স্বপ্ন দেখছি প্রতিনিয়ত নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য দেশের জন্য, ভালো মানুষ হবো স্বপ্ন দেখছি বারংবার
💞💞💞বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহীম💞💞💞
আসসালামুওলাইকুম,💞💞
👉👉প্রথমে শুকরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে, যিনি আমাকে ও আপনাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এখন পর্যন্ত সুস্থ এবং ভাল রেখেছেন। সালাম ও দরুদ প্রিয় নবিজীর প্রতি যার উছিলায় আজ আমরা মানব জাতি হিসেবে পৃথিবীতে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ 😃
👉👉আমি আমার সমস্ত শ্রদ্ধা থেকে কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা এবং সম্মান প্রদর্শন করছি আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক, প্রিয় মেন্টর,প্রিয় পরামর্শদাতা শ্রদ্ধেয় স্যারের প্রতি।
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় মেন্টর লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী আইডল হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণা ও ভালো মানুষ গড়ার কারিগর জনাব #Iqbal_Bahar_Zahid স্যারে প্রতি যিনি আমাদের এত সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছেন যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে সবার সামনে তুলে ধরছি। যেখানে পেয়েছি লক্ষ লক্ষ ভাই বোন ও ভালো মানুষ।
👉👉নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর শ্রদ্ধেয় ভাই-বোনেরা কেমন আছেন ? নিশ্চয়ই ভালো আছেন। স্রস্টার কাছে সর্বদা এই 🤲দোয়াই করি যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।
ধন্যবাদ জানাই ধানমন্ডি জোনের সকল দায়িত্বশীলদের যাদের সাহায্যে এই প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সবার সাথে পরিচিত হতে পেরেছি।
💞💞💞💞💞
সকলে জিবনের কষ্টের কথা গুলো লেখে আমি একটু আলাদা কিছু লিখতে চাই, আমি কষ্টকে তুচ্ছ করে আনন্দে পরিবর্তিত করেছি তা লিখব।
এক সুখি সমৃদ্ধ পরিবারের মেয়ে আমি।
মা হোচ্ছে অনেক দয়ালু আর বাবাও তার চেয়ে বেশি। তিনি সাহায্য করেনি এমন মানুষ খুব কম আছে আমাদের আসে পাশে, নিজে না খেয়ে ও অন্য মানুষের জন্য অন্য যুগিয়েছেন। ওনেকের লেখা পড়ার খরচ যুগিয়েছেন যা আমরা জানতাম না জখন কেউ এস এস সি পাশ করে আসত ছালাম করতে আর বলত যে আম্মু তার ফর্ম ফিলাপ না করে দিলে খরচ না দিলে সে লেখা পড়াই করতে পারত না তখন হয়ত আমরা জানতাম এমন অনেক কাহিনী আছে আমার মায়ের। মা খুব শ্বাষনের ভিতরে রেখে আমাদের বড় করেছেন। একটা বাঘিনি যে ভাবে তার বাচ্চাদের আগলে রাখে সেভাবে তিনি আমাদের ৫ বোন কে আগলে রেখে বড় করেছেন লেখাপড়া করিয়েছেন।💞💞
মাকে নিয়ে লিখলে এমন ১০০গল্প হবে।
আমার বাবা,💞💞
আমার আদর্শ আমার সবচাইতে প্রিয় মানুষ আমার চোখের নূর বলা চলে। বাবা ছাড়া জীবন, চিৎকার করে বলি খুব কষ্টের ।
বাবার কথা বললেই অনেকে কাঁদে। বাবা অনেক ভাল ছিলেন বলেই মাও দানবির মহিলা হোতে পেরেছেন দুজনেই এক রকম মানুষের জন্য দুজনেই সাহায্য সহযোগিতা করার জোন্য সামনে থাকত। আর একদিন লিখব আমার রাজ কুমার বাবা আর রাজকুমারি মাকে নিয়ে। শুধু এত্টু কু বলব তাদের কারনেই আমি নিজেকে মানুষ মনে করি তাদের কর্ম তাদের পরিচয়। আমি গর্ব করি তাদের নিয়ে পরকালে যদি কিছু চাইতে পারি আল্লাহর নিকট তবে এই বাবা, মা,কে চাইব আর আনন্ত কাল তাদের সেবা করব। বাবা হোচ্ছে বটগাছের মত জার ছায়ায় শান্তি মিলে আর আমারা সেই শান্তি থেকে এখন অনেক দূরে।
💞💞আমার বড়বোন “রোক্সানা পারভিন”💞💞
ঢাকার ইডেন কলেজের ছাত্রি ছিলেন লেখাপড়া শেষে অনেক দিন প্রাইভেট কম্পানিতে চাকুরি করেছেন বিয়ের পর চাকুরি ছেড়ে দেন তার ২ মেয়ে। বর্তমানে গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া তার নিজ বাড়িতে আছেন মাশাল্লাহ অনেক ভালভাবেই আছেন।
আমার মেজ বোন, 💞💞“কল্পনা পারভিন”💞💞
যিনি এখন নেই আমাদের মাঝে, তবে আছেন, সব সময় এবং থাকবেন যতদিন বাকি ৪ জন জিবিত থাকব। আমাদের চোখের মাঝে তাকালে তার চোখ মিলে, হাতের সাথে হাত, চেহারায় মিলে চেহারা আর মনের মাঝে আছে অনন্ত কাল নিশ্বাসে মিসে আছে অনন্ত 💞💞💞
মেজবোন “ফজিলাতুন্নেসা” কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করে কিছু দিন প্রাইভেট কম্পানিতে যব করতেন তার পর বিয়ে হোয়ে যায় এবং তার পর পরবর্তী তে তার গোপালগঞ্জ কোটালিপাড়াতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয় আর মায়ের পরিশ্রম আর ভালবাসার শিক্ষার ফলটা এই যে যে আমার মেজদি পুরা গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় প্রথম হয়।মেজদির একছেলে আর এক মেয়ে। আগেই লিখেছি কষ্টকে আনন্দে পরিবর্তিত করে আমরা চলেছি আর এটাই আমাদের ৫ বোনের জীবন। সরকারি চাকরি পাবার মাত্র ১৭ মাসের পর মেজদি চলে যায় আমাদের ছেড়ে৪ বছরের এক ছেলে আর মাত্র ৪ মাসের এক মেয়ে রেখে।
এখনো তার জায়গাটা আছে সে, নেই বোনদের মাঝে মেজদি একটু বেশি সহজ সরল তাই তাকে সবাই বেশি ভাল বাসত আর তাই আগেই চলে গেল। অনেক য ন্ত্রনা হয় মেজপা তুমাকে ছেড়ে থাকতে ২০টি বছর হোলো তুমি নেই মনেই হয়না, তুমার ডাকটি যে শুনতে পাই তুমার হাতের ছোয়া অনুভব করি ফিরে দেখি তুমি নেই তখন কিজে যন্ত্রনা হয় কাউকে বুঝাতে পারিনা।
💞💞💞মুনিরা খানম💞💞💞💞
আমার ছোট। ছাত্রি ভাল তাই একটু চুপচাপ থাকত বাবার মত, সবাই বলত ভাল ছাত্র ছাত্রিরা একটু এমন হয় ভাবুক সেই সময় থেকেই ও লিখত ৯৬ নব্বয়ে একটি পত্রিকায় ওর লেখা গল্প ছাপা হয় ।
মোহাম্মাদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচ, এস,সি পরিক্ষা চলাকালিন সময়ে প্রাইমারি তে দরখস্ত করে আলহামদুলিল্লাহ মায়ের শিক্ষা আর কষ্টের ফল পুরা বাগের হাটের ভিতরে সেও প্রথম হয় আর সকারি চাকরি পেয়ে যায় পরে বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে লেখা পড়া শেষ করে চাকুরির পাশা পাশি। বিশেস কারনে আমি সাল বা পুরা সবার নাম লিখব না ।
বিয়ের পর আমরা সবাই দূরে দূরে কিন্তু এই বোন সবার দায়িত্ব পালন করে বাবা ৪ বছর প্যরালাইসিসের রুগি ছিল এই বোন তার সেবা করেছে । ওর স্বামী “মিরাজুল ইসলাম” মাশাল্লাহ আমাদের ভাইয়ের কমি দূর কোরেছে আমার বাবা, মার ছেলের মত তাদের সেবা করেছে এখন ও করছে। ওর বাবা, মা নেই তবে যত দিন বেঁচে ছিল আমার বোন তাদের সেবার কোন কমতি করেনি।
আমার মায়ের ছেলের দায়িত্ব পালন করছে এই দুইজন। অনেকে ছেলে আছে কিন্তু ভাত পায়না আলহামদুলিল্লাহ আমার মা এখনো রাজকুমারি আমাদের। আমার বাবা, নেই মেজদির চলে জাবার পর আমরা সবাই খুব ভেঙ্গে পড়ি আর এই শোক থেকেই বাবা স্ট্রোক করে.৪ বছর পরে বাবা ও চলে যায় আমার মেজদির কাছে পাশা পাশি কবরে দুজনে ঘুমিয়ে আছে ঘরের জানালার সামনেই যাতে করে চোখ খুললে ই দেখতে পাই।
আমার এই বোন টি ও বাবামার মত সবাইকে সাহায্য করে আর বোন জামাই ও তাই আলহামদুলিল্লাহ ও মানুষের জন্য খোলা মন সাহায্য সহযোগিতায় সব সময় সামনে থাকে অতান্ত ভাল মনের একজন মানুষ । সবাই দোয়া করবেন ওদের জন্য।
ছোট বোন💞💞💞
অনন্যা ইয়াসমিন,
সবার ছোট একদম পুতুলের মত ছিল ওকে পেয়ে খেলার জন্য খেলনা লাগত না অকে নিয়েই আমারা খেলা করতাম সবার আদরের। একদম ছোট একটি পুতুল।
বাগেরহাট পি, সি, কলেজ থেকে একাউন্টিঙে অনার্স মাস্টার্স করেছে বর্তমানে সাস্থ বিভাগে চাকুরি রত আছে। সেই ছোট পুতুল টি এখন চাকরি করে একসময় ভাত ও নিজে হাতে খেত না এখন সে চাকরি করে মহা ব্যস্ত।
এবার আসি আমার কথায়💞💞
আমি লুবনা আহমেদ
আমার বড় দুই বোন আর ছোট দুই বোন যেমন চুপচাপ সহজ সরল আর ন্ম্র, বিনয়ী আমি তার একদম বিপরীত কার মত তা যানি না তবে অনেক চঞ্চল একদম দমকা হাওয়া বললে ভুল হবে ঝড়ো হাওয়ার মত কোন বাধা যেন বাধা নয় নিজের মত চলতাম ছাত্রি ত ভাল ছিলাম লেখা পড়ার সময় কই । আমাদের বাড়িতে সব সময় উতসবের আমেজ এর মত থাকত কারন টেলিভিশন দেখার জন্য মামাত বোন,খালাতবোন ফুফাত বোন আসে পাশের সব জেন আমাদের ঘরে একটা উতসবের মত ছিল। মনে হয় ওইদিনে ফিরে যাইওই দিনের কত জন যে চলে গেছে খুব মিস করি তাদের।
বাবা থাকত বেশির ভাগ সময় ঢাকায় তাই মা খুব কোঠিন ছিলেন তিনি শিক্ষক ছিলেন এজন্য তার নিয়ম ছিল কঠিন। গ্রামে কারো ঘরে মেয়ে বড় হোলে কত রকম কথা কুকুরটা ও লেজ নাড়তে চাইত আমার মা ছিলেন খুব বড় ঘরের মেয়ে তাই মামাদের সবাই জানত এটা ছিল অনেক বড় বেপার।
এস, এস, সি পরিক্ষার পরে ঢাকার মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রিয় কলেজে ভর্তি হই। কয়েক মাস পরেই বিয়ে হোয়ে যায় আর গ্রামে যাওয়া হয়না বেশি, ৪-৫ বছর পরে যাই বেড়াতে। যাই হোক, বিয়ের পর নুতন যাত্রা সংসার, মেহমান, লেখাপড়া,
“অলিউল ইসলাম” আমার স্বামীর নাম । নামের মত সভাব তেমন সবার প্রিয় তিনি এখনো । আমি ছোট বেলা থেকেই যে কোন কাজ দেখলে তা সেখার পিছনে লেগে যেতাম যত সময় না সিখা হত ততোক্ষন চেস্টা চালিয়ে যেতাম। বিয়ের পর অনেকটা সময় একা কেটেছে সাহেব তার নিজের কাজে ব্যাস্ত থাকত আমি তখন থেকেই নিজে কিছু করার চেস্টা করতাম বছরে একবার বাইরে যেতাম বেড়াতে সেখান থেকেই শিখে ছিলাম পার্লার এর যাবতিয় কাজ.১ বছর করেছি সরকারি নারি ও শিশু কল্যান অধিদপ্তর থেকে সেলাই , কাটিং ,সুইং, এবং উলের কাজ । আমি প্রথম হোয়ে ছিলাম।
বিয়ের পর ভালোই ছিলাম কাজ করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু প্রয়োজন ছিলোনা। সমস্যা হল ৭-৮বছর হোয়ে গেল কোনো বেবি ছিলো না লোকের কথা শুরু হোলো যে যা পারত বলত কোথাও যেতে পারতাম না । মানুষের প্রশ্নের জবাব দিতে পারতাম না কেনো বেবি নেই কার সমস্যা জামাই আবার বিয়ে করবে নাকি এমন অনেক কথা অনেক শুনেছি। গ্রামে গেলে অনেকে বলত সকালে যেন ঘর থেকে বাইরে না যাই আমার চেহারা দেখা যাবে না আমার বাচ্চা নেই। অনেক কান্না করতাম। অবশেষে আল্লাহর রহমত তখন প্রায় ১২ বছর চলছে আমার সংসার জীবন। আমি পেলাম আমি “মা” হবার আনন্দ ।💞💞💞
অবশেষে অনেক সাধনা আর আল্লাহর রহমতে সন্তান হিন নাম ঘুচলো মৃত্যুর সাথে লড়ে পরে পেলাম আমার বাবার দ্বিতীয় উত্তর শুরি আমার ছেলে “যায়দ আহমদ মাহিন” আমার ছেলে ।💞💞💞💞
এক দিকে আনন্দ ছেলে হোয়েছে আর একদিকে ভাগ্যে দিল ধোকা মোহাম্মাদপুরে আমার রাশ ফ্যাশন নামে একটি কাপড়ের শোরুম ছিল। শোরুমটা টা ছেড়ে দিতে হোল প্রায় জোর কোরে ই ছাড়াল কারন আমার শোরুমা খুব ভাল চলত সবার নজর পড়ে ছিল আরকি। ৪ লক্ষ টাকার পন্য মাত্র ৪০ হাজার টাকায় সেল করে দেই তাও অনেক কস্টে। শুরু হল সমস্যা আমি তখনো অসুস্থ। সাহেব তখন সেয়ার বাজারে টাকা ইনভেস্ট করল যেহেতু আমি অসুস্থ ছিলাম বেবি ছোট সাহেব আমাদের নিয়েই টেনশনে থাকত আর অই সময়ে সেয়ার বাজার ধস নামল আর আমার সব শেষ।
এর আগে কয়েক বার বিজনেসে লস হোয়েছে কিন্তু সমস্যা হয়নি এবার সব এক সাথে লস একদম শেষ আরকি। অনেক কঠিন সময় গিয়েছে। তার পর আমি নিজেই শুরু করি ঘরেই একটা পার্লার যেহেতু আমি কাজ শিখেছিলাম ঐটাই কাজে লাগল। আলহামদুলিল্লাহ প্রতি মাসে ১০-৩০ পর্যন্ত আয় হোত আবার কখনো বেশিও হোতো। এভাই কেটেযায় ৩বছর ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করার পর পার্লার বন্ধ করে দেই সেলের লেখা পড়া আর দেখা শুনা সংসার এই নিয়ে জীবন।💞💞💞
ভালো মানুষ হবার সাজা এর মাঝে কয়েক বার পেয়েছি কয়েক জনের সঙ্গে বিজনেস করতে গিয়ে টাকা হারিয়েছি লাস্ট লছ হোলো প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা পরিচিত মানুষ সব সময় বাসায় আসা যাওয়া ছিল প্রমানও ছিল কিন্তু পাপি লোকের কথার দাম বেশি তাদের সাথি ও হয় অনেক পাপি তাই টাকাত ফিরে পেলাম না এর ভিতরে করনা শুরু হলো স্কুল বন্ধ চিন্তা করলাম আবার ঘরে বোসেই কিছু আবার শুরু করি কোন কাজ করা এই ভেবে শু উদ্যোগতা জিবনের ।২০২১ সালের মে মাসের শেষের দিকে শু রু করলাম প্রথমে ১০,০০০হাজার টাকা দিয়ে । ইনশাল্লাহ ধিরে ধিরে শুরু হল। আসলে সব কিছু বলা যায়না। অনেক টেনশন হয়। খারাপ লাগে কথা গুলো মনে করলে। উপায় কি? ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য অনলাইনে ক্লাস শুরু করলাম। ৪২ হাজার টাকা দিতে হবে তাদেরকে ১২ ০০০হাজার টাকা দিয়ে শুরু করলাম তারপর আবার পরের ২ মাসে ৪ হাজার টাকা করে দিলাম। দেখলাম এখানেও পুরো টাকাটাই লস সব ধান্দাবাজি। অনেক কিছুর পরে শুরু করলাম অনলাইন বিজনেস। ২০২১ সালের মে মাসের ১০তারিখে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে, আমি অনলাইন বিজনেসে নতুন। কেউ জানতো না আর আমার তেমন কোনো বন্ধু-বান্ধবও নেই। তাই সেল হলো না তেমন। ২-৩ টা ড্রেস মাত্র সেল হলো। মন খারাপ হয়ে গেলো হাল ছাড়িনি। আমি অনলাইন বিজনেস তেমন বুঝতাম না। অনলাইনে বিজনেস কিভাবে করতে হয় জানতাম না বুঝতাম না৷ ফেসবুকেও তেমন বুঝিনা এক্টিভ না। একদিন ফেসবুক ঘুরতে ঘুরতে একটা গ্রুপ দেখলাম। এই গ্রুপ না৷ সেটা অন্য একটা গ্রুপ৷ অনেক পপুলার। মেম্বারও অনেক৷ অনেকেই চিনে। নাম বলতে চাচ্ছি না। তাতে এ্যাড হলাম কিছু দিন ভালোই এক্টিভ ছিলাম। দেখলাম গ্রুপটাকে কিন্তু ওই গ্রুপে সেল তো হলোনা। তাছাড়া অনেক ডিমান্ড তাদের। আজ এই ট্রেনিং তো কাল ও ট্রেনিং উল্টা এতো টাকা কোথা থেকে দেব। আমি ওই সময় একটু নয় অনেক চিন্তায় ছিলাম ২মাসেও তেমন সেল হইনি। আলহামদুলিল্লাহ ৩য় মাসে ২৫ হাজার টাকা সেল হলো। এবং আমার মনে কাজের ইচ্ছা বেড়ে গেলো। ইতি মধ্যেই আমি ২টি পেজ ক্রিয়েট করে ফেলেছি। আগস্টের দিক থেকে পেজ থেকেই শুরু মোটামুটি সেল। আগস্টের দিকে এক রিলেটিভ গিফটের জন্য কিছু কাপড় নিবে বলল। আলহামদুলিল্লাহ সে ১০০পিস নিলো কাপড়। কাপড়ের মান দেখে আরও এক রিলেটিভ নিলো বেশ কিছু শাড়ি, পাঞ্জাবি, আর লুঙ্গি এক বিশাল সেল হয়ে গেলো । ইতি মধ্যেই কিছু পন্য আমার এক রিলেটিভ লন্ডনে নিচ্ছে। অল্প পরিসরে প্রথমে ২টী শাড়ি আর একটি থ্রিপিস আর সুন্দর বনের ২কিলো মধু নিয়ে ছিলো। বর্তমানে তাকে ৫বার পন্য পাঠিয়েছি একদম কম পরিশরে তবে শুরুতো হয়েছে। এটাই আমার জন্য অনেক। হয়তো সামনে আরো ভালো কিছু আছে।
আগস্টের ২৪ তারিখে সকালে ফেসবুক চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটা পোস্টে হাত বাড়িয়ে এক
মাঝ বয়সি লোক বলছে “ হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি” এমন একটা পোস্ট। শব্দটা বেশ ভাল লাগলো।
দেখলাম এটা নাকি একটা ভালো মানুষদের গ্রুপ। যেখানে ফ্রী ৯০দিন ক্লাস করা যায়। ৯০দিনে ১৪টা স্কীল শেখা যায়৷ গ্রুপে জয়েন করলাম দেখলাম কয়েক জন আপুও আছে ওই গ্রুপে। যাদের একটু একটু চিনতে পারলাম তাদের সাথে কথা বললাম। ১৫তম ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করলাম৷ এক আপু একদিন ধানমন্ডি জোনের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে এ্যাড করে দিলেন। ভালোই লাগলো। ১৫তম ব্যাচ শেষ করলাম। অনেক কিছুই শিখতে পারলাম৷ সেল করাও শুরু করলাম৷ এভাবেই শুরু হল।
💞💞 নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে" পথ চলা।💞💞
নারী মানেই বিশ্বাস
নারী মানেই আশ্বাস
নারী মানেই হাজার প্রতিকূলতায় লড়ে যাওয়া
এক চিমটি আত্মবিশ্বাস।।।। 💕💕💕💕💞💞💞💞
এই ফাউন্ডেশন আমার কাছে কেমন লাগে ? উত্তর - এই ফাউন্ডেশন আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। ভালোবাসি এই ফাউন্ডেশনকে ভালোবাসি সব সদস্যদেরকে। শ্রদ্ধা এই ফাউন্ডেশন আমার একটা পরিবার সেই সাথে আমার গর্ব করার মতো জায়গা। অনেক কিছু পেয়েছি এখান থেকে। এখনো পাচ্ছি। ভালো লাগে যখন ফিজিক্যাল মিটআপ গুলোতে এটেন্ড হতে পারি। মনে হয় সবাই যেনো এক ঘরের।
💞ফাউন্ডেশনের শিক্ষা আমার ব্যক্তিজীবনে ও উদ্যোক্তা জীবনে কতটুকু সাহায্য করেছে ?💞
উত্তর - আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এই ফাউন্ডেশন। আমি অনেকটা মানুষিক সমস্যায় ছিলাম এই গ্রুপে এসে প্রতিদিন বিভিন্ন মিটআপে গিয়ে। নিজেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পেয়েছি। অনেক ভাই-বোন পেয়েছি। ধানমন্ডি জোনের একজন সদস্য হয়ে ১৬ তম ব্যাচের সেশন চর্চা পর্যালোচনার সঞ্চালনা করেছি। সব থেকে বড় কথা বিজনেস পরিচালনা করার জন্য যে সব জিনিস শিখা দরকার তা জানতে পারছি, শিখতে পারছি। বিজনেস চলছে আলহামদুলিল্লাহ। বিজনেস পরিচালনা করতে যেসব স্কিল থাকা দরকার তা এখান থেকে যতটুকু শিখেছি তা অনেক কাজে লাগছে। সামনে এগিয়ে যেতে হয়তো আরো সহায়ক হিসাবে কাজ করবে।।
💞💞উদ্যোক্তা হতে কতটুকু কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে?💞💞
উত্তর - কাজ শুরু করার আগেই যত সমস্যা শুরু করেদিলে একভাবে ইনশাল্লাহ চলবে। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে বা করছি এখনও তবে পন্য কোথায় পাবো এটা একটা অনেক বড় চিন্তা ছিল এই গ্রুপের অনেকেই এখন আমাকে পণ্য দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করছে এমন কি প্রবাসিদের অনেকেও আমাকে প্রোডাক্ট দিতে ইচ্ছুক। তারা আমাকে, এটা অনেক বড় সহায়তা ।
উদ্যোক্তা হতে এমন কোনো ঘটনা মনে আছে যা আমাকে সবসময় স্মরণ করিয়ে দেয় ?
এখন আপনার ব্যবসায়িক অবস্থা কেমন ? উত্তর -আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার ব্যবসায়িক অবস্থা অনেক টা ভালো। আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি অবস্থানে এসেছে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ টাকার উপরে সেল হয়েছে।
💞💞নিজের জীবন থেকে পাওয়া যে শিক্ষা কি উদ্যোক্তা জীবনে কাজে লেগেছে ?💞💞
উত্তর - অবশ্যই জিবনের প্রতিটি শিক্ষাই কাজে লেগেছে। মেয়েদের স্বাবলম্বী হতে মোটামুটি সব কাজই শেখা দরকার। যতটূকু সম্ভব। কখন যে কোনটা কাজে লাগে। তাই চেস্টা করেছি যখন যা শেখার সুযোগ পেয়েছি এখনো শিখে যাচ্ছি। সামনেও যা শিখার সুযোগ পাবো শেখার চেস্টা করে যাব। বিপদে বন্ধু নয় শিক্ষাই বেঁচে থাকার হাতিয়ার। আমি আমার পুরো শিক্ষাটাকেই আমার এই উদ্যোক্তা জীবনে কাজে লাগাতে পারব। এবং কাজে লাগিয়েছি ইনশাআল্লাহ।
💞💞বর্তমানে কি কি পন্য নিয়ে কাজ করছি?💞💞
উত্তর - পোশাক, এবং দেশী-বিদেশী কসমেটিকস্ ।এছাড়াও হোম মেড কিছু খাবার নিয়েও কাজ করছি। খুব অল্প পরিসরে।
উত্তর - আমি একজন গৃহিণী সে হিসেবে উদ্যোক্তা হতে অনেক কষ্ট করেছি। এখনো করছি আমি বাইরে চলাচলে অনেকটা অপারগ। একা একা চলাচলে অভস্ত নই। প্রোডাক্ট কিনে আনা, সেল করা, পৌঁছে দেওয়া কাস্টোমার পর্যন্ত। এটা অনেক কষ্টের এক্ষেত্রে আমার হাজব্যান্ড আমাকে অনেক হেল্প করে। তার সহায়তা ছাড়া সম্ভব নয় । মনে রাখার মত অনেক কিছুই হয় উদ্যোক্তাদের সাথে। তবে আমার সাথে যেটা বেশি হয়। তা হলো পাছে লোকে কিছু বলে। অনেক কথা যা শুনতে আমি কখনো অভ্যস্ত নই, বাধ্য নই। তাও শুনছি। মেয়েরাও সম্মানের সাথে কাজ করতে পারে সে বঊ হোক আর মেয়ে হোক এটাই সত্য।
💞💞কাজ কখনো সামান্য হয়না। মেয়েদের নিজস্ব একটা পরিচয় একান্ত দরকার।💞💞
💞💞প্রথম মূলধন কতো?💞💞
উত্তর - আমার প্রথম মুলধন ছিল মাত্র ১০,০০০ টাকা।
আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম , সেই স্বপ্নে আস্থা ছিল । আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম । ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত । জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয় সেই স্বপ্নকে ভালোও বসতে হয়।
💞💞 - 💞💞
স্বপ্ন দেখছি প্রতিনিয়ত নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য দেশের জন্য, ভালো মানুষ হবো স্বপ্ন দেখছি বারংবার
আমার পেজ লিংক?
💞https://www.facebook.com/onlainkabuliwalibd
💞https://www.facebook.com/rushfashion016bd
শুধু বেঁচে থাকার নাম জীবন নয়, জীবন হচ্ছে কারো জন্য একটুখানি হলেও কিছু করে মরে গিয়েও বেঁচে থাকা।
💞💞ব্যবসা নিয়ে আমার পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে যদি কিছু কথা।💞
উত্তর - এক সময় আমার একটা শোরুম ছিল যা শোকুনের নজর পড়ে হারিয়েছি। তাই আমার স্বপ্ন রাশ ফ্যাশন নামে আমার একটা শো রুম হবে। আমার পন্য দেশের বাইরে অনেক দেশে ছড়িয়ে যাবে। নিজে এক্সপোর্ট - ইমপোর্ট করব। আমার মাধ্যমে কমপক্ষে ১০-২০ জনের কর্মসংস্থান হবে। মোট কথা অসহায়দের পাশে থাকতে চাই ।এ টাই স্বপ্ন কতোটূকু সফল হবে জানিনা তবে ইচ্ছা রাখি। প্রিয়
মেন্টরের বাণী মনে পড়ে যায়"কাউকে যে কোন জবাব দিতে চান,সেটা দিন আপনার কাজ ও সততার মধ্যে দিয়ে।
------------------------- ইকবাল বাহার জাহিদ।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৫৪
তারিখ - ২৬-০২-২০২২
লুবনা আহমেদ
ব্যাচ নাম্বারঃ১৫
রেজিস্ট্রেশন নাম্বারঃ ৭১৪৮৩
ধানমন্ডি জোন
নিজ জেলা বাগেরহাট,