🌹"অদেখা অন্ধকারের অমানিশা দূর করতে আমি এক স্বপ্ন সারথি

☪︎বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম☪︎ 🙋‍♂️আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। ✴️#জীবন_কাহিনীঃ✳️ 🌹"অদেখা অন্ধকারের অমানিশা দূর করতে আমি এক স্বপ্ন সারথি। আমার ছোট্ট জীবনের ছোট্ট গল্প লিখতে বলতে এসেছি আজ।"🌹 🌿আজ আমি আমার এই #ছোট_জীবনের_গল্প আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সবাই আমার জীবনের গল্পটি পড়বেন। ✳️প্রথমে শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহর দরবারে যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, এবং সাথে দিয়েছেন অনেক রকমের মেধা, যোগ্যতা ও দিয়েছেন ধৈর্য্য শক্তি। লক্ষ কোটি দরুদ ও শান্তি বষিত হোক প্রিয় নবী হরযত মোহাম্মদ(স:) এর প্রতি। এবং "নিজের বলার মতো একটি গল্প "ফাউন্ডেশন যুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। ✴️আমি কৃতজ্ঞতা জাপন করছি আমার জন্মদাতা পিতা মাতার প্রতি যারা অক্লান্ত পরিশ্রমে করে আমাকে লালন পালন করে বড় করেছেন। ❤️কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক" জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যারকে। যিনি এতো সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন আমাদের মাঝে। 🤲আমি মহান আল্লাহর দরবারে স্যার সহ তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ যেন সবাইকে সুস্থতা ও নেক হায়াত দান করেন।- আমিন "। ✳️আসলে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কোন না কোন গল্প থাকে। সে গল্পে থাকে হাসি,কান্না ,আনন্দ, বেদনা, পাওয়া না পাওয়া ইত্যাদি বিষয়। তার পরে ও আমার জীবনে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। 👨‍🏫 জন্ম পরিচয়: আমি তৌহিদুল ইসলাম (হারুন), আমার জন্ম ১৯৮৯ সালে। আমার গ্রামের নাম-নেয়ামতপুর, জেলাঃ ব্রহ্মণবাড়ীয়া, কসাব থানায় অবস্থিত। আমি আমাদের গ্রামে অতি সাধারণ ও নিম্ন বিত্ত পরিবারের একটি ছেলে। আমরা ৩ ভাই। আমার বাবার কনিষ্ঠ ছেলে সন্তান হলাম আমি। আল্লাহ তালার সর্ব শেষ নিয়ামত হিসেবে আমাকে দান করেছেন। আমার বাবা একজন সাধারণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। আমার মা একজন গৃহিনী। আমার বড় আরও দুই ভাই সহ আমাদের পরিবারের সদস্য মোট ৫ জন। 💠শৈশব কাল: প্রতিটি মানুষের শৈশব কাল থাকে অনেক আনন্দময় কিন্তু আমার জীবনে শৈশব কাল ছিল বেদনাময়। অনেক দুঃখ ও কষ্টে কেটেছে আমার জীবন। ছোট পরিবারের ,ছোট সংসারে আমার জীবন যাপন। কিন্তু কখন সুখ কি বস্তু বুঝতে পারিনি। তারপরেও হাসি আনন্দে বেড়ে ওঠা। পাড়া প্রতিবেশিদের সাথে দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসায় গড়ে উঠে আমার জীবন। ✴️কৈশোর কাল: দাদার প্রতীক সম্পত্তি অনুসারে বি.বাড়িয়াতে আমাদের বাড়ি। জন্মের পর থেকেই দাদার বাড়িতে থাকা। সেখানে আমার জন্ম পরিচয়। আমার বাবা একজন ছোট উদ্যোক্ত (মুদিখানার ব্যবসা) । ওনার খুব সীমিত আয় । কিন্তু আমার বাবা একজন সৎ মানুষ। ওনার সেই সীমিত আয় দিয়ে সংসার ও আমাদের লেখা পড়ার খরচ চালানো খুবই কষ্ট কর হয়ে পড়েছ। তাই সংসারে অভাব লেগেই থাকতো। অভাবের তারনাই সেই দাদার বাড়ি ছেড়ে পাড়িতে দিতে হয়েছিল শহরে। তরপরও …..সেই অভাব আমার বাবার পিছো ছাড়েনি। তারপরও মা-বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলেদের কে সু-শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলবে৷ কিন্তু বাবার অর্থের অভাবে বাধ্য হয়ে আমাদের কে এতিমখানায় দিয়েদিল। ইব্রাহিমপুর হযরত শাহ সূফি সৈয়দ আজমত উল্লাহ (রঃ) এতিমখানা, নবিনাগর, বি.বাড়িয়া। সেখানেই আমাদের বেড়ে উঠা। ✳️শিক্ষাগত জীবন: আমি S.S.C (দাখিল) পাস করি ২০০৫ সালে। ইব্রাহিমপুর হযরত শাহ সূফি সৈয়দ আজমত উল্লা (রা:) ফাজিল মাদ্রাসা থেকে। H.S.C (আলিম) পাস করি ২০০৭ সালে ইব্রাহিমপুর হযরত শাহ সূফি সৈয়দ আজমত উল্লাহ (রা:) ফাজিল মাদ্রাসা থেকে। তারপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে (ওয়েটিং লিস্টে থেকে) বাংলা বিষয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু ভর্তি হতে পারিনি। কারণ আমার পারিবারিক সমস্যা ছিল। পরবর্তীতে আমি সরকারি তিতুমির বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ থেকে বি.এ অনার্স (B.A) পাস করেছি ২০১২ সালে। তারপর আমি মাস্টার্স (M.A) পাস করেছি ২০১৩সালে । 💝বিবাহিত জীবন: প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা সুখের মুহূর্ত আসে আমার জীবনেও এসেছে ২০১৩ সালে। সেটা হয়েছে আমার বিবাহিত জীবন। আমার সহধর্মিনী কে প্রথম দেখাতে আমার ভালো লাগে এবং আমাদের পরিবারের সবাই পছন্দ করে। তাই প্রথম দেখাতে আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। আমি তখন B.A অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, তখন আমার বিবাহ হয়ে যায়। বিয়ের পর আমি B.A এবং M.A পাস করি। আমার বিয়ের ১ বছর পর আমাদের পারিবারে প্রথম ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয় ২০১৪ সালে। সেই মুহূর্ত থেকে প্রথম বারের মত বাবা হতে পেরেছি, তখন আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে সুখী আমি। আমার মত সুখী আর কেউ নেই। 🎗️কর্মজীবনঃ আমি ২০০৮ সালে ছাত্রজীবন থেকেই বি.এ অনার্স পড়াশুনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি (ডিজিটাল স্টুডিও) এর প্রতি শখ ছিল। সেই শখ থেকে একটি দোকান ভাড়া করে শুরু করি ব্যবসা উদ্যোক্তা জীবন। খুবই চমৎকার ভাবে চলছিল আমার উদ্যোক্তা জীবন। ২০১৬ সালে ব্যবসায় নেমে আসে একটা ঝড়, সেই ঝড়ের কবলে পড়ে আমার ব্যবসা, সংসার ও পড়াশুনা খরচ চালানো হিমসিম খাচ্ছিলাম। এরি মধ্যে চাকরির জন্য অনেক ছুটা ছুটি করি । কিন্তু ভাল চাকরি আর পেলাম না। তারপর নিকট তম আত্মীয়ের মাধ্যমে চমৎকার একটি জবের অফার পায়। সেই অফারের উপর বিশ্বাস ও আসতা রেখে পারি দিলাম প্রবাসে….। ✈️আমার প্রবাস জীবনঃ আল্লাহর কাছে নিয়ত করি সৌদি আরব যাওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন ২০১৭ সালে এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে সৌদিআরব জিদ্দা এয়ারপুটে আমার বিমান লেন করে সেই থেকে চলছে আমার সৌদিআরবের শুভ যাত্রা । আসার পর সেই আত্মীয় কে জিজ্ঞেস করলাম আমার কোম্পানীর নাম কি? কি আমার কাজ? সে আমার প্রশ্নের কোন উক্তর না দিয়ে এরিয়ে গেল। এবং আমাকে বল্লো সময় হলে সবই বলবো। সেই অপেক্ষায় একটি রুমে চলেগেল ১৫ দিন। ১৫ দিন পর সে আমাকে একটি মার্কেটে কাজের কথা বলে নিয়ে গেল। কাজ দিল মালামাল লোড-আনলোড করার। এবং বল্লো তুমি কিছু দিন এখানে কাজ করো ১ সপ্তাহ পর তোমাকে অন্য একটা ভাল কাজে নিয়ে যাবো...। সেই অপেক্ষায় দিন কটাচ্ছি প্রহর গোনছি কবে আসবে। 😥হাইরে! প্রবাস, আমরা দেশ থেকে মনে করি কী প্রবাস কত যে আনন্দময়। কত যে টাকা আছে, আসলে প্রবাসে যারা আসে তারই বুঝতে পারে প্রবাসীদের কত কষ্ট। কত মেহনত করে অর্থ উপার্জন করতে হয়। সেই সময়ে এখান কার তাপমাত্রা ও ছিল পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। কেন যানি মনে হত অগ্নি কোন্ডের গরম হাওয়া ন্যায় শরীলে লাগার সাথে সথে শেত্ব করে জ্বলে উঠতো আমার শরীল। কাপড় বিজে টপ টপ করে পানি ঝড়ে পড়তো জমিনে। দিন শেষে সমস্ত কাজ শেষ করে যখন বাসায় ফিরতাম রাতে ঘুমুনোর সময় বুক ফেটে প্রচন্ড কান্না আসতো। এটা আবার কেমন জীবন, সমস্ত শরীলে করতো প্রচন্ড পরিমানে ব্যাথা৷ ইচ্ছে করতো স্বদেশে ফিরে যায় কিন্তু সেটা সম্ভব ছিলনা। কারণ মাথায় ছিল ঋণের বুঝা। দেশে ফিরেগেলে কিভাবে এত ঋণের টাকা পরিশোধ করবো। শত কষ্টের মাঝেও চেষ্টা করতে লাগলাম লেগে থাকার জন্য এবং এর শেষ টা কোথায় গিয়েদাড়াই….। যখনি মণে কষ্ট আসতো তখনি স্বরণ করতাম পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের সেই ছোট একটি আয়াত "ইন্নাল্লাহা মাআস সাবিরীন।" নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৫৩)। এ আয়াতে অনুপ্রেরনা নিয়ে আবার কাজে লেগে পড়তাম। এভাবেই যাচ্ছিলো দিনগুলো…….। সেই নিকটতম আত্মীয়কে বিষয়টা অবহিত করার পর তিনি ২সপ্তাহ পর এসে আমাকে বল্লো তোমাকে এখানে আর কাজকরতে হবে না, তোমার জন্য একটা কোম্পানীর জব পেয়েছি অফিসিয়াল কাজ, চল আমার সাথে । যেই কথা সেই কাজ চলে গেলাম সেই নিকটতম আত্মীয়ের সাথে ওনার বাসায়। ২ দিন পর আমাকে মিট আপ করালো দুই জন আরব কান্ট্রি লোকের সাথে। ওনারা আরবীতে কি আলোচনা করলো কিছুই বুঝলাম না। কেননা তখন আমি নতুন ছিলাম আরবী ভাষাগত ভাবে দক্ষ ছিলাম না। সুধু আমার মাসিক বেতন কত হবে সেইটা বুঝতে পাড়লাম। মিটআপের দুই দিন পর আমাকে নিয়েগেল সেই কোম্পানীর কাজে । কয়েক দিন পর শুনতে পেলাম এটা মেইন কোম্পানী না। ম্যানপাওয়ার কোম্পানী…. থার্টপার্টি কোম্পানী। তারপর থেকেই শুরু হলো আমার কষ্টের প্রহর গোনা । এখনও চলছে….। পরে গেলাম হতাশা ও সিদ্বান্তহীনতার মধ্যে। দুশচিন্তার মধ্যে কাটাচ্ছি দিন..সপ্তাহ…মাস ও বছর। এক পর্যায়ে মানুষিক চাপ সয্যকরতে না পের পরিবারকে বল্লাম এখানের কাজ আমার কাছে ভাল লাগছেনা দেশে চলে আসতে চায়। কিন্তু পরিবারের লোকজন আমাকে শান্তনা না দিয়ে বরংচ অনেক গুলো নেতিবাচক কথা শুনালো। আসলে কি যানেন, প্রবাসীদের কে সব জায়গাই ছোট করে দেখা হয়। প্রবাসীদের সুখ দুঃখ দেখার কেউ নাই। প্রবাসী দের প্রতি কারু কোন মায়া মহব্বত নাই। আছে শুধু প্রবাসীদের টাকার প্রতি সবার মায়া। ✅ যাইহোক, এভাবেই ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে চলছিল আমার জীবন। তারপরই হঠাৎ একদিন প্রিয় স‍্যার একটা সেশনে বলেছিলেন চাকুরী কে না বলার আগে একটা ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান দাড় করাতে হবে। যাতে ব‍্যবসার মোনাফা দিয়ে আমাদের জীবনের পঁঞ্চাশ পারসেন চাহিদা পূরণ হয়। বিশেষ করে আমাদের প্রবাসী দের কে বেশি বুঝাতে চেয়েছেন। এই সেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম । এবং এই প্লাটফর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে এক জন দক্ষ ও সফল উদ্যোক্তা হবো এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে শুরু হলো আমার নতুন যাত্রা। 🚴‍♂️ 🌈স্বপ্ন দেখার শুরু, আজ আমার ৫ টি বছর পার হয়ে গেল এখনো সৌদিতে কাজ করে যাচ্ছি, স্বপ্ন দেখা ভুলে গিয়েছিলাম, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হয়ে প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সেশন পড়ে এখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, আমি এখন স্বপ্ন দেখছি উদ্যোক্তা হয়ে উঠার, অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি আমাকে স্বপ্ন দেখতে সাহস ও অনুপ্রানিত করেছেন। আগে ভাবতাম প্রবাস থেকে কিছু করা যাবে না । এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি আমি প্রবাস থেকে নতুন করে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করবো। আমার এখন মনে হচ্ছে কেন আরও আগে ভালোবাসার প্লাটফর্মে যুক্ত হলাম না। আগে যুক্ত হলে আমি জীবনে আরও উন্নতি করতে পারতাম। 🔰✍️প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হবার গল্পঃ আমি একজন প্রবাসী। আমার ব্যবসা করার খুবই ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও প্রবাসে পা ফেলতে হয়। প্রবাসে থাকলে কি হবে ব্যবসার প্রতি ছিল আমার অনেক মনোযোগ। ব্যবসার সম্বন্ধে ধারণা নেওয়ার জন্য আমি প্রতিনিয়ত ইউটিউব ঘাটাঘাটি করি। হঠাৎ করে ইউটিউবে FuturizersBD চ্যানেলে দেখতে পেলাম "জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ "স্যারের ব্যবসায়িক আলোচনা। স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন---- সাফল্য আসবেই । এই জাতীয় আলোচনা দেখতে পায়। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমিও স্যারের আলোচনা গুলো শুনি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। "বৃষ্টি সবার জন্যই পরে, তবে ভিজে কেউ কেউ।" স্যারের আলোচনার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রভাত আছে সেগুলো অনেক তাৎপর্য সম্পন্ন । স্যারের ভিডিও আলোচনার মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছি। স্যারে শুধু উদ্যোক্তা হতে শেখায় না সাথে একজন মানবিক মানুষ হতেও শেখান। তাই আমি এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে পরি। তারপর আমি ফেইসবুকে নিজের বলারমত একটি গল্প লিখে সার্চ করি । আলহামদুলিল্লাহ তারপর আমি পেয়ে যায় কঙ্খিত সেই গ্রুপ পেইজটি। এবং সঠিক তথ্য দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হই সপ্তম (৭) ব্যাচের শেষের দিকে। কিছু দিন যাওয়ার পর নজের পরে রেজিষ্ট্রেশন সম্পর্কিত একটি পোস্ট। তারপর আমি সেই নির্দেশনা অনোযায় রেজিষ্ট্রেশন করি। আমি ফাউন্ডেশন ৮তম ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করি। আমি তখন থেকেই কিছু কিছু সময় দিতে থাকি, আমাদের স্যারের লিখিত সেশন গুলি পড়তে থাকি, স্যারের ভিডিও সেশনগুলোশুনতে থাকি । 💕 আর প্রিয় স্যারের সেশন যতই শুনি বা দেখি ততই আমাকে চম্বুকের মত আকর্ষণ করতে থাকে। আর আমারও অনেক ভালো লাগা কাজ করে আর সেই ভালো লাগা থেকে ভালো বাসা ভালো বাসা থেকে প্রেম তাই আমি তৌহিদুল ইসলাম সৌদিআরব, জেদ্দা থেকে নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপের প্রেমে পড়ি। তাই এই প্রেমে সফলতা পেতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টায় ভলেন্টিয়ারিং করে যাচ্ছি বাকী টুকু আল্লাহ পাক ভালো জানেন। ভলেন্টিয়ারিং করতে গিয়ে পেয়ে যায় সৌদিআরব জেদ্দা টিমের প্রিয় ভাইদেরকে M H Bhuiyan Shipon, Fardous Ahmed Khandaker, Mahbub Hasan ও Hossain Kabir. প্রিয় ভাইদের পরামর্শে এবং সহযোগিতায় ও স্যারের অনুপ্রেরণাই এখনো লেগে আছি ইনশাল্লাহ থাকবো। ৮ম ব্যাচ থেকে আজ ১৬তম ব্যাচ রানিং লেগে আছি। তাই স্যারের অত্যান্ত প্রিয় একটা স্লোগান বুকে ধারন করে আজও বেঁচে আছি। স্যার বলেছেন স্বপ্ন দেখোন, সাহস করুন, এবং লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই। তাই আমি নিয়ত করেছি অমৃত পর্যন্ত লেগে থাকবো এই প্লাটফর্মের সাথে ইনশাআল্লাহ। ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সহিত স্বরণ করছি ভালো মানুষ গড়ার কারিগর, জীবন্ত কিংবদন্তি পথহারা মানুষের পথপ্রদর্শক শতাব্দীর সেরা আবিস্কারক আমাদের সবার প্রান প্রিয় শিক্ষকও মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যাররে প্রতি। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রমে একাগ্রতা,সততা ও নিষ্ঠার সাথে গড়ে তুলেছেন নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের মতোএকটা মানবিক প্লাটফর্ম। তাঁর সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই প্রিয় প্লাটফর্মের সকল ভাই এবং বোনের প্রতি যাদের মেহনতের দ্বারা নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা নতুন পুরাতন ভাই এবং বোনের প্রতি। স্বর্বপরি প্রিয় মেনটরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ হবে না শুধু প্রার্থনা করছি আল্লাহ তায়ালা প্রিয় মেন্টর কে আমাদের মাঝে হাজার বছর বাচিয়ে রাখুন। আমিন…🤲 ✴️যারা ধৈর্য্যসহকারে আমার এই লেখাটি সম্পূর্ন পড়ছেন । তাদের প্রতি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাধুবাদ, মোবারক বাদ আন্তরিক ভালোবাসা ও অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো। সেই সাথে ভাই ও বোনদের সুস্থতা কামনা করছি। সুস্থতার কোন বিকল্প নেই। 🙏আমার লিখনির মধ্যে যদি কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা প্রত্যাশী,💕 ধন্যবাদ সবাইকে। 📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৩২ Date:- ২৭/০১/২০২২ইং তৌহিদুল ইসলাম 🎯 স্বেচ্ছাসেবক 👨‍🎓 ব্যাচ: ৮ম 🖋️রেজি.নং: ৫৯৬০ 💉 ব্লাড গ্রুপ: B+ 🇧🇩 নিজ জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া 🇸🇦 বর্তমান অবস্থানঃ জেদ্দা, সৌদিআরব। 📲 মোবাইল নং- +966568010637 📧 touhidul.islam580@gmail.com ➡️ স্যারের শিক্ষা নিয়ে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেছি। 🛒ব্যবসায়িক পেইজঃ Matrichaya Online Shop (লাইক দিয়ে ভালবেসে পাশে থাকার জন্য অনুরোধ রইলো)।

নিজের বলার মতো একটা গল্প

🌹"অদেখা অন্ধকারের অমানিশা দূর করতে আমি এক স্বপ্ন সারথি

Categories

Recent Posts

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মেয়ে, মাদ্রাসার শিক্ষকতা পেশা থেকে উদ্যোক্তা জীবন…..

মাটির ব্যাংকের জমানো ৬০০০০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু

নিজের বলার মতো একটা গল্প

Blog Details