অনলাইন-বেবি-কাঁথা-হাউজ
#গল্পে_গল্পে_পণ্যের_প্রচার
আসসালামুয়ালাইকুম
আশা করি ভালোবাসার মানুষ গুলো ভালো আছেন।শুকরিয়া আল্লাহ আমাদের ভালো রেখেছেন।
কৃতজ্ঞতা প্রিয় মেন্টর এর প্রতি যিনি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা, যিনি আমাদের সকল ভালো কাজের সহায়ক।প্রিয় স্যার এর জন্যই আজ লিখার সাহস পাচ্ছি।
আজকে(৮৩) তম হাটে সবাইকে স্বাগতম 🌹🌹
আজকের হাটে দেরিতে হলেও উপস্থিত হয়েছি। কারণ হাটে না আসলে আজকের দিন টাই বৃথা। এই একটা দিনই তো আমাদের ফাউন্ডেশনে গল্পের বাজার বসে।সবার এতো সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ে আমি অবাক।
চলুন গল্পের দিকে 👉👉
অনেক দিন পর একজন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। পরিবেশ টা গ্রামীণ। গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রা অন্যরকম হয়। যারা গ্রামে বাস করেন বা বড় হয়েছেন তারা জানেন।গ্রামের বেশির ভাগ ঘরে দেখলাম মেয়েরা বিভিন্ন হাতের কাজের পণ্য নিয়ে কাজ করছে। নিজেদের ঘরের কাজের পাশাপাশি অবসর সময় টা কে কাজে লাগানোর জন্য তারা হাতের কাজ গুলো করে।
কেউ নিজের জন্য করে আবার কেউ পারিশ্রমিক নিয়ে অন্যকে করে দিচ্ছে।সবার ঘরে ঘিয়ে বুজতে পারলাম গ্রামের মানুষ বসে নেই। একটা না একটা কাজের সাথে যুক্ত আছে।
দেখতে পেলাম কেউ বড় নকশি কাঁথা আবার কেউ বেবি দের নকশি কাঁথা সেলাই করছে। তার কে দাম জিজ্ঞেস করলাম কি ভাবে কত করে সেলাই করে।অনেকেই ভালো বলল। আবার অনেকেই খুব কম বলল।
আমরা অনেকে মনে করি যে হাতের কাজে কষ্ট নেই খুবই সিম্পল কাজ। কিন্তু যিনি করে তিনিই বুজে কতটা কষ্ট। আমরা অনেকে অন্যকে দিয়ে কাজ করাই কিন্তু তাদের সঠিক পারিশ্রমিক দিতে জানি না।তাই আমাদেরকে সব দিক বিবেচনা করতে হবে।
মেয়েগুলোর সাথে মিশে বুজলাম অনেকেই পড়ালেখা করে কিন্তু করোনার বন্ধের কারনে বসে থেকে কি করবে তাই হাতের কাজ গুলো করছে।তাদের কিন্তু অনলাইন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।কারন তারা এসব থেকে অনেক দূরে।যদিও স্মার্ট ফোন এখন ঘরে ঘরে কিন্তু ফেইসবুক ঘরে ঘরে নেই।
হঠাৎ আমার মাথায় একটা চিন্তা এলো আমি যদি তাদেএ কাজে লাগতে পারি তাহলে আমার পাশাপাশি তারাও উপকৃত হবে।সেই চিন্তা থেকে তাদের বললাম আমিও এসব হাতের কাজের কাঁথা নিয়ে কাজ করি।তারা শুনে অবাক বলল,,আপু আপনি না ভার্সিটিতে পড়েন আপনি এসব কেমনে করেন।তাদেরকে অনলাইন নিয়ে সব বুজিয়ে বললাম।যেহেতু দুই একজন পড়াশোনা জানে তাই সহজেই বুজলো।
আমার স্বপ্ন আমি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।তাই তাদেরকে বললাম,,,আমার কাঁথার যখন বেশি অর্ডার আসবে তোমাদের কাছে কাপড় কিনে এঁকে পাঠাই দিব। কাজ শেষ করে আমাকে পাঠাবেন আমি আপনাদের সম্মানি পাঠিয়ে দিব।তারা তো অনেক খুশি😁কারণ এই করোনাকালীন সময়ে সবার খারাপ অবস্থা।
সেখান থেকে একটা মেয়ে বলল,,,আপু আমিও আপনার মত অনলাইন বিজনেস করতে চাই।আমার খুব ভালো লাগলো যে আপনি ঘরে বসেও সেল করছেন।বললাম একটা ফেইসবুক আইডি খুলে নাও তাহলে।তোমাকে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সাথে যুক্ত করে দিব।সেখান থেকেই আমি কিছু করার সাহস,অনুপ্রেরণা ও শক্তি পাইছি।
তাদের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে অনেক ভালো লাগলো।তাদের জন্য কিছু করতে পেরেছি এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছি।এভাবে বেড়াতে গেলে আমরা নিজেদের বিজনেস নিয়ে অন্যের সাথে কথা বলতে পারি।নিজের পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের প্রচারও করতে পারি।
#আমর_যাকে_চিনি_তার_থেকেই_কিনি
স্যার এর স্লোগান টা আমরা সব জায়গায় ব্যবহার করব।যেখানেই যায় না কেনো চুপ করে বসে না থেকে নিজের কাজ সম্পর্কে তুলে ধরব।এতে করে প্রচার ও প্রসার হবে।অনেক উদ্যোক্তা ভাইয়া আপুদের এই কাজ করতে দেখেছি।
শুধু পণ্য নয় পণ্যের গুনগত মানও তুলে ধরতে হবে এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন পণ্য দিতে হবে।তবেই রিপিট কাস্টমার বাড়বে।
আজকের গল্পটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ 💜
(বিঃদ্রঃ পণ্যের সাইজ ও কাজের উপর দাম নির্ধারণ করা হয়)
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৩০
Date:- ২৫/০১/২০২২ইং
👩🎓আমি তাহামিনা আক্তার
🏅কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
🎗️ব্যাচঃ১৪
✍️রেজিষ্ট্রেশনঃ৬৬৩৯৩
🇧🇩জেলাঃ লক্ষ্মীপুর
🏡বর্তমান অবস্থানঃ নোয়াখালী
🎨কাজ করছিঃ বেবি কাঁথা নিয়ে
🎀পেইজঃhttps://www.facebook.com/অনলাইন-বেবি-কাঁথা-হাউজ-110173391120586/