যেখানে আছে শুধু অবিরাম ছুটে চলার, আছে নিজের প্রানের তৃপ্তি
💜💜................ জীবনের গল্প.......................💜💜
💜💜গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো💜💜
💜💜💜বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম💜💜💜
💜💜 আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ💜💜
সকল প্রসংশা সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ও সুস্থ রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ
দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) প্রতি। যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন সমস্ত মানবিকজাতির মুক্তি ও কল্যাণের দূত হিসেবে।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা- মাকে। যাদের জন্য এসেছি সুন্দর এই পৃথিবীতে বড় হয়ে স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসায় বড় হয়েছি। যাদের ঋন শোধ হবার না।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর #Iqbal_Bahar_Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা পেয়েছি এই ভালবাসার প্লাটফর্ম । যিনি এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক, শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার, লক্ষ তরুণ-তরণীর হৃদয়ের স্পন্দন, পথহারা বেকারদের পথের দিশারি। যার জন্য অাজ অামি এই প্লাটফর্ম পেয়েছি এবং পেয়েছি অগনিত ভাই বোন
আশাকরি প্লাটফর্মের সকল ভাই ও বোনেরা ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে বাবা- মার অবদান নিঃসন্দেহে অনেক বেশি, কিন্তু বাবা-মার পরে আমাদের যিনি শুভাকাঙ্ক্ষী বা পথপ্রদর্শক তিনি হলেন আমাদের মেন্টর/শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। তিনি আমাদের যেভাবে শিক্ষা দেন আমরা সেভাবেই ভাবতে শিখি। পরিবারের পর স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি এভাবেই আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলতে থাকে। ভার্সিটি শেষ করে একটা স্টুডেন্ট মোটামুটি ম্যাচিয়ুর্ড হলেও বিপাকে পড়ে তখন, যখন তার লাইফে ডিসিশন নিতে হয় - সে কি করবে? কোন দিকে যাবে জব/ বিজনেস / অন্য কিছু!! কারন ম্যাচুরিটি হলেও অভিজ্ঞতা তখনও অর্জন হয় নি,, ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের এমন একজন মেন্টর/অভিভাবক প্রয়োজন যার দিক নির্দেশনাই আমাদের ভবিষ্যত জীবনের। এমন ই এক মুহূর্তে আমার সেই মেন্টর / অভিভাবক এর সাথে দেখা হয় এই মহান প্লাটফর্মের কল্যানে যিনি শুধু আমার নন আমাদের সবার অভিভাবক প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। স্যার এর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই,, যতই বলি শেষ হবে না,, একটা শিক্ষক হয়ত অনেক স্টুডেন্টকে পড়ায়/শিক্ষা দেয় কিন্তু এই শিক্ষার পেছনে ও তার পারিশ্রমিক থাকে,, নিঃস্বার্থ ভাবে বাবা - মা ছাড়া কেউ কিছু দেয় না,,, কিন্তু আমাদের প্রিয় স্যার আমাদের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে শুধু দিকনির্দেশনাই দেয় না,,,সবসময় সাথে থেকে পরিচালনা করে যান, যেন আমরা কোনভাবে পথভ্রষ্ট না হয়ে যাই এবং কিভাবে ভাল মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি। কি অসাধারণ মেন্টালিটি আর ধৈর্য থাকলে একটা মানুষ এত গুলো মানুষের দায়িত্ব নিতে পারেন, তাদের ভবিষৎ জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা দিতে পারেন স্যার কে না দেখলে বুঝতামই না। শুধু মাএ দিকনির্দেশনা নয়, স্যার সার্বিক ভাবে আমাদেরকে দক্ষ করে তুলতে দিনরাত সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। আমি সত্যি খুব ভাগ্যবান এমন মহৎ এবং দয়ালু মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি বলে ।
👉পরিচয়ঃ
নিজের পরিচয়ে দেওয়ার আগে বাবা মার কথা না বললে নয়, যাদের জন্য এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি, কয়েকটা বাড়ি মিলে একটি পাড়ার ছোট্ট একটা গ্রাম, যেখানে ছিলো ভোরের কিচিরমিচির করা নানা পাখির করতালি আর সোনালী রোদরু, আমার বাবা ছিলেন একজন কৃষক, নিজের জমি থাকায় সেগুলোর দেখা শোনা করতেন, পাশাপাশি ছোট ছোট ব্যবসা করতেন, ছিলো গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ,বাবা মাকে দেখেছি সত্য ন্যায় পথে থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে, বাড়িতে আমার কিছু পোষা প্রাণীও ছিলো, মধ্যেবৃও পরিবারে মেয়ে আমি, আমরা তিন ভাই বোন, বোনের মধ্যে আমি ছোট, ক্লাস এইট পড়তাম, আমার ছোট ভাই, ক্লাস ওয়ান পড়তো, বড় বোনের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে যায়, ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে, ছোট মেয়ে হওয়ায় বেশিটা আদর আমি পেয়েছি, বাবা মা সংসারে ছোট বেলা থেকে কোন রকমের অভাব দেখিনি, দেখেছি ছোট্ট সুখের সোনার সংসার। এভাবে দিন গুলো চলছিল ভালো হঠাৎ করেই একদিন সামান্য জ্বর আমার বাবা মারা গেল, তখন মনে হলো কালে মেঘ এসে আমাদের অন্ধকারে ঢেকে দিলো, কিন্তু ভেঙে পরেনি মা , নিজ অশ্রু আড়াল করে শক্ত মনে আমাদের ঢাল হল, নিজের কাঁধে তুলে নিলো সংসারের হাল, একাই দায়িত্ব নিলো তিন ভাই বোনের, বাবা নেই, বাবা অভাবটা কখনো বুঝতে দেয়নি, কতটুকু পেরেছে সংসারটাকে আগলে রেখেছে, তারপরেও একটু করে সংসার ভাঙ্গতে শুরু করলো, মা আড়ালে অশ্রু ঝরিয়ে হাসি মুখা মুখাটাই শুধু দেখাতো, শিক্ষা জীবনে আলো ছড়াতে সবসময় অনুপ্রেরনা দিতো, ছোট থেকে শিখিয়ে দিলো কিভাবে পরিবেশ পরিস্থিতি পথ চলতে হয়, মাকে দেখেই ছোট থেকেই শিখেছি কিভাবে হাজারো সমস্যা থেকে পেরিয়ে সামনের পথে এগোতে হয়।
👉শিক্ষা জীবনঃ
লেখাপড়াতে মোটামুটি ভালোই ছিলাম, আমার ইস্কুল ২ কিলোমিটার দূরে, পায়ে হেঁটে ইস্কুলে যেতাম, মাঝখানে ছিলো করতোয়া নদী, নদী থাকাতে ইস্কুলে আসতে যেতে একটু সমস্যা হতো, কিন্তু তার সাথে আছে বৃষ্টিতে ভেজা নৌকায় দোল খাওয়া মধুময় স্মৃতি, কিন্তু সময় কারো জন্য বসে থাকে না, থেমে থাকে না জীবনের গতিধারা, এস. এস. সি পাস ২০১১ সালে, এরপর ইন্টার ভর্তি হলাম মহিলা কলেজে, ৩ কিলোমিটারের রাস্তা, অনেকটা রাস্তা থাকায় কিছু দিন বান্ধবীদের সাথে বাসা নিয়ে থাকতে হয়েছিল, যে কয়টা দিন ছিলাম বান্ধবীদের সাথে থেকে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি, অনেকেরি ভুল ধারণা বাইরে থাকলে ছেলে মেয়ে যেই হোক না কেন কিছুটা খারাপ হয়ে যায়, আসলে যে যেভাবে নিজেকে পরিচালনা করে, ইন্টারে মোটামুটি ভালো রেজাল্ট থাকায় অনার্সের করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ঠিক সে সময় আমার বড় চাচা গ্রামের বাড়ি থেকে তার সুবিধা অর্থে সিরাজগঞ্জ শহরে চলে যায়, তার ছেলের কাছে, আমার কাজিন একজন ডাক্তার, আমার দুই চাচা দুইজনেই মোটামুটি ভালো অর্থওবৃ ছিলো, আমরা একাহওয়াতে আমাদের কথা চিন্তা করে আমার ছোট চাচা আমাদেরকে তার সাধ্যমত সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয়, আমাদেরকে শহরে নেওয়ার কথা বললো, প্রথম দিকে মা অনেক চিন্তা ভাবনা করে, পরে আমাদের কথা ভেবে রাজি হয়ে যায়, সেখানে গিয়ে আমরা আমাদের মত করে গুছিয়ে নিলাম, এর মধ্যে আমার অনার্সের ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, সরকারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সাবজেক্টে টিকে গেলাম, ভর্তিও হলাম, কিছু দিন তারপর মা কেমন যেন গম্ভীর হয়ে থাকতো? কিছুটা বুঝতে পারতাম কিন্তু এখন কিছুই করতে না, এই ভেবে চুপ করে থাকতাম নিরবে অশ্রু ঝরিয়েছি, কষ্টকে বুকে চেপে ধরে কষ্টকে শক্তিতে রূপ দিতে চেষ্টা করেছি, মেয়ে হওয়াতে বিয়ের গুঞ্জন শোনা যেতো, কিছু দিন যেতেই বাবার সম্পৃকের ফুপি কাজিন সহ আমাদের বাসায় আসে, নরমলি কথা বলতে হয়, তাদের সাথে কথা হলো, তার কিছু দিন পর মা আমাকে বললো তার সাথে বিয়ের কথা, ছেলে ইন্জিনিয়ার, ভালো চাকরি করে, শিক্ষিত পরিবার, দুই ভাই, দুই বোন, ছোট ভাই ও ইন্জিনিয়ারি লেখা পড়া করছে, ছোন বোন উকিল, বড় বোনের বিয়ে গিয়েছে, তাঁদের আর্থিক অবস্থা একটু খারাপ, বড় ছেলে চাকরি করছে ছোটটা চাকরি করলে অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে, তাঁদের চাওয়া ছেলেকে বাইরে থেকে ডিগ্রি নিতে যে খরচ লাগবে তার দায়িত্ব নিতে হবে, বাইরে থেকে না পযন্ত তুমি এখানে থেকেই লেখাপড়া করবে, মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুখন ভাবলাম, ভাবলাম তোমরা গুরুজন তোমরা যা করবে আমার ভালোর জন্যই করবে, আমার জন্য তোমার যদি একটু চিন্তা দুর আমারও একটু ভালোলাগবে, তাই কিছু না বলে শুধু বললাম তোমারা যেটা ভালো মনে কর সেটাই করবে, বিয়েতে মার পর আমার দুই চাচার অবদান অনেকটা রয়েছে, বিশেষ করে আমার ছোট চাচার অবদানটা বেশি, আমার বড় আপুর বড় আপু সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে এখনো আছে, তাই তাদেরও মতামতের কথা চিন্তা করেই কথাটা বলা, এই কথা বলাতে মা কিছু খুশি হল, তার কিছু দিন পর আঙটি পড়ালো, ছুটির সুবিধা মত বিয়ের দিন ঠিক করলো, বিয়েও হয়ে গেল, ভালোবাসা পেয়েছি, কিছু দিন না যেতেই জীবনকে উপলব্ধি করেছি, কিছুই বলিনি শুধু চুপচাপ থেকেছি নিরবে অশ্রু ঝরিয়েছি, লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে যে কাজ গুলো করতে ভালো লাগতো তার কিছু কিছু কাজ শিখতাম, তখন থেকেই ভাবতাম অনার্স শেষ করার পর কিছু না কিছু করবো, পরিবারের পাশে দাড়াবো, আমার হাসবেন্ড আমার অনেক খিয়াল রাখতো, যতটুকু পেরেছে আমাকে লেখাপড়া অন্যঅন্য বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন, পরিবার হাসবেন্ডের সহযোগিতায় ২০১৯ সালে আমি অনার্স শেষ করি, ইচ্ছা আছে যতটা পারি লেখাপড়া সামনে এগোতে।
👉 বিবাহিত জীবনঃ অনার্স সেকেন্ড ইয়ার শুরুতেই আমার বিয়ে হয়ে যায়, আমার হাসবেন্ড পেষায় একজন ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ার, মোটামুটি ভালো চাকরিতে আছে, সেও অনেক পরিশ্রমী চাকরির পাশাপাশি অনেক কাজের সাথে যুক্ত আছে, লেখাপড়া ছাড়েনি, তাদের পরিবারের মধ্যে সেই বড় ছেলে, বড় হওয়ায় পরিবারের প্রতি তার দায়িত্ব টাও ছিলো তার বেশি, তারপরেও আমার জন্য যতটুকু পেরেছে করার চেষ্টা করেছে, তাকে দেখে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি কাজের প্রতি, বিয়ের পর তার পরিবার থেকে অনেক ভালোবাসা পেশেছি, কিন্তু তাদের পরিবার থেকে তার ছেলেকে নিয়ে যে আশা ছিলো, ছেলে বাইরে থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসবে, ছেলে অনেক বড় হবে, কিন্তু কোন কারনে সেটা না হওয়াতে তাদের রাগটা আমার উপরে গিয়ে পরে, বড় ছোট কথা বলতে ছাড়েনি, এছাড়াও তাদের কিছুটা পারিবারিক অর্থিক সমস্যা ছিলো, সেটা বিয়ের আগে বলেনি, আত্মীয় হওয়ায় আমার পরিবার তেমন খোঁজ খবরও নেয়নি, বিয়ের আগে আমি ও যানতে পারিনি, সেটা বুঝতে পেরেছি বিয়ের কিছু দিন পর, যদিও আমার পরিবার থেকে কিছু অর্থ তাদের সুবিধা অর্থে দেওয়া হয় কিন্তু প্রয়োজন আরেকটু বেশি ছিলো, আর সেটা না হওয়ায় রাগ গিয়ে পরলো আমার উপর, রাগটা এখনো আছে, এর জন্য সয্য করতে হয়েছে দিনের পর দিন মানুষষিক চাপ, বিয়ের পর আমাদের বাসায় ছিলাম ৩ বছর, আমার লেখাপড়া হাসবেন্ডের বাইরে ডিগ্রি নেওয়া অপেক্ষায়, আমার নিজ দায়িত্ব থেকে যখন থেকে বিয়ের ঠিক হয়েছে তখন থেকেই তাদের খোঁজ নিতাম জানার জন্য, প্রথম দিকে একটু ভালো করে কথা ভালো ব্যবহার পেয়েছি, কিন্তু কিছু দিন না যেতেই তাদের জানতে গিয়ে একেক সময় একেক কথা শুনেছি, বসেখাওয়াতে পারবো না, কারতা খাও, সরাসরি চেয়েছে অর্থ, হঠাৎ শ্বশুর মারা যাওয়ায় তাদের বাড়িতে যেতে হয়, সেখানে গিয়ে নিজের একটা ঘরও পাইনি, ভাঙ্গা ঘরে মেজেতে শুয়েছি, থালি বাটি থেকে শুরু করে করেছি সব কাজ করছি, বোঝা হয়নি আমি কতটা পারি কোথায় থেকে এসেছি, তবু্ও শুনতে হয়েছে, অনেক ধরনের কথা, তখন ভেবেছি মাথার উপর ছাদ আর নিজের বেঁচে থাকার শক্তি সনচলন নিজেকেই করতে হবে, তারপরেও পরিবার আর মানসম্মেের ভয়ে চুপ থেকেছি, শুধু এই আশাত একদিন হয়তো ঠিক যাবে, এখনো সেই অপেক্ষায় আছি কোন একদিন তাদের মন থেকে সমস্ত চাওয়া পাওয়া দুর করে, ছেলের বউকেই শুধু চাইবে, আমার হাসবেন্ড অনেক সময় তারও মন খাবার দেখেছি, তারও অনেক ইচ্ছো ছিলো বাইরে থেকে ডিগ্রি নেওয়ার, আমি বুঝতে পেরে কষ্ট হয়েছে, কিছু করতে নাপারায় তার দোয়া করেছি, চেয়েছি যেখানে যা পাওয়ার ছিলো পাওনি দোয়া অন্য জায়গায় অন্য ভাবে এর চেয়ে ভালোকিছু করবে ভালোকিছু পাবে, ভালোবেসে শুধু এইটুকুই চেয়েছি, আর সবসময় চাইবো তুমি অনেক ভালো থাকো, কিন্তু সবপরিস্থিতি মধ্যে আমার হাসবেন্ডকে সবসময় পাশে পেয়েছি, এখনো আছে, তার ভরসায় সামনে চলার উৎস শক্তি পেয়েছি, আর তার জন্য লেখা পড়া শেষ করার আগেই আমরা দুইজনে সন্তান নেওয়ার কথাও ভাবিনি, তার পর যখন অনার্স শেষ করলাম, অনার্স শেষ হওয়ায় পর তাদের গ্রামের বাড়িতে থাকার তেমন পরিবেশ না থাকায়, আমাকে তার কাছে নিয়ে আসার কথা বললো, আমার হাসবেন্ড থাকতো ঢাকা মানিকগঞ্জ ধামরাই শহরে, সেখানে বাসা নিয়ে আমাকে নিয়ে আসে, আমাকে নিয়ে আসবে তা নিয়ে ও কিছু কথা হয়, আমার পরিবার থেকে চেয়েছিলো অনুষ্ঠান করে আমাকে পাঠাবে, কিন্তু আমার হাসবেন্ড না বলায় অনুষ্ঠান হয়নি, তাতে আমার সামান্য কষ্ট নেই, শুধু চেয়েছি সুখ দুঃখে একসাথে পথ চলতে, আমি আসার সময় আমার পরিবার থেকে অনেক সহযোগিতা করেছে, আমার মা আমার সবসময় পাশে থেকেছে, এখনো মা আমার পাশে থাকে ছায়া হয়ে, মা এভাবে সবসময় আমার পাশে থেকো, আমাকে আগলে রেখো, হাসবেন্ড পরিবার থেকে আসার সময় সামান্য সহানুভূতি দেখায়নি, একটু কথা ভালোব্যবহার টুকুও আমি পাইনি, তারপরেও তাদের কিছু না বলে তাদের জন্য আল্লার কাছে দোয়া করতাম করবো তারা যেন ভালে থাকে, তাদের মনে আমাকে নিয়ে যত কষ্ট রাগ ঘৃণা সে কষ্ট রাগ ঘৃনা যেন দুর হয়ে আমাকে যেন তারা মন থেকে ভালোবাসতে পারে। ঠিক যেভাবে কোন মা তার সন্তানকে ভালোবাসে।
👉উদোক্তা হওয়ার গল্পঃ
হাসবেন্ডের সাথে যখন ঢাকাতে আসলাম, আগে থেকেই একটু ভেবেছিলাম কিছু একটা করবো, তার পাশে দাঁড়াবো, পাশে থেকে এক সাথে পথ চলবো, সে জন্য আগে থেকেই কিছু কিছু কাজ শিখেছি, কম্পিউটারে কিছু কাজ, নেট এর কাজ, বিউটি পার্লারের কাজ, ব্লক বাটিক এর মধ্যে সবধরনের ব্লক বাটিক এর কাজ, হাতের কাজ, ভিন্ন ভিন্ন খাবার তৈরি করতে শিখেছি, আর কাজের জন্য দিনের পর দিন উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প দেখেছি, কাজের ভিডিও দেখেছি, প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি, কাজের মধ্যে থাকতে, যে গুলো আমার করতে ভালোলাগে, তখন থেকেই চাকরির কথা কখনো ভাবিনি, বাধা ধরা নিয়মটা ভালো লাগেনি, ভেবেছি নিজের ভালোলাগা থেকে কিছু একটা করবো, যে কাজ গুলো আমার করতে ভালোলাগে, যে কাজ গুলো আমি পারি, সে ভালোলাগা থেকেই ভালোবেসে কাজ গুলো শিখেছিলাম, নিজ থেকে কিছু করার জন্য নিজেকে একটু একটু সেভাবে তৈরি করেছি, শুন্য থেকে শুরু করেছিলাম, কোন রকমের মুলধন ছাড়াই, যে কাপুর ব্যবহার করেছি তার সাথে কিছু বারতি কাপুর নিয়ে এসে সেটা দিয়েই শুরু করেছি ,আমি একজন বিউটি সিয়ান তাই যে কসমেটিক নিজে ব্যবহার করেছি নিজে বুঝেছি এই কসমেটিক ভালো সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেদিয়েছি, যে খাবার খেয়েছি সে খাবার ছবি তুলে কাজে লাগিয়েছি, তার সাথে হাসবেন্ডের সাহায্যে অনলাইনে ফেসবুক আয়ডি,কাজের ধরন অনুসারে কয়েকটি পেইজ, গ্রুপে, ইউটিউব চ্যালেন খুলেফেলি, সেখানোও যতোটা সময় পারি দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কাজের জন্য আলাদা কোন রুম নেইনি যে রমে থেকেছি সে রুম থেকেই কাজ করেছি, এখনো কাজ করেছি, আশেপাশে চারপাশে প্রতিবেশিদের সাথে কথা বলেছি, তাদেরকে কাজের কথা বলেছি, এখনো প্রতিনিয়ত এই কাজ গুলো করছি, কাজ করে যে যেটুকু টাকা দিয়েছে সেটুকুই নিয়েছি, তা থেকে নিজের যেটুকু দরকার নিয়েছি, পরিবারকে একটা ছোট্ট উপহার তো দিতে পারছি, এবং তার থেকে কিছু কিছু জমিয়ে কাজের পরিধি বাড়াচ্ছিলাম, এর মধ্যে আমার সন্তান পেটে আসায় অনেকটা সময় কাজ বন্ধ ছিলো, সে সময় টাও কাজে লাগিয়েছি, কাজের ভিডিও দেখেছি, কিভাবে কাজ গুলো আরও ভালো করতে পারবো সে চেষ্টা করেছি, উদোক্তাদের জীবনী সম্পৃকে জেনেছি, নিজেেকে তৈরি করছিলাম একটু হলেও একটা জায়গাতে যাতে যেতে পারি তেমন করে, ইচ্ছা আছে সামনে আর ভালো কিছু করার, পাশাপাশি লেখালেখি করেছি, আমার কাজের উৎসহ দেখে একদিন আমার নিজের বলার মত গল্প গ্রুপের কথা বলে সাথে আমি যুক্ত হই, যুক্ত হওয়ার পর থেকেই লেগেছিলাম, ৯০ দিনের সেশন শেষ করার পরেও বার স্যার এর ভিডিও দেখে নিজেকে পরিপূর্ণ ব্যবসায়ী করা চেষ্টা করছিলাম, নতুন নতুন ব্যবসার ধারণা পাওয়া চেষ্টা করছিলাম, এর মধ্যে আমার সন্তানের জন্ম হয়, আলহামদুলিল্লাহ আমর একটা মেয়ে বাচ্চা জন্ম হয়, কিন্তু মেয়ে হওয়ার কিছু দিন পর থেকেই পারিবারিক সমস্যাটা আরও বেরে যায়, মুখে কিছু না বলে নিজেকে ভেঙে গড়তে চেষ্টা করলাম, শুধু নিজের জন্য নয় সন্তানের কথা ভেব তিন মাস পর থেকেই কাজ করা শুরু করলাম, যতটুকু পেরেছি ততটুকুই করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু মনে হচ্ছিল একটা জায়গাতে থেকে আমাকে চেষ্টা করতে হবে, তাই আবারও নিজের বলার মত গল্প গ্রুপে সময় দেওয়া শুরু করলাম, সেখানে ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কথা গুলো মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করলাম, জানার চেষ্টা করলাম বোঝার চেষ্টা করলাম, জেনে এইটুকু বুঝতে পারলাম।
শুধু করব বল্লেই যে করা যায় না সেটা আরও ভাল করে বুঝলাম স্যার এর সেশন গুলো পড়ে,,,নিজেকে আগে স্কীলড করতে না পারলে যে কতটা পিছিয়ে পড়তে হয় লাইফে এবং বিজনেস এ সেটা ভালই বুঝতে পারলাম। ধীরে ধীরে স্যারের সেশন গুলো ফলো করতে থাকলাম। কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন শিখতে থাকলাম। তার মধ্যে পধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি :
👍স্কিল ডেভলপমেনট
👍পজেটিভ মেন্টালিটি
👍কমিউনিকেশন স্কিল
এছাড়াও আরও অনেক কিছু প্রতিনিয়ত শিখছি শিখে যাবো ইনশাআল্লাহ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
পরিশেষে আবারও আমাদের মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার স্যারকে ধন্যবাদ জানাই স্যার যেন আমাদের মাঝে এভাবেই অভিভাবক হয়ে শিক্ষা দিয়ে যেতে পারেন।
অনেক ভালো থাকুন স্যার।
👉উদোক্তা জীবনঃ অল্প কিছু দিনের অভিজ্ঞতা থেকে এটুকুই বুঝতে পেরেছি, উদোক্তা জীবন অবিরাম মত শুধু বয়তেই থাকে, নেই কোন সময় অসময় দিন রাএি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। যেখানে আছে শুধু অবিরাম ছুটে চলার, আছে নিজের প্রানের তৃপ্তি, যেখানে একটা মেয়েও নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে পারে, পরিবারের পাশে থেকে পরিবারর দায়িত্ব নিতে পারে, থাকে প্রাণ ভরা নিঃশ্বাস।
👉 কিছু কথাঃ জীবনকে যতটুকু যেনেছি বুঝেছি তার অভিজ্ঞতা থেকে সবাই জন্য কিছু কথা বলছি, যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পরিবারের বড়দের মতামতের সাথে নিজের জীবন নিজেকেও নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া বিশেষ করে বিয়ের মত সিদ্ধান্তে, যে বন্ধে সারাজীবন কাটাতে হবে সে জায়গাতে কতটুকু ভালো থাকতে পারবে নিজে বুঝে নিজেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তা না হলে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে, কষ্ট নিজেকেই করতে হয়, তাই নিজের জীবন টা নিজেকেই গুছিয়ে নিতে শিখতে হয়, যতই থাক নিজ মেধা শক্তি স্বপ্নকে ঘুমাতে দিতে হয়, কেননা এমনো সময় জীবন আসতে পারে নিজ মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজেই বেঁচে থাকার একমাত্র শক্তি হতে পারে। তাই নিজ মেধা শক্তিকে কখনো ঘুমাতে দিতে হয় না। যতই ঝর ঝাপটা আসুক না কেন মন কে শক্ত করে কষ্টকে মনের মধ্যে লালন না করে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। তাহলে ভালো থাকতে পারবেন, নিজেকে ভালোবাসতে পারবেন। নিজেকে ভালো রাখতে পারবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে - ৭৫৪
তারিখ - ২৬-০২-২০২২
✅আমি রিসিকা রিয়া
✅জেলা- সিরাজগঞ্জ
✅বর্তমান অবস্থান - ধামরাই ঢাকা
✅জোন- সিরাজগঞ্জ-৩ / সাভার ৩
✅রেজিষ্ট্রেশন নং- ৬১৮১০