আমি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ
🖐️আমি একটি মদ্দোবিত্ত পরিবারের ছেলে
📝স্কুল জিবনে পড়াশোনা করেছি
নারায়নগন্জ পুলিশলাইন হাইস্কুলে।
যখন১০ম শ্রেনিতে উঠি তখন কিছু
দুস্ট বন্দু ছিলো তাদের আড্ডায় ও পাল্লায় পরে পড়ালেখা শেষ করে দিয়েছি তবে ছাত্র হিসেবে ছিলাম মোটামোটি ভালো, বাড়িতে সবার মনে কস্টো ছিলো এই বেপার নিয়ে সকলেই চেয়েছিলো
আমি যেন পরালেখা চালিয়ে যাই
কিন্তুু আমি পড়াশোনা করবোনা
এটাই আমার শেষকথা বলে দিয়েছি
পরিবারের সবাইকে।
🛠️শুরুকরি কর্মজিবন
আমাদের বাড়ির এক ভারাটিয়ার সাথে গার্মেসে জাই চাকরি করবো, খুবই সল্প সময়ে সেখানে মেশিন চালানো শিখি, তারপর অন্ন্য এক ফেক্টরিতে জয়েন করি অপারেটর হিসেবে ভালোই চলছে কাজ কর্ম আর ইনকাম আর একের পর এক পদ্দোন্নতি।
হয়েগেলাম সেম্পলমেন,
তারপর কাটিং মাস্টার,
তার পর করি কন্ট্রকটারি
চলে গেলো জিবনের ৬টি বছর,
বেসকিছু টাকাও ব্যাংকে জমে গেলো।
আমার বাবা আমার কাজের টাকা কখনোই খরচ করতোনা কারন বাবা বাড়িভাড়া পেতো ভালো পরিমানের টাকাই, আবার গাড়ির ড্রাইভারিও করতো
(এখন প্রায় ২০বছর আগেই কাজ ছেরে দিয়েছে)
২০০০সালেই বাড়ি ভারাপেতো ৫০হাজার টাকার মত
আর এখন২০২২সালে ১লক্ষ টাকার উপরে পায় আল্লাহ পাকের রহমতে।
তাই
আমাকে বাবা বল্লো তুমি যখন কাজেই লেগেছো তোমার কাজের টাকা আমাকে দিওনা তোমার কাজের টাকা তুমি ব্যাংকে জমাও নিজে কিছু করো
নিজে বড়কিছু হওয়ার
চেস্টা করো।
আমিও ব্যাংকে একটা একাউন্ট করি একটা ডিপিএস ও করি মাসে ২০০০টাকা ডিপিএসে রেখে বাকি টাকা একাউন্টেই রাখতাম সেখানে প্রায় ৪লক্ষ টাকা জমেযায় তখন মনেহয়২০০৮সাল চলে, দির্ঘ ৬ বছর কাজ করার পরে।
গার্মেসের কাজ আর ভালো লাগেনা অনেক চিন্তা ভাবনা করে মার্কেট এনালাইস করে সিদ্ধান্ত নিয়ে
এই টাকা বাবার হাতে তুলে দেই আর বলি আমি কাপড়ের দোকান দিতেচাই আমাকে ব্যাবস্থা করেদিন
বাবার হুকুমে বড় ভাই দোকান ভাড়া নিয়ে ডেকোরপশন করে সবকিছুর ব্যাবস্থা করেদেয়।
দোকান চালুর পর ধুমধাম চল্লো সুধু কাপর ভাজ করার জন্নও লোক লাগতো অনেক বেচাকেনা শাড়ি গজ কাপড় থ্রিপিস সবই ছিলো প্রায় ৪বছর এর মাথায় মা বাবার ইচ্ছায় বিয়ে করি আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ঘরে ছেলে সন্তান হয় ছেলের বয়স যখন ২বছর ব্যাবসার বয়স চলে তখন ৬বছর আর তখন এলাকার মানুষের ছোখ পরলো ব্যাবসা তো ভালোই চলছে হঠাত ৫/৬মাসের মাথায় কাপরের দোকান হলো পুড়ো এলাকায় ১০০টা এর ও বেশি এর পরেতো আর ব্যাবসা ভালো চলেনা।
তখন আমি আর লোকশান দিয়ে কুলাতে পারছি না দোকান ভারা কর্মচারির বেতন দিয়ে
কুলাতে না পেরে দিলাম
দেকান ছেড়ে।
পরে দিলাম মুদির দোকান চালের বস্তা আলুপিয়াজ তেল ডাল সবই বেচতাম অনেক ভালো চলছিলো, ৩ বছরের মাথায় আমার আপন বড়ভাই কিডনি রোগে মারাযায় ১ছেলে ১মেয়ে রেখে গেছে,আমার সেই ভাই একজন প্রতিস্ঠিত ব্যাবসায়ি ছিলো টাকা পয়সাও ভালো ছিলো কিন্তুু নিজের প্রতি কোন খেয়াল রাখতোনা।
ভাই মারা যাওয়ার ৩দিন পর আমার ভাবি শোকে পাগল হয়েযায় যাকে পায় তাকে মারে দাও বটি নিয়ে কোপদিতে যায় কাওকে চিনেনা,এই অবস্থায় আমি ও প্রায় অসুস্থ আমার ঘরের পাসের ঘরে থাকে তারা
এখন আমি কি করবো সারাদিন ঘরে বসে থাকি তাকে পাহারা দেই চিকিৎসা করাই আর নামাজ পরি প্রায় দেরমাস জাবত দেকানের সামনেও যেতে পারিনাই দের মাস পরে দোকানে গিয়ে দেখি প্রায় সব মালা মালই ঈদুরে কেটে নস্ট করেছে প্রায় ৪লক্ষ টাকার মাল ২০০০টাকা ট্রাক ভাড়া দিয়ে নদিতে ফেলে দিলাম তার কিছুদিন পর আমার ভাবি চিকিৎসায় সুস্থ হলো , আমিও আল্লাহ পাকের রহমতে সুস্থ হলাম, আবার চেস্টা করছি ব্যাবসাটাকে ঘুরে দার করাতে, নতুন করে মালসামান উঠালাম কিন্তুু ঈদুর আমার ক্ষতি করা ছারেনা অনেক কস্টকরে দোকান চালাতাম তখনের কথা এখন মনে পরলে এখনো বুক কেপে উঠে
দেখেন
আজকে তেলের ড্রাম কাটে
তো কালকে চালের বস্তা কাটে
পরশু কস্মেটিক কাটে
কিছুতেই দমাতে পারছিনা দিলাম দোকানে মাল তোলা কমিয়ে
ওই সময় আবার আমার এক বন্দু একটি কম্পানির কাছথেকে লাইট আরো ইলেক্ট্রিক মালামাল এনে কমিশনে দোকানে দোকানে পাইকারি
দিতো ভালোই চলে।
আমিও চিন্তা করলাম আমিও করি সেটাই করলাম ১লক্ষ টাকায় একটা কম্পানির ইলেক্ট্রিক পন্ন্যের ডিলার নিলাম ব্যাবসা ভালই চলছিলো।
কেনজানি মনের মদ্দে একটা কথা কাজ করতো আমিযদি এমন একটা কম্পানির মালিক হতাম আমার পন্ন্য ডিলাররা নিয়ে সারা দেশে বিক্রি করবে কতইনা ভালো হতো।
আবার চিন্তা করতাম এগুলো করতে কোটি কোটি টাকা লাগে লক্ষ টাকায় হয়না
ভাবতে ভাবতে অনেক চিন্তা ভাবনা ও সাহস করে, ওই কম্পানির যত মালামাল ছিলো ৫০হাজার টাকা লসে ইচ্ছে করেই বিক্রি করে গোডাউন খালিকরে দেই আর দিন রাত খেয়ে না খেয়ে নানান যায়গায় দৌড়া দৌড়ি নানান কাজ সম্পন্ন করে কম্পানি চালু করি
শুরু করে দিলাম নিজের কম্পানি
ওই সময় আমার কারখানা ছিলো আমার থাকার ঘরের ফ্লোরের খালি যায়গাটুকু
সেখানে আমি আর আমার বউ
এবং ১জন কর্মচারি নিয়ে শুরু করি পন্ন্য তৈরির কাজ আল্লাহ পাকের রহমতে অনেক পরিশ্রমে ভালোই চল্লো,
তবে জিবন সঙ্গি আমার স্ত্রি আমাকে কাজে ও পরামর্স দিয়ে সবসময় হেল্প করে তার জন্ন্য অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো
এখন তো আলাদা কারখানা আছে
ও কারখানা চালানোর জন্ন্য মাল রাখারও
কয়েকটা গোডাউন আছে
তবে বিশ্শাস করেন ১৭ বছরে কাজ আর ব্যাবসা জিবনে যত কস্ট করেছি
তার চাইতে অনেক বেসি কস্ট ও কঠর পরিশ্রম করেছি এই উদ্দোক্তা জিবনে কম্পানি দেওয়ার পর এই ৩বছরে আমার আল্লাহ পাক আমাকে যথেস্ট সফলতা ও দিয়েছেন,আমি খুশি।
দেখেন কত আনন্দের বেপার,
এখন আমার ডিলার দের কাছে আমার এতোটাই সুনাম তাদের সাথে দেখা করতে গেলে আমাকে খাবার না খাইয়ে ছারেইনা আমাকে সমাদর করবেই তারা।
যানেন এর কারন কি তাহলে শোনেন
যানেন কত অগনিতো দিন গেছে দুপুরের লান্স করেছি রাত্রে সুধু মাত্র কাজের চাপে ও সময়ের অভাবে,
যানেন এখনো অনেক কাজ করি যখন কাজের চাপ থাকে তখন কিচ্ছুকরার থাকেনা কখনো মিস্তিরিদের সাথে কাজ করি,
সেল যখন বেসি থাকে প্রেডাক্শন ও বেসি করতে হয় কখনো হয়েযাই সেলসমেন কখনো হয়েযাই ডেলিভারি মেন, যখন যেখানে ঘাটতি দেখি সেখানেই ঝাপদিয়ে কাজ সুরু করেদেই
আর এজন্নই এখন মানুষ খাবার খাওয়াতে চায় আর সম্মান ও করে নয়তো ছারবেইনা
আর এটা একমাত্র আমার
আল্লাহ পাকের রহমতে
পরিশ্রমের ফল
রাত যেগে ইউটিউবে অনুপ্ররনা মুলক ভিডিও দেখতাম হঠাতকরে দেখলাম
তখনতো আর চিনতামনা প্রিয় স্যারকে
কতো ভিডিওই না দেখতাম মনে হয় আল্লাহ তায়ালা আমার সামনে এই ভিডিও টি দিয়েছেন আমার জন্ন্যই।
দেখি
(লজিকেল ইষ্পিকার রাজিব) স্যার এর একটা ইন্টার্ভিউ নিচ্ছে আমাদের (প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার) ইউটিভি লাইভে মনে করলাম দেখি কিবলে
জীবনে কতজনের কথাই তো শুনলাম দেখি কথা শুনে কি হয়।
(বিশ্শাস করেন তখনকার সময় উদ্দেক্তা কাকে বলে আমি জানতাম ই না।)
তখন আমাদের প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার একটা কথা বল্লো , আপনি জানেনকি আমরা
৯০ দিনের একটা বিনামুল্লে প্রশিক্ষন দিচ্ছি এখানে অনেক কিছুই শিখার আছে যা একজন মানুষের প্রাইভেট ফার্ম থেকে শিক্ষা নিতে লক্ষ টাকার উপরে লাগে আমরা তা বিনামূল্যে দিচ্ছি।
আমি তখন ইউটিভি চেনেলের ডিসক্রিপশনে দেখি নাম্নার আছে সেখানে ফোন দেই আর বলি আমি আপনাদের পেজে জয়েন করতে চাই আমাকে সব বলেদিলো আমি জয়েন করলাম।
আর তখন থেকেই স্যারের সেশন গুলো দেখতাম তখন অষ্টম ব্যাচ চলছিল প্রতিদিন সেশন দেখতাম কিন্তুু রেজিস্ট্রেশন করেছি 12 তম ব্যাচ থেকে।
জানেন
আমারতো কম্পানি চালানোর কোন প্রাতিস্ঠানিক শিক্ষা ছিলো না তখন স্যার এর সেশন থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং নিজের জিবনে ও উদ্দোক্তা হিসেবে প্রোয়োগ করেছি এখনো আমি শিখছি শিক্ষার কোন শেষ নেই।
এখন আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমি একজন ট্রেনিং প্রাপতো উদ্দোক্তা
এখন আমি
৫০বা১০০জনের সামনে বুক ফুলিয়ে মাইকে কথা বলতে পারি আমার ভয় লাগেনা।
আর এগুলো সম্ভব হয়েছে একমাত্র
আল্লাহ পাকের ইচ্ছায়
প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর কারনে
তার প্রশিক্ষনের কারনে
আমার কম্পানির মুলধন ছিলো ৫০০০০ (পন্চাশ হাজার) টাকা
আর এখন আল্লাহ পাকের রহমতে
গরমের সিজনেতো আমাদের কম্পানির ফ্যান চলে বেসি প্রতি মাসে সেল(৭থেকে১০লক্ষ) টাকা পর্যন্ত মাশাআল্লাহ।
আল্লাহ পাকের রহমতে
আমার কম্পানিতে এখন
👉৪জন ওয়ার্কার পন্ন তৈরি করে
👉৩জন সেলস ম্যান আমিসহ ৪জন
👉২জন ডেলিভারি ম্যান
🔌আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য তৈরি করছি যেমনঃ
👉৩ টি মডেলের হাইস্পিডফেন
👉ইস্টান ফেন ২ টি মডেলের
👉এলইডি লাইট ৫টি মডেলের
👉চিনিগুরা পোলাউর চাল পেকেট জাত
👉গাড়ির ব্যাটারি পানি ট্রাক ও অটো গাড়িতে ব্যাবহার হয়
👉গোটা গরমসলার পাতা
(আগামী স্বপ্ন আরো অনেক বড়)
জানলে খুশি হবেন
ইতিমদ্দে আমি
নিজের গবেশনায় এলইডি লাইটের কিছু পার্স তৈরি করেছি
যা আমরা এতদিন চায়না থেকে ইনপুট করা লাগতো তাদের উপর নির্ভরশিল ছিলাম।
এখন আমি নিজেই সেই পার্স গুলো তৈরি করছি এবং তা দিয়ে সফল ভাবে পন্ন্য তৈরি করে বাজারজাত করছি
👍আমি এখন
সপ্ন দেখি
সাহস করি
লেগে আছি
ইনশাআল্লাহ সফলতা আরো বেসি আসবে।
ওহ আরো একটি কথা আমার বাবা মায়ের সুস্থতার জন্ন্য দোয়া করবেন
আমরা চার ভাই আমি তৃতিয় আমার ১ছেলে
১মেয়ে
আমাদের চার ভাইয়ের চারটি সংসার ও বাবা মা এখনো একসাথে খাওয়া,দাওয়া যৌথ পরিবার আমরা এবং সকল খরচ বাজার হাট আমার বাবা এখনো বহন করেযাচ্ছে
আমাদের কোন ভাই কে একটাকা ও সংসারে খরচ করতে দেয় না আমার বাবা তার কথা ছেলেরা আয় করুক
আমার প্রতিস্ঠানের নামঃ
রনক ইলেক্ট্রিক প্রোডাক্ট
মোঃ০১৯১২৬৩২৫১৬
আমরা ইলেক্ট্রিক পন্ন্য তৈরি করি
আমার প্রতিস্ঠানের পেজ লিংক
https://www.facebook.com/profile.php?id=100036783505644
ভালো বেসে পাসে থাকবেন
SOD No: 727
Date: 21.01.2022
নামঃরিংকু মিয়া
রেজিঃ৪৫১৬৫
ব্যাচঃ১২
ঠিকানাঃনারায়নগন্জ