জীবন মানেই সংগ্রাম
যতটা না ফাউন্ডেশনের সফল উদ্যোক্তার গল্প গুলো আমার মন জয় করেছে।তার চেয়ে আমি অনুপ্রাণিত, শিহরিত, অভিভূত হই যখন দেখি সবাই ভালো মানুষ হওয়ায় চর্চা করছে।জীবনে সফল মানুষ হওয়ার চেয়ে বেশি দরকার একজন ভালো মানুষ হয়ে লাখো মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকা।জীবনের মানে ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার পর অনেকটাই বদলে গেছে।একসময় ভাবতাম মেয়েদের আর কি আর জীবন সেই তো দিনশেষে অন্যের হুকুমের গোলাম হয়ে থাকতে হবে।প্রয়োজনীয়তা বলতে কিছু থাকতেই পারে না।কিন্তু না, আমরাও চাইলে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারি।
জীবনের সাথে সংগ্রাম করে জিততে পারি।
জীবন মানেই সংগ্রাম,
কষ্ট করে সবটা পড়বেন আশা করছিঃ
আমার জীবনের কিছুটা খন্ড কাহিনিঃ
স্মৃতিমন্থনঃ
শৈশবকালঃ
শৈশবে একটু দূরন্ত প্রকৃতির ছিলাম।
তবে এমনভাবে থাকতাম যেন কিছুই বুঝি না।
ছোটবেলায় পড়াশুনোয় খুব ভালো ছিলাম এই নিয়ে আমার মা খুব গর্ব করতেন। জীবনের শৈশব কাল খুব ভালোই কেটেছিল।শৈশবে প্রতিবেশীদের গাছের ফল রাখি নি সব চুরি করে খেয়ে ফেলতাম।এজন্য অনেক সময় বাড়িতে বিচারও আসতো।৯০ দশকের মায়েদের একটা বিশেষত্ব ছিল ছেলেমেয়েদের মার শুরু করলে কান্না করার সুযোগ দিত না।আমি খুব নিরব প্রকৃতির ছিলাম।তবে দিনটাকে এখন খুব মিস করি এখন খুব আনন্দে কাটিয়েছি দিনগুলো।
কৈশোরঃ
জীবন যুদ্ধ তখন থেকেই শুরু। আমার বাবা একজন প্রবাসী ছিলেন।আমার বাবা সুদর্শন একজন মানুষ আর আমার মা কালো। বাবা একসময় মাকে এটা নিয়ে খুব কথা শুনাত এতে আমার মনে খুব প্রভাব ফেলত।স্কুল জীবন ভালোই যাচ্ছিল।স্কুল জীবনের শেষ মূহুর্তে জীবন যুদ্ধের চরম পর্যায়ে চলে গেছি।জীবন কি বুঝতে শিখেছি।
কলেজঃ
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর বাবা বাড়িতে চলে আসে। আমরা ৩ ভাইবোনের পড়ালেখার খরচ ঠিকমতো দিত না। এককথায় খুব কৃপন একজন মানুষ।প্রতিদিন কলেজে আসা যাওয়া নিয়ে ১৫ কিলোমিটার হাটতাম।আমার সাথে আমার দুইজন বান্ধবী ছিল তারাও আমার হাঁটার সঙ্গী ছিল।এই নিয়ে আমাদের অনেক কথা ও শুনতে হয়েছিল রাস্তা ঘাটে।বাবার কাছে টাকা চাইলে বলব নাই।অথচ আমার বাবা ১৯ বছর প্রবাসী হওয়ার সুবাদে অনেক টাকা আর সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন।তবুও ছেলেমেয়েদের দিতেন না।
আমার মাঃ
আমার মা একজন পরোপকারী মানুষ, এক অসহায় মহিলা মার কাছে কান্নাকাটি করে টাকা চাইছিল মা সেটা সহ্য করতে না পেরে সুদের উপর এনে দিয়েছিল ১০০০০ টাকা।ঐ মহিলা বলেছিল কিস্তি তুলে দিয়ে দিবে ২০১৩ সালের ঘটনা কিন্তু না উনি দিতে পারে নি। সেই সূত্র ধরে ঋণের পরিমাণ ধারায় ৪.৫ লাখ।সকল ঋণের দায়বদ্ধতা পড়ে আমার মায়ের উপর। শুরুতেই বলেছিলাম আমার বাবা অত্যন্ত কৃপণ একজন মানুষ।দীর্ঘ ১.৫ বছর অনেক ঝামেলার পর জমি বন্ধক দিয়ে ঋণের টাকা দেওয়া হয়।কাউকে উপকার করতে গেলে গেলে যে বিপদের সম্মুখীন হতে হয় তা প্রথম দেখলাম।আমার ছোট ভাই যে বিদেশে থাকে এখনরাতের পর রাত বাড়ি ফিরত না কেন বিদেশ পাঠাচ্ছি না।আমি সংসারে বড় সেই সুবাদে ভালো, মন্দ সবকিছুর দায়ভার যেন আমার।সেই সময়টা কত যে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি এখনো মনে হলে গায়ে কাটা দেয়।আমার মা নানী বাড়িতে আর আমার এমবিএ পরিক্ষা শুরু।পরিক্ষা শুরু হতো দুপুর ২ টা থেকে শেষ হতো সন্ধ্যায়।বাড়ি আসতে রাত ৮-৯ টা বেজে যেত।২-৩ ঘন্টা পড়ার সময় পেতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না করা, ছোট ভাইকে খাওয়ানো, স্কুলে পাঠানো সবমিলিয়ে ১১ টার উপরে বেজে যেত পড়ার সময় পেতাম না। তাড়াহুড়ো করে পরিক্ষা দিতে চলে যেতাম।মা তো মা ই আমার মা যেন অন্য রকম একজন যে নিজে বিপদে পড়বেন যেনেও অন্যের উপকার করেন।আল্লাহ পাক আমার মাকে নেক হায়াত দান করুন।
আনন্দঘন মূহুর্তঃ
একদিন স্যার ক্লাসে বলল,তোমরা যদি রাস্তা, ঘাটে আমাকে দেখেও সালাম না দাও তাহলে কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল নাম্বার কম দিব।একদিন স্যার মোটরসাইকেল দিয়ে আমাদের পিছন দিক থেকে সামনে যাচ্ছেন।আমি আর আমার ২ বান্ধবী সাথে ছিল।হঠাৎ করেই স্যারকে ডাক দিলাম স্যার লুকিং গ্লাসে দেখে দাঁড়ালেন, বললেন কিছু কি বলবা আমি বললাম স্যার, আসসালামু আলাইকুম, স্যার হাসি দিয়ে চলে গেলেন।ক্লাসে গিয়ে দাঁড় করালেন বললেন মোটরসাইকেল থেকে দাঁড় করিয়ে সালাম দেওয়ার কি দরকার ছিল।তখন বললাম স্যার আপনি তো বললেন রাস্তায় পেলে সালাম না দিলে নাম্বার কেটে দিবেন।স্যার,তাই বলে পিছন থেকে ডেকে??শুধু মৃদু হাসলেন।
বেস্টফ্রেন্ডঃ
বেস্ট ফ্রেন্ড কি তখন এতোটা বুঝতাম না।এখন বুঝি এমন একজন সবার জীবনে দরকার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত।আমার একজন বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল নাম বৃষ্টি।সে আজ আমার পাশে নেই কিন্তু জীবনের সেই সময়টা আমার পাশে ছিল মেন্টাল সাপোর্টসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করত।
কারণ, আমার বাবা আমাকে সেই টাকা দিত না যতটা আমার প্রয়োজন ছিল না।আমার মায়ের কোন কিছু করার ছিল না।বান্ধবী(বৃষ্টি) ও সবসময় সাপোর্ট দিত।জীবনে সব কিছুর বিনিময়ে হলেও একজন বেস্ট ফ্রেন্ড থাকা দরকার যাকে সুখে,দুঃখে সবসময় কাছে পাওয়া যায়।আমার জীবনের ভালো একজন মানুষের মধ্যে সে ছিল একজন যাকে অন্য কারো সাথেই তুলনা করা যায় না।আমি কোনসময় ক্লাসে ছেলেদের সাইডে বেঞ্চে বসতাম না।আনইজি লাগতো,আমার বান্ধবী সবসময় বসত।আজ আমার জীবনের ভাই,বন্ধু সবার সাথে ই কথা বলি।জীবনের অনেকাংশে পরিবর্তন ঘটে গেছে।আল্লাহর দেওয়া উপহার গুলোর মধ্যে বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল আমার জীবনের একটা উপহার এজন্য আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করি।।প্রথম জীবনের সংগ্রামের সাথী, জীবনে কোন দিন ওর কোন উপকারে আসতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব।হয়তো এখন আর কথা হয় না তবে তখন ও না থাকলে কি হতো আজ আর ভাবতে পারি না। আল্লাহ তাকে সুস্থ ও নেক হায়াত দান করুন।কথাগুলো লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে।
অপমানিত হওয়াঃ
একদিন ঢাকায় আসলাম একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। ইন্টারভিউ কার্যক্রম শেষ।তারপর আর ২ টা ইন্টারভিউ ছিল একদিন মাঝে গ্যাপ দিয়ে তারিখ পড়ে কারণ ছিল পরের দিন শুক্রবার।ইন্টারভিউ শেষে কিছু কাগজপত্র ম্যানেজ করতে রাত হয়ে যায়।বেলিরোড থেকে উত্তরা আসতে রাত ১১ টা বেজে যায় আমি একা সাথে কেউ নেই।মামতো ভাইকে কল দিলাম আপনি কোথায় আমি ঢাকায় আসছি অনেক রাত হয়ে গেছে আপনার বাসায় যাব উনি বলল তর ভাবি তো বাসায় নাই। তবুও আমি জোর করলাম কারণ আমার তো আর কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। পড়ে মামাতো ভাই বলল আয় খাবার টেবিলে রাখা আছে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়িস।ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ঘুমাতে রাত ১ টা বেজে গেছে।
খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গে ঘুম থেকে উঠে দেখি ভাবি ছেলেকে খাওয়াচ্ছে। তখন আর আমার বুঝতে বাকি রইল না যে ভাবি বাসায় ছিল কিন্তু তাদের বাসায় এসে থাকি এটা হয়তো তারা চায়নি।
দুপুরে শুনি ভাবি ভাইকে বলছে স্বপ্না বলে তোমার ছেলে নাকি দুষ্টু অনেক আরো অনেককিছুই বলেছে। আমি বুঝতে পারছি তাদের সমস্যা হচ্ছে আমি থাকাতে বুঝতে বুঝতে পরের দিন শুক্রবার সকালে মামাতো ভাই ডাক দিল গেলাম তারপর বলল দেখ আমরা তো ঢাকার বাইরে চলে যাব তুই কোথায় থাকবি একা। আমি সোজা বলে দিলাম সমস্যা নাই আমি চলে যাব।এয়ারপোর্ট থেকে নরসিংদির ট্রেন ছিল ৯ঃ৩০ আমি সকাল ৭ টায় বাসা থেকে বের হয়ে আসি। ৩ ঘন্টা স্টেশনে বসেছিলাম আমার আর চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়া হয় নি।
ঢাকায় আগমনঃ
মাস্টার্স ভর্তি হওয়ার জন্য ঢাকায় আসি ভর্তি ২০১৮ সালে ইডেন মহিলা কলেজে মাস্টার্স এডমিশন নেই।মাস্টার্স ক্লাসের প্রথম দিন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়ন প্রফেসর সবাইকে একে একে পরিচয় জিজ্ঞেস করছে। আমাকে স্যার জিজ্ঞেস করল তোমার বাড়ি কোথায় বললাম নরসিংদী। তারপর উনি বলছিলেন নরসিংদী থেকে ঢাকা কেন নরসিংদীতে তো ভালো কলেজ আছে।
আমি কিছু বলি নি এরপর স্যার জিজ্ঞেস করল তোমার জীবনের উদ্দেশ্য কি বলো কেন? ঢাকা তাও আবার ইডেন কলেজে ভর্তি হয়েছ।আমি শুধু প্রতিত্তোরে বলেছিলাম বলতে পারছি না স্যার তবে কোনদিন বলব কিন্তু সেই দিন টা আজও হয়নি আমার স্যারও আজ আর বেঁচে নেই।ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে ইডেন কলেজ ঢাবি অধিভুক্ত হয় স্বপ্ন যেন মরিচীকা।১.৫ বছর চলে গেল জীবন থেকে ঢাবি কোন পরিক্ষা নেয় নি।ইডেনে থাকা অবস্থায় কলেজের হোস্টেলে উঠি তাও আবার পলিটিক্যাল রুমে।১ রুমে ১৫ জনকে থাকতে দেওয়া হতো।বেড ৪ টা ৮ জন থাকতো বাকি সবাই ফ্লোরে ঘুমাত। কষ্ট হলেও জীবনটাকে সহজ করে নিয়েছিলাম।
চাকরি প্রত্যাশীঃ
তখন জীবনে আসল আরেকজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমার রুমমেট আপু পরামর্শ দিল দেখ সময় নষ্ট করে কি লাভ চাকরি করতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার।মাঝখানে বলে রাখা ভালো ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই আমার ছোট ভাই আমাকে আর্থিক সাপোর্ট দিত।শুরু হলো চাকরির পড়াশোনা করা। দিনে ১২-১৪ ঘন্টা পড়তাম।আমার বরাবরই দিনে ঘুমানোর অভ্যাস ছিল। যখন দুপুরে রুমে যেতাম ঘুমানোর জন্য হয়তো জায়গা পেতাম না নাহয় সবাই আড্ডা দিত রুমে যারা থাকত।
কিন্তু আমি খুব ক্লান্ত থাকতাম সারাদিনের পড়াশুনা শেষে।এমতাবস্থায় রিডিং রুমের বেঞ্চে ঘুমাতাম
অল্প কয়েক মিনিট। কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি শুধু চাকরি করব পড়াশোনা করতে হবে।রাতের পর রাত কাটিয়েছি চাকরির পড়া পড়ে।একদিন আমার প্রচন্ড জ্বর, সবসময়ের ঐদিনও আমার ফ্লোরে ঘুমাতে হবে।তখন ছিল পৌষ মাস,শীতের ভয়াবহতা শুরু।আমার বেডমেট ছিল কুমিল্লার। তখন সে বলল,আপু আপনি যেহেতু অসুস্থ তাহলে আজ আপনি বেডে ঘুমান আমি ফ্লোরে বেড নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ব।রাত যখন ১ টা বাজে তখন রুমে আসলাম এসে দেখি সবাই যার যার মতো ঘুমিয়ে গেছে।
আমি অভাগীর সিট সেই ফ্লোরে,সেইদিন অনেক কেঁদেছিলাম।কখনও বাড়িতে কিছু বলতাম না,বললে মা আমাকে ঢাকায় থাকতে দিবে না সেই ভয়ে।হল লাইফ খুবই কষ্টের আর তা যদি হয় পলিটিক্যাল রুম তাহলে তো কোন কথাই নেই।স্মৃতি সে তো মরিচীকা,এখন যে স্মৃতির কথাগুলো মনে পড়ে।সেগুলো হয়তো ১০ বছর পর ১০ মিনিটে স্মৃতিমন্থন হয়ে যাবে।
উদ্যোক্তা জীবনঃ
পরিক্ষা দিব সেই মুহূর্তে চলে এল করোনার ভয়াল থাবা।হল বন্ধ বাড়ি চলে এলাম। হঠাৎ একদিন দেখি এক ছোট ভাই একটা গ্রুপে পোস্ট দিল কারা কারা উদ্যোক্তা হতে চান।ঐ পোস্টে আমিও কমেন্ট করি আমি উদ্যোক্তা হতে চাই।সেখান থেকে ১৪ জনকে নিয়ে একটা গ্রুপ খোলা হয়। কাজ শুরু হলো বই নিয়ে অনলাইনে বই সেল দিব।৪-৫ মাস যাওয়ার পর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয় আর আমাদের উদ্যোগ শেষ ।সেখান থেকে আমরা ৪ জন মিলে আবার আরেকটা বিজনেস শুরু করি শুটকি নিয়ে ভালোই চলছিল। এই উদ্যোগটাও ব্যর্থ হয় বেশ কিছু দিন হলো।আমার ভাবি এখনো মশকরা করে কি আর ব্যবসা করো বেচ তো চ্যাপা।কথাগুলো কখনোই কানে নেই নি।আবার কেউ কেউ বলে অনলাইনে বিজনেস আর কয় টাকা পাওয়া যায় ফালতু।মানুষের এই ধ্যান,ধারণা একদিন বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।এরইমধ্যে গ্রুপের নাম দিয়ে সার্চ করতাম আর সব গ্রুপে জয়েন হতাম। সেই সুবাদে প্রিয় ফাউন্ডেশনকে খুঁজে পাই।আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এমন একটা প্ল্যাটফর্মের ভালো মানুষের সানিধ্য পাই।এরপর আবারও শুরু করি আরেক ভাইকে পার্টনার নিয়ে উদ্যোগক্তা হওয়ার পথ চলা কিছুদিন পাড় হওয়ার পর এটাও ভেঙে যায়।
করোনা অনেকের জীবনের ধ্বংসের কারণ আর আমি মনে করি করোনা আমার জীবনের নতুন পথ উন্মোচন করে দিয়ে গেছে।
"কিছু অশুভ কারো কারো জন্য শুভও হয়"
লেগে থাকুন,সাহস করুন।আমি হাল ছাড়ব না, লেগে থাকতে হবে স্যারের সেই বাণীকে মনে ধারণ করে আবারও শুরু করেছি।জীবনের এত চড়াই-উতরাই পার করেছি যে এখন আর কোন কিছুতে ভয় করে না।৩ বার ব্যর্থ হওয়ার পরও আবার শুরু করেছি।হেরেই যদি যাই তাহলে মেন্টর কেন বলি।
মেন্টর তো সেই যার কথা চন্দ্র, সূর্যের মতো সত্য বলে বুকে ধারণ করেছি।স্যারের নির্দেশনা নিয়ে আবারও পথ চলা শুরু করেছি।জীবনে সংগ্রাম না থাকলে সেই জীবনের কোন স্বাদ থাকে না, লবণহীন তরকারির মতো মনে হয়।যারাই জীবনে সফল হয়েছে তাদের প্রত্যকের পিছনে ব্যর্থতার গল্প থাকে।আমরা সেই গল্পকে জানতে চাই না।ব্যর্থতার শোককে শক্তিতে রুপান্তর করেআবারও আমার স্বপ্নের পথ চলা শুরু।মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় এটা আমি বিশ্বাস করি।তাই আজও স্বপ্ন দেখি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার, একজন ভালো মানুষ হওয়ার।তবে কলেজজীবনে বাবার অঢেল টাকা পয়সা থাকা সত্ত্বেও যে কষ্ট করেছি।আজ কিন্তু নেই আজ আমি অনেকটা স্বাবলম্বী।অনেকেই বলে আমি অনেক সাহসী আমিও বিশ্বাস করি আমি সাহসী প্রচন্ড সাহসী।
আমার কাছে জীবন মানে সংগ্রাম করে টিকে থাকা,
জীবন মানে অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো,
জীবন মানে মানুষের উপকারে আসা।
আমিও স্যারের সাথে বলতে চাই।
ধৈর্য্য ধরুন, সাহস করুন,লেগে থাকুন।
জীবনের আরো অনেক গল্প আছে যা একদিনে লিখে শেষ করা যাবে না।সকলের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা অবিরাম।আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন সুস্থ থাকতে পারি আর মানুষের সেবা করতে পারি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬২৩
Date:- ১৭/০৯/২০২১
স্বপ্না
ব্যাচঃ১১
রেজিষ্ট্রেশনঃ২৩৪৩২
নরসিংদী