আমি আমার ফ্যামিলি কে অনেক ভালোবাসি তাই প্রেম-ভালোবাসা যৌবনকালে ঠাই দেই নাই
🌷বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 🌷
🌹আসসালামু আলাইকুম।
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু 🌹
🌍আমি সর্বপ্রথম শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। মহান রব্বুল আলামীনের প্রতি। যিনি এই বিশ্ব জগতের মালিক যিনি মহান করুণাময় ও দয়াময় রিজিকদাতা জীবন মরণের মালিক ও যিনি খালিক ওই মহান আল্লাহর প্রতি,যিনি আমাকে আমার পরিবারের সকলকে এই মহামারী তাণ্ডবের ভিতরে ভালো রেখেছেন সুস্থ রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন।🌏
🌘দরুদ ও সালাম পেরন করছি।মানবতার দূত নূরের আলো আলোকিত করেছে দিশেহারা পদ, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রতি।
💖আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার জন্মদাতা পিতা মাতার প্রতি যারা আদর যত্ন ভালোবাসা দিয়ে অক্লান্ত কষ্ট করে আমাকে লালন পালন করেছে।
আমি আমার বাবা মাকে ভালোবাসি আমি তাদের জন্য দোয়া করি রাব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানি ছগিরা।💜
💞আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমাদের প্রিয় শিক্ষক মেন্টর লাখো তরুণ তরুণীর স্বপ্ন জাগ্রত দিশেহারা মানুষের পথ প্রদর্শক হতাশাগ্রস্ত মানুষের আশার আলো জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের জন্য নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই প্লাটফর্ম শিখায় সততা নমনীয়তা সম্পর্ক ও কমিটমেন্ট শিখায় উদ্যোক্তা বিনয় মানবিক ও ভালো মানুষ হতে।💖🎉
🌷আমার পরিচয়
আমি রফিকুল ইসলাম। আমার জন্ম 1983 সালে
গ্রাম চরআলিমাবাদ আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে অবস্থিত।থানা কালকিনি,জেলা মাদারীপুর,আমার গ্রামে বসবাস বড় হয়ে ওঠা।আমার মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি আমরা দুই ভাই তিন বোন আমি বাবা-মায়ের বড় সন্তান বাবা সেনাবাহিনী ছিলেন 1988 সালে অবসরে আসেন তারপর 1992 সনে প্রবাসে।
মা একজন গৃহিনী।🌷
✏শৈশব জীবন ও কিশোর জীবন।
আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে আমার বসবাস। নদীর ধারে সর্ষেফুল, কাশফুল ,মাছ ধরা, নৌকা চালানো, সাঁতার কাটা, হাডুডু খেলা, ক্রিকেট খেলা ,তাস খেলা, বৃষ্টিতে ভেজা ইত্যাদি। আট দশটা ছেলের মত আমার বসবাস। রাক্ষস নামে এই, আড়িয়াল খাঁ নদী তিন-তিনবার আমার বাড়ি ঘর ভেঙ্গে আমার ও বাবার জীবন বিষন্ন করে নিঃস্ব করে ফেলে। আমাদের বেশ জমা-জমি এই নদীতে গ্রাস করে। আমার বাবা দূরে বাড়ি করতে চাইলেও পারেনি কারণ তার বংশ দাদা দাদুর পর্থা থেকে দূরে বাড়ি করতে পারে নাই। তাই আমারও দুই দুইবার ঘরবাড়ি নদীতে ভাঙ্গল দেখতে হয়। তখন আমি কিছু কিছু বুঝি। কথায় আছে বাড়ি পুড়ে গেলে ভিটে থাকে কিন্তু নদীতে ভেঙ্গে গেলে কিছুই থাকে না। নদী ভাঙ্গার গল্প বলতে গেলে অনেক বলা যায় তা যে, কত কষ্টের, কতো বেদনার হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ালেখা ভালো থাকলে ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ালেখা অনেকখানি গাফেল ছিলাম। নদীতে ভাঙ্গার কারণে রাস্তাঘাট ছিল না বর্ষার পানি কাদা পেরিয়ে দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে স্কুলে যেতে হতো। নদী ভাঙ্গার কারণে আমাদের এলাকার অনেক ছাত্রছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে সবার ভেতরে অভাব অসহায় আসে। আমি কোন রকম 2000 সালে এস,এস,সি পাস করি। আমার বড় হওয়ার ওঠার সাথে সাথে সংসারের হাল ধরতে হবে এই চিন্তা এসে জমায়। সংসারের বড় ছেলেদের সংসারের হাল ধরাটা মনে হয় অটোমেটিক চলে আসে। তাই আমি ইউরোপ যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়ে তিন বছর দালালের পিছনে ভবঘুরের মতো ঘুরি, কিন্তু শেষে আমার বেশ টাকা পয়সা নষ্ট হয়। এমন অবস্থায় আমার বোনকে আমার বাবা বিয়ে দেয়। বাবা ঋণ হওয়াতে অনেকটা হতাশ হয়। তারপর বাবা আমার জন্য ভিসা করে 2004 সালে তখন আমার বাড়িতে এক ঝাঁক কালো রাক্ষস নামে ডাকাতরা হামলা করে আমার বাড়ি ঘর ভেঙে চুরে মারধর করে আমার ভিসা পাসপোর্ট নিয়ে যায়। তখন আমি আরো বিপাকে পড়ে যাই আমার বাবা খুব মনের কষ্টে ক্ষুব্দ ছিল। নিজের জীবনের সব কিছু কেমন যেন অন্ধকার লাগছিল। আমার যে উঠে দাঁড়াতে হবে। আমি আবার নতুন পাসপোর্ট করি। তখন বাবা আবার ঋণ করে আমার জন্য ভিসা করে। আমার ছোট ভাই বোন ও মা আমার নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা ছিলনা। তারপর স্কুল-কলেজ রাস্তাঘাট এ থেকে আমাদের এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত ছিল। ছোট ভাই বোনদের স্কুলে কলেজে যাওয়ার সুবিধার্থে আমি আমার ফ্যামিলিকে আমার নানা দেশের বাড়ি বরিশাল তাদের কাছাকাছি ঘর ভাড়া করে রেখে আসি প্রবাসে।🛫
🛫প্রবাস জীবন।
সন 2004 এপ্রিল মাসে প্রবাস জীবন শুরু। কাজ পেলাম গার্মেন্টস কারখানায় আমার কোন কাজের দক্ষতায় না থাকার কারণে ম্যানেজমেন্টের কাজ করি। আমি এই কাজের দক্ষতা অর্জন করার জন্য। পেশা পরিবর্তন করি নাই। আমার অনেক বছর লেগে থাকার কারণে এখান থেকে অনেক কাজ আমি আয়ত্তে নিয়ে আসি।এমনকি আমি এখন সেলসম্যান।আমি আমার ফ্যামিলি কে অনেক ভালোবাসি তাই প্রেম-ভালোবাসা
যৌবনকালে ঠাই দেই নাই। আমার বাবা 14 বছরে একবার বাংলাদেশের সফর করেছে বাবার মুখখানা আমার খুব অসহায় লাগতো আমার হৃদয়ে খুব খারাপ লাগত বাবার জন্য। তারপর বাবাকে আমি 2006 সালে প্রবাস জীবন থেকে মুক্ত করে দিলাম।তাওয়াক্কুল আলাল্লাহ করলাম আল্লাহর উপর।
ছোট দুই বোনকে এইচএসসি পাস করিয়ে বিয়ে দিলাম। আমার সংসার জীবন প্রবাস জীবনে ছোট ভাইবোনদের পড়ালেখা বিয়ের শাদি করাতে সাত বৎসর পরে আমি দেশে যাই। তখন ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষা পাস করে। কম্পিউটার সার্ভিসিং মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ শিখাই। 2011 সালে আমি ফ্যামিলির সবার পছন্দ মতে বিয়ে করি। 2013 সালে ছোট ভাই জন্য কম্পিউটার মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিয়েছোট বিয়ে করেই আলাদা। 2015 সনের আমার একটা ছেলে জন্ম হওয়ার কিছুক্ষণ পরে মারা যায়। তখন আমি মারাত্মক অসুস্থতায় জর্জরিত কাতর হয়ে পরি। আমার পাশে থাকা বন্ধুটা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ছয় মাস,সাত মাস,পরপর দেশে যাইতাম আসতাম ট্রিটমেন্টের জন্য। 2016 সালে আল্লাহর রহমতে আমাদের কোলে ফুটফুটে একটা কন্যা সন্তান। তিন বছর আমি অসুস্থ ছিলাম ধীরে ধীরে আমি আমার অসুস্থ থেকে আল্লাহ আমাকে রহমত করে, সুস্থতায় ফিরে আসি আলহামদুলিল্লাহ।💖
🛫2020 সালের ছুটিতে এসে বিশ্ব মহামারী করোনার কারণে 11 মাস বাংলাদেশ আটকে থাকি। নিজের কর্মস্থলে ফেরার জন্য তৃতীয় দেশ আমি দুবাইতে যাই। দুবাইতে এসে পৌঁছানোর পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এতই বেড়ে যায় যে তখন কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এমন অবস্থায় না পারতেছিলাম বাংলাদেশে ফিরতে না কর্মস্থলে,দুবাইতে আমার আট মাস আটকে থাকতে হয়। জেলখানার মতো কষ্ট বাধ্যতামূলক আমার মেনে নিতে হয়। নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন স্যারের সেশন পরে নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম কিভাবে লেগে থাকতে হয় সাহস করতে হয় ধৈর্য ধরতে হয় এবং উঠে দাঁড়াতে হয়। দুবাই অবস্থানকালে দুরঅবস্থা সময় আমাকে দুজন বন্ধু সার্বিকভাবে অনেক সাহায্য করে তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞতা। এবং সেই দুই বন্ধুকে আমি এই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে রেজিস্ট্রেশন করাই।🖍
🎆নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এই প্লাটফর্মে আমাকে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে। আমার প্রবাস জীবনের বন্ধু সবসময় আমার পাশে থাকে যিনি আমাকে অসুস্থ সময় হাসপাতলে ভর্তি করিয়েছিলেন। তিনি কুয়েত এন আর বি টিমের সুপার অ্যাক্টিভ ভলান্টিয়ার ইমরান ভাই। তার প্রতি রইল আমার অনেক কৃতজ্ঞতা।
আমি আরোও কৃতজ্ঞতা জানাই এনআরবি কুয়েত টিমের কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর আমাদের লিডার প্রান প্রিয় মোঃ মাহমুদ ভাইকে। দুবাইতে আটকে থাকা কালিন প্রাণপ্রিয় মাহমুদ ভাই আমার অনেক খোঁজ খবর নেয়। এই প্রাণপ্রিয় মহৎ মানুষ একজন ভালো মানুষ,তার কোন তুলনা হয় না। এনআরবি কুয়েত টিম শৃঙ্খলা এক ধাপ এগিয়ে সুন্দরভাবে টিমকে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন সেলুট আপনাকে। কৃতজ্ঞতা জানাই এনআরবি কুয়েত টিমের সকল কান্ট্রি এম্বাসেডর ভলান্টিয়ার সকল সদস্য ভাইদের।🌷 প্রাণপ্রিয় মাহমুদ ভাইয়ের সহযোগিতায় দুবাই টিমের সদস্য ভাইয়েরা প্রতিনিয়ত আমার খোঁজ খবর নেয়। দুবাই টিমের সদস্য ভাইদের আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই। আবারো কৃতজ্ঞতা জানাই প্রাণপ্রিয় মাহমুদ ভাইকে।🌷
🎁এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে আমি যা শিখলাম।🎁
✏স্বপ্ন দেখুন,সাহস করুন, শুরু করুন,লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই।
🖍একজন ভালো মানুষ হওয়া।
🖍কাজের প্রতি প্রেমে পড়া।
🖍নয়টা পাঁচটা ভুলে যাওয়া।
🖍ধৈর্যশীল হওয়া।
🖍অল্পতে ভেঙে না পড়া।
🖍মানুষের প্রতি সহানুভূতি।
🖍মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা।
🖍কমিটমেন্ট রক্ষা করা।
এই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আরও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যা সম্ভব হয়েছে স্যারের জন্য স্যারের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এই প্লাটফর্মে এসে নিজের গল্প খুঁজে পেলাম লিখতে পারলাম নিজের বলার মত একটা গল্প। এই ফাউন্ডেশনের মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতিটা কথা আমি বুকে ধারণ করার চেষ্টা করছি আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
🌹🌺ধৈর্যসহকারে আমার এই লেখা টি যারা পড়ছেন। তাদের জন্য আমার অন্তর অন্তর স্থল থেকে খুশবু ভরা মোবারকবাদ ও অনেক অনেক ভালোবাসা ধন্যবাদ। এবং সকল ভাই ও বোনদের সুস্থতা কামনা করছি হাসিতে থাকেন,খুশিতে থাকেন,সুখে থাকেন, সুস্থ থাকেন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৫৩
Date:- ২৪/০২/২০২২ইং
আমি রফিকুল ইসলাম।
ব্যাচ নাম্বার 12
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার 43869
ব্লাড গ্রুপ এ পজেটিভ,
নিজ জেলাঃ বরিশাল🇧🇩
বর্তমানে অবস্থান কুয়েত।🇰🇼