স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপার্জনের সর্বদিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো
আমি মৌসুমী আক্তার বর্ষা। আমরা দুই ভাই বোন,ভাই বড় আর আমি ছোট।আমাদের ছোট একটি পরিবার,ছোট একটি পৃথিবী। বাবা, মা,ভাই আর আমাকে নিয়ে আমাদের সংসার। আমার জন্মস্হান ঢাকা,দঃ কেরাণীগঞ্জ থানার বাসিন্দা ৷ আমাদের কোনো গ্রাম নেই বলে ছোটবেলা অনেক কান্নাকাটি করতাম
সবার গ্রাম আছে সবাই গ্রামে যায় ঈদে, কিন্তু আমরা কোথাও যেতে পারি না,আমাদেরতো গ্রাম নেইবাবাকে ঁঅনেক ভয় পেতাম,তাই মাকে বলতাম আমাদের কোনো একটা দেশে বাড়ি করতে ঈদ এলে আমরাও গ্রামে যাবো। আমি ছোট বেলা থেকে খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিলাম।তবে ভাই অনেক চঞ্চল ছিল।আমার ভাই খুব বেশি বড় না,আমার থেকে তিন বছরের বড়।তবে আমরা একসাথে খেলা করতাম।আমাদের দুজনকে খাবারের কিছু কিনে দিলে ভাই আগে আগে তার খাবার শেষ করে আমার খাবারে হামলা দিতো।😡আর আমি রেগে মাকে নালিশ করতাম।যখন খালু পাখি ওয়ালা ২টাকার একটা নোট দিতো,, খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতাম😊।সাইকেল চালানো আমার শখ ছিলো, যদিও মধ্যবিত্ত পরিবারের থেকে এটা আশা করা বেমানান ছিলো।তাই ভাই আর আমি টাকা জমিয়ে সাইকেল ভাড়া নিতাম।ভাই বলতো আমাকেও শেখাবে।ও আগে চালিয়ে সময় শেষ করে আসতো আর আমি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকতাম।এসে বলতো "লক্ষী বইনে কালকে তোমারে আগে উঠতে দিমুনে "সময় শেষ,,,,আবার অপেক্ষায় থাকতাম এভাবে করে করে আমার যে আর সাইকেল চালানো শেখা হলো না😭। খেলাধুলা করতে,ঘুরতে যেতে ও আমার খুব ভালো লাগে,ভাই আমাকে হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে শাহাবাগ শিশু পার্ক নিয়ে যেতো।পথে পা ব্যাথা হয়ে গেলে প্রথমে কোলে নিয়ে হাটতো, তার পর পিঠে,তারপর কাঁধে নিয়ে হাটতো।আর পড়াশোনা???ভাই উপরের ক্লাসে থাকায় ও যা পড়তো ওগুলো আমার মুখস্থ হয়ে যেতো।মজার কথা মায়ের একমাত্র ছেলে থাকায় কখনো নদীতে যেতে দিতো না,আরভাই আমাকে নিয়ে নদীর পারে গিয়ে প্যান্ট খুলে আমার কাছে দিতো আর আমি প্যান্ট নিয়ে বসে থাকতাম,গোসল শেষে রোদে গা শুকিয়ে প্যান্ট পরে বাসায় আসতো।মাঝে মাঝেই আমিও সুযোগ পেয়ে বসতাম,চকলেট কিনে না দিলে মা কে বলে দেবো তুমি "নদীতে ডুবাইছো" ব্যাস যে কথা সে কাজ । 🥰🥰
🌼""ফ্যামিলি পরিচয় ""🌼
যদিও পরিবারের ছোট মেয়ে আমি, তবুও স্ট্রাগল করতে হয়েছে বেশি, কারণ মধ্যবিত্ত পরিবার,বাবা প্রথমে চাউল এর ব্যবসা করতো, জিনজিরা বাজারে। কিন্তু আমার বড় চাচা সেটা নিজে বুঝে নেয় বড় ছেলে তাই। পরে আমার বাবা কাঠের স,মিল এ ম্যানাজারি করে।পড়াশোনা ভাই তেমন করেনাই,এস এস সি এর পরে ঢাকাতে ভর্তি হতে চেয়েছে।কিন্তু মা ভয় পেতো নদী দিয়ে যাওয়া আসা,সে কারনে রাজি হয়নি।ব্যাস পড়া শেষ। ।💞❤️
🌻"" পড়াশোনা জীবন ""🌻
ওই যে আগেই বলেছিলাম ভাইয়ের পড়া আমার মুখস্থ হয়ে যেতো।বাবা নিয়ে গেলেন স্কুলে ভর্তি করাতে। হেডমাস্টার করলেন না,বললেন এতো ছোট মেয়ে কে নেয়া যাবে না,কিছুই পারবেনা।বাবা বললেন বয়স কম কিন্তু পড়া পারবে,একটা পরিক্ষা নিলেন,সবই পারলাম।তবুও কিন্তু কথা একটা থেকেই গেলো, বয়স কম।আগামি বছর নিয়ে এসে ২য় শ্রেণিতে ভর্তি করালে ভালো হবে।বাবা চলে আসলেন আমাকে নিয়ে। পরের বছর ২য় নয়, ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী করে দিলো।প্রাইমারিতে সব স্যার ম্যাডামরা অনেক ভালোবাসতো।লেখাপড়ায় ভালো থাকায়। 😊
তারপর জিনজিরা গার্লস স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেই এবং চান্স পাই ৬স্ঠ শ্রেনিতে।৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে ৭ম এ উঠলাম।তখন বাবা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার জন্য পাঁচ টাকা দিতো।৩ বান্ধুবী হেঁটে যেতাম আর টাকা টিফিনে খেতাম।বাবার জব চলে যাওয়ায় আর টাকা দিতে পারতোনা,,মা একটা পরোটা কখনো চিনি দিয়ে, আবার কখনো ভাজি দিয়ে দিতো।
ক্লাস ৭ম শ্রেনি থেকেই টিউশনি করা শুরু করলাম।২টা বাচ্চা একসাথে পড়ে ১ঃ৫০ ঘন্টা পড়াই ২৫০টাকা দিতো।তার পর আরো একটা পড়াতাম।ভালোই কাটছিলো দিন গুলো😊
এসএসসি দিয়ে একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে জয়েন করি।পাশাপাশি ৩টা টিউশন দিন বদলাতে লাগলো।বাসায় এসে কাগজের তৈরি শপিং ব্যাগ বানাতাম,১০০পিছ তৈরি করে দিলে ২০ টাকা দিতো।মা আর আমি করতাম টাকা আনতাম ২০ রোজায়।এ দিয়ে আমাদের মার্কেট হয়ে যেতো।
সাঁতার না জানার কারনে জিনজিরা পী এম স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ছিলাম।দুলাভাই এর অনুপ্রেরণায় একটা ডিপিএস করি UCB Bank এ।এটা আমার ফুফাতো বোন জামাই।যদিও আমার বাবার দিকের আত্মীয় স্বজনরা কেউ চায়নি আমি পড়াশোনা করি😥।নিজ ইচ্ছায় এগিয়েছি,পরিবারের সাপর্ট ছিলো,আর্থিক দিক দিয়ে না দিতে পারলেও মনের দিক দিয়ে দিয়েছে। অনার্সে পড়ার একটা ভুত মাথায় চেপে ধরে,, পৌর নীতি স্যারের পড়ার মাধুর্যতায় এ বিষয়টির প্রেমে পরে গেলাম।অনার্সে চান্স নিলাম ভর্তি পরিক্ষা দিলাম আর প্রথম চয়েজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান পেয়ে গেলাম।সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ লক্ষীবাজার।অনার্সে ভর্তি হলাম, এক বড় ভাই এর সাথে পরিচয় হয় আমাদের এলাকায় থাকে, তার উৎসাহে ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে জব নেই।ভালোই চলছিলো দিন গুলো,,সারাসারা দিন এতো ব্যস্ত থাকতাম,স্কুল, আমার কলেজ,টিউশনি,,,,,,,, খাবারের সময় গুলো এলোমেলো হয়ে গেলো,তবে নামাজ এক ওয়াক্ত মিস হতো না।ব্যাগে পাতলা একটা জায়নামাজ থাকতো। যখন যেখানে আজান দিতো পড়ে নিতাম নামাজ।ও হ্যা একটা কথা বলা হয়নি,, আমি কিন্তু ৭ম শ্রেনি থেকেই বোরকা পড়ি।
মাস্টার্সে ভর্তি হই ইডেন মহিলা কলেজ। মাস্টার্স রানিং থাকা অবস্থায় আমি মিডৌ স্কলাস্টিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ জব শুরু করি ২ বছর ভালো ভাবেই করছিলাম হঠাৎ বাবা অসুস্থ হয়ে গেলেন কিডনি সমস্যা 😭বাবার আগেই ডায়াবেটিস ছিলো।মাঝে মাঝেই বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতো।স্কুল থেকে আর্লি লিভ নিয়ে বেরিয়ে পরতাম।এই স্কুলে ৬ ঘন্টা ডিউটি ছিলো, তার পর টিউশন শেষ করে বাসায় যেতে যেতে সন্ধ্যা পার।
এতো ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় কিভাবে যে চলে যেতো বুঝতে পারতামনা 😌
বাবাকে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় রেখে মাকে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে যেতে হোতো,রাতে আবার ভাইকে নিয়ে চিকুনগুনিয়া হয়েছিলো উহঃ কি ভাবে যে দিন গুলো যাচ্ছিলো!
😥চাপা কান্না😥
বাবাকে অনেক বেশি ভালবাসি,,অনেক অনেক বেশি😥 ২৭ শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ হঠাৎ বাবা অসুস্থ হয়ে পরে, সেদিন ছিল শুক্রবার।বাবাকে ধানমন্ডি নিয়ে যেতে হবে এম্বুলেন্স কল করলাম,বলল আজ শুক্রবার তাই দেড়ি হবে,,,,রোগী যদি ইমারজেন্সি হয় আপনার সামনে যা আছে সেটাই আপনার এম্বুলেন্স। আমি উবারে কলদেই বাবা হেটেই গাড়িতে গিয়ে বসল,আমি আর মা ও।ভাই বাসায় নেই কাজে নারায়ণগঞ্জ গিয়েছে।আমরা হাসপাতালে যাই বাবাকে টলি করে ভেতরে নিয়ে যাই,,জরুরি বিভাগে। উনারা বলেন ইমারজেন্সি ডায়ালাসিস করতে হবে।আমি স্বাক্ষর দেই,বাবাকে অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। বলল প্রথমে অগ্গান করে ফেস্টুলা করে বেডে দেবে,তার পর ডায়ালাইসিস করাবে।কিন্তু বাবা কে আর বাহিরে আনে নাই।বাবা অপারেশন রুমেই হার্ডএ্যাটার্ক করেছিলো,সেটা আমাদের জানানো হয়নি,আমাদের না বলই বাবাকে আইসিইউতে রাখে।জানতে চাইলে বলে আপনার বাবার ডায়ালাইসিস চলছে😥।
রাত ৮টায় বলে ব্লাড লাগবে,আমার সাথে ম্যাচ হয়।২ব্যাগ লাগায় আমি ফেবুতে পোস্ট দেই তা দেখে আমার এক বন্ধু নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে আসে।
রাত ৯ টায় বলে সরি আপনার বাবা হার্ডএ্যাটাক করেছে আমাদের এখানে হার্ডের সেক্টর ভালো না আপনারা উনাকে হার্ডফাউন্ডেশনে নিয়ে যান।ভাই এম্বুলেন্স ডাকলো নিচে গাড়ি আসছে লোক উপরে আসছে বাবাকে নেয়ার জন্য, তখন ডাক্তারা হঠাৎ করে বলে রোগীর অবস্থা ভালো না, রোগী কে ছাড়া যাবেনা
রাত ১০ টায় বাবা শেষ নিঃস্বাস ছেড়ে চলে গেলেন
এক একটা মুহূর্ত ভোলার না,মাকে তখনি জানানো হয়নি,কিন্তু মা বুঝতে পেরে গেছে সে কি কান্না,,, পুরো পরিস্থিতি টা অসহনীয় ছিলো😭
।কাঁদতে পারিনি, কষ্টে পাথর হয়ে গিয়েছিলাম, আমি ছাড়া আমার পরিবার ঠিক থাকতে পারবেনা,ঝোড়ে যাবে।
আমার বাবা সহ পৃথিবীর প্রত্যেকের বাবা, মা, যারা কবরস্থ হয়েছেন সবাইকে মহান আল্লাহ জান্নাতের সর্বচ্চ মাকাম দান করবেন,আমিন।
⭐⭐⭐ব্যস্তময় জীবন⭐⭐⭐
🌞সকাল ৫ঃ৩০টায় উঠে নামাজ পড়ে, কুরআন পাঠ,তার পর সকালের নাস্তা তৈরি করে নিজের লান্চ গুছিয়ে ৭টায় স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতাম, হেটে যেতাম তাই হাতে একটু সময় নিতাম।স্কুল ডিউটি ৮-২ টা কখনো কখনো কাজের চাপে আধঘন্টা দেরিও হয়ে যেতো।
👉৩ টা টিউশনি করে বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা পার।নামাজ কিন্তু পড়ে নিতাম বাচ্চাদের বাসায়। বাসায় এসে একটা ব্যাচ পড়াতাম, তারপর নিজের কিছু পড়াশোনা, রাতে খেয়ে ঘুম,মাঝরাতে তাহাজ্জুদ পড়ে আবার একটু ঘুম,আবার ফজরে ওঠা।এভাবেই চলছিল আমার দৈনন্দিন কাজের ধারা।
পরিবার পরিজন, সবাইকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে নিজেকে নিয়ে ভাবার কথা একটা সময় ভুলেই গিয়েছিলাম।
👸আমি একটা মেয়ে, আমার কিছু চাহিদা,ভালোলাগা,ভালোবাসা, নিজেকে সময় দেয়া,,,,না সেগুলো আর হয়ে উঠে নাই আমার জীবনে!
তবে স্রস্টা যদি আবার পাঠায় পৃথিবী নামক কোনো রাস্ট্রে.........ঐ যে কবির ভাষায় আবার 'আসিবো ফিরে ধান সিড়িরঐ তীরে,,,,,,,,,,সঙ্খচিল বেশে"
তখন নিজেকে নিয়ে ভাববো সবার আগে বলবো একজন ভালোবাসার মানুষ খুঁজে নেবো যে আমাকে সাপোর্টকরবে সব দিক দিয়ে।ভালো কাজকে অভিনন্দন জানাবে,আর খারাপ কাজকে অবমূল্যায়ন করবে।তবে যেমনটা ভালবাসবে তেমনি শাসন ও করবে।
💝উদ্দোক্তা জীবন💝
করোনায় যে শিক্ষা মানুষকে দিয়েছে তার মধ্যে আমিও পিছিয়ে ছিলাম না😥। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপার্জনের সর্বদিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।যে আমি মাসে ইনকাম ছিলো ৩০ হাজার প্রায়, সে এখন বেকার।
🤔রাত যায় দিন আসে ভাবনাগুলো এমন ভাবে গ্রাস করে আমাকে,, শুধু ভাবছি আর ভাবছি।কি করলে পরিবার টা কে একটু স্বাভাবিক জীবন দেয়া যায়।বাবার মৃত্যুতে অনেকটা ভেঙ্গে পরেছিলাম,,
নতুন করে আশার পথ নিয়ে এলো এই প্লাটফর্ম।
মোবাইলে দেখতে দেখতে একদিন আমার এক প্রিয় কলিগ সাথী আক্তার আপু ইনভাইট দিয়েছিল। তাকে বিস্তারিত জিঙ্গেস করায় সে সব খুলে বললেন প্লাটফর্ম সম্পর্কে। কোনো বিরক্ত হলেন না।আসলে একজন ভালোমানুষের গুণের একটি তার মধ্যে পেলাম।
সাথী আপুর সহযোগীতায় গ্রুপে রেজিষ্ট্রেশন করে মেসেঞ্জার গ্রুপে এড করে দিলেন।অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় সাথী আপু কে।তার কারনে আজ আমি একটি বিশাল বড় পরিবার পেয়েছি, যেখানে আছে অনেক ভাল মানুষ।আর পেয়েছি অনেক গুলো গ্রাম যেখানে ছোট বেলায় গ্রাম না থাকায় কান্না করতাম।
🤝 প্লাটফর্মের কিছু অফ লাইন মিট আপে অংশ গ্রহণ করি, অনেকের সাথে দেখা হয় বুঝতে পারি এখানে সবাই অনেক আন্তরিক, আমি তখন উদ্দোক্তা হইনি,কি নিয়ে কাজ করব বুঝতে পারছিলাম না,আমাকে সবাই উৎসাহ দেতেন,আবে বিজনেস সম্পর্কে ভাল করে জানার জন্য বলতেন।প্রিয় কিছু মুখ ছিল যেগুলো না বললেই নয়,তোফায়েল ভাই,আবির আহাম্মেদ,মনির মন,আপন ভাই,আপুদের মধ্যে কানিজ সুলতানা আপু,সনিয়া সালমান,সনিয়া মারজান,আখি আপু,পপি আপু,জিনিয়া,নাজনীন আপু তাদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে অনেক সার্পোট দিয়েছে।
🤔আমি প্রথমে ভাবি
১)আসলে আমি কি নিয়ে বিজনেস করব?
২) যেহেতু আমার মুলধন কম?
৩)কোন কোন পন্য গুলো নিয়ে অনলাইনে বিজনেস কম?
৪)মানুষকে সেবামুলক কি পন্য দেয়া যায়?
🌴আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মিটফোর্ড সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ব্যবসা করে পাইকারি। আমি ওর সাথে কথা বলি,ও আমাকে উৎসাহ দিলো।আমি নেমে পরলাম আর পিছন ফিরে তাকালাম না।মাশাআল্লাহ আমার অনলাইন বিজনেস এর শুরু তে একটা পেজ খোলার জন্য লোগো দরকার ছিল প্রিয় মনির মন ভাই এক ভাই এর ঠিকানা দিলেন কামরুল ভাই,তিনি একজন ভাল মানুষ, আর সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে সাব্বির ভাই।তাদের সু স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা করি।
আমি বন্ধুর দোকান থেকে পন্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দেই।
এই কাজের পাশাপাশি আমার ভাই যে ডিজিটাল দেয়াল ঘড়ি তৈরি করে সেটাও আমার অনলাইন ব্যবসার ভেতরে রাখি।
🎆এখন মনে হচ্ছে সফলতা কে কাছ থেকে দেখতে পারছি।আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালভাবে কাটছে দিন গুলো। আর এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রিয় মেন্টর" ইকবাল বাহার জাহিদ,"স্যার এর জন্য। তিনি আমাদের তৈরি করে দিয়েছেন একটি পরিবার,যেখানে আমরা সবাই আন্তরিক, এবং ভালমানুষ।
🌿প্রিয় স্যারের কিছু কথা মনে লেগে গেছেঃ
💮একজন ভাল মানুষ হতে হবে।একজন মানুষের ভাগ্য বদলাতে হবে।
💮বিজনেস ছোট থেকে শুরু করো।
💮লেগে থাকতে হবে যতক্ষণ সফলতা না আসে।
🤲প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের জন্য দোয়া করি স্যার অনেক অনেক ভাল থাকুক,আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করবেন, ইনশাআল্লাহ। (আমিন)।
🌷আজ প্রিয় স্যারের জন্য আমাদের সকলের একটা পরিবার হয়েছে, স্যার এর অবদান বিশাল।
চির কৃতজ্ঞ স্যারের প্রতি,,, জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি, আবার অনেক কিছু পেয়েছি। তার মধ্যে অন্যতম পাওয়া """নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন"""
💚যে প্লাটফর্ম এ নিজের জীবনের একটা গল্পটা আমাদের স্যার তৈরি করতে বলেছেন।
ধন্যবাদ প্রিয় মেন্টর" ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যার🌹🌹
💚স্যারের একটা বুলি অন্তরে আজীবন ধরে রাখবো💚।
স্বপ্ন দেখ,
সাহস করো,
শুরু করো,
লেগে থাকো,
সফলতা আসবেই,
ইনশাআল্লাহ।
আমি স্যারের এই কথাটাকে ধরে রেখেছি।
আমার পরিচয় "আমি একজন ভালো মানুষ "
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭২৮
Date:- ২৩/০১/২০২২ইং
মৌসুমী আক্তার বর্ষা
ব্যাচ নম্বর ১৫
রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ৭১৫২১
কেরানীগঞ্জ জোন
পেইজ Sneha's collection
পেইজ লিংক