এই গ্রুপ থেকে নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে চাই।
🌼🌼 জীবনের গল্প 🌼🌼
🙏🙏 সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইল 🙏🙏
আসসালামুয়ালাইকুম
👉সর্বপ্রথম হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহর দরবারে যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং আমাকে ও আমার পরিবারকে এই মহামারীতে এখনো সুস্থ্য রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
👉এরপর দরুদ ও সালাম পেশ করছি মহা বিশ্বের মহা মানব হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি।
👉 এরপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সবার প্রিয় শিক্ষক এবং মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার প্রতি যিনি আমাদের জন্য এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। স্যারের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন স্যারকে নেক হায়াত দান করেন।
👉 আজ আমি আমার এই ছোট্ট জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
👉 কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। আমরা আট ভাই বোন। পাঁচ বোন তিন ভাই। ভাই বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। সেই হিসাবে খুব আদরের ছিলাম। ভাই বোন সবাই খুব ভালোবাসতো এবং আদর করতো। ছোট থেকেই দেখতাম বড় দুই ভাই চাকুরী করতেন এবং বড় দুই বোন বিয়ে হয়েছে। কোন অভাব অনুভব করিনি কখনো। কারণ আব্বু চাষ করতেন মাশাআল্লাহ ভালো । এছাড়া আমার বড় ভাইয়া হাই স্কুল টিচার এবং মেজো ভাইয়া আর্মির চাকুরী করতেন। ছোট থেকে এস এস সি পর্যন্ত খুব আনন্দের সাথে কেটেছে পরিবারের সকলের সাথে। আব্বু যেহেতু একা ছিলেন এজন্য দাদি সবসময় আমাদের সাথে থাকতেন। অনেক মজার ছিল আমার জীবন। ছোট বেলা থেকেই আমার হাতের কাজের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। তাই যখন কাউকে কিছু করতে দেখলেই শিখে নিতাম আলহামদুলিল্লাহ। আমি ক্লাস থ্রি ফোরে পড়ার সময়ই কুশিকাটা, শেলাই ,টেইলারিং শিখেছিলাম। সেই ক্লাস ফোর থেকেই আমি আমার নিজের ড্রেস নিজেই তৈরি করতাম হাতে শেলাই করে। কারণ আমার সেলাই মেশিন ছিল না। মেশিন কেনার কথা বললে ভাইয়া বলতো হাতে বানানো দেখেই সবাই বানাতে চায় , মেশিন কিনলে মানুষ কাজ দেবে। এভাবে টাকা ইনকাম করার নেশা হয়ে গেলে আর পড়াশোনা হবে না। এজন্য আমি ও আর জোর করিনি।
👉 এরপর এস এস সি পাশ করার পর ইন্টার ভর্তি হয় আমাদের গ্রামের একটা স্কুলে। হাতের কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ থাকলেও কখনো ভাবিনি এগুলো করে কিছু করবো। সবসময় ভাবতাম লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করব। কিন্তু আব্বু আম্মু মেয়েদের বেশি পড় শোনা করা , চাকরি করা পছন্দ করতেন না। আগের যুগের মানুষ হিসেবে মেয়েদের বাইরে গিয়ে চাকরি করা লজ্জার বিষয় মনে করতেন এবং আব্বু বলতেন আমি বেঁচে থাকতে থাকতেই আমার দায়িত্ব পালন করে যাবো। সব ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে যাবো। আমার মেয়েকে আমি কারো বোঝা করে রেখে যাবো না। এজন্য ইন্টার ভর্তি হয়ে কয়েক মাস পড়ার পরই আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ে করতে হয়েছিল । কারণ আব্বু এবং ভাইয়াদের সামনে কথা বলার সাহস ছিল না।
👉 কথায় আছে মানুষ হয় দেখে ঘর নাই দেখে বর। আমার ভাই বোন এবং আব্বু আম্মু অনেক বড়লোক ঘরে আমার বিয়ে দেন। তাদের অনেক জায়গায় জমি আছে গ্রাম ও শহরে। কুষ্টিয়া শহরেই ১২ - ১৩ বিঘা জমি আছে আমার শ্বশুরের। এছাড়া গ্রামে তো আরো অনেক জমি।এসব দেখে আমার ভাই ভেবেছিল এতো জমি জায়গা আছে ছেলে বেকার হলে সমস্যা নেই বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের আগে এমন কি বিয়ের দিন ও আমি জানতাম না ছেলে কি করে তার কি আছে এবং দেখতে কেমন।
👉 বিয়ের পর সব দেখে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। কারণ স্বামী আমার মন মত হয়নি। তারপরও ভাগ্য ভেবে সব মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই শাশুড়ি কথায় কথায় গরিব ফকির এবং নানা রকম কথা শোনাতেন। সব কাজ করলেও বলে কিছু করিনা। বিয়ের পর আমার শশুরবাড়ি সম্পর্কে ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। বিয়ের আগে ভাবতাম আমার যে শাশুড়ি হবে তার সাথে বান্ধবীর মতো সম্পর্ক হবে। কিন্তু শাশুড়ি বয়স্ক হওয়ায় কথায় কথায় নিয়ম এবং খারাপ খারাপ কথা শোনাতেন। বিয়ের পর আমার লেখাপড়া বন্ধ করে দেয় শাশুড়ি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম পড়াশোনা বন্ধ হওয়াতে।
👉 বিয়ের পর দেখতাম আমার ননোদ আমাদের সংসারের সব কিছু দিতেন। জামা কাপড় থেকে শুরু করে জিরা গরম মসলা , এমনকি আমাকে আসলেই ৫০০-১০০০ টাকা দিতেন আমার হাত খরচের জন্য। তার অনেক টাকা , কারণ তার স্বামী ওসি। যেহেতু আমার শশুর মৃত এবং আমার হাজবেন্ড কিছু করেনা এজন্য দিতেন। আর জমি জায়গা সব আমার ভাশুর দেখতেন । লিজের টাকা কিছু দিতেন শাশুড়িকে এবং নিজে নিতেন যেহেতু উনার আলাদা সংসার। আমার ননোদ আমাকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু আমার এই অন্যের থেকে নেওয়া খুব লজ্জার বিষয় মনে হতো। তাই সব সময় ভাবতাম কি করা যায়।
👉 এরপর এভাবেই চলতে থাকে আমার জীবন। আমার শাশুড়ি বেশিরভাগ সময় টিভি সিরিয়াল দেখতেন এবং সকাল বেলা নাস্তার পর পাড়ায় যাওয়া ছিলো তার নিত্য দিনের কাজ। আমি সব কাজ একা করতাম কখনো তাকে কোন কাজে সাহায্য করতে বলতাম না তারপরও তিনি আমাকে একটু ছুতনো পেলেই কথা শোনাতে ছাড়তেন না। বিয়ের পর আমার সাথী ছিল কান্না। বিয়ের দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত আমার মনে হয় না এমন কোন দিন আছে যেদিন আমি কাঁদিনি।
👉 টিভি সিরিয়াল দেখতে আমার ভালো লাগতো না । তাই হাজবেন্ডকে বলে দুইটা হাদিসের বই কিনে পড়তে শুরু করি। এ নিয়েও কত কাহিনী। এরপর একবার বাড়িতে এসে একটা কাঁথা নিয়ে যায়। ভেবেছিলাম অবসর সময়ে শেলাই করবো। খাটের উপর বসে শেলাই করাতে আমাকে সেই খাট থেকেই নামিয়ে দিল। অন্য ঘরে আমাদের থাকতে দিল । কারণ আমি খাটের মর্যাদা দিতে জানিনি। দামি খাটে বসে কাঁথা সেলাই করেছি এটা আমার দোষ। সব চুপচাপ শুনেছি। একটা কথার ও উত্তর দিয়নি। আমি বুঝতেই পারতাম না আমি কি করলে উনি খুশি হবে। আমি বই পড়লো দোষ । কারণ বই পড়লে আমি বেশি যেনে যাবো। কাঁথা সেলাই করলে দোষ চোখ অন্ধ হয়ে যাবে। ঘুমালে দোষ। এমন কি আমার বোরকা পরা নিয়েও তার সমস্যা। বোরকা পরা মানুষ নাকি বেশি শয়তান হয়। সব দিকে দোষ দেখে ভাবলাম উনি টিভি দেখেন আমিও উনার সাথে টিভি দেখি তাহলে উনি কিছু বলবেন না। কিন্তু এটাতেও দোষ । কি করবো বুঝতে পারতাম না। আবার পাড়ার কেউ আসলে কথা বললে সমস্যা কথা না বললেও সমস্যা। কথা বললে শাশুড়ির সমস্যা, কথা না বললে পড়ার লোক যেয়ে ননদের কাছে ফোন দিয়ে বলে কথা বলিনি । এবার ননোদ ফোন দিয়ে বকে। বাপ মা কিছু শেখায়নি নানান কথা।
এসব দেখে হাসবেন্ড আমার পক্ষে কিছু বললে বলে আমি শিখিয়ে দিয়েছি। আবার বলে কবিরাজ দিয়ে হাজবেন্ডকে বস করেছি।
👉 এরপর দুই বছর পর ছেলে হলো । অনেকেই বলতো বাচ্চা হলে আর এতো কিছু ধরবে না। তাই বাচ্চা নিলাম। বাচ্চা হয়ে আরো জালা। বাচ্চা একটু অসুস্থ হলে বলে আমার জন্য হয়েছে। বাচ্চার একবার নিউমোনিয়া হলো । ভাশুর নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিলেন। এরপর হাসপাতালে একগাদা লোকের সামনে আমাকে ফোন দিয়ে এতো কথা শোনালো আমার ননোদ। কারণ তার মা ফোন দিয়ে বলেছে আমার জন্য নিউমোনিয়া হয়েছে। আমি কিছুই বলতে পারলাম না। শুধু কাদা ছাড়া। কথা শোনার কারণ আমার হাজবেন্ড তো টাকা খরচ করতে পারবেনা। তাদের টাকা খরচ হচ্ছে।
👉 এরপর বাচ্চা কথা বলা শেখায় পরলাম আর এক বিপদে। বাচ্চা কিছু বললে বলে আমি শিখিয়ে দিয়েছি। আমাকে অযথা কথা শোনায় ছোট মানুষ মায়ের কান্না দেখে তার খারাপ লাগে, এজন্য বলেছে আমার মামনিকে কিছু বলবে না। বললে তোমাকে মারবো। এটা নিয়ে ছেলে মেয়ে সবার কাছে নালিশ। পরে আমার হাজবেন্ডকে বলে বিচার করতে। সে আর কি করবে মায়ের আদেশ, ছোট দুই বছরের ছেলেকে দিলো দুই থাপ্পড়।
👉 এছাড়া আরো তো আছেই খাওয়ার খোটা।কথায় কথায় বসায়ে বসায়ে খাওয়াচ্ছি। একটু ভাত বাঁচলে বলতো কিনতে হয়না পরের তা বসে বসে খাওয়া এজন্য হুশ পাইনা। ছেলেকে একটা খেলনা কিনে দিলেও বলতো গরিব মানুষের মেয়ে হয়ে এতো বড়লোকি ভাব। তারপর হঠাৎ কাশি হয়ে শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে যায়। এবার বলতে লাগলেন আমি নাকি উনাকে খাবার পরে খাওয়ায় এজন্য উনি অসুস্থ হয়ে গেছে। সারাক্ষণ কথা শুনতে আর ভালো লাগতো না। মাঝে মাঝে মনে হতো মারা যায়। কিন্তু পরকালের কথা ভেবে এবং ছেলেট র কথা ভেবে মনকে বোঝাতাম আর সবসময় আল্লাহর কাছে ধৈর্য্য চাইতাম।এরপর যে ননোদ আমাকে খুব ভালো বাসতো সেও মায়ের কথা শুনে শুনে আমাকে ফোন করে বোকতো।ননোদ যখন বলতো ওতো সব করে তাহলে তুমি ওর সাথে এমন করো কেন। তখন বলতো তুই আসলে অভিনয় করে। এসব শুনতে শুনতে একসময় ননোদ ও মায়ের কথা বিশ্বাস করতো। ভাশুর কেও বলতো, এজন্য ভাশুরও ভাবতো আমারই দোষ। যেহেতু ভাশুর আলাদা বাসায় থাকতেন। কিন্তু আল্লাহ তো সঠিক বিচারোক। আমার ভাশুর কয়েক দিন এসে থাকলেন আমাদের বাসায় । থেকে নিজের চোখে সব দেখে বললেন এতো কথা শুনে কেউ থাকতে পারে ও তাও তো এতো দিন আছে। আমার হাজবেন্ড এবং আমার ভাশুর বললেন আমাকে কিছু দিন বাবার বাড়িতে থাকতে বললো। কারণ উনার কিছু এমনিতেও হলে আমার দোষ হবে। যেহেতু উনি ভাবছেন আমার কারণেই উনি অসুস্থ। আমি এটাই বুঝলাম না উনি কি করে ভাবলেন যে কোন কিছু পড়ে খাওয়ায়ে কাশি হওয়ানো যায়। আমিও ভাবলাম ঠিকই বলছে আমি বাড়িতে গিয়েই থাকি।
👉 আমি বাড়িতে যাওয়ার পর আমার এসাইনমেন্ট শুরু হলো। ভাবলাম ভালোই হলো এই সুযোগে পড়িক্ষা দিতে পারবো। আমি গত বছর ইন্টার আবার ভর্তি হোই কাউকে না জানিয়ে। পরে হাজবেন্ডকে বলেছিলাম।কারণ যিনি আমার পড়াশোনা বন্ধ করলো আবার তিনিই আমাকে কথা শোনাতো এস এস সি পাশ, অশিক্ষিত। আমার মেয়ে ডিগ্রি পাস , এছাড়া নানা কথা। তারপর তিন চার মাস বাড়িতে থেকে পরিক্ষা দেওয়ার ও কিছু দিন পর হাজবেন্ড নিয়ে আসে।
👉আশার পর আর এক কাহিনী। উনি চান না আমি আসি। আমার হাজবেন্ডকে অনেক বার ডিভোর্স ও দিতে বলেছে। কিন্তু আমাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন সমস্যা ছিল না, যার কারণে এখনো সম্পর্ক টিকে আছে। আমার হাজবেন্ড আমাকে আনতে যাওয়ার পর উনি আমাদের রুম বাদে সব রুম তালা দিয়ে নিজের ঘরের দরজা লাগিয়ে বসে ছিলেন। উনার রুমের ভেতর রান্না ঘর বাথরুম সব আছে আবার বাইরেও বাথরুম রান্না ঘর আছে। এরপর আমরা এসে আমাদের ঘরে থাকলাম। আমার ছেলে কতবার ডাকলো দরজা খোলা তো দূরের কথা কথাও বললেন না। রাত হয়ে গেল তবুও দরজা খুললেন না। পরে আমরা রাতে খাবার কিনে খেলাম। তারপরের দিন থেকে আমরা আলাদা রান্না করে খেতে লাগলাম। যেহেতু আমার আব্বু ঘরের সব জিনিস এবং আসবাপত্র বিয়ের পর দিয়েছিলেন। এসব দেখে এখন আবার বলেন বাপ মা সব শিখাই দিয়েছে। আলাদা খাওয়ার জন্য আগে থেকেই সব জিনিস দিয়ে দিয়েছে। অথচ আমার ননোদ আমার আব্বুকে বলেছিলেন কোন জিনিস দিবেন না। তাই আমার আব্বু দেয়নি। এজন্য উনি পাড়ার লোক আসলে বলতো কিছুই দিইনি। রিকশা আলাওতো মেয়েকে কত কিছু দেয়। আমার ননোদ রাগ করতেন বলতেন আমাদের এতো জিনিস আছে এগুলোরই ঘরে জায়গা হচ্ছে না। এজন্য আমি নিষেধ করেছি তাই দেয়নি। তুমি এসব নিয়ে কোন কথা বলবা না। কিন্তু তিনি তাও অনেক কথা বলতেন। এসব কথা শুনে শুনে আমি আব্বুকে বললে আব্বু সব কিনে দেন। আবার এখন উনিই উল্টো বলছে আমার আলাদা খাওয়ার জন্য আমার আব্বু সব কিনে দিয়েছিল।
👉 ওওও একটা কথা বলা হয়নি এই গত ছয় বছরে অনেক বার কিছু করার চেষ্টা করছি কিন্তু করতে পারিনি শাশুড়ির কারণে।
👉 এখন দের মাস মতো আলাদা আলাদা আছি। এজন্য আবার শুরু করেছি। এই গ্রুপ থেকে নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে চাই।আর একদিন বলবো কিভাবে এই গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়েছি। এমনিতেই অনেক বড় হয়ে গেছে পোস্ট।
👉 এটা আমাকে খুব কষ্ট দিতো কাউকে দিতে পারিনা। সব থেকে বেশি কষ্ট লাগতো কাউকে আমাদের বাসায় আসতে বলতে পারতাম না। আমার বাড়ির লোককে বলতাম না আসার জন্য। কারণ কেউ আসলে চলে যাওয়ার পর অনেক কথা বলতো। শুনে খুব খারাপ লাগতো। উনার ব্যবহারে আমাদের বাড়ির কেউ আসতেও চাইতেন না। একবার আমার এক বান্ধবী এসেছিল এজন্য বলে বান্ধবী কেন আসবে আমার বাড়িতে। বান্ধবী আছে বাপের বাড়ি গিয়ে বন্ধুত্ব করবে । এখানে কেন আসে এবং আমাকে বলে ওকে নিষেধ করতে আর যেন না আসে।
👉 আমার শাশুড়ি বলে তিনি বেঁচে থাকতে আমাদের কোন জমি জায়গা দিবেন না। আমার হাজবেন্ডকে বলে তোর বৌয়ের অন্য লোকের সাথে সম্পর্ক আছে, ও তোর সাথে থাকবে না। আছে শুধু তোর এতো সম্পদ দেখে, তোর জমি জায়গা তোকে দিয়ে বিক্রি করাতে পারলেই সব টাকা নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু আমার হাজবেন্ড এসব কিছু বিশ্বাস করে না। কারণ ও জানে আমি কেমন।
👉 এখনো যে কথা শোনা থেকে মুক্তি পেয়েছি তানা। সামনে এসে আমাকে, আমার মা বাবা , ভাই বোনকে নিয়ে অনেক খারাপ খারাপ কথা বলে। কোন কথার উত্তর দিই না শুধু আল্লাহর কাছে ধৈর্য চায়।
👉 হাজবেন্ডকে অনেক বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিছু করার জন্য কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তার এক কথা আমার বাবার অনেক আছে আমার কিছু করা লাগবে না। বসে খেয়েই সারা জীবন পার করতে পারবো। তাই নিজেই চেষ্টা করছি কিছু করার।
👉 সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি এবং ছেলেটাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
👉 শুরু করেছি আমার হাতের তৈরি কুশিকাটার সকল পণ্য নিয়ে। সবাই পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
👉 যারা এতোক্ষণ আমার পোস্ট টা পড়লেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমার লেখার ভেতর কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৫২
তারিখ - ২৩-০২-২০২২
ইয়াসমিন সুলতানা
জেলা: কুষ্টিয়া
ব্যাচ: ১৩
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার: ৫০৭৩৩