অসুস্থতা কখনো কারো দুর্বলতা হতে পারেনা। যতক্ষণ না সে মন থেকে স্ট্রং থাকে।
We are born to fight, so be strong
অসুস্থতা কখনো কারো দুর্বলতা হতে পারেনা।যতক্ষণ না সে মন থেকে স্ট্রং থাকে।
প্রায় সময়ই আমাকে শুনতে হয়,আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।আমি অসুস্থ, জীবনে কিছু করতে পারবো না আমি।সারাজীবন মানে যতদিনই বেচে থাকবো মা বাবার ঘাড়ে বসেই খাবো,আমাকে নিয়ে তাদের দুঃচিন্তা থাকবে সারাজীবনই।আমি কখনোই তাদের জন্য কিছু করতে পারবো না।
কিন্তু আব্বু সবসময়ই আমাকে সাপোর্ট দেয়।বলে হতাশ না হতে কারো কথায়।তুই আমার মেয়ে,আমারটা খেয়ে,আমারটা পরে দিন চলে,তাহলে অন্যের কথায় কেন মন খারাপ করবি,তারা কি একবেলা খেতে দিবে,না বিপদে টাকা দিয়ে সাহায্য করবে,তাহলে তাদের কথা কেন শুনতে হবে।
আমি লোকের কথা গুলোও শুনি,আব্বুরটাও শুনি।তাদের কথার জবাব দিওয়ার জন্য আব্বুর কথাগুলো মেনে নেই।সত্যিই তো,লোকের কথা কেন শুনবো?
তবে অসুস্থতা আমার দূর্বলতা নয়।না আমি এটাকে সিরিয়াস ভাবে নেই এখন আর।আমি শারীরিকভাবে হয়তো অসুস্থ, মানসিকভাবে নয়।হয়তো সবার মত সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন আমার হবে না,তাই বলে কোন অস্বাভাবিক জীবন ও তৈরী করতে নারাজ আমি।ইচ্ছেশক্তি কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করলে আমিও পারবো কিছু করতে।
life is a race.এখানে সবাইকেই ছুটে চলতে হবে।সেটা চার চাকায় হোক,বা দু চাকায়,দু পায়ে হোক বা হুইলচেয়ারে।এগিয়ে চলতেই হবে আমাদের। আর এগিয়ে চলার মেটারিয়ালসই হলো আমাদের ইচ্ছাশক্তি,দৃঢ় মনোবল।
শত শত শুক্রানুর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েই সূচনা হয় এই মানব শরীরের প্রান।তারপর আবারো এক যুদ্ধ করে ভুমিস্ট হই পৃথিবীতে। ক্ষুধা নিবারনের জন্য জন্মলগ্ন থেকেই কান্নার মাধ্যমেই আওয়াজ দেই।এমনিতেই কিছুই পাইনা।সবটাই নিজেদের অর্জন করে নিতে হয় জন্ম থেকেই।তাহলে এখন বড় হয়ে কিভাবে ভাববো একা একাই সব হয়ে যাবে,সবকিছু অনায়াসেই পেয়ে যাবো।
মানব জীবন মানেই যুদ্ধ। যতদিন যুদ্ধে জয়ী হবেন ততদিনই আপনি টিকে থাকতে পারবেন।হেরে গেলেন তো ধুলায় মিশে যেতে একটুও সময় লাগবে না।
গত সপ্তাহে ও আমার হাতে ৮টা ক্যানেলা পিক করা হয়।দুর্ভাগ্যবশত সবগুলোই অসফল হয়।৷ ফলপ্রসু স্যালাইন চলা বন্ধ হয়ে যায়।নার্সগুলো বিরক্ত হয়ে চলে যায়,কেননা ক্যানেলায় ব্লাড আসেনা,কিন্তু পরে ব্লিডিং বন্ধ হয়না সেখান থেকে।
পরদিন সকালেও একই কান্ড।তখন ৬বার পিক করে।কিন্তু একটাও হয়নাই। হাতের অবস্থা নাজেহাল।২টো হাতই ক্ষতবিক্ষত।এমন অবস্থা যে আমি হাত নাড়াতেও পারতাম না ব্যাথায়।কিন্তু আমার টার্গেট ছিলো,আমার স্যালাইন লাগবে যে কোন মূল্যেই।এজন্য ক্যানেলা করতেই হবে।
দুপুরবেলা ডাঃকে কল দিয়ে জানালাম বিষয়টা।তখন তিনি এক নার্সকে নিয়ে আসলেন।তিনি ২হাত দেখেতো অবাক।কোন শিরাই বাকি নেই পিক করা ছারা।তিনি কোথায় ক্যানেলা করবে?অতঃপর অনেক ভেবে পায়ে ক্যানেলা করে গেলেন।তখন স্যালাইন চললো।
এখানে আমি যদি হাল ছেরে দিতাম,কিংবা বারবার ব্যাথা পাচ্ছি বলে,কিংবা হাত ফুলে গেছে বলে ক্যানেলা করার কথা বাদ দিতাম তাহলে কখনোই সেটা করা যেত না।পায়েও ক্যানেলা করা যায় এটা তো অনেকের জানারই বাইরে?
জীবনটাও সেরকম।আমাদের টার্গেট এ আগে ফোকাস রাখতে হবে।তারপর দৃঢ় মনোবলে সেটাকে অর্জনের আকাংক্ষা রাখতে হবে।তারপর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।বারবার ব্যর্থ হলে চলার পথ বদলাতে হবে।ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে।বারবার চেস্টা করলে অবশ্যই একসময় সফলতা পাওয়া যাবে।
আমি সারাক্ষণই বাসায় ঘরে বসে থাকি।একটু সুস্থ থাকলে টুকটাক একটু রান্না করি,কেননা রান্না করে আব্বু আম্মুকে বসে খাওয়াতে আনন্দ পাই।আর একটু ঘোরাঘুরি করি।তাছারা সারাদিনই ঘরে বসে থাকি।
এই ঘরে বসে থাকাটাকেই নিজের কাজের একটা অংশ হিসেবে গ্রহন করেছি।অনলাইনে টুকটাক কাজ করছি।আলহামদুলিল্লাহ ভাল সারা পাচ্ছি।ছোট ছোট কিছু উপহার দিচ্ছি মা বাবাকে।তারাও এতে খুশি।
আমার দ্বারা বড় কিছু হবেনা,এটা হয়তো সত্যি। তবে কিছুই যে হবে না,এটাকে সত্যিতে কেন রূপান্তরিত করবো?কিছু তো করতেই পারি আমি।আর আমি সেটা করবো ইনশাআল্লাহ।
I must say that, i will win definitely.
আমি কোন ব্যর্থতার জীবনে বসবাস করতে আগ্রহী নই।একটা হাসিখুশি প্রানোচ্ছল জীবন থাকবে আমার।যেখানে থাকবে ছোট একটা সফলতার গল্প।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬২৩*
Date:- ১৮-১৯/০৯/২০২১
সোনিয়া সালমান
ব্যাচ নংঃ১৩
রেজিষ্ট্রেশন নংঃ৫৭২১৪
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার
কেরানীগঞ্জ জোন
নবাবগঞ্জ ঢাকা
কাজ করছি "ইসলামিক গিফট প্যাকেজ" নিয়ে।পাশাপাশি " Arbah interiors " ও Luttow currier নিয়েই কাজ চলছে।
ইনশাআল্লাহ সকলের দোয়া ও ভালবাসায় সফলতার গল্প আমিও রচিত করতে পারবো নিশ্চয়ই।