হাসি দিয়ে সকল রাগ,মান,অভিমাণকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিতাম।
🥀🥀🥀শুভ সকাল🥀🥀🥀
সবাই কে নমস্কার এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আশা করি সবাই ভালো আছেন? আপনাদের সকলের দোয়ায় এবং ভালোবাসায় আমিও অনেক অনেক ভালো আছি।
🙏সর্বপ্রথমে সকল প্রশংসা এবং অবদানের দাবিদার আমাদের সকলের প্রান প্রিয় শিক্ষক,পথপ্রদর্শক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি অশেষ অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং প্রিয় স্যারের জন্যও সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা প্রার্থনা করছি। যার প্রচেষ্টায় এবং সুপ্ত চিন্তাধারায় তৈরি হচ্ছে বিশাল একটি নেটওয়ার্ক। আমরা পাচ্ছি নতুন রুপে নিজেকে দাঁড় করানোর স্বপ্ন, অন্তিম শক্তি এবং সাহস। আর নিজেকেই একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারতেছি।
🍂আজকে আমি আমার জীবনের ২য় অধ্যায়ের গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি সকলেই একটু সময় দিয়ে আমার হৃদয়ে জমা থাকা না বলা কথাগুলো শুনবেন। হয়তো আপনাদের মতো সাজিয়ে, গুছিয়ে লিখতে পারবো না। তবুও হৃদয়ের গভীর থেকে ভাসিত হওয়া চরম বাস্তবিক কথাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
🍂আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি আসলেই জীবনে সুখী হওয়ার জন্য বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়েনা,প্রয়োজন হয় শুধু সুন্দর একটা মনের। ছোট ছোট খুশি নিয়েও জীবনে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়। আর তার জন্য প্রয়োজন একে অপরের মধ্যে বোঝাপাড়া,মানিয়ে চলা,সম্মান,শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং ভালোবাসা । তাই জীবনে এমন কাউকে দরকার যে আপনাকে বুঝবে,আপনার মতামতগুলোকে শুনতে চাইবে।জীবনে আমিও কোন কিছু চাইনি,শুধু চেয়েছি সুন্দর একটা মন। যেই মন দিয়ে সবাইকে ভালোবাসা যায়,নিজে ভালো থাকা এবং অন্যকেও ভালো রাখা যায়।
🍂জীবনের গতি কখন কোনদিকে মোড় ঘুরে তা আমরা কেউ বলতে পারি না, সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার উপর। জন্ম,মৃত্যু এবং বিবাহ এই তিনটা জিনিস সৃষ্টিকর্তার কাছে। আমাদের জন্মের সময় তিনি সবকিছু নির্ধারণ করে দেন।তাই তো দুনিয়াটা এমন। তা না হলে এত সুন্দর পৃথিবীতে এত এত মানুষ থাকতে আপনি কেন সেই একজনকে শুধু পছন্দ করেন, তাকেই কেন আপনার দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো মানুষ এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি বলে মনে হয়? হ্যাঁ একদম তাই।
আমিও তাকেই চেয়েছি যার সাথে নুন ভাত খেয়েও মনটা পরিতৃপ্ত হবে।যার সাথে ঝরা চূর্ণ ঘরে থাকলেও রাজপ্রাসাদকে তুচ্ছ মনে হবে। পৃথিবীর সকল কষ্টগুলোকে তুচ্ছ মনে হবে,কোনো দুঃখ- কষ্ট আমাকে ছুটে পারবে না। দিন শেষে সুখে আছি,ভালো আছি বলতে পারবো।আমি শুধু তাকেই চেয়েছি এবং ভবিষ্যৎ জন্মেও তাকেই চাইবো❤️
হ্যাঁ আমি তার কথাই বলছি_______
💓তার সাথে পরিচয়টা হয়েছে সেই ২০১২ সালে।তখন আমি এইস এস সি ২য় বর্ষে পড়ি। যদিও বা ব্যাচম্যাট তবে পরিচয়টা হয়েছে অন্য ভাবে। প্রথমে দেখি অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ আসছে' অঞ্জনা বোন কেমন আছো?
আমি তো রীতিমত অবাক অচেনা নাম্বার আবার আমার নামটাও জানে।কেই সে???জানার জন্য কৌশল জাগলো। কারণ তখন মোবাইল ব্যবহার করলেও খুব সীমিত। বাড়ির লোকজন এবং আমার পরিচিত কয়েকজন ছাড়া আর কাউকে নাম্বারটা দিই নি।তাই কি করলাম তার কয়েকদিন পরে একটা মিস কল দিলাম। কোন রেসপন্স নেই। একদিন হঠাৎ করে দেখি ঐ নাম্বার থেকে কল। কল রিসিভ করলাম আর জানতে চাইলাম কে আপনি? কি আপনার পরিচয়? পরিচয় নেয়ার পর বললাম তাহলে রাখেন আপনার মোবাইলের টাকা বেশি পুরবে। কারণ তার আগে আমি মিস কল দিছিলাম তো তাই একটু পাশ কাটিয়ে যেতে চাচ্ছি। কিন্তু না সে ফোন রাখতে চাই না,বলে সমস্যা নেই কথা বলেন।এভাবেই টানা ৩৩ মিনিট কথা হলো।
তারপর ফোন রাখলাম। এরপর আর কোন কথায় নেই। তার অনেক দিন পরে আবার কল আসলো। হাস্যকর ঘটনা হচ্ছে ততদিনে আমি ঐই নাম্বারটাও ভুলে গেছি😄তবুও কল রিসিভ করে কথা বলতে বলতে যখন কোনভাবেই চিনতে পারছিলাম না তখন বললাম আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারতেছি না,তাছাড়া নাম্বারটাও সেভ করা নেই🤭
🍂তখন যা বুঝলাম অপরদিক থেকে যে রিয়েকশনটা আসলো তা হচ্ছে - ও তাহলে আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না! ঠিক আছে রাখতেছি।বেচারা লজ্জায় পরে গেছে🙈 আমি কিছুক্ষণ ভেবে একটা আন্দাজ করে বললাম ওহ আপনি অমুক নাকি? কারণ ওনাকেও তো লজ্জার কবল থেকে বাঁচাতে হবে😉তারপর বলতেছে হ্যাঁ আমি। তখন তিনি বললেন-
আপনি আমাকে ভুলে গেছেন!
আমার নাম্বার সেভ করেন নাই!
আমি সরি বললাম! আর হ্যাঁ তার সাথে কথা বলার একটাই কারণ ছিলো তার এক বন্ধুর সাথে আমার এক বান্ধবীও কথা বলতো।ওদের মধ্যে একটু ঝগড়া আর ঝামেলা চলছিল সেই অজুহাতে আমাদের কথা হচ্ছে। এভাবেই মাঝে মাঝে কথা হতো। একে অপরকে জানতে শুরু করলাম।তারপর এলো রজমান মাস।রোজা শুরু হলো। একদিন হঠাৎ করে সে আমার সাথে দেখা করতে চাইলো। বলছেতে আগামীকাল আমি বাড়িতে আসবো। তাই পরিচয় হতে চাই। সে ঢাকায় থাকতো আর আমি থাকতাম খাগড়াছড়ি । শুরুতেই আমি না করে দিছি। আমার খুব একটা আগ্রহ ছিল না। সে বললো তাহলে ঠিক আছে দেখা না করলে কি আর করার! এভাবেই পুরোটা দিন চলে গেলো।প্রথমেই আমার সংকোচ লাগলেও রাতে চিন্তা করি কি করা যায়? পরিচয় হলে তো সমস্যা নেই। কারণ আমরা তো ব্যাচম্যাট এবং ভালো একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে ইতিমধ্যে।তাই অনেকক্ষণ ভাবার পরে তাকে ফোন দিয়ে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখা করবো।আমরা তো বন্ধু হয়েছি দেখা করলে একে অপরকে চেনা জানা থাকবে। তাতে সমস্যা তো নেই।
🍂এখন কি হলো সে আবার আমটা আমটা করতেছে।কারণটা হলো প্রথমেই না করে দিছি যে সেই কারণে😄
যাক অবশেষে ঠিক হলো দেখা করবো। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি অফিসে বাহির হলাম।তবে সারাদিন একটু উদাস উদাস মনে কাজ করলাম।ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসার সময় যাত্রা বিরতিতেও সে কয়েকবার আমাকে ফোন করেছিলো। বিকালে অফিস থেকে বাহির হওয়ার সময় অফিসের এক দিদি বললেন তোমার কি কেউ আসতেছে?
আমি বললাম জ্বি দিদি,আমার একজন বন্ধু আসতেছে। উনি হয়তো আমার চালচলন বা ভাবভঙ্গিটা খেয়াল করেছেন😄 কারণ তখন তো ভয়ে ভয়ে কথা বলতাম।
পরে অফিস থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আর আসার পথে ওর সাথে দেখা করলাম।
বন্ধু হলেও লাজুক লাজুক ভাবটা ছিলো দু'জনের মধ্যে । দু' একটা কথা বলে আমাকে একটা রিক্সা ধরে দিয়ে এ ও চলে গেলো নিজের বাড়িতে আর আমিও বাসায় চলে আসলাম। আর একটা কথা খাওয়ার জন্য যে আইসক্রিম নিছিলাম,লজ্জায় সেখানে বসে খেতে কেউ পারিনি😄
🍂আর কোন কথা নেই, কে কোথায় আছি!
তারপরের দিন আমি কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ভালোভাবে পৌঁছায়ছে কিনা।আর আইসক্রিমটা খেয়েছে কিনা? বেচারা গাড়িতে উঠেও আসইক্রিম খাওয়াটা কপালে জুটেনি,বাসে নাকি কোন স্যারের সাথে দেখা হয়েছে তাই লজ্জায় ব্যাগ থেকে আইসক্রিম বাহির করতে পারেনি। ফলে আইসক্রিমটা ব্যাগের ভেতর গলে গেছে😄। যাক এভাবেই মাঝে মাঝে কথা বলার মধ্যে দিন চলছিলো। দেখতে দেখতে আমারও নিবার্চনী পরীক্ষা ঘনিয়ে আসছিলো এবং পড়ার চাপ বাড়ছিলো।তাই বেশি কথা বলা হতো না। এভাবেই দিন চলছিল..
প্রতিদিন ভোরে ফোন দিয়ে আমার ঘুম ভাঙাতো পড়তে বসার জন্য। প্রায় আমাকে ঘুম থেকে জাগায় দিতে হতো।
🍂নির্বাচনী পরীক্ষার আগে সবাই কম্পিউটার সাবজেক্টের প্রাকটিক্যাল খাতা নিয়ে কথা বলাবলি করছে। প্রাকটিক্যালে চিত্র আকাঁর উপরে অনেক কাজ দিছিলো স্যারে,কিন্তু আকাঁআকিঁর সময় কই পায়? তাছাড়া আমি ভালো আকঁতে পারি না।একদিন এর সাথে কথা বলতে বলতে প্রাকটিক্যাল খাতার ব্যাপারে কথা বলছিলাম, তখন ও বলতেছে আমি আঁকতে পারি।কাছে থাকলে আমিও একেঁ দিতে পারতাম। হাস্যকর হলেও সত্য তখন হুট করে একটা চিন্তা মাথায় আসলো সমস্যা নেই, যেহেতু আমিও পড়াশোনার চাপে আছি, তাই এক কাজ করি তোমাকে আমার প্র্যাকটিকাল খাতাগুলো এস এ পরিবহনের মাধ্যমে পাঠায় দিই, চিত্র আকাঁ শেষ হলে তুমি আমাকে আবার পাঠায় দিও। কারন এ যেহেতু বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলো তাই আমার থেকে ভালো আকঁতে পারবে বলে মনে হলো।সেও রাজি হয়ে গেলো। তাই একটা সময় করে সেই খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় প্রাকটিকাল খাতা চিত্র একেঁ দেওয়ার জন্য পাঠালাম। আর সাথে আমার ফোন মেমোরিটাও পাঠালাম।
🍂মেমোরিতে আমার কয়েকটা ছবি পাঠাতে হলো।কারণ তখন তো এখনকার মতো এন্ড্রয়েড ফোন,ফেইসবুক, ইমো,হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার এত হতো না। তাই তার অনুরোধে আমার কয়েকটা ছবি পাঠালাম সেই মেমরিতে করে।তবে শর্ত ছিলো কাউকে দেখাতে পারবে না। এভাবেই করে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় খাতা আর মেমোরি কার্ড পৌঁছালো। আমি আমার মতো করে পড়াশোনা করছি আর সেও তার মতো করে কাজ করছিলো। আমারও ইতিমধ্যে নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওকে বললাম প্রাকটিকাল খাতার চিত্র আকাঁ শেষ হয়েছে কিনা? ও বললো এখনো কিছু বাকি আছে। পরে আমার জরুরি লাগাতেই কিছু অসম্পূর্ণ অবস্থায় পাঠিয়ে দিল আর বাকি অংশের উপর আমি নিজে আকঁলাম। এখানে কথা হচ্ছে ওর হাতে আকাঁ অসম্পূর্ণ কিছু কাজ আমার নিজের হাতে করতে হলো।এমন কিছু চিত্র ছিলো সেগুলো দু' জনের হাতে আকাঁ😍
আর প্রাকটিকাল খাতা আর মেমোরি কার্ডে এবার ওর ছবি পাঠিয়েছে। তার দু'ই টা ছবি দেখে আমি ভয়ে কান্না করে দিছি😥। কারণ, তার চেহারা দেখে আমার ভালো লাগেনি, দেখতেও ভয় পেতাম😚 যদিও আগে একবার দেখা হয়েছিল। তবুও চেহারাটা আর মনে নেই। ইতিমধ্যে আমি তার চেহারাটাও ভুলে গেছি।
🍂অনেক কষ্ট লাগছিলো তার ছবিটা দেখে।পরে কি করলাম ছবি দু'টোই ডিলিট করে দিলাম,যাতে ওর চেহারাটা দেখতে না হয়😁আর বিষয়টা সে কিছুটা বুঝতে পেরে মনে হয় সেও কষ্ট পেয়েছে। কথা হতো আনমনে। কথার মাঝে কোন সতেজতা ছিলো না।
তার অনেক দিন পরে কলেজের কাজে একদিন ছবি বাহির করতে কম্পিউটার দোকানে গিয়ে হঠাৎ ওর পাঠানো আরো তিনটা ছবি চোখে পড়লো,এতদিন দেখা হয়নি কারণ রেজুলেশন বেশি হওয়াতেই আমার ফোনে এগুলো সাপোর্ট করেনি।ফাইনালি কি হলো আমার বান্ধবীরা ঐ তিনটা ছবি দেখে সবাই আমাকে বলতে লাগলো- কি রে তুই তো বলছিলি ছেলের চেহারা নাকি সুন্দর নাই,এখন তো দেখতেছি ঠিকিই আছে,খারাপ তো না😍। মহা বিপদে পড়ে গেলাম কি বলে এরা🤔
আসলেই তো আগের দেখা ছবির সাথে এই ছবির মিল নেই 😀।মোটামুটি ঠিক আছে। এতটা খারাপ না🤭
🍂পরে বাসায় এসে পুরো ঘটনাটি তার সাথে শেয়ার করলাম। তখন সে বলতেছে তাহলে এই ছবিগুলো তুমি এতদিন দেখোনি।আমি বললাম-না! যাক এখন একটু একটু কথা বলা শুরু হলো।এভাবেই চলতে চলতেই একদিন আমি আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আমার মোবাইলটা বন্ধ রাখছি এবং সেদিন প্রাইভেটেও যায়নি। পরে যখন মোবাইল অন করলাম তখন দেখি সে আমাকে পাগলের মতো খোঁজাখুঁজি করতেছে। আমাকে ফোন দিয়ে না পেয়ে আমার বান্ধবীদেরকে ফোন দিয়েছে। প্রাইভেটে যায়নি কথাটা শুনে আরো বেশি নাকি চিন্তায় পড়ে গেছে। পরে আমাকে ফোন দিয়ে কি সমস্যা হয়েছে জানতে চাচ্ছে এবং সে যে আমাকে কতো জায়গায় ফোন দিয়ে খোঁজ করছে সেগুলো বলেই যাচ্ছে। তখন আমি বললাম আমার ফোন বন্ধ থাকলে তোমার এত সমস্যা হওয়ার কারণ কি?
সেই তখন বললো অনেক কষ্ট পেয়েছি রে । হঠাৎ আবার কি না কি হলো।আমি আবার বললাম আমি মরে গেলেও তাতে তোমার সমস্যা কি? কি বা আসে যায়!
তখন সেই বললো বুঝবে বা কি করে......
আমি বার বার বললাম কেন কি হয়েছে বলো?
পরে নিজের মনের কথাটা সাহস করে বলে দিলো।আর আমি সাথে সাথে বলে দিলাম না। আমি তো তোমাকে আমার বন্ধুর চোখে দেখি। তোমার আমার সম্পর্কটা জাস্ট ফ্রেন্ডশিপ। আমার মেয়ের বান্ধবীরা যেমন,তুমিও আমার চোখে তেমন।
🍂তখন থেকে বেচারা লজ্জায় আর কোন কথা বলেনি। তারপর দিন থেকে সবগুলো নাম্বার বন্ধ। আর কোন যোগাযোগ নেই। তারমধ্যে আমাদের নির্বাচনী পরীক্ষার রেজাল্ট হলো। আমি মোটামুটি একটা ভালো রেজাল্ট করলাম। তখন সেই মুহূর্তে হঠাৎ আমার তার কথা মনে পড়লো। যার ফোন কলে এতদিন আমার ঘুম ভাঙতো। ভাবলাম অনন্ত একবার তাকে ধন্যবাদ জানানো দরকার। তারপর ফোন দিয়ে দেখি সমস্ত নাম্বার বন্ধ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তার দিদির নাম্বারে কল দিলাম এবং পুরো ব্যাপারটা ওনাকে বললাম। পরে ফোন দিয়ে আমাকে কল করার জন্য বলে দিলেন। তারপর আমাকে কল দিলো আমি ধন্যবাদ জানানোর সুযোগটা পেলাম।আর তাকে বুঝিয়ে বললাম যে,আমরা অন্তত ভালো বন্ধু হিসেবে কথা বলতে পারি। কারণ, এতদিন কথা বলাটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যার সাথে কথা না বললে এখন আর ভালো লাগে না। সেও নিজের কষ্টের কথাটা আমাকে বললো। অজান্তে আমাকে ভালোবেসে ফেলাটা তার ভুল ছিলো। আমি বললাম না তা ঠিক আছে, সমস্যা নেই। এখন থেকে বন্ধু হিসেবে কথা বললে দোষ তো নেই। আমারও তাকে ভালো লাগতো একজন ভালো বন্ধু হিসেবে। তার সাথে সবকিছু শেয়ার করি যা মেয়ে বান্ধবীদের শেয়ার করতাম।মোটামুটি একটু ভালো বন্ধুত্ব জমে উঠেছে।
🍂 সব কিছু মিল থাকা স্বত্তেও তবু্ও কোথায় যেন একটা ভয় ভয় কাজ করত। তাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে না নেওয়ার কারণ হচ্ছে নিজেকে বাবা মায়ের অবাধ্য না করা।কারণ, আমার পৃথিবী জুড়ে বাবা মা সব সময় থাকেন,আছেন এবং থাকবেন। আমার আরেকটা দুর্বলটা ছিলো তখন আমি ভাবতাম হয়তো এইসএসসি পাস করার সাথে সাথে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিবে। যদি তার সাথে সম্পর্কে জড়িত হই তখন তো বাবা মা কে বলতেও পারবো না, আর বাবা মার অবাধ্যও হতে পারবো না।ফলে তার সাথে বেঈমান করা হবে।কারণ,ততদিনে সে তো প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।এমন চিন্তা ভাবনা সব সময় মাথায় ঘুরপাক খেতো। আর ইতিমধ্যে আমার অনেক বিয়ের সম্বন্ধ আসছিলো।
🍂একদিন আমি যেই অফিসে চাকরি করতাম সেই অফিসের বস ( আমার কাকা) বললেন, তোমাকে ভালো একটা অবস্থানে দেখতে চাই, তার জন্য তোমাকে কথা দিতে হবে বিএ পাস না করা পর্যন্ত বিয়ের চিন্তা ভাবনা করতে পারবে না।আগে বিএ পাস করতেই হবে তারপর বিয়ে।প্রয়োজনে যদি তার আগে কাউকে ভালো লেগে থাকে বা কারোর সাথে সম্পর্ক রাখতে চাও রাখতে পারো।কিন্তু বিএ পাস করা আগ পর্যন্ত বিয়ে করতে পারবে না। সেই কথাটা শুনে মনে সাহস পেলাম,না তাহলে তো তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া ব্যাপারে আর চিন্তা নেই। পরে সেই কথাটা আমার দুলাভাইয়ের সাথে শেয়ার করলাম, উনিও বললেন যে,ঠিক আছে তো বয়স বেশি হোক তাতে সমস্যা কি! তুমি তো গুণ দিয়ে বিয়ে করবা, চেহারা আর বয়স দিয়ে তো নয়।তখন আমি আরো বেশি খুশি হলাম। শেষমেষ পুরো বিষয়টা তাকে খুলে বললাম, হ্যাঁ ঠিক আছে আমি তোমার সাথে সারাজীবনের জন্য বন্ধু হিসেবে কথা বলতে পারবো।কারণ, আমাকে যে তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হবে না তা আমার জানা হয়ে গেছে। সেও মহান খুশি।
এভাবেই দিন চলছিল.......
🍂দেখতে দেখতে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হলো।পরীক্ষা দিয়ে পাসও করলাম। একদিন মা কে সাহস করে তার ছবি দেখালাম।মা প্রথম দেখাতেই তাকে ভালোবেসে ফেলেন। আমাকে বললেন, তোমার উপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস এবং ভরসা আছে।তুমি যাকে পছন্দ করবে তাতেই আমরা সন্তুষ্ট।এককথায় রাজি হয়ে গেছিলেন বাবা আর মা দু' জনেই।পরে তার পরিবারেও বিষয়টা জেনে গেছে। একদিন ওর বাবা আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলছিলেন। আমাকে মা বলে সম্বোধন করে কথা বলছিলেন।অনেক আন্তরিকভাবে কথা বলেছেন।মোটামুটি সবাই রাজি এবং সবকিছু আমাদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা যা ভালো বুঝি তা যেন করি।
তার কয়েক মাস পরে আমার মা একটা এক্সিডেন্ট করেন।মা কে হাসপাতালে আনা হলে সেও মা কে দেখতে আসে।ফলে সকলের সাথে পরিচয় হয়। মা কে দেখতে এসে আমার সাথে সাথে সেও মায়ের সেবায় নিয়োজিত হয়ে পড়লো। চুল আছড়ানো,চুল বেঁধে দেয় থেকে শুরু করে সবকিছু করে দিতো।ফলে তখন থেকে আমার পরিবারের সবাই তাকে আরো বেশি ভালোবেসে ফেললো।
🍂পরে মা সুস্থ হলে মা কে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসলো।যাক এভাবেই ভালোই দিন যাচ্ছিল।সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল।
শুরু হলো ২০১৪ সাল। আমিও আমার কাজে ব্যস্ত থাকতাম আর সে থাকতো ঢাকায়। সব সময় কথা হতো বলতে কি অতিরিক্ত কথা হতো। সারাদিন এত এত কল দিতো মাঝে মাঝে আমি খুব বিরক্ত হতাম।কারণ, যখন যেখানেই যায় সব সময় খোঁজ খবর রাখত, এত কল দিতো মোবাইলে চার্জও ফুরিয়ে যেতো। তাছাড়া তখন আমি মাঠ পর্যায়ে কাজ করতাম, সারাদিন ঘুরাঘুরি করতে হতো। ফলে অনেক ক্লান্ত হয়ে যেতাম।তাই বেশি কল দিলে কখনো কখনো তাকে বকতাম। কারণ তখন তো সম্পর্ক মানেই বুঝতাম না, আর এখন যেভাবেই বুঝি তখন তো সেভাবেই সেও বুঝত না আর আমিও বুঝতাম না।
🍂এক সময় কি হলো বেশি কল দেয় বলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হলো এবং সম্পর্ক রাখবো না তাও বলে দিলাম। রাগের মাথায় ওর সমস্ত নাম্বার ব্লক করে দিলাম। এভাবেই তিনদিন কথা না হওয়ায় পরে সে কি করলো সোজা ঢাকা থেকে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। সেদিন আমি আমার দিদির সাথে একটা মেলায় গেছিলাম। তারপরের দিন হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।সকালে ওখানেই সে আমাকে খুঁজে পেলো। দেখা হয়ে জানতে চাইলো তার নাম্বারগুলো কেন ব্লক মেরে দিছি?
আমি বললাম তুমি তোমার মতো করে থাকো আর আমি আমার মতো থাকতে চাই। পরে সে কি করলো দিদির সাথে ওনাদের বাড়িত চলে আসলো।
🍂পরের ঘটনা কি হলো! তাকে ফোনে না পেয়ে ওদের বাড়িতে চিন্তায় পড়ে গেলো। কি না কি হলো? কোথায় গেলো ছেলেটা? তাছাড়া সে তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। তাই দুঃশ্চিন্তা হওয়ারই কথা🤔দুই দিন পর্যন্ত ফোনে না পেয়ে শেষমেস তাকে খুঁজতে বেবিয়ে পরলো তার বাবা আর দুলাভাই।
শেষ পর্যন্ত কি হলো- আমার ঠিকানা জোগাড় করার জন্য ওনারা আমার অফিসের বসের বাসায় চলে আসলেন।পরে সকলেই মিলে আমাকে ফোন দিতে লাগলো। আমাকে না পেয়ে কাকাকেও ফোন দিলেন।
কারণ,সে কাউকে না জানিয়ে আমাদের এলাকায় চলে আসছিলো। অবশেষে আমাকে ফোনে পেয়ে কাকা বললেন আসছে ভালো কথা বাড়িতে জানিয়ে আসলে তো হতো। তোমাদের বিয়ে দিয়ে দেবো।এটাই তোমরা চাচ্ছো।আমি কোন কিছু বলার সুযোগ পায়নি। চুপচাপ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কি কারণে গেছে তা তো বলতে পারছি না।কোন রকমে কলটা দিয়ে বেছে গেলাম। তারপর তার সাথে কথা বললাম। বাড়িতে কথা বলতে বললাম। অবশেষে সব মীমাংসা হলো। আমরা বোঝাপড়ায় চলে গেলাম।
🍂তখন থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্বটা সেভাবেই আছে,যেমনটা আমরা চেয়েছি।তবে এটাই সত্যি যে, মাঝখান দিয়ে আমাদের মাথার উপর দিয়ে অনেক ঝড়ঝাপটা গেছিলো । তবুও কোন প্রতিবন্ধকতা আমাদেরকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি।আমরা ভালো একটা বন্ধুত্বের মতো থেকেছি। আর সেও আমাকে সব সময় প্রতিটা কাজে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে।কোনদিন কোন কাজে নিরুৎসাহিত করেনি।সব সময় সাহস এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়ে ছিল। আর আমিও তার প্রতি এতটাই আশ্বস্ত ছিলাম যে, যখন কোন কাজে সে বলে তুমি পারবে তখন আমি ঠিকই পেরে যেতাম।জানি না কেন জানি এমন হতো।মোটকথা সে যাই বলতো তা সেইভাবে হয়ে যেতো।কোন দিন তাকে ফাঁকি দিতে পারিনি এবং চাইও নি। আসলে তাকে মন থেকে বিশ্বাস করতাম।
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২৬শে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালে পারিবারিক ভাবে আমাদের আশীর্বাদ💍 হয় এবং ২৬/০২/২০২১ সালে আমাদের শুভ পরিণয় হয়ে যায়। ও হ্যাঁ আজ আমাদের বন্ধুত্বের পথচলার দশ বছর এবং বিবাহের এক বছর পূর্ণ হলো।
🎀🎀🎀🎀💓১ম বিবাহ বার্ষিকী 💓🎀🎀🎀🎀
সকলেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাকি জীবনটা যেন এভাবেই সুখে-দুঃখে একে অপরের পরিপূরক হয়ে হাসি - খুশিতে কাটিয়ে দিতে পারি।
💓ভালোবাসার পরিবারে এসে আমাদের অনুভূতি💓
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারি ওর মাধ্যমে। সেই সব সময় প্রিয় স্যারের সম্পর্কে বলতো। ২০২০ সালে যখন ২য় মহাসম্মেলনের লাইভ চলছিলো তখন সে খাগড়াছড়িতে আমাকে একটা কাজে সাহায্য করতে আসছিলো। সেখান থেকে যুক্ত হয়ে মহাসম্মেলনের লাইভ দেখছিলো আর আমাকে বলছিলো,দেখো আজকে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে কতো সুন্দর একটা অনুষ্ঠান চলতেছে।ঢাকাতেই থাকলে আমিও যেতাম।এভাবেই প্রায়ই সে আমাকে প্রিয় ফাউন্ডেশন এবং স্যারের শিক্ষা সম্পর্কে নানান কথা বলতো।এক সময় সে রেজিষ্ট্রেশন করলো এবং তার কিছুদিন পরে আমাকেও রেজিষ্ট্রেশন করে দিলো।
🍂তখন যদিও প্রতিদিন সেশন চর্চা ক্লাস ছিলো না,তবে সাপ্তাহিক মিট আপে যুক্ত হওয়ার জন্য বলতো।একদিন ওর কথা মতো সাপ্তাহিক মিট আপে যুক্ত হলাম।মিট আপে যুক্ত হয়ে প্রিয় ফাউন্ডেশনের বড় ভাইয়া এবং আপুদের সাথে পরিচয় হয়ে এবং ফাউন্ডেশন সম্পর্কে ওনাদের অনুভূতির কথা শুনে আমার সমস্ত ধারণা পাল্টে গেলো।জানতে পারলাম এটা একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ফাউন্ডেশন। যা আজ পর্যন্ত এ রকম কোন ফাউন্ডেশন দেখি নাই।তখন থেকে প্রিয় পরিবারের একজন নিয়মিত সদস্য হলাম এবং প্রতিদিন স্যারের সেশনগুলো পড়তাম।
সময় নিয়ে লেগে থাকা শুরু করলাম। একসময় ১০০০ তম দিন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা টিমের অফলাইন মিট আপ এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠান হলো। সেখানেই গিয়ে অনেকের সাথে পরিচয় হলো এবং ভালো লাগা আরো বেড়ে গেলো।যতই দিন যাচ্ছে ততোই ভালোবাসার প্লাটফর্মের প্রেমে পড়ে গেলাম। সেই ক্ষেত্রে বড় ভাইদেরও প্রচুর সাপোর্ট ছিলো।ওনারা আমাদেরকে সব সময় উৎসাহ দিতেন এবং প্রিয় স্যার আর ফাউন্ডেশন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য তুলে ধরতেন। সকলের আন্তরিকতা এবং সৌহার্দপূর্ণ আচারণের কোন কমতি ছিলো না।সব ভাইয়ারা অনেক অনেক আন্তরিক এবং বন্ধুসূলভ। তার মধ্যে Md Kamal Hossain Titu ভাইয়ার কথা যদি বলি বলেই শেষ করা যাবে না।শুধু এতটুকু বলবো যে,উনি সব সময় প্রতিটা পদে পদে আমাদেরকে সাপোর্ট দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার টিমকে আঁগলে রেখেছেন।
🍂তার মধ্যে আমাদের শুভ বিবাহের কাজটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলো। এখন প্রিয় থেকে আরো প্রিয় পরিবারের সদস্যতে পরিণত হলাম দু'জনে। একে অপরকে আরো কাজ থেকে সাপোর্ট করার সুযোগ পেলাম। ইতিমধ্যে সে পানছড়ি উপজেলা এম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে।
মোটামুটি এক্টিভ আছে। তার কয়েক মাস পরে আমাদের প্রতিদিনের সেশন চর্চা ক্লাস শুরু হলো। এটা আবার নতুন আরেক সুযোগ সৃষ্টি হলো। প্রথমে প্রথমে কম বুঝতাম, পরে আস্তে আস্তে সব কিছু বুঝতে শুরু করলাম। সেশন চর্চা ক্লাসে শুরু থেকে আমি এক্টিভ থাকলেও আমার জামাই এক্টিভ ছিলো না। নেটওয়ার্কের সমস্যা যেমন ছিলো তেমনি ওরও আগ্রহ কম ছিলো।পরে আমি তাকে প্রতিদিন অনুরোধ করতাম মিট আপে যুক্ত হওয়ার জন্য।কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যুক্ত হতো না। এভাবেই করতে করতে কয়েকদিন পর আবার অনুরোধ করলাম,প্লিজ আসো একবার শুনে যাও কি নিয়ে আলোচনা হয় মিট আপে।তারপর একদিন যুক্ত হলো এবং কিছুক্ষণ পরে বেরিয়ে গেলো। এরকমি কয়েকবার করছিলো।পরে বড় ভাই এবং আপুদেরকে বললাম অর্পন দাদা মিট আপে যুক্ত হলে ওনাকে কিছু দায়িত্ব দিয়ে দিয়েন। এভাবেই করতে করতে এক সময় দেখা গেলো ও যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছে। নিজেই মিট আপের লিংক দিতেছে এবং উপস্থাপনাও করতেছে। সর্বশেষ যেটা হলো সে এখন আমার থেকে আরো বেশি এক্টিভ হলো। কোনভাবেই আর মিট আপ মিস হয় না।
উল্টো সে আমাকে মিট আপে দেখে নিয়ে আসে।
🍂প্রিয় স্যার আপনার দেয়া শিক্ষায় আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত এবং গর্বিত। একটা সত্যি কথা না বললে নয়, আগে আমাদের মধ্যে মান অভিমান হলে আমরা একে অপরের সাথে কথা না বলেই কয়কদিন থাকতাম।কিন্তু এখন আর তা হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ,প্রতিদিন সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হতে গেলে সবকিছু ভুলে কথা বলতে হয়। একে অপরকে কথা বলার জন্য অনুরোধ করতে হয় ( যখন যে কেউ একজন সঞ্চালনায় থাকি)।আর এখন আগের মতো ঝগড়া বা কথা কাটাকাটি হয় না। যখনি তাকে রাগ করে কিছু বলতে যাই তখনি সে বলতে শুরু করে তুমি না ভালো মানুষ?
রাগ করো কেন?
ভালো মানুষরা কি কখনো রাগ করতে পারে?
আর তাহলে তো তুমি ভালো মানুষ না। কারণ,ভালো মানুষেরা কখনো রাগ করেনা।এরকমি বলে দু' জনে হাসি দিয়ে সকল রাগ,মান,অভিমাণকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিতাম। এখন দু'জনে অনেক ভালো আছি এবং এভাবেই থাকতে চাই।
পরিশেষে, এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার হৃদয়ে জমে থাকা অগোছালো কথাগুলো পড়ে জানতে চাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি🙏
💓সকলেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এভাবেই যাতে ভালোবাসার প্লাটফর্ম আজীবন লেগে থাকতে পারি এবং আমাদের ভালোবাসার সম্পর্কটাও যেন সেভাবে অটুট রাখতে পারি।
🥀সকলের সুস্বাস্থ্য কামনায়💓
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৫৪
তারিখ - ২৬-০২-২০২২
🙋♀️ অঞ্জনা চাকমা
🌼ব্যাচঃ ১১
✅রেজি.নংঃ ৩০০৮৯
♦️ব্লাড গ্রুপঃ ও+
🌳উপজেলা এম্বাসেডর,
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ।
🏡জেলাঃ খাগড়াছড়ি।
🌱কো- ফাউন্ডার# OITIJZO-ঐতিহ্য
পেইজের লিংকঃ
https://www.facebook.com/OitijzoOfficial