এই প্ল্যাটফর্ম যদি আমি দুই তিনটা বছর আগে পেতাম
✍️ ✍️ শুরু করিতেছি মহান সৃষ্টিকর্তার নামে, যিনি পরম করুণাময় ও অত্যান্ত দয়ালু✍️ ✍️
🙋🙋আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আপনার মূল্যবান কিছু সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়বেন🙋🙋
_______ ধন্যবাদ _______
💙💙পৃথিবীর সকল মা-বাবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো, জীবনের প্রথম শিক্ষক মা ও বাবা💙💙।
কৃতজ্ঞতা_______
💙🌅 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি। লাখো হতাশাগ্রস্থ যুবক যুবতীর আইডল প্রিয় শিক্ষক, মেন্টর জনাব iqbal bahar zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি "ভালো মানুষের পরিবার" নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন💜💓
💛💛ভালোবাসা রইলো সম্মানিত কোর ভলেন্টিয়ার ও মডেরাটরদের প্রতি যারা নিরলসভাবে এই প্লাটফর্ম কে ভালোবেসে কাজ করে যাচ্ছেন নিরবে💛💛
🧡💙 প্রিয় স্যারের দীর্ঘজীবী কামনা করি। এই ফাউন্ডেশন কে ভালবেসে একজন গর্বিত আজীবন সদস্য হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি..!🧡🧡
🙋🙋কৃতজ্ঞতা জানাই আমার বন্ধু-বান্ধবদেরকে যারা আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন🙋🙋
💝💝 ধন্যবাদ এই ফাউন্ডেশনকে। যার সুবাদে আমার জীবনের কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরেছি💝💝
☀️🥀আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা☀️🥀
🌛🌛আমি আবুল কাসেম। পরিবারের ছোট ছেলে। ১৯৬১ সালে ফেনী শহরের কোন এক মাটির কূড়ে ঘরে মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহন করি...🌛🌛
💖💖আমার বাবা ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ও অতন্ত্য সৎ ভালো মানুষ 🤲 আমি সবার ছোট বাবা, মা, ভাই, বোন নিয়ে সবাই এক সাথে ভালো ছিলাম💯💖
✍️✍️ জীবনের গল্প লিখা মানে জীবন কে নতুন করে অতীত এর কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া🥀✍️
🥲💢ওয়াদা করছি যাহা বলিব সত্য বলিব 🤲 😤।
💞💞 সময়ের প্রাকৃতিক নিয়মেই বেড়ে উঠা। অনেক আদরযত্ন না পেলেও ভালোবাসা কম ছিল না। আমরা তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। আমার ৪ বছরের বড়বোন ছিল। বাকি ২ বোনের বিয়ে হয়ে যায় আমার জন্মের আগেই👫
🤷🤷ছোট বোনে যত্ন আর ভালবাসায় বড় হয়ে উঠি। দারিদ্র্যতা ছিল সহনীয় পর্যায়ে কারন তখন মানুষের চাহিদা ছিল অনেক কম।💞💞
💓💓 সবার ছোট হওয়াতে এই বোন ছাড়া আর তেমন কোন সঙ্গী সাথী ছিলনা😤💓
👫মেয়েদের নাকি অন্যের ঘরে যেতে হয়! তাই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় আমি একা হয়ে পড়ি💏
☀️☔স্কুল ছিল অনেক দূরে। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ও শীত উপেক্ষা করে স্কুলে যেতাম। বড় ভাইয়ের উৎসাহ ছিল প্রচুর, যেন ভালো করে পড়া লেখা করি💓💓
🤡🤡 প্রাইমারী স্কুলের স্মৃতি গুলো অজান্তেই আজ মনে পড়ে যায়। তখন পিটিয়ে মানুষ করার সংস্কৃতি ছিল। সেই সংস্কৃতির চিহ্ন আমার বাম কানে এখন ও বয়ে চলেছি। ২য়/৩য় শ্রেণীতেই ঝরে পড়ত ৭০ থেকে ৮০% ছাত্র ছাত্রী😭🤡
🏃🏃স্কুল থেকে ফেরার পথে শাপলা, শালুক খেয়ে পেট ভরে আসতাম। সাথে সারা শরীরে পানির শেওলা আর গেঞ্জি তে ভরে কাদাযুক্ত শালুক। সার্ট তখন তেমন ছিল না থাকলে ও বুতাম লাগানো হত না। অনেক ছেলেরা খালিগায়ে স্কুলে আসতো🧍🧍
🐤🦜শালিক, 🦩বক, প্রজাপতির🧚 পিছনে দৌড়ানো🤼,গোল্লা-ছুট, হাডুডু ছিল প্রতিদিনের কাজ⛹️🤾
🤷🤷 অনেক দামাল সমাল ছিলাম। গায়ে কাদা মাখার অপরাধে মায়ের বকুনি আর উত্তম-মাধ্যম ছিল প্রায় নিত্য দিনের🤷🤷
🌅🏘️সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে থাকা চিন্তা ই করা যেত না, যা ছিল একেবারেই দুঃস্বপ্ন🌅😳
🔥🔥রাতে উঠানে বসে "কুপি-বাতি" জ্বালিয়ে পড়া শুরু হত। মা ঢেঁকিতে পা দিতে দিতে "বাল্যশিক্ষা" পড়াতেন। বাল্যশিক্ষার একটি বই এখনো আমার কাছে আছে🔥🔥
📙📘রামসুন্দর বসাক এর একটি দুর্লভ বই। একটি অত্যন্ত মূল্যবান স্বর্ণালী প্রথম পাঠ, দাম ১ আনা ৫ পাই ছিল ভাষা শিক্ষা, আদব, কায়দা, জ্ঞান ও সম্মান করতে শিক্ষা দিয়েছেন মা📙📘
💟💔অভাবের সাথে পাল্লা দিয়ে একটার পর একটা ক্লাস পাড়ি দেওয়া। বাবার সাথে হাটে যাওয়া, 🕌ওয়াজ মাহফিল এ যাওয়া। মাঠে হাল চাষ। ধান রোপণ আর কাটার কাজ করতাম। গরু ও বাছুরের জন্য সবুজ ঘাস সংগ্রহ ছিল নিত্যদিনের জীবনসূচি💟💔
💢💢আমি তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, ১০ বছরে পা রেখেছি। শুরু হলো ভয়াল ১৯৭১ সাল। মানুষের কান্না, না খেয়ে মৃত্যু। কত অত্যাচার অবিচার নিজের চোখের সামনে দেখেছি। রাস্তায় রাস্তায় মানুষকে গুলি করে ফেলে যেতো💢💢
😭😭মায়ের বাড়া-ভাত রেখে চলে যাওয়া সেই দামাল ছেলেরা আর কোনদিন মায়ের বুকে ফিরে আসেনি। চারিদিকে হাহাকার, ক্ষুধায় মৃত্যু, গোলা-গুলি, বোমা, যুদ্ধজাহাজের শব্দ এক বীভৎস পরিস্থিতি😤😭
🙋🇧🇩বাঙালি জাতির বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৬ই ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জনের দিন🇧🇩🙋
🌅🎇তারপর স্বাধীনতার সেই সোনালি দিনে সূর্য, উঠে এসেছিল বাঙালি জাতির জীবনে 🌅🎇
💥💥প্রাইমারি স্কুল ছেড়ে হাইস্কুলে ভর্তি হই। বারাইপুর রেলগেটে কিছু উদ্যমী যুবক, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মেজর সালাউদ্দিনের নামে তিনটি ক্লাস দিয়ে একটা হাই স্কুল শুরু করে ভাঙ্গা মক্তব খানায💥💥
😭😭সময়ের সাথে সাথে পরিবারের টানা-পোড়ন বাড়তে থাকে। ইতিহাসের সেই করুন ৭১/৭৫ এর দুর্ভিক্ষ আমি নিজের চোখে দেখেছি 😭😭
🥀🌹১৯৭৮ সালে এসএসসি পাস করি। প্রবল ইচ্ছে ছিলো বাবা মার আমি যেন ভালো কিছু করি। আমরাও ইচ্ছে একজন ইঞ্জিনিয়ার হবো নিজের ও বাবার স্বপ্ন পূরনের লক্ষে ভর্তি পরীক্ষায়, পাশ হয়ে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে গেলাম 🥀🌹
💢💢এখানে উল্লেখ্য করতেই হয়।
৫ ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় ২য় ৩য় শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী পড়াতাম। SSC পাশের পর শিক্ষকতা করেছি হাই স্কুলে। একটা দিনও বসে থাকেনি প্রতিটা মুহূর্ত কাজে লাগিয়েছি💢💢
💌💌ডিপ্লোমা কোর্স করার সময় আমি ছিলাম একজন ভালো ছাত্র ও দেখতে সুদর্শন ও স্মার্ট যুবক। স্বপ্নরা আসতে থাকে একে একে। ফুলের গন্ধ, রঙ, পাখির কলতান, গানের সুর, কোকিলের কুহু। হৃদয় বীণায় ঝংকার তুলতে থাকে ঝিরি ঝিরি বহমান দখিনা হাওয়া। জোনাকি আলো ছড়াতে শুরু করে আমার ছোট পৃথিবীত💌💌
📘📙ডিপ্লোমার প্রথম বছরে, পাশে গ্রামের সহপাঠীর সাথে তাদের বাড়িতে যাই স্ট্রাডি করতে। চোখ আটকে যায়, সুন্দরী সুনয়না তার কিশোরী ছোট বোন কে দেখে।🎇🎇
😍😍জীবনের প্রথম ভালবাসা চলে আসে মনের অজান্তেই। সুন্দরী বালিকার প্রেম উঁকি দিয়ে যায় মনের আকাশে। হাজার ও স্বপ্নে ও গন্ধে মৌ মৌ করতে থাকে আমার মনের আঙ্গিনা😍😍
🥀🌈 ঝিরি ঝিরি বহমান হৃদয় নদী। চাঁদনী রাতে জোনাকির আলো নিভু নিভু। তাঁরা দের মিট মিট জ্বলে উঠা। আয়নায় নিজেকে বারবার দেখা। যেদিকে তাকাই শুধু ফুল আর ফুল। রংধনুর সাত রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে উঠে আমার ছোট্ট পৃথিবী🥀🌈
🌙🌛 চাঁদনী রাতে স্বপ্নে বিভোর হয়ে নির্জন ট্রাংক রোডে উদ্দেশ্য হীন পথচারীতা। শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভেজা। নিজের সাথে নিজে কথা বলা🌙🌛
🥳🥳তবে হায় সবই ছিল এক তরফা।🥳🥳
🙋🥱একদিন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে ই হয়, করতে হয় নিজকে justify 🙋🥱
🥺😇আয়নায় দেখলাম পার্থক্য গুলো। নিজকে কোন Angle এ তাদের কাতারে, দুর-দুর পর্যন্ত দেখা যায় না🥺😇
😱😱আমাদের তো নুন আনতেই পান্তা ফুরিয়ে যায়, আর তারাতো অবস্থা সম্পুর্ন। সমাজে তখন মার্যাদা আর সম্পদের জয়জয়কার😰😰
💐💐তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, নিজকে গড়ে তুলতে হবে, প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। তাদের সম মার্যাদায়। কিন্তু কি ভাবে❔❓
🏊🏊শুরু হলো প্রতিষ্ঠার লড়াই। কিন্তু কি ভাবে? বিবেক, বুদ্ধি আর বিবেচনা থেকে উত্তর এলো শিক্ষা। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠার একমাত্র হাতিয়ার হলো শিক্ষা✍️ ✍️
🧑🎄🧑🎄সুন্দরী বালিকা কে পাওয়ার নেশায় শুরু হলো নিজকে প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। গরিবের সন্তানের পক্ষে এই সংগ্রাম মোটেই সহজ ছিল না🏊🏊
❓❓আবেগ বড় সস্তা জিনিস যা দিয়ে কিছু ই হয় না। আবেগ নয় বিবেক আর বুদ্ধি কে কাজে লাগাতে হবে। যেই কাজ ৩ বছর পরে করলে সম্মানের ও ইজ্জতের সাথে করা যাবে, সেই কাজটি এখন করে অপমান আর লাঞ্ছনায় পড়ব কেন❓❓
💘 💘 প্রেম কেpriority র দ্বিতীয় সারিতে রেখে দিলাম, শুরু হলো অধ্যায়ন। মাঝে মধ্যে দেখতে যেতাম তাকে। দুর থেকেই দেখতাম প্রাণ ভরে। আর মনে মনে বলতাম প্রীয়তমা, আমার জন্য অপেক্ষা কর। আমি বিজয়ী বীর বেশে আসব পংখিরাজে, চড়ে নিয়ে যাব তোমাকে তারাময় স্বপ্নরাজ্যে💘 💘
🌅🌅সকাল ৭-৩০ ক্লাস ২টা পর্যন্ত। বাড়ি এসে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম, যাতে ক্ষিধায় বিকাল ৪টায় ঘুম ভেঙ্গে যায় যেন পড়তে বসতে পারি। পড়া চলতো অনেক রাত পর্যন্ত। বিদ্যূৎ ছিল না ঘড়ি ছিল না। অনেক রাতে বাবা ডাক দিয়ে বলতো "এখন ঘুমিয়ে পড়, গাছের পাতায় টেবায় (কূয়াশা পড়া)" 🌴🌴
📙📒পড়ার বই গুছিয়ে চলে যেতাম রাস্তায় । দূর দূর পর্যন্ত কোন আলো ছিল না। স্বপ্ন রাজ্যে হারিয়ে যেতাম ক্ষনিকের জন্য। চোখ জ্বলজ্বল করত অজানা কোন আবেগে। চাঁদনী রাত হলে তো আর কথাই নেই🌛🌛
✍️✍️প্রতি সপ্তাহে একটা করে চিঠি লিখতাম, প্রেমের কবিতা লিখতাম, তবে দেয়া হতো না। এইভাবে গড়ে উঠেছিল চিঠি আর কবিতার ভান্ডার✍️✍️
📙📙এক সময় নেশা গড়ে উঠেছিল বই পড়ার, "অগ্নি বীণা" থেকে "ইস্পাত" পর্যন্ত। পদ্মাবতী আর কাবুল প্রবাসে। মাসুদ রানা সিরিজ থেকে সব জান্তা সিরিজ পর্যন্ত। ফেনী থেকে ভাড়ায় নিয়ে আসতাম বিভিন্ন সিরিজের বই। একটু সময় পেলেই বই হাতে বসে যেতাম। প্রতিদিন ২ টা পাতা হলেও পড়তাম। গল্পের চরিত্রের এর সাথে মিশে নায়ক হয়ে যেতাম। ড়াঃ লুত্ফুর রহমান এর অনেক গুলো আমি বই পড়েছি 📙📒
💢💢অধ্যবসায়ের ফল চলে আসে ৬ মাসেই Department এর First boy হয়ে যাই। সুনাম ছড়িয়ে পড়ে মেধাবী ছাত্র হিসেবে। কলেজে, সমাজে, আত্মীয় স্বজনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে থাকে। যারা আমার লেখা পড়ার প্রচুর বিরোধীতা করতো তাঁরা ও ভালবাসা দিতে শুরু করলো💢💢
🧭🧭প্রতিটা মুহুর্ত কাজে লাগাতে শুরু করলাম। স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছি নাম এইভাবে দিনের পর মাস বছর গড়িয়ে যায়। Final পরিক্ষা দেয়ার সাথে সাথেই চাকরি হয়ে যায়। বুঝতে পারলাম এটাই ছিল কারিগরি শিক্ষার ফল 🧭🧭
🔥🔥Diploma First class এ পাশ করি। অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। কিন্তু তাকে তো বলা হয় নি! যাকে ভালবেসে জীবন গড়ে নিলাম।তাকে জানানো দরকার বলে মনে করলাম🔥🔥
❤️❤️আবেগ আর আস্থায় পরিপূর্ণ জীবনের প্রথম চিঠি তাকে দিয়েছিলাম। তার পড়ার টেবিলে রেখে এসেছিলাম। লিখেছিলাম "ভুলু আমি তোমাকে ভালোবাসি", এই ভালবাসায় অধ্যবসায় ছিল, শ্রদ্ধা ছিল, টার্গেট ছিল, পবিত্রতা ছিল, নিজকে গড়ার অদম্য ইচ্ছা ছিল। তোমার ভালবাসায় আজ আমি প্রতিষ্ঠিত❤️❤️
💢💢"কাজ টা কি ঠিক হল" *আমরা আপনাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি*, ওর বড় ভাই আমাকে বলল। নিজের বিবেকের কাছে নিজেই প্রশ্ন বিদ্ধ হতে থাকি। মে কোন এক রাতের অন্ধকারে ফেনী শহর টা ছেড়ে দেই, চলে যাই ঢাকা💢💢
💓❤️আর সে? সে তো ফুলের সুবাসে থাকবে, সে তো আমার অনুপ্রেরণা। সে আমার হৃদয় এর আমানত, চোখের পলকে সাজিয়ে রেখেছি। বলতে ই হয় "মানুষের মনের মধ্যে অনেক গুলো কক্ষ রয়েছে, এক এক কক্ষে এক এক প্রিয় অতিথির বাস। যে কক্ষে যেই মানুষটি এক বার স্থান করে নিয়েছে সেই কক্ষ মানুষটির স্মৃতিতে মুখরিত, সুবাসিত হয়ে থাকে"💓❤️
🙌🙌শ্রদ্ধা যখন প্রেমের জায়গাটা দখল করে নেয় তখন "বড় প্রেম সুধূ কাছে টানে না, দূরে ও ঠেলে দেয়"🙌🙌
♥️💘এই অনুভূতি যে এক আজব চিজ। যে মানুষটার সাথে একটা কথাও হল না, সেই আমার হৃদয় জুড়ে অনুপ্রেরণা আর প্রতিষ্ঠার বীণ বাজিয়েছে। মনের আঙ্গিনা আর ঘরের ব্যালকনি তখন মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। তখন নিজের বাহুতে মাথা রেখে আর কাঁদতে হয় না।♥️💘
🥰🥰আর যে মানুষ টা চলে যাবে, তাকে ধরে রাখার চেষ্টায়ও যে এক অজানা অনুভূতি আর গল্পের সৃষ্টি করে🥰🥰
🌺🌺চাকরী হয়ে যায় Bhaiya group of company তে। উচ্চ শিক্ষার নেশা পেয়ে বসেছিল। আরও পড়াশুনা করতে হবে। Diploma holder দের জন্য তখন উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। তাই আবার ভর্তি হয়ে তাই AMIE তে চলতে থাকে লেখা পড়া।🌺🌺
🌟🌟সময় নিজের মতো করেই চলে Installation Engineer হিসেবে Salary ভালোই ছিল। স্বভাব সুলভ ভাবে কলিকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যার সুবাদে গ্রামের অনেক ছেলে কে চাকরি দিয়ে কর্মসংস্থান করে দিয়েছি🌟🌟
🤦🤦আমার এলাকায় আমার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। ছলচাতুরি ধরে অনেক ধনী পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের আনাগোনা শুরু হলো আমার বাড়ির আঙিনায়। হবু বরের ঘর আর উঠোন কে নিজের মত করে সাজাতে থাকে অনেকেই🤦🔥
🥰🥰বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে অনেক প্রতিষ্ঠিত পরিবার থেকে। তা হয়তো কল্পনা ও করা যেত না।মা-বাবা আত্মীয়-স্বজন দের কাছ থেকে বিয়ের চাপ বাড়তে থাকে।আমার কিন্তু পরিষ্কার কথা, আমি এমন কোন গাছের নিচে থাকতে চাই না, যাতে করে আমার শরীরে আলো-বাতাস আর বৃষ্টি না পড়ে🥰🥰
🎊🎊১৯৮৫ সালে পারিবারিক নিয়মেই আমাদের দূর আত্মীয়ের অনিন্দ্য সুন্দরী এক মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়ে যায়🎊🎊
🤲🤲আর ভুলুর জন্য দোয়া রইল, সে যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক সুখে থাকুক, সুস্থ থাকুক🤲🤲
😤😤যাকে পাইনি তার জন্য কোন দুঃখ নেই। আর যাকে পেয়েছি, তার তো কোনো তুলনা হয় না😤😤
💔💔 সংসার জীবনের যাএা শুরু, পরিবারের ছোট ছেলের বউ বলে কথা সবার মধ্যমণি হয়ে যায় সে 💔💔
চলবে.....
প্রবাসী হওয়া....
💞💞১৯৮৯ সালের ২৬শে জানুয়ারি আমার সহধর্মিণীর কোল জুড়ে পৃথিবীর আলো দেখতে পান আমাদের পূএ সন্তান💞💞
💢💢জীবিকার প্রয়োজনে পরিবারের ভালোর জন্য আমার ৬ দিনের একমাত্র পুএ সন্তানকে রেখে মরুভূমির দেশ ওমানে পাড়ি দেই।💢💢
💦💦কনস্ট্রাকশন Project এ সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল Site ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে শুরু হয় নতুন কর্মজীবন। প্রচন্ড রৌদ্র আর বৈরী আবহাওয়ায় প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ডিউটি চলতে থাকে💦💦
😪😪অপেক্ষা আর কান্না এই দুটোই ছিলো প্রবাস জীবনের সাথী। রাত জেগে চাঁদনী আলোয় চিঠি লিখতাম চোখের জলে। পরিবারের জন্য এক এক টা চিঠি ছিল এক এক টা উপহার আর সকালের উজ্জ্বল সূর্য কিরণ😪😪
✍️✍️ পরিবারের কাছে একটা চিঠি পাঠিয়ে, আরেক টা চিঠির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হত! একটা চিঠি যেতে ১ মাস আর উত্তর আসতে ১ মাস! ২ মাস সময় লেগে যেত। সুধু জানার চেষ্টা বাবা, মা, সহধর্মিণী ও ছেলেটা কেমন আছে। তখন টেলিফোন ছিল না☎️☎️
🌹🌹"নিজের বলার মত এক টা গল্প" platform খুঁজে পাওয়া🌹🌹
🏃💢সময় আপন গতিতে চলতে থাকে, দেখতে দেখতে অনেকগুলো বছর চলে যায়। এবার বাড়ি ফেরার পালা🏇🏇
🌤️🌤️এই দেশ আমার নয়।
এই দেশ আমার মাতৃভূমি নয়🌤️🌤️
✈️✈️৩১ বছর প্রবাস জীবনে ১৮ বার বাড়ি গিয়েছে। প্রতিবার এয়ারপোর্টে বসে কাঁদতাম কি করে বাড়ি যাবো? বন্ধু বান্ধব নেই, মা বাবা নেই। আত্মীয়-স্বজন নেই। কেউ আমাকে রিসিভ করতে আসত না। নিজের দেশেই আমি প্রবাসী হয়ে গেলাম✈️✈️
🤼🤼এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেটাকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (Civil)। মেয়েটা ইন্টার পাশ করার পর আর পড়তে পারেনি। গার্ডিয়ানের অভাব ছিল, অভাব ছিল সিকিউরিটির, তাই বিয়ে দিয়ে দিয়েছি🤼🤼
🙆🙆আমার সহধর্মিনী কে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে মা-বাবা ছেলে মেয়ের ভরণপোষণের জন্য বাজারে যেতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে পাড়া-প্রতিবেশীদের কটাক্ষ🙆🙆
🤹🤹সন্তানেরা বড় হয়েছে আর আমরা বৃদ্ধ হয়েছি। বয়স ৬১, দেশে গিয়ে কি করবো❓❔
💢💢 চিন্তায় আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম। অনেকগুলো গ্রুপে যোগ দিয়ে অন্নেষণ করতে থাকলাম কোন সুরুক পাই কিনা। আমার 30 বছরের উপার্জনের বেনিফিশিয়ারি যারা, তারা এতো দিনে একে একে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে💢💢
😇😇 মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি পরিবর্তন দেখা যায় কথায় কথায় রেগে যাওয়ার। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। আমার দায়ভার আমাকেই বহন করতে হবে। আমি দেখেছি, সব গ্রুপ শুধু তাদের নিজের স্বার্থটাই দেখছে😇😇
🌷🌷U টিভিতে একদিন স্যারের একটা অনুষ্ঠান দেখি। সেই থেকে স্যারের অনুষ্ঠান দেখা শুরু। অনুষ্ঠানগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকলাম। এবং কমেন্টস করতে থাকলাম। তারপর একদিন আমার সেই কমেন্টের উত্তর আসে। যুক্ত হয়ে যাই এই প্রাণের গ্রুপে🌷🌷
💔💔এই গ্রুপ আমাকে স্বস্তি দিয়েছে। উদ্যোক্তা হতে শিক্ষা ও উৎসাহ যুগিয়েছে। দুশ্চিন্তা দূর করে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে অনেক গুলো বন্ধুবান্ধব দিয়েছে। এখন আর আমাকে এয়ারপোর্টে বসে কাঁদতে হবে না😰😰
🎉🎉আমার মধ্যে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতে থাকে। আত্মবিশ্বাসে ভরে যায় মন।🎉🎉
🍄🍄যে মানুষ আমি রাতের অন্ধকারে উদ্দেশ্যহীনভাবে মরুভূমিতে হেঁটেছি ঘন্টার পর ঘন্টা🍄🍄
💫💫এখন আফসোস করি, এই প্ল্যাটফর্ম যদি আমি দুই তিনটা বছর আগে পেতাম। তাহলে এত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হতো না। আমার কাছে প্রচুর অর্থও থাকতো🌠🌠
🌌🌌স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রবাস জীবনে অনেক শিক্ষা অর্জন করেছি। তবে এইটাই সত্যি যে এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করেছি তা জীবনের সেরা সময়ের শিক্ষা🌠🌠
🌴🌴প্রবাস জীবনে ৩২ বছরে পা রেখেছি, জীবনে অনেক টাকা ইনকাম করেছি। গড়েছি বাড়ি, অর্থ, সম্পদ, সম্মান। জীবনের শেষ সময়ে এসে খুজে পেয়েছি অনেক গুলো ভালো মানুষ। আর নিজের বলার মতো একটা গল্প পরিবার, একটি ফাউন্ডেশন।🪴🪴
🌋🌋এই প্লাটফর্ম এসে অল্প দিনে যা শিখছি তা আমার ছাএ জীবনে, চাকরি জীবনে, প্রবাস জীবনেও শিখতে পারিনি, এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সবাইকে নিয়ে "নিজের একটা বলার মত গল্প" তৈরি করতে চাই🌋🌋
☔☔ আমার এ দীর্ঘ চলার পথের গল্প, যদি কারো বিন্দুমাত্র উপকারে আসে। তাহলে জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজেকে ধন্য মনে করব☔☔
🌟🌟এই প্ল্যাটফর্মের সবার প্রতি একটা অনুরোধ থাকলো আপনাদের সন্তান, ভাই ও বোনদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষাও প্রদান করুন। যাতে করে পৃথিবীর যেকোন দেশে গিয়ে তারা উপার্জন করতে পারে🌟🌟
আমাদের প্রিয় মেন্টর স্যারের একটা একটা উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই "স্বপ্ন দেখুন, শুরু করুন লেগে থাকুন সফলতা আসবেই"
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৪৯
তারিখ ২০-০২-২০২২
আবুল কাসেম ইন্জিনিয়ার।
ব্যাচ নম্বর:- ১৪.
রেজিস্ট্রেশন নম্বর:- ৬৭৩১৪.
Blood group:- Ab-pos.
বাড়ি ফেণী সদর,ফেনী।
আজীবন সদস্য:- নিজের বলার মত একটা গল্প।