সুখ আর দুঃখ জীবনের আরেকটা জীবন! পাওয়া আর না পাওয়ার মধ্য থাকে তাদের চরম বাহাদুরি।
"পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি"
সকলের প্রতি শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল।
নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
প্রথমে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি 'নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যেক্তা,প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।
সুখ আর দুঃখ জীবনের আরেকটা জীবন!
পাওয়া আর না পাওয়ার মধ্য থাকে
তাদের চরম বাহাদুরি।
পাওরার ভিতরে যেমন সুখ !
না পাওয়ার ভিতরে তেমন দুঃখ।
মানুষ যখন অতি আনন্দে
সুখের নদিতে জীবন তরী বাইতে থাকে।
হটাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ে ডুবে যায় সে তরি।
সুখের সতিন হয়ে হাজির হয়ে যায়
দুঃখ মানুষের জীবনে,
সুখ দুখের এ চুল ছিড়া ছিড়ির মধ্য দিয়ে
চলতে থাকে মানুষের জীবন !
জীবনের গল্পটা বড়ই রহস্যময় ।
জীবনটা বড়ই বৈচিত্র্যময়।। সুখ আর দুঃখ আনন্দ বেদনা, পাওয়া আর না পাওয়ার মাঝে চলতে থাকে মানুষের জীবন ।আমরা থেমে যাই না সফল না হলে বরং আমরা সংগ্রাম করে যাই । গন্তব্য পৌছানোর জন্য ।
আমি ফারিয়া রাহমান । মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।আমরা ৩ ভাই বোন,আমি মেজো। আমরা ২ বোন ইমিডিয়েট বড় ছোট।ভাইটা আমাদের ছোট।গ্রামের একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। আমার বাবা একটা প্রাইভেট ফার্মে জব করতো।অসুস্থতার কারনে কন্টিনিউ করতে পারছেনা।মোটামুটি অবসরে আছে বললেই চলে ।আমাদের প্রানের গ্রুফটা এমন একটা গ্রুফ।যেখানে আমরা আমাদের আনন্দ বেদনা সুখ দুঃখ শেয়ার করে নিজেকে হাল্কা করতে পারি।তাই আবার ও নিজেকে একটু প্রশান্তি দেওয়ার জন্য কিছু লিখতে বসলাম।
সবার মাথার উপরের ছাতা থাকে। সাপোর্ট করার মতো লোক থাকে ।যার মাথার উপর ছাতা থাকে নড়বড়ে , ঝড় বৃষ্টিতে উড়ে যায় এমন। তাকে কিন্তু অনেক বৃষ্টিতে বিজতে হয়।কতো ক্রাইসিস মোকাবেলা করতে হয় , যারা ফেইস করে তারাই জানে।আসলে একটা মানুষের সফলতার পিছনে কেউ না কেউ থাকা লাগে না হয় উঠে দাঁড়ানো অনেক কস্ট।পরিবারে বাবার অবস্থান যদি হয় মজবুত তাহলে সবাই মুল্যায়ন করে ।আর যদি হয় নড়বড়ে তাহলে যে কতো কাট খড় পোহাতে হয় , যারা ফেইস করেছে এ মোমেন্টগুলো তারাই জানে।সমাজে চলতে হলে আমাদের সমালোচকের মুখমুখি হতে হয় ।সমালোচনাকে পিছনে পেলে সামনে এগিয়ে যেতে হয় , নয়তো আমাদেরকে পিছনেই পড়ে থাকতে হয় সমালোচকের সমালোচনাকে গায়ে মেখে ।নারীরা এখন সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছে , কিন্তু মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও বদলায় নাই।একটা মেয়ে কোনো কর্ম করবে এটা কেনো জানি বেমানান।কেন জানি একটা রীতি চলে আসছে পুরুষের কাজ করবে মহিলারা ঘরে থাকবে। মেয়েরা যদি ফ্যামিলিকে সাপোর্ট করে এটাও কেনো জানি দোষের কারন।আমরা ৩ ভাই বোন পড়াশোনা করছি।আপু মাস্টার্সে এডমিশন নিচে এবছর, আমি ডিগ্রি ফাইনাল ইয়ারে পড়ি।আমরা ২ বোন টিউশনি করি ।আপু একটা মাদ্রাসায় গভঃ জব পাইসে ৭ মাস হলো কন্টিনিউ করছে ।আমি সেলাই করি , হ্যান্ডপেইন্টিং করি।আমরা একটা ক্ষুদ্র উদ্যেগের পিছনে আছি ।আমাদের উদ্যেগের নাম Nazneen's। অনেক ধরনের প্রডাক্টস নিয়ে কাজ করি। আমার সবগুলো প্রডাক্টসই লক্ষিপুর ছাড়া ও অনেক গুলো ডিস্ট্রিক্টে যাচ্ছে । অনেক সাড়া পাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।এগুলা কেনো জানি গুন না হয়ে দোষ হলো জানি না।একটা মেয়ে গ্রামে থেকে এসব করবে কেনো জানি মেনে নেওয়া যায় না।একবার আমি একটা এক্সিভিশনে যাই, আমার প্রডাক্টস নিয়ে ।তো আমাদেরকে বলা হলো যে আপনারা বেশি বেশি লাইভ করবেন, পোস্ট করবেন ।এতে করে আপনাদের ক্লাইন্টরা আসবে আপনাদের সেল ভালো হবে ।বাসা থেকে আম্মু সাপোর্ট করেছে বাট কেউ না জানুক মানে আমরা হাইড করতে চেয়েছিলাম।বাট আমার পেইজ আইডিতে পোস্ট করার কারনে সবাই দেখেছে ।আমাকে আমার এক কাকি জিজ্ঞাস করতেছে ঃ"এই তোরা নাকি মেলায় দোকান দিছোচ, হ ভালোই করচোছ, আল্লাহ এক এক জনরে এক এক ভাবে চালায় ।কিন্তু আনমেরিড মেয়ে মানুষ হুনলে সমালোচনা করবে "।
আমি বললামঃ "কাকি এটা কোনো মেলা না এটা হলো একটা এক্সিভিশন মানে আমাদের পন্যের প্রদর্শনী, আমি তো অনলাইনে সেল করি,তো আমাদের ১০০ জন উদ্যেক্তা নিয়ে একটা এক্সিভিশন হইছে এখানে বেশির ভাগই নারি উদ্যেক্তা,২ একজন পুরুষ। ধরেন মানুষ তো অনলাইনে ছবি দেখে কিনতেছে মানুষ ঠকছে, এতে করে মানুষ অনলাইন কিনাকাটায় বিশ্বাস হারাচ্ছে। তাই আমাদের নোয়াখালির একটা কোম্পানি ডিজিটাল বাজার বিডি এ এক্সিভিশনের আয়োজন করেছে যাতে করে মানুষ দেখে আমাদের পেইজগুলোর উপর আস্থা অর্জন করতে পারে ।পরবর্তীতে পারসেস করতে পারে।এতোক্ষন লাগাই অনারে বুজাইলাম এসব" । বলে যে ও আচ্ছা আমি তো জানি না দেখছি আর কি ফেইসবুকে তাই তোরে জিজ্ঞাস করলাম।এখানে সমাপ্ত ছিলো। কিন্তু মানুষের তো কোনো কাজ নাই এর কথা অর কাছে অর কথা এর কাছে কাজ শুধু এটাই ।পরে আমাকে সবাই জিজ্ঞাস করছে এসব। কিন্তু ওনারা জানার কথা না । কারন ওনাদের সাথে আমাদের এড নাই ।উনিই সবার থেকে এসব বলছে যাই হোক আল্লাহ নিন্দুক আর সমালোচকের হাত থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুক আমিন।মেয়েরা অনেক কিছু করতে পারে, যদি সমালোচক না থাকে ।অনেকের কি যে আপ্সোস আমাদেরকে নিয়ে তোদের তো অনার্স কমপ্লিট হইবো বিয়ার বয়স অই গেছে , কিন্তু তোরা ফ্যামিলি মেন্টেইন করচ এগুলা শুনলে মানুষ।পিছাই যায় আগাইতে চায় না,ভাল চোখে দেখে না মানুষ।মাইন্ড করে। কেণো ভাই ছেলেরা কি আমাদেরকে বিয়ে করবে নাকি বাবার টাকাকে বিয়ে করবে। আর যারাএসব চায় আমরা তো তাদের চাই না। আগুনে ঘি ঢেলে কি মজা পান বুজি না। আগুন তো এমনিতে জ্বলে, বরং ঘি দিয়ে খিচুড়ি খান মজা লাগবে
কেনো যে মানুষ পজিটিভ চিন্তা না করে অলয়েজ নেগেটিভ চিন্তা করে যানি না।ওনারা ভাবছে হয়তো ফ্যামিলির ফাইনেন্সিয়াল অবস্থা খারাপ হওয়াতে আমরা এসব করছি। কিন্তু না আমি মনে করি প্রত্যেকটা মেয়ে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত। কেনো সবসময় একটা মেয়েকে কারোর না কারোর না কারোর পরিচয় চলতে হবে।যখন নিজের একটা অবস্থান তৈরি হয় , নিজের চাহিদা নিজে পুরন করতে পারে , কারোর কাছে হাত পাততে হয় না।তার চাইতে হ্যাপি মানুষ আর কেউ আছে বলে আমি মনে করি না।যখন আমরা ক্রাইসিস মোমেন্টে থাকি। তখন কিন্তু কেও আমাদেরকে সহানুভুতি দেখাবে না।আরও বেশি মজা নিবে।কিছু করলে ও জেলাস হবে।কেণো ভাই সবাই সবার মতো থাকেন নাহ। পারলে উপকার করেন নয়তো চুপ থাকেন ।কেউ কিছু বললে কাজের স্পিড ১০ গুন কমে যায়, কেণো জানি।হতাশ হয়ে পড়ি।আল্লাহ নিন্দুকের হেদায়াত করুক আর আমাদের সবর করার তৌফিক দান করুক ।ধৈর্য এক প্রকার আমল যার সারা শরীররে কাঁটা কিন্তু ফল অনেক মিস্টি । আল্লাহ বলেন ঃ১/ “আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই: মাঝে মধ্যে তোমাদেরকে বিপদের আতঙ্ক, ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য–ফল–ফসল হারানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা কষ্টের মধ্যেও ধৈর্য–নিষ্ঠার সাথে চেষ্টা করে, তাদেরকে সুসংবাদ দাও। “ ৩/ “ধৈর্য হল একমাত্র সত্য ভিত্তি যার ভিত্তিতে একজনের স্বপ্ন সত্য হয়।”
ইনশাল্লাহ ভালো কিছুর অপেক্ষায়।সপ্ন অনেক বড় চাই ভালো কিছু করতে নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে।কর্মের মাধ্যমে সবার কথার জবাব দিতে ।আমরা সবসময় নিজের ক্রাইসিস গুলো নিজেরাই সল্ভ করছি । কখণো কেউ বিন্দুমাত্র সহানুভুতি দেখায় নাই ।বরং সব সময় এটাই বলছে যে তোর আব্বু কিছু করে না হিসেবে তো তোরা অনেক ভাল আচোস। কিন্তু এটা চিন্তা করে নাহ সব প্রাপ্তির পিছনে যে আমাদেরকে কতোটা স্ট্রাগল করতে হয় সেটা শুধু আমরাই জানি।যে ফ্যামিলির এ টু জেড মেইন্টেন করে শুধুমাত্র তারাই জানে। সবকিছু কিভাবে মেনেজ করতে হয় ।দোয়া করবেন সবাই আমাদের জন্যে।
ধন্যবাদ সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যায় করে পড়ার জন্য।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭২৮
Date:- ২৩/০১/২০২২ইং
নামঃফারিয়া রাহমান
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার।
ব্যাচঃ ১৫
রেজি নংঃ ৭২৮৪১
জেলাঃ চন্দ্রগন্জ, লক্ষ্মীপুর।
বর্তমানঃ লক্ষীপুর
ব্লাডঃ বি পজেটিভ (B+)
পেশাঃ উদ্দোক্তা + স্টুডেন্ট
ফাউন্ডারঃ Nazneen's
কাজ করছিঃ ড্রেস, হিজাব,শাড়ি নিয়ে