এখান থেকে আমার শেখা ও বদলে যাবার গল্প____
________বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম _______
___🌼 আসসালামু ওয়ালাইকুম 🌼___
☘️আমার জীবন থেকে নেওয়া আমার জীবনের গল্প☘️
সকল প্রশংসা মহান রাব্বুল আল-আমিনের জন্য ____
যার দয়ায় ও করুনায় আজও আমরা সুস্থতার সহিত ভালো ভাবে বেঁচে আছি। শুকরিয়া রবের দরবারে আলহামদুলিল্লাহ।
🌺আমি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করছি প্রিয় শিক্ষক,মেন্টর,ভালো মানুষ গড়ার কারিগর, জীবন্ত কিংবদন্তী এ শতাব্দীর শ্রেস্ঠ আবিষ্কার ইকবাল_ বাহার জাহিদ স্যার কে।যার প্ররিশ্রম একাগ্রতা, সততা,ও নিস্ঠার ফসল হিসেবে আমরা পেয়েছি নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের একটি মানবিক
প্ল্যাটফর্ম।আর অনেক অনেক ভালোবাসা নতুন পুরোনো সকল সদস্য ভাই-বোনদের প্রতি।
#নিজের_ বলার_ মতো_একটা গল্প_থাকা_দরকার
🍁 প্রতিটা মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু গল্প থাকেই,কারো ছোট, কারো বড়ো। কারো গল্প আবার পরিপূর্ণতাই ভরা সুখী
মানুষের গল্প। আর কারো দুঃখ দিয়ে ভরা একবুক কস্টের গল্প। ছোট হোক বা বড়ো সবার জীবনের গল্প থেকেই শিখার জানার আছে অনেক কিছুই।
🍂সবার প্রতি অনুরোধ রইলো আমার জীবনের গল্পটি পড়ার।
🌺আমার জন্মস্থান ও আমার পরিবার____
আমার খুবই প্রিয় স্থান আমার নানুবাড়ি আর সেই নানুবাড়ি কিশোরগঞ্জে আমার জন্ম হয়।আমি আমার আব্বু, আম্মুর প্রথম সন্তান। আমার আম্মু, আব্বু ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরীজীবি ছিলেন তাই আমার বেশির ভাগ সময়ে থাকা হতো বড় খালার বাসা বনানীতে কিংবা মেজ খালার বাসা মোহাম্মদপুরে,কিংবা নানুর কাছেই। এই ভাবেই কেটেছে সবার আদরে পরিপূর্ণতাই আমার শৈশব। আমার দাদী ও আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন ওনি সবসময় চাইতেন আব্বু যেন ঢাকায় না থেকে দেশে চলে যান, বিধির লিখন কে খন্ডাতে পারে। আমাকে ভর্তি করানো হলো মহাখালী টি.এন.টি ইস্কুলে। আমরা তখন বনানী থেকে মহাখালী চলে আসি আব্বুর চাকরীর সুবির্ধাথে, আমিও নতুন ইস্কুলে নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবী পেয়ে হেসে-খেলে দিন পার করছি।যখন ক্লাস ২ তে ওঠেছি তখন থেকেই দেখেছি আব্বু চাকরি করবে না,অন্যের ফরমায়েশ খাটতে উনার আর ভালো লাগছে না,আব্বু নিজে কিছু করতে চাইছিল সবাই অনেক বুজালো কিন্তু আব্বু কিছুতেই কারো কোন কথাই শুনেনি। এদিকে আমার দাদীর ও অবস্থা অনেক বেশি খারাপ দাদীর ও শেষ ইচ্ছে ছিল আমার আব্বু যেন ঢাকা থেকে আমাদের কে নিয়ে একেবারে দেশে চলে যান।কয়েকদিন পর আমার দাদীজান ও মারা যান।আব্বু অনেক বেশি ভেঙে পড়েন। আব্বু ও দাদীর শেষ ইচ্ছে রাখতে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে নিয়ে দেশে চলে আসেন একেবারে।শুরু হয় আমাদের জীবনের নতুন অধ্যায় __আমার আব্বা ছিলেন অনেক মেধাবী এবং গুণী একজন মানুষ, আমি আমার আব্বুর থেকে শিখেছি কিভাবে অন্যের উপকার করতে হয়,অন্যের বিপদে এগিয়ে যেতে হয়,তবেই তো আমরা সৃষ্টির সেরা জীব।ছোটবেলায় তো আর এতো কিছু বুজতাম না,তবে ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে বুঝেছি আব্বুর কথার মর্ম।আমার আব্বু অনেক সৌখিন মানুষ ছিলেন,খেলাধুলা, মঞ্চ নাটক এসব অনেক করেছেন।ফুটবল খেলায় তো ছিলেন নামকরা ছাএজীবনে। যাই হোক নিজের এই প্রতিভা আমার মধ্যে ও জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন সবর্দা।আমাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন নাচ,কবিতা আবৃত্তি, অভিনয় ও গানের ইস্কুলে। আমি বেশ খুশি মনেই সবকিছুতেই যোগদান করতাম,ইস্কুলের খেলাধূলা, সাসংস্কৃতি একাধারে সবকিছুতেই ছিল আমার অনেক উৎসাহ। আমার আব্বুর জন্য ছিলাম আমি পুরো একটা পৃথিবী, আমি অনেক বেশি আদরের ছিলাম আব্বুর।আমার কখনো কোন কিছু তে আব্বু না বলেনি কোনদিন।আমি আমার আব্বুর কাছে থেকে শিখেছি স্বপ্ন দেখা, আমার ছোটবেলা থেকেই অনেক শখ ছিল নৌ বাহিনী, ডিফেন্স লাইনে যোগদান করার,ইস্কুলে থাকতে স্কাউটে যোগদান করে বিভিন্ন ক্যাম্পিং করার কারনে হয়তো এই ভালোলাগার জন্ম হয়। আব্বু ও খুব সার্পোট করতেন আমার অবুঝ মনের সপ্নটাকে।ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে ইচ্ছে ডানা আরো মেলতে শুরু করলো। আমাদের অবস্থা তখন মোটামুটি ভালোই চলছিল,আমার আব্বু কখনো কোন কিছুতে হারতে শিখেননি,আব্বু দেশে এসেই প্রথমে নিজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন,কিন্তু প্রথম অবস্থাতে ব্যবসায় শুধু লস আর লস কারন আব্বু ব্যবসার তেমন কিছুই বুজতেন না আর আমার চাচারা যে সাহায্য করবে তাও সম্ভব না,ওনারা অনেক প্রভাবশালী হওয়া সত্বেও কখনও ভাই হয়ে ভাইকে সার্পোট করেনি।যাই হোক যতটুকু সম্ভব হয়েছে আমার আব্বু নিজের পরিশ্রম আর
বুদ্ধিমত্তা দিয়ে করেছে সবকিছু।তবে আব্বুর ব্যবসায়ীক জীবনটা খুব বেশি একটা ভালো ছিল না। তারপর ও কখনো মানুষ ঠকিয়ে,অন্যকে বিপদে ফেলে,অসৎপথে পা বাড়াইনি। আব্বু সবসময় আমাদের কে ও শিক্ষা দিয়েছেন জীবনে একজন ভালো মানুষ হওয়ার।আব্বু,আম্মু আর আমরা ৩বোন আর আমার ছোট ১ টা ভাইকে নিয়ে আমাদের সুখী একটা পরিবার।আব্বু ব্যবসার পাশাপাশি মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন এবং খুব ভালো ও করলেন তারপর লাইসেন্স বের করে শুরু করলেন জীবনের আরেকটি ধাপ,এই পেশায় আব্বু অনেক খুশি ছিলেন আর মোটামুটি ভালোই দিন যাচ্ছিল আমাদের। আমি খুব ভালো একটা রেজাল্ট করি এস.এস.সি তে,তারপর ভর্তি হলাম কলেজে সাথে তো সপ্নগুলোকে প্রতিফলনের অপেক্ষায় থাকতাম সবসময়।
কিন্তু ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস H.S.C এর টেস্ট পরীক্ষার আগে আব্বু প্রথম স্টোকটা করলেন😭😭এর পর-ই যে আমার জীবনটা ও এভাবে বদলে যাবে তা আমি কল্পনা ও করিনি। আব্বু একটু সুস্থ হলেন আর এইদিকে আমার চাচারা সবাই উঠে পড়ে লাগলেন আমাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য,স্কুলে পড়া অবস্থা থেকেই বিয়ের জন্য অনেক আসতো কিন্তু আব্বু সব সময় বলতেন আমার মেয়ে নিজের যোগ্যতাই কিছু করার পর বিয়ে দিব।কিন্তু বিধাতার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কি কিছু হয়।বিয়ের জন্য তখন একের পর এক প্রস্তাব আসতেছিল আমার চাচারা এইবার সুযোগটা হাত ছাড়া করলোনা। সবার ভিতরে একটা ভয়,কাজ করা শুরু করলো, কারন আমিই তো বড় সন্তান, আমার পরে আমার আরো ৩টি ভাই -বোন আছে।চাচাদের জোরাজোরিতে আব্বু ও আর মানা করেনি 😭😭তখন আমি নিজেই জানিনা কি করবো, শুধু এতোটুকুই বুজতাম যে আব্বু যেটা বলে সেটাই আমার করতে হবে।H.S.C টেস্ট পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই ৫ দিনের মধ্যেই আমার অনিশ্চা সত্বেও বিয়েটা দিয়ে দেওয়া হলো। ২০০৭ এ বিয়ে হয়ে যায় আমার।রাজি হয়েছিলাম এই সত্বেও যে আমাকে পড়াশোনা শেষ করে কিছু করতে দিতে হবে।শুরু হলো নতুন জীবন যুদ্ধের। H.S.C ও তে খুব ভালো রেজাল্ট করলাম। অর্নাসে ভর্তি হলাম তাও অনেক কস্টে রাজি করিয়ে, অর্নাসে পড়া অবস্থাই প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম দিলাম।এবং সংসার,সন্তান, পড়াশোনা সব সামলিয়ে পাশাপাশি পার্লারের কাজ, সেলাই,ব্লক-বাটিক এগুলো শিখলাম একটা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে। আমার নিজের একটা ভালো গুন হলো আমি সর্বকাজ শিখতে চাই, আমি এই কাজটা পারিনা এই কথা বলা আমার পছন্দ না তাই শত বাঁধা সত্বেও আমি আমার মতো করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।অর্নাস ও কমপ্লিট করলাম।মাস্টাস এর জন্য বললাম কিন্তু এইবার শশুর বাড়ির সবাই মিলে বারণ করে দিল।জামাই বললো যা পড়েছ আর দরকার নেই। তারপর একটা চাকরি অফার পেলাম কিন্তু করতে আর দেওয়া হলোনা।আমার আব্বু এই বিষয়টা নিয়ে অনেক মন খারাপ করলো,আমি ও আমার সব সুখ-দুঃখ আমার আব্বুর সাথেই শেয়ার করতাম।বাবা মেয়ে মিলে একে অপরকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
আব্বু অবশ্যই মনে অনেক কস্ট পেয়েছিল কিন্তু আমাকে তেমন করে বুজতে দেয়নি।আমি কিন্তু বুজেছিলাম।কাজ গুলো ঠিকই শিখেছিলাম কিন্তু শত বাঁধা পেরিয়ে তার রুপ দিতে পারিনি।আবারো ছেলে সন্তানের মা হলাম আর জীবনে মোড় ঘুরে শুরু হলো আরো বেশি ব্যস্ততা।আমার সপ্নগুলো সে তো শুধুই মরীচিকা হয়ে পরে রইলো ডাইরীর প্রতিটি মলাটে।
#এই প্লাটর্ফমে যুক্ত হবার গল্প ________
এই প্লাটর্ফমটা হলো আমার সপ্নের সেই প্রথম সিড়ি যাকে আমি পেয়েছি ফেসবুকের মাধ্যমে, ফেসবুকে একদিন স্যারের একটা ভিডিও চোখে পড়লো এবং আমি তা অনেক মনোযোগ সহকারে দেখলাম, এবং একের পর এক অনেক গুলো ভিডিও আমি দেখে আমার এতো বেশি ভালো লাগলো যে আমি ফেসবুকে আসলেই স্যারের ভিডিও গুলো শুধু আমি খুঁজতে থাকতাম।এভাবে কেটে গেল অনেক দিন, কিন্তু আমি জানতাম না যে এইখানে এড হওয়া যাই,রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়,একদিন স্যারের ভিডিও তে আমার কমেন্ট দেখে আমার জেলার একজন ভাইয়া আমাকে মেসেজ করে এবং বলে যে এই প্লাটর্ফমে যুক্ত যদি হতে চাই তাহলে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে, আমিও সাথে সাথেই বললাম আমাকে এড করে দিতে, ভাইয়া আমাকে ১৩তম ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করে দিলেন এবং প্রতিনিয়ত আমাকে আমার কাজের জন্য অনুপ্রেরণা দিতে থাকলেন।আমি চিরকৃতজ্ঞ আমার জীবনে এমন অনেকগুলো মানুষ আছে যারা সবসময় আমাকে ভালোবেসে প্রতিনিয়ত সুখে, দুঃখে আমার পাশে থেকেছে।আমি ১৩ তম ব্যাচে এড হয়েছি ঠিকই কিন্তু তেমন ভাবে কিছু বুজতাম না তাই ওতো বেশি একটিভ ও ছিলামনা কখনোই।কিন্তু স্যারের ভিডিও গুলো ঠিকই ফলো করতাম সবসময়।
#যে কস্টের পর থেকে আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি_____
জীবনে এতো এতো মনের কস্ট সামলে আবার এগিয়ে যেতে চেষ্টা করতাম হাসিমুখে, কিন্তু 😭😭😭একটা সময় আমার জীবনে এতো বড় একটা ঝড় যে আসবে আমি কোনদিন ভাবিনি। আমার আব্বুর কিডনি ডেমেজ হয়ে যায়,আব্বু আবারও স্টোক করে এই নিয়ে প্রায় ৭,৮ মাস আমি আমার জানপ্রাণ দিয়ে ডাক্তার, হসপিটাল সব রকম চেষ্টা করেও আমি পারিনি😭😭আমি সত্যিই পারিনি আমার ভালোলাগা সেয়ারের মানুষ, আমার কস্টের মূহুর্তে সাপোর্ট দেওয়ার মানুষটা,আমার মাথায় হাতটা বুলিয়ে সান্তনা দেওয়ার মানুষটাকে,আমাকে প্রতিনিয়ত সবকিছুতে সাপোর্ট দেওয়া বটগাছের মতো ছায়া দেওয়া মানুষটাকে, আমার আব্বুকে পারিনি বাঁচাতে।আব্বু আল্লাহর প্রিয় হয়ে গেলেন ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে। মানুষটাকে হারিয়ে আমার পুরো মেন্টালি সমস্যা দেখা দিয়েছিল,ডাক্তার দেখানো হলো,সবাই মিলে আমাকে সময় দিত,ঘুরাঘুরি করতো আমি সুস্থ হলাম ঠিকই কিন্তু এখনো আব্বু এই শব্দটি মুখে আসার সাথে সাথেই আমার চোখে অনবরত পানি জমে যায়।সবাই দোয়া করবেন আমার বাবার জন্য আল্লাহ তায়ালা যেন আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।আমিন।
যখন সুস্থ হলাম,শান্ত হলাম তখন মনে হলো আব্বুর অনেক বেশি ইচ্ছে ছিল আমি যেন কিছু একটা করি তাই অনেক সময় পর এসে নিজের একটা পেইজ খুললাম এবং টুকিটাকি কাজ করা শুরু করলাম।আব্বু আমার হাতের রান্নার খুব প্রসংশা করতো সবসময় তাই ভাবলাম আব্বুর পছন্দের জিনিসটা দিয়েই শুরু করি।কিন্তু তেমন কিছু বুজতাম না বলে বেশি এগুোতে পারছিলাম না,কিন্তু যখন থেকে প্রিয় প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হলাম খুব একটিভ ভাবে তখন থেকেই শুরু হলো শক্ত ভাবে নিজেকে তৈরি করার কাজ।
#এখান থেকে আমার শেখা ও বদলে যাবার গল্প____
🌺আমার প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে আমি শিখছি প্রতিনিয়ত,আমি জীবনে বার বার ঠকে গিয়েছি বিশ্বাস করে,আমার সরলতার জন্য।কিন্তু আমার প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতিটি কথাই আমি শিখতে পেরেছি নতুন কিছু, জানতে পেরেছি নতুন করে কিছু। তাইতো এখন নিজের পেইজটাকে নিয়ে কাজ করছি খুব ভালোবেসে।আসলে মেয়েদের জীবনে তো বাঁধা বিপত্তির শেষ নেই আমার হাসবেন্ড ও চাইনা আমি কিছু করি তার একটিই কথা আমি কি তোমাকে কোন কিছুতে কমতি রেখেছি যা চাইছো তাই তো দিচ্ছি, তাহলে তোমার কিছু করার কি দরকার?? আমি তাকে বললাম দরকারটা তো হলো আমার মনের, আমার সপ্নের, আমি ছোট থেকে যে সপ্নগুলোকে প্রতিনিয়ত লালন করেছিলাম সেই সপ্নগুলোকে নিয়ে আমি এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর। আমি তাকে বললাম আমার প্রতি পূর্ণ্য বিশ্বাস রাখতে পারো আমি ভুল কিছু কখনোই করবো না,আমি তোমায় ভালোবাসা দিব মন ভরে,আর তার বিনিময়ে তুমি আমাকে দিবে পূর্ণ্য স্বাধীনতা। সেই বিশ্বাস অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছি নিজের সপ্ন পূরনের লক্ষে আমার প্রিয় স্যার #জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ প্রতিনিয়ত শেখাচ্ছেন কিভাবে আমরা ডানা মেলে উড়তে পারি।ভালোবাসা অভিরাম❤️❤️ আমার বাবার পরে যদি কেউ থাকেন তাহলে আমি বলবো বটগাছের ন্যায় ছায়া হয়ে আছে স্যার আমাদের সবার জন্য। আপনার জন্য অভিরাম ভালোবাসা ও দোয়া। আমি নিজের কাজের ভিতরে নিজে অনুভব করছি আমার বদলে যাবার লক্ষন গুলো।
#উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প_____
নিজের ইচ্ছে থেকেই আজকে উদ্যোক্তা হওয়া।
তাই তো নিজেকে নিয়োজিত রাখতাম সবসময় কাজের মধ্যে, এককথায় কাজ পাগল মানুষ আমি,আমি যখন যেখানে যাই না কেন সবসময় চেষ্টা করি ওই জায়গাটা থেকে আমি যেন নতুন কিছু শিখতে পারি,তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেসিপি গুলো করে নিজের কাজ গুলোকে আরও নতুনত্ব দেওয়ার চেষ্টাই থাকি সর্বদা।আর স্যারের প্রতিটা কথা আমি মেনে চলার চেষ্টা করি।একজন ভালো উদ্যোতা হয়ে আমি আমার আব্বুর ইচ্ছেটাকে বাস্তবায়ন করতে চাই।ইনশাআল্লাহ।
ভালোবেসে সবাই পড়বেন আমার জীবনের গল্পটি আর যদি লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৫২
তারিখ - ২৩-০২-২০২২
তানিয়া নূর চৌধুরী
ব্যাচঃ১৩তম
রেজিঃ৫৭২১১
নিজ জেলাঃ লক্ষীপুর
বর্তমান অবস্থানঃ ঢাকা
আছি লালবাগ জোনের সাথে