এই ফ্লাট পরম থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের পায়ে দাড়ানো এবং মা বাবার স্বপ্ন পুরুনের চেষ্টায় আছি।
আমি যখন স্কুলে লেখা পড়া করতাম তখন সকাল ৮ টায় স্কুলে যেতাম আসতাম বিকেল ৫ টায় তখনকার সময় আমার পরিবার তেমন একটা সচ্ছল ছিলোনা অনেককে দেখতাম ২০, ২৫, ৩০ টাকা করে নিয়ে যেতো টিপিনের সময় খরচ করতো কিন্তু আমি আমার ফ্যামেলির কষ্ট দেখে কখনো ফ্যামেলিকে চাপে রেখে টাকা অপচয় করতাম না আমি শুধু যাওয়ার সময় ২ টাকা নিয়ে যেতাম তখনকার সময় লাম্বা আকারে একটা পাওয়া রুটি ছিলো ওটার হাফ বিক্রি হতো ২ টাকা তো আমি টিফিনের সময় ওই ২ টাকা দিয়ে হাফ পাওয়ারুটি এক গ্লাস পানি দিয়ে চুবিয়ে খেয়ে আমি আমার খুদা মিটিয়ে দিন পার করতাম।
তারপর যখন ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করা হয় বাবাও তখন দেশে চলে আসে বুজেনতো সংসারের বড়ো ছেলে হলে যা হয় আর পড়ালেখাও হয়নি, হয়নি কোনো কাজ শিখা কর্মের খোঁজে চুটে চলা চলে আসলাম ঢাকাতে ২০০১৪ তে এর মাঝে আরও অনেক কিছু বলতে গেলে শেষ করা যাবেনা ঢাকা যখন আসি তখন বুজতে পারি যে আপন মানুষ পর হয়ে যায় আমি হয়তো আপন ভাবি কিন্তু আমি হয়ে গেলাম পর।। আমার সামনে অন্যের উপকার করতে দেখি কিন্তু আমি কখনো উপকার পেলামনা পেলাম শুধু লান্চনা। তখন আমি অনেক কিছু শিখেছি যে পৃথিবীতে একমাত্র আপন থাকলে আছে মা বাবা। এবং আরো শিখেছি কারও কাছে মাথা নতো না করে নিজে কিছু করা নিজেই নিজের পায়ে দাড়ানোর চেষ্টা করা। চাকরীর শুরুতে তিন মাস আমাকে কাটাতে হয় একটা গাড়ির পার্কিং-এ দুলাবালি কনকনে শীত। সাথে ছিলো দেশি এক চাচা তার সাথে খাওয়া দাওয়া চাচা মুরুব্বি মানুষ আমিও হেল্প করতাম অফিস শেসে বলতে গেলে আর রান্নাবান্না করার ইচ্ছে থাকেনা একদিন রান্না করে ২, ৩ দিন খাওয়া বাশি খাবার খেয়ে ৩ মাস পার করলাম অনেক কষ্ট হতো তারপরও মনকে বুঝাইতাম যে কষ্টের পরে একদিন সুখের দেখা পাবো সেই সুখের সন্ধানে এখনো আমি বিভোর পরবর্তীতে অফিসের বসকে অনেক রিকুয়েষ্ট করে অফিসে থাকার চেষ্টা করে সফল হলাম থাকলাম অফিসে। মোটমোটি অফিস ছিলো একটা ফ্লাটে পরিবেশ এবং ওয়াসরুম এবং কিচেন সবই ছিলো যাহোক একটা আরাম আয়েশে দিন কাটালাম। গ্যাস পানির কোনো অভাব ছিলোনা। মেসে থাকতে গেলেও ভালো পরিবেশে থাকা যেতোনা এবং মেস বাড়া দিয়ে পোশানো শম্ভব ছিলোনা তখন বেতন ছিলো আমার ৯০০০ টাকা।
ডিজিটাল যুগে ফেসবুকে এর আগমন ফেসবুক চালাতে গিয়ে দেখা পেলাম এলাকার এক পরিচিত ভাই ওমান থেকে আমাকে ইনবাইট করে নিজের বলার মতো গল্প গ্রুপ। আসলে গ্রুপটি সম্বন্ধে আমার কোনো ধারনাই ছিলোনা শুধু জয়েন করলাম জয়েন করার পর করলাম রেজিষ্ট্রেশন কিন্তু তারপরও বুঝে উঠতে পারতেছিনা যাহোক যখন আমি গ্রুফটাতে সময় দেওয়া শুরু করলাম দেখতে পেলাম এইখানে অনেক কিছু শিখার আছে কিভাবে বিজনেস করতে হয় সাহস করতে হয় লেগে থাকতে হয় এবং ভালো মানুষ হতে হয়। কৃতঙ্গতা জানাই প্রিয়ো স্যার এর প্রতি আমাদেরকে এই রুকুম একটা প্লাটফরম উপহার দেওয়ার জন্য। এই ফ্লটপরম এ পেয়েছি অনেক ভালো মানুষের দেখা। এই ফ্লাট পরম থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের পায়ে দাড়ানো এবং মা বাবার স্বপ্ন পুরুনের চেষ্টায় আছি। হাতে তেমন একটা পুজি নেই কিভাবে কি করবো তারপরও সাহস করে লেগে পড়লাম আমার একটা পেজ আছে আমি কাজ করছি লেডিস হেন্ড বেগ নিয়ে। সরাসরি চায়না থেকে আমদানি ছটো বড়ো অনেক কোয়ালিটির ভিবিন্ন কালারের মান সম্পন্ন লেদার এবং রেক্সিন মিক্সড অত্যন্ত ভালো। সবাই লাইক কমেন্ট শেয়ার করে পাশে থাকবেন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬২২
Date:- ১৬/০৯/২০২১
মাসুদ রানা
ব্যাচঃ ৮ম
রেজিষ্টেশনঃ ৪১১২
জেলাঃ ফেণী, দাগনভূঁঞা
একজন কমিউনিটি ভলান্টিয়ার, নিজের বলার মতো গল্প ফ্লাটপরম।
মোবাইলঃ ০১৭৪২৮৪১৬৭৬
৯/১৬/২০২১