আমি অনেক সুন্দর একটা প্লাটফর্ম যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক আনন্দিত মনে করি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম
🌹আমার জিবনের গল্প🌹
,🌹,,সময় করে আমার গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো।
🤲🤲সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার। যিনি আমাকে এই মহামারীর সময়েও সুস্থ রেখে আজকে আমার জীবনের কিছু কথা লেখার তৌফিক দান করেছেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি আমাদের এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন। আজ যার কারণেই আমি কিছু লেখার সুযোগ পেয়েছি।
🤲দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি। যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন সমস্ত মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের দূত হিসেবে।
🤲শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা-মাকে। যাদের উছিলায় সুন্দর এই পৃথিবীতে এসেছি। বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
🌹🌹কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর #Iqbal_Bahar_Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা পেয়েছি এই ভালবাসার প্লাটফর্ম । যিনি এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক, শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার, লক্ষ তরুণ-তরণীর হৃদয়ের স্পন্দন, পথহারা বেকারদের পথের দিশারি। যার জন্য আজ আমি এই প্লাটফর্ম পেয়েছি এবং পেয়েছি অগনিত ভাই বোন।পেয়েছি জীবনের গল্প লেখার সুযোগ।
🌹🌹আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার নিজের জীবনের গল্প তুলে ধরতে চাই। আশা করি সবাই আমার লেখাটা ধৈর্য সহকারে পড়বেন। ভুল ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🌹🌹আমার ছোট বেলার জীবন ও পরিবার
🌹🌹আমি মোঃফয়সাল আমি জন্ম গ্রহণ করি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায়,মেন্দিয়াবাদ গ্রামে, হাজ্বী মৌলবি আব্দুল হাতেম আলি বাড়ি।যা আমার দাদার নামে নাম করন করা ছিল। তিনি ছিলেন একজন আলেমে দ্বীন শত শত আলেমের উস্তাদ তার একমাত্র ছেলে ক্বারি আলহাজ্ব মোঃমস্তফা, আমার বাবা, তার গৃহে আমি ৫ ডিসেম্বর ১৯৯২ সনে জন্ম গ্রহণ করি। আমার নানা বাড়ি মির্জাগঞ্জ উপজেলা ৬নং মজিদ বাড়িয়া ইউনিয়নে, আমার বড় বোনের ৩বছর পরে আমি জন্ম গ্রহণ করি। ছোট বেলায় আমার দাদীর অনেক আদরের ছিলাম। দাদাকে আমি দেখিনি আমার বয়স যখন ৫বছর, তখন আমার দাদী মারা যান। মারা যাওয়ার পরে আমি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হই। শৈশব দিনগুলোতে খুবই আনন্দে কাটতো আমার বাবা তখন একটা দাখিল মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। আমার বাড়ি থেকে পায়ড়া নদী খুব কাছে ছিল। নদি ভাঙা দিতে দিতে একেবারে বাড়ির কাছে চলে আসছে। তখন আমার বাবা প্রবাসে চলে যায়,মা সংসার পরিচালনা করেন। মা তখন অনেক কষ্ট করেছেন আমাদের জন্য। বিদেশে যাওয়ার ছয় মাস পরে আমার ছোট ভাই জন্ম গ্রহণ করে ।আমার নানা তখন আমাদের পরিবার দেখাশুনা করেন। কিছু দিন পর
আমি চলে যাই আমার ফুফু বাড়ি লেখাপড়া করার জন্য। ২বছর থাকি তাদের বাড়িতে ফুফু বাড়িতে ফুফাতো ভাই ছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক, তাদের আদর ছিল যেমন আবার অনেক শাসন করতেন। ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি চলে আসি।
কিছু দিন পরে আমার বাড়ি
😭😭😭নদিতে ভেঙে যায়।এদিকে বাবা বাড়িতে না থাকায় আমার নানা কিছু দিন পর পর এসে দেখে যেতেন এবং সকল কাজ নানা করে দিত। কিছু দিন পরে জমি কিনে আমাদের ঘর নিয়ে যাই সুবিদখালি শহরে কাছে জমি কিনে বাড়ি করি শুরু হয় আমার উপর অনেক দায়িত্ব। ছোট বেলা আমি আমার পরিবারের সকল কাজে সহায়তা করতাম। আমি ৬ষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি হই মোটামুটি ভাবে চলে আমার লেখাপড়া এসএসসি পাস করি ৪.৩৩ পয়েন্টে এইচ এস সি তে ভর্তি হই এবং ৪.১৭ পয়েন্ট নিয়ে পাস করি। আমার বোন ও তখন এইচএস সি পাস করার পরে তাকে বিয়ে দিয়ে দেই। ভাল কাটে দিনগুলো বাবা দেশে চলে আসেন কিছু দিন পর আবার বিদেশে যান
😭😭😭কিন্তুু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার দুলাভাই বোনের বিয়ের পাঁচ বছর পরে তিনি মারা যান।
তখন আমি ডিগ্রি পর্যন্ত লেখা পরা শেষ করি। আমার দুইটা ভাইগনা ভাগ্নি এতিম হয়। তাদের দাদা দাদী নাই। এতিম দুটি বাচ্চার সকল দায়িত্ব আমি নেই।
আমি লেখাপড়া শেষ না হতেই চাকরি নিয়ে নেই। ব্রাক চিকেনে তখন মার্কেটিং জব পাই। প্রতিমাসে আমার বোনকে টাকা দেওয়া শুরু করি। চাকরির করা অবস্থায় আমি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি ও মাস্টার্স শেষ করি। আমি চাকরি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেই। আমি আবুল খায়ের কোম্পানিতে সেলস অফিসার হিসেবে মিরপুরে চাকরি পাই। অনেক মনোযোগ এবং কাজকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে করি যাতে চাকরি হারিয়ে বেকার হতে না হয়। কিছু দিন পর আমি বিয়ে করি।
বাবা বিদেশে থাকা অবস্থায় সৌদি আরব যান পবিত্র হজ্ব করার জন্য। আমি বাবাকে বাড়ি টাকা দিতে নিষেদ করি। আগে হজ্ব করে আসেন হজ্জ করে আসার পর বিদেশে ইনকাম তেমন ভাল ছিল না এদিকে বোন কে আমার চালাতে হয়।
কিছু দিন পর আমি এক পুত্র সন্তান এর বাবা হই। মা আমার ছেলের নাম রাখেন "ফাহিম আহমাদ" অনেক সুন্দর ভাবে চলতে থাকে আমার সংসার পরিচালনা আমার ছেলের বয়স ৫বছর হওয়ার পরে আসে আমার জীবনে বড় ধরনের এক
😭😭😭দুঃসময়
করোনাকালীন সময়ে হাজারো মানুষকে যে শিক্ষা পেতে হয়েছে আমি তাদের চেয়ে ব্যাতিক্রম নই।আমার স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয় শাস কষ্ট শুরু হয় কোন মেডিকেলে সিট পাইনা দ্রুত অক্সিজেনের সমস্যা হয় অক্সিজেন ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৫ লিটার, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ডাঃ গোলাম মোর্শেদ এর পরামর্শে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থা সিজার হয় আমার মেয়ে হয় কিন্ত দুঃখের বিষয় মেয়েকে NICU রাখা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।😭😭😭 "ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন "সকল চিকিৎসায় খরচ হয় তিন লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। আমার ফুফাতো ভাই বোন ও আমার আমার স্ত্রীর খালাতো ভাই সহ সকল আত্মীয় স্বজনরা পাশে থেকে টাকার সাপোর্ট দিয়েছেন। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি আমরা দুজন আমার ছেলেটা সারাদিন বাবুর কথা মনে করে। আমরা ভুলতে চাইলেও আমার ছেলে বার বার মনে করিয়ে দেয়। আমার স্ত্রী মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। কিন্তু আমি নিজে কিছুটা শক্ত হই যে আমাকে ঘুরে দাড়াতে হবে সকলের ঋন দেয়া শুরু করি এরই মধ্যে খোঁজ পেয়ে গেলাম " প্রিয় নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এখানে সময় দিলে আমরা দুজন মানসিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠে আসতে পারবো। আমি সহ আমার স্ত্রী দু'জন এই প্লাটফর্ম যুক্ত হয়েছি প্রতিদিন সেশন চর্চায় থাকি আমাদের দু'জনের কিছুটা সময় হলেও খুবই ভাল কাটে।
🌹🌹প্রিয় প্লাটফর্ম
আমি কখনও কল্পনা করিনি এমন একটি প্লাটফর্মে নিজেকে যুক্ত করতে পারব।আমার এক পরিচিত ভাই একদিন ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে তা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে, মনোযোগ সহকারে পড়ছি এবং আমার স্ত্রী কে পড়ে শুনালাম। একদিন আমাকে একটা লিংক দেন। কিন্তু তখনও জানা ছিল না এই পরিবার সম্পর্কে। জয়েন হয়ে কিছু অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট দেখতে পাই এবং সেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকি। সেই থেকে আমি প্রিয় পরিবারের সাথে আছি। কিন্তু কখনো কোনো পোস্ট দেয়া হয়নি বা রেজিস্ট্রেশন করতে হয় সেটাও জানা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ নজরুল ভাই সিরপুর ৬ আমাকে নক দিয়ে বললেন আমি লিংক পাঠাচ্ছি আপনি রেজিস্ট্রেশন করুন। আর তখন থেকে হলাম আমরা দুজন ১৭ তম ব্যাচের সদস্য।
তারপরে একটা পরিচিতি পোস্ট করতে বলেন তার কিছুদিন পর একটা পরিচিতি পোস্ট করি। এ সবকিছুতেই আমাকে সাহায্য করেন হাসিব ভাইয়া ও সাথি আপু। তারা আমাকে প্রথমে অনেক সাহায্য করেছেন। কিভাবে মেসেঞ্জার গ্রুপে এড হতে হয় সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন হাসিব ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ সেই ভাইয়া আমি কখনো চিনতামই না তারা আমাকে এতটা সাহায্য করেছেন। দোয়া করি আল্লাহ আপনাদের নেক হায়াত দান করুন। আমীন।
🌹🌹ভবিষ্যত পরিকল্পনা
আমি অনেক সুন্দর একটা প্লাটফর্ম যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক আনন্দিত মনে করি। আমাকে পটুয়াখালী জেলার মেসেঞ্জার গ্রুপের সকল সদস্য বৃন্দ কথা কাজ এবং প্রতিদিনের শেসন চর্চায় আমাকে অনেক অনুপ্রানিত করেছে তাই আমি একজন উদ্দোক্তা হওয়ার সপ্ন দেখতে শুরু করেছি ইতিমধ্যে আমি বাড়িতে ১০শেডের একটা গরুর খামার করছি যা আমার বাবা ও আমার ছোট ভাই দেখাশুনা করতেছে পরবর্তিতে আমি ১৭ তম ব্যাচের ৯০ দিন শেষে স্যারের দেয়া সকল শিক্ষাকে বুকে ধারন করে উদ্দোক্তা হবো ইনশাআল্লাহ। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।
🌹🌹আমার স্বপ্ন একদিন উদ্যাক্তা হব আমার প্রতিষ্ঠান এর তৈরি করা পন্য সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক আমার মাধ্যমে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হোক এবং সকলে ভালো থাকবে এবং আমি দুজন এতিম দের পাশে থেকে তাদের সপ্ন পূরন করতে পারি এই স্বপ্ন আমি সব সময়ই দেখে আসছি। আপনারা সবাই পাশে থাকলে ইনশাআল্লাহ একদিন আমার আশা পূর্ণ করতে পারবো।
🌹🌹 আলহামদুলিল্লাহ এই পরিবার থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। পেয়েছি অনেক ভালো ও গুনী ভাই বোনকে। পটুয়াখালী মেসেঞ্জার গ্রুপে দৈনিক যে শেসন চর্চা হয় সারাদিনের মধ্য ভালো লাগার সময় পেয়েছি অনেক ভাল অচেনা মানুষের মিলন মেলা। আমি ধৈর্য ধরে লেগে আছি ইনশাআল্লাহ একদিন সফল উদ্যোক্তা হবোই। এই পরিবারে আসার পর বুঝতে পেরেছি পরিবার আসলে কেমন হয়। যেকোন প্রয়োজনে সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। নিজে আমি অনেক অনুপ্রাণিত হই যে চাকরির পাশাপাশি উদ্দোক্তা হয়ে মানুষের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করব এবং প্রতিষ্ঠান থেকে লাভের কিছু অংশ অসাহয় দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যায় করবো
🌹🌹প্রিয় প্ল্যাটফর্মের ভাই ও বোনেরা,আপনারা সব সময় আমার পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ জানাই প্রিয় এইচ এম শফিকুল ইসলাম ভাইকে সুন্দর ভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আরও ধন্যবাদ জানাই যারা ধৈর্য সহকারে আমার লেখাটা পড়েছেন আপনাদের মুল্যবান সময় ব্যয় করে।আমি আপনাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা মূলক উপদেশ দিয়ে আমাকে সাহায্য করবেন।আমি আপনাদের সবার সুখী, সুন্দর, আনন্দময় জীবন কামনা করছি। সুখময় হোক আগামীর দিনের পথচলা। আপনাদের সকলের সুসাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিদায় নিলাম।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৫১
তারিখ -২২-০২-২০২২
🌹মোঃফয়সাল
🌹ব্যাচ নং ১৭
🌹রেজিষ্ট্রেশন নং৮৩৩৩০
🌹নিজ জেলাঃ সাগর কন্যা পটুয়াখালী।
🌹উপজেলাঃমির্জাগঞ্জ।
🌹বর্তমান অবস্থানঃমিরপুর,ঢাকা-১২১৬।