারছে না। আর আমাকে সবাই একটু পরপর মনে করিয়ে দিচ্ছে, স্বর্ণা তুমি কিন্তু বড়, সবাইকে তোমার সামলাতে হবে। কেউ বলছে না আমাকে কে সামলাবে। আমার সামনে থেকে আম্মুকে নিয়ে গোসল দেয়া হলো, সাজানো হলো, কাফনের কাপড় পড়ানো হলো।আমি সারা দিন আম্মুর কাছেই বসেছিলাম, আম্মু আম্মু আমাকে নিয়ে আর টেনশনও করছে না, ব্যাস্তও হচ্ছে না। কি অদ্ভুত, আমাকে নিয়ে টেনশন করতো, আমি মরে যাবো।অথচ নিজেই আমাকে ফেলে চলে গেছে। আর আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। আমার ভাই, বোন সবাইকে বলছিলো,আম্মু আপ্পির জন্য এটা রাখছে ঐটা রাখছে, এই প্ল্যান, ঐ প্ল্যান কতো প্ল্যান। আমার ভাই বোন আমাকে আপ্পি বলে ডাকে।
দিনটা ছিলো ৬-৮-২০২০ ইং
আর ঐ দিন থেকেই আমার কষ্ট শুরু হয়। আমার নিজেকে বুঝাতে কষ্ট হয়,যে আম্মু
আমাদের মাঝে আর নেই, আমি এখনো আম্মুর ফোনের অপেক্ষায় থাকি,মাঝে মধ্যে রাগও হয়, কেন ফোন করে না,ঠিক আগে যেভাবে রাগ করতাম একদিন ফোন না করলে। আম্মু মারা যাওয়ার ১৫ দিন পর আমার প্রি একলামশিয়া দেখা দেয় এবং আমাকে সিজার করতে বলে। এবং সিজার করা হয়।আমিতো ঠিকই বেচে আছি, কিন্তু আম্মুই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।আম্মুর কথা যখন মনে হয় আমি অসুস্থ হয়ে যাই।আম্মু মারা যাওয়ার পর ৩ মাস আমাদের বাড়িতে থাকি।তারপর বাসায় চলে আসি, কি করবো বুঝতে পারছিলা না,হঠাৎ মাথায় আসলো বিজনেস আইডিয়া, কিন্তু কেউই
এটা সাপোর্ট করছে না। কারণ আম্মুর কথা মনে হলেই আমার ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়, এখনো তাই হয়।পড়ে আমার স্বামীকে রাজি করাই এবং বলি যে বিজনেস শুরু করলে হয়তো আমার সময় কাটবে।আমার এক বোন সুপারিশ করে আমার স্বামীর কাছে। তাছাড়া সময় কাটবে শুনে আমার স্বামী কিছুটা সম্মতি দেয়। এবং আল্লাহর নাম নিয়ে কিছু ড্রেস আনি এবং শুরু করে দেই।শুরু করেছি ঠিক আছে, কিন্তু এ-ই ব্যাপারে আমার কোন আইডিয়া ছিল না। তারপর ইউটিউবে আইডিয়ার জন্য সার্চ করি।তখন আমার চোখে পড়ে UTV লাইভ শো। সেখানে জানতে পারি "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন " এর কথা। এবং সার্চ করি, তখন দেখি এই নামে একাধিক গ্রুপ আছে, আমি সবগুলোতে জয়েন করি।পরে জানতে পারি একটা ছাড়া বাকিগুলো ফেইক,তখন এই গ্রুপের রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার আরিফুল ইসলাম ভাইকে নক করি।ভাইয়া আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করতে সাহায্য করেন।
আল্লাহ যেন ভাইয়াকে উত্তম প্রতিদান দান করেন। গ্রুপের সকল ভাই ও বোনদেরকে আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন এবং নেক হায়াত দান করেন। অনেক বেশি লিখে ফেলেছি। কোন ভুল হয়ে থাকলে প্লিজ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬২৯
Date:- ২৬/০৯/২০২১ইং
আমার পেইজের নাম -
MS dream collection
আমি মাহমুদা স্বর্ণা,
ব্যাচ-১৪
রেজিষ্ট্রেশন নং ৬৭০০৭
জেলা -কুমিল্লা।