শত কষ্টের মাঝে ও আমরা নতুন স্বপ্ন দেখি, বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করেও , সফলতার ছবি আকি।
................বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম...............
আসসালামু আলাইকুম
ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
কষ্টের গায়ে লাল জামা,
বেদনায় গায়ে নীল,
বাস্তবতার সাথে স্বপ্নটা যেন,
রয়ে যায় গরমিল।
শত কষ্টের মাঝে ও আমরা
নতুন স্বপ্ন দেখি,
বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করেও ,
সফলতার ছবি আকি।
কষ্টে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার কষ্ট কিশের....?
হায়রে জীবন,,, প্রতিটি মানুষের জীবনে - সুখ, দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা, বেদনা, হাসি কান্না থাকবেই, এই সব কিছু নিয়েই মানুষের জীবন গড়া, কষ্ট না থাকলে যেমন সুখ উপভোগ করা যায় না, তেমনি সুখ না থাকলেও কষ্টটা নির্বাচন করা যেত না।
আমার জীবনটা ও তার ব্যতিক্রম নয়।
বাস্তব জীবনের গল্প বেশির ভাগ ক্ষেএেই কষ্টের হয়ে থাকে। "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের" সন্মানিত প্রিয় বন্ধুগন আজ আমি আমার বাস্তব জীবনের গল্পটা আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করবো। আমি জানি এই প্লাটফর্মটি একটি ভালো মানুষের প্লাটফর্ম, যেখানে নির্দ্ধিধায় মনের কথা গুলো প্রকাশ করা যায়।
🥀 শুরুতে হাজার কোটি শুকরিয়া জানাই মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট যিনি আমাকে এই মহামারী থেকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং ভালো রেখেছেন।যিনি আমাদেরকে আঠারো হাজার মাখলুকাত এর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন তিনি অসীম দয়ালু।💟
💗 হাজারো সালাম জানাই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মহা মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রওজা শরীফে।💗
💕 শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যিনি এতো সুন্দর একটি ভালো মানুষের প্লাটফর্ম তৈরী করেছেন যেখানে পরস্পরের সাথে পরস্পরের সুসম্পর্ক ও ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তিনি হলেন "নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের শিক্ষা গুরু প্রিয় মেন্টর চেয়ারম্যান জনাব মেন্টর প্রিয় শিক্ষক, জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, হাজারো বেকার তরুণ-তরুণীদের আশার আলো হৃদয়ের স্পন্দন উদ্যোক্তা বানানোর কারিগর ,জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
প্রিয় স্যারের জন্য অন্তরের অন্তস্তল থেকে অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো । প্রিয় স্যারের অনুপ্রেরণায় আমি যেন নিজের জীবনে, নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরী করতে পারি সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আজ হয়তো আমার জীবনের কষ্টের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, একদিন আমি আপনাদের সামনে সফলতার গল্প নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ ।
.............🥀আমার বাস্তব জীবনের গল্প 😪...............
❣ আমার জন্ম মধ্যবিত্ত বড় পরিবারে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চান্দলা ইউনিয়নের বলাখাল গ্রামে। আমি গ্রামের ছেলে গ্রামের নদী নালা খাল বীল পুকুর ঘাট মাঠে ছুটা ছোটি করেই বড় হওয়া যেহেতু আমার বাবা একজন খাটি কৃষক ছিলেন । কৃষি কাজ করেই সংসার চালাতেন সেই সুবাদে একজন কৃষকের ছেলে হিসেবে মাটির সুগন্ধ প্রান ভরে নেওয়া সৌভাগ্য হয়েছে , আমি যখন গ্রামের প্রাইমারিতে লেখাপড়া করতাম তখন থেকে বাবাকে কৃষি কাজ ও স্ক্রীমে সাহায্য করতাম স্ক্রীম হল ডিজেল চালিত সেলু মেশিন দিয়ে পানি উঠিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে যেই ফসল করে সেই সময়টাকে স্ক্রীম বলে, কারন তখন কোন বৃষ্টি থাকে না।
👉প্রাইমারি পাশ করে হাই স্কুলে ভর্তি হলাম ষষ্ঠ শ্রেণীতে 1996 সালে, তখনকার সময় অংক সাবজেক্টে বীজগণিত ছিল না - পাটি গণিতের অংক ছিল আমাদের ব্যাচ থেকেই প্রথম বীজগণিত অংক শুরু হয়। তখন প্রাইভেট মাস্টারের কাছে গণিত সাবজেক্ট প্রাইভেট পড়তাম প্রাইভেট শিক্ষক বীজগণিতের পরীক্ষা নেয় 50 নাম্বার।
আমি 50 থেকে 51 পাই স্যার আমাকে এক নাম্বার প্রাইস দিয়েছিলো পরের শ্রেণীগুলোতে প্রাইভেট পড়তে পারিনি আর্থিক সংকটের কারণে। সেই সময়টা আমাদের কষ্টের দিন ছিলো আমাদের পুরো এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়ে কৃষকের সোনালী ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দেখা দিয়েছিল সংসারে অভাব-অনটন আমরা দুই ভাই এক বোন একই সাথে লেখাপড়া করতাম। যেহেতু আমাদের সংসার টা পুরোটাই ছিলো কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। বন্যার পানিতে জমির সব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে বাবা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন। এই দিকে আমাদের লেখা পড়ার খরচ শুধু মাএ কৃষি কাজের উপর ডিপেন্ড করে আমাদের পুরো সংসারে খরচ বহন করে একজন বাবার পক্ষে তিনজনের লেখাপড়ার খরচ চালানো খুবই কষ্ট হত।
👉যাই হোক এতো কষ্টের মাঝে ও লেখার পড়া কন্টিনিউ করেছি, কষ্ট হলে ও তা কখনো বাবা কে বুঝতে দিতাম না। লেখা পড়া পাশা পাশি বাবার কাজে সহযোগিতা করতাম। এমনি করে এস এস সি পাস করলাম 2001 সালে।
আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম, স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে যাওয়ার অনুভূতি টাই অন্যরকম। যাই হোক কোন কলেজে এডমিশন নিবো সেটা নিয়ে ও টেনশন করতে হয়েছে। কারন ভালো একটা কলেজে এডমিশন নিতে হলে মোটামুটি একটা এমাউন্ট লাগবে।
সব কিছু ভেবে আমাদের গ্রামের কলেজেই ভর্তি হলাম আমাদের আর্থিক সংকটের কারনে একাদশ শ্রেণিতে এইচ এস সি পরীক্ষাটা দেওয়া হয়নি। পরে বাবার সাথে কৃষি কাজ শুরু করলাম আর সেলু মেশিন চালাইতাম দুই বছর পরে ঔষুধের ফার্মেসিতে চাকরি নিলাম 500 টাকা বেতনে এই ভাবেই চলতে থাকে জীবন।
👉এক বছর পর,
বাবা নামের বট গাছটা আমাদের সবাইকে কাদিয়ে আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে পরলোক গমন করেন। হারিয়ে ফেলেছি বাবা নামের প্রিয় মানুষটাকে যে সব সময় আমাদের ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। বাবাকে অনেক মিস করি, এখন ইচ্ছে করলে ও বাবা বলে ডেকে ঝরিয়ে ধরতে পারবো না। বাবা হারানোর কষ্ট অনেক যন্ত্রনার, বাবা তোমার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো আল্লাহ যেন তোমাকে জান্নাত নচিব করেন আমীন ছুম্মা আমীন।
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। বাবার মৃত্যুর ছয় মাস পর আমি চাকরি ছেড়ে দেই। চাকরি ছেরে দিয়ে বেকার হয়ে যাই।
💌 বাবাকে হারিয়ে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই, কোন কিছুতেই মন বসছিলো না। তখন পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় আমাকে বিয়ে করাতে। তাদের কথা রাখতে গিয়ে আমাকে বিবাহ করতে হয়। কারন আমি বেকার ছেলে এই মূহুর্তে বিয়ে করাটা মুটে ও ঠিক ছিলো না। ভেবেছিলাম আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তার পর বিয়ে করবো।
কিন্তু পরিবারের সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমাকে বিয়ে করতে হয়।
বিয়ের পর ২/৪/৬ মাস ভালোই ছিলো কিন্তু আমার মনের দিক থেকে একটা অস্থিরতা কাজ করছে। বিয়ের পর ভবিষ্যত নিয়ে টেনশন আরো বেড়ে গেছে।
বিয়ের ৬ মাস পর শুরু হয় জীবনের সাথে যুদ্ধ।
শুরু হয় সংসারে অশান্তি - বলা হয় আমি বেকার আমার ইনকাম নেই, ছোট ভাই মাটি কাটার কাজ করতো আমি মাটি কাটার কাজ করতে পারতাম না সংসারের বাজার করার টাকা নেই।
মা বকাবকি করতো।
আমাকে দুই দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। শুধু মাএ পানি খেয়ে ছিলাম বাড়িতে ও আসেনি আমার জন্য শুধু ভাত রান্না করে রাখত।
তরকারি নেই কারন আমার ইনকাম নেই আমার স্ত্রী কে বলতো তোমার জামাইর ইনকাম নেই খাইবা কি শুধু ভাত খাইলে পারো তরকারি ছাড়া তখন আমার স্ত্রী রাগ করে খাওয়া দাওয়া না করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে থাকতো কিন্তু আমার কাছে কোনো অভিযোগ করতো না। বেকার ছেলের জীবনে এটা আমার জন্য বড় শিক্ষা।
👉(প্রিয় বন্ধুরা আপনারা দয়া করে কেউ বেকার থাকতে বিয়ে করবেনা, জীবনে নিজের পায়ে নিজে দাড়িয়ে তার পর বিয়ে করবেন।)
💚আমার স্ত্রী প্রেগনেট ডেলিভারি এক মাস আগে আমার ফ্যামিলি আমাকে বলে আমার স্ত্রীর দেখাশোনা কেউ করতে পারবে না।
আমি তাদের কথা শুনে বাধ্য হয়েই আমার স্ত্রীকে ওর বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। একমাস পর ডেলিভারি ব্যথা যখন 15 ঘন্টা পার হয় আমাকে ফোন করে বলে যাওয়ার জন্য রমজান মাস ছিল ইফতারের সময় গ্রামের পল্লী ডাক্তার নিয়ে যাই আমার সাথে করে।
আমার কাছে শুধু মাএ 300 টাকা ছিল । ডাক্তার দেখে তিন-চারটা ইঞ্জেকশন করে পড়ে চলে যায়।
ডাক্তার চলে যাওয়ার 30 মিনিট পর ডেলিভারি হয়। ফুটফুটে ছেলে সন্তান হয়েছিলো।
আমার শিশু সন্তাটি দুইবার কান্না করে পরে চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। আমার স্ত্রীর বড় ভাই তাড়াতাড়ি করে বাবুটাকে হসপিটালে নিয়ে যায় ডাক্তার দেখে মৃত ঘোষণা করে। আমি শোনার পর আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আসছিল আমি চিৎকার করে অনেক কান্না করেছিলাম। একজন বাবার জন্য এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে বলতে পারেন?
আজ যদি আমার টাকা থাকতো, ডেলিভারি ব্যথা ওঠার সাথে সাথে যদি হসপিটালে নিয়ে যেতে পারতাম তাহলে আমার ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুটা বেচে যেত ।
🖤পরম ভালোবাসায়, অশ্রু শিক্ত অবস্থায় নিজের বুকের ধন, আমার মানিকটাকে ঐ জায়গায় দাফন করে বুকের ভিতরের কষ্ট টাকে বিষাল আকারের পাথর চাপা দিয়ে ঐ দিনই আমি স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে চলে আসি আমি আমার বাড়িতে।
তিন মাস পরে স্ত্রীকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি।
আসার এক সপ্তাহ পরে আমার ফ্যামিলিকে বললাম আমি তো একেবারে নিশ্ব্য, আমার একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে দিলে তো মৃত্যু ছারা কোন রাস্তা নেই। তোমরা আমাকে একটা সিএনজি কিনে দাও নতুবা বিদেশে পাঠিয়ে দাও।
পরিবারের কঠিন মানুষগুলো কোনোটাতেই রাজি হলো না আমাকে 10 কেজি চাউল,দুই মণ ধান দিয়ে সেরারেট করে দিল।
তখনো কান্না করেছিলাম কিন্তু শুনেনি ফ্যামিলির কেউ আমি বলেছিলাম আমি তেমাদের সাথে থাকতে চাই আমাকে আলাদা করে দিও না । কেউ আমার কথা শুনলো না, আমি হয়তো তাদের উপর বোঝা হয়ে গিয়েছিলাম, বোঝাই তো বেকার মানুষ সবার উপরেই বোঝা, সাগরের মাঝখানে পরে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছি, কেউ একজন যে হাতটা বাড়িয়ে আমাকে সাগর থেকে উদ্যার করবে তেমন কাউকে পাশে পাইনি। তখন চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম কিভাবে চলবো?
কি ভাবে কোথায় থেকে শুরু করবো?
👉শুরু হল জীবন সংরাম
বেচে থাকতে হলে কাজ করতে হবে, আমি একা না আমার সাথে আরো একটা জীবন জরীত তাকে ও ভালো রাখার দায়িত্ব আমার। শুর করে দিলাম টাকার বিনীময়ে শ্রম বিক্রি করার কাজ করতে লাগলাম অন্যদের জমিতে কৃষি কাজ তার পাশা পাশি ভাগে পাওয়া আমার একুশ শতক জমিতে ধান রোপন করি। এভাবে এক বছর খেয়ে দেয়ে সমান সমান, ভাবলাম এই ভাবে আমি কখনো এগোতে পারবো না আমাকে অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। একটি বছর বাড়িতে থাকার পর।ক্লাসমেট এর মাধ্যমে প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি নেই মাসে 2700 টাকা বেতন। তিন মাস চাকরি করার পর ঘর ভাড়া করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসি আমার সাথে পরে আমার দুইটি মেয়ে পৃথিবীতে আসলো।
তাদেরকে নিয়ে চলতে খুবই কষ্ট হতো প্রাণ কোম্পানিতে ছয় বৎসর চাকরি করি ঘর ভাড়া খাওয়া-দাওয়া সমান-সমান আমি যে টাকা বেতন পাই। চিন্তা করলাম এভাবে কতদিন চলবে?
👉সিদ্ধান্ত নিলাম বিদেশে যাব, পাসপোর্ট করে ফেললাম এবং বাড়ির পাশে দালাল আছে বিদেশে লোক পাঠায়,ওকে বললাম ভাই আমি বিদেশে যেতে চাই, তিনি ও আমাকে আশ্বাস দিলেন। পাসপোর্ট দিলাম কিছু টাকাও দিলাম।
সে যখন কনফার্ম বলল 15 দিনের ভিতরে ফ্লাইট হবে তখন চাকরি ছেড়ে চলে আসি বাড়িতে। আবার ও মা ভাই বোনদের কাছে গিয়ে বললাম কিছু টাকা দিতে এবং আমার এক ভাই বিদেশে থাকে ওর কাছেও বলেছিলাম টাকা দিতে।
সবাই আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
সরাসরি বলে দিয়েছে টাকা দেওয়া সম্ভব না। কি আর করার, সব দিক ভেবে চিন্তে আমার ভাগের 12 শতাংশ জমি বিক্রি করি 4 লক্ষ টাকায়। জমিটা বোনের মাধ্যমে আমার বিদেশ থাকা ভাইটা ক্রয় করে।
তার পর ও টাকার শর্ট আছে - আরও 2 লক্ষ টাকা ঋণ মাথায় নিয়ে বিদেশে আসি,
সৌদি আরবে আসছি প্রায় পাঁচ বছর কেটে গেল কিন্তু আমি আমার যেই ১২ শতক জমি বিক্রি করেছি সেই সমপরিমান জমি আমি এখনো ক্রয় করতে পারেনি।
👉সবাই হয়তো মনে করে বিদেশ মানে টাকার পাহাড়, আসলে এই ধারনটা মানুষের ভুল। প্রবাসী জীবন অনেক কষ্টের ভাই, এর মত বালিশ টা সাক্ষি কত লক্ষ ফোটা চোখের পানি সে শোসন করেছে।
যাই হোক জীবন শত কষ্ট মেনে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন মনের ভিতর লালন করছি। আপনার সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমি ও আপনাদের সকলের জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন আপনাদের সকলের মনের আশা পূরুন করে বলুন আমীন ছুম্মা আমীন।
👉বর্তমানে আমার দুই মেয়ে ও একটা ছেলে আছে আমি আমার ছেলেটাকে কোরআনের হাফেজ পড়াতে চাই । ইনশাআল্লাহ আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য আমার পরিবারের জন্য। সবাই ভালো থাকবেন আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্যে ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
এতোক্ষণ ধৈর্য্য ধরে আমার বাস্তব জীবনের গল্পটা কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার লেখায় যদি কোন ভুল এ্রুটি হয়ে থাকে ছোট ভাই হিসেবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে
তারিখ - ২৫-০২-২০২২
👨🎓মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,
ব্যাচ নাম্বারঃ- 17
রেজিস্ট্রেশন নাম্বারঃ - 85355
উপজেলাঃ- ব্রাহ্মণ পাড়া
জেলাঃ- কুমিল্লা
বর্তমানে সৌদি প্রবাসী।