বেঁচে থাকো হে সূর্য সন্তান যুগের পর যুগ, তোমার কারণে পথহারা মানুষ পেয়েছে দাঁড়াবার সুযোগ।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
প্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার যিনি আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন এবং আমাদের সকলকে সুস্থ ও নিরাপদে রেখেছেন। আমরা তারই শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে স্বরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানবের কথা যিনি এই ভূবণে না আসলে চন্দ্র, সূর্য-গ্রহ-নক্ষত্র, কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রিয় নবী ''হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম''।
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত যার পদতলে আমার জান্নাত সেই জনমদুঃখিনি সম্মানিত মায়ের প্রতি। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, মুকুটহীন রাজা আমার সম্মানিত বাবার প্রতি। যাদের ত্যাগ তিতিক্ষার ফলশ্রুতিতে এই মহিমান্বিত দুনিয়ার আলো দেখতে পেয়েছি।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ,, নিজের বলার মতো একটা গল্প,, ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর প্রিয় শিক্ষক,লাখ তরুণ তরুণীর আইডল, মানুষ গড়ার কারিগর,, সপ্নদ্রষ্টা জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারকে যার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। পেয়েছি আত্ম সম্মান-র্মযাদা ও ভালোবাসা। প্রিয় স্যারের প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালো বাসা রইলো,, এবং স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
যিনি আমার ও আপনার মাঝে 'নিজের বলার মতো একটা গল্প' এ রকম একটি ভালোবাসার প্লাটফর্ম উপহার দিয়েছেন,যিনি আমাদের রঙ্গিন দুনিয়ায় রঙ্গিন স্বপ্ন দেখার সাহস জাগিয়ে তুলেছেন আমার,আপনার সবার প্রাণ প্রিয়_ মেণ্টর Iqbal Bahar Zahid Sir.🖤
প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার একটি ভালোবাসার নাম, স্বনির্ভরতার নাম । হাজারো মোটিভেশনাল স্পিকার এবং পজিটিভ বান্ধব পৃথিবী গড়ার সাধক আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার ।
বেঁচে থাকো হে সূর্য সন্তান যুগের পর যুগ, তোমার কারণে পথহারা মানুষ পেয়েছে দাঁড়াবার সুযোগ।
বিশ্বব্যাপী তুমি যে এখন লাখো মানুষের আইডল, নব্বই দিনের কর্মশালা তাহার কর্মফল।
ভালো মানুষ থেকেই একজন হয় ভালো উদ্দোক্তা, এই কারণেই পায় গো সবাই পূর্ণ সফলতা।
তোমার জন্য দোয়া করি হে গর্বিত সন্তান বাংলার বুকে চিরস্মরণীয় হয়ে এভাবেই তুমি বেঁচে থাকো অন্তরে সবার।
সৎসঙ্গে স্বর্গবাস এই ফাউন্ডেশনের সবার শ্রদ্ধাবোধ, অনুপ্রেরণা, বিনয় সততা ও ভালোবাসা উপরোক্ত বাক্যটিকে অলংকৃত করেছে। কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী ভালো মানসিকতা যেখানে সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি।
সৃষ্টিজগতের প্রতিটি মানুষেরই জীবনে একটি গল্প থাকে। তেমনি আমার জীবনেও তার ব্যতিক্রম নয়, আমার জীবনেও একটি বলার মতো গল্প আছে, যা আপনাদের ভালোবেসে শোনাতে চাই।
আমার পরিচিতি/শৈশবকাল
আমি মোঃ ফারুক রহমান জন্মস্থান জেলা কুমিল্লা, উপজেলা মেঘনা, গ্রাম লুটেরচর। ১৯৮৫ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারীতে আমার নীজ বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করি। আমার বাবা একজন সাদা মনের মানুষ ও পারিশ্রমিক মানুষ। আর আমার মা সরল মনের মানুষ। মা গৃহিণী। আমার বাবা পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। আমাদের যৌথ ফ্যামিলি ছিল। আমার বাবার সংসারে আমি একা ও আমার তিন বোন। আমার চাচার সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে। আমার দাদা-দাদী, ফুফু ও চাচারা আরো তিন জন। তখন আমাদের যৌথ ফ্যামিলিতে ১৭ জন সদস্য ছিল। আমার বাবা কৃষি কাজ করে এতো বড় সংসার চালাতে পারছিলেন না। তাই ১৯৯১ সালে আমার বাবা সৌদি আরব চলে যান। আমার বাবা ২৯ বছর সৌদি প্রবাসী ছিলেন। প্রতি দুই বছর পর পর দেশে আসতেন ছুটি কাটাতে। আমার বাবা যেই স্বপ্ননিয়ে সৌদি আরব গিয়ে ছিলেন সেই সপ্ন পুরন করতে পেরেছেন। আমার চাচারাও আজ প্রতিষ্ঠিত। আমার বাবা যা কিছু করেছেন সবার জন্য সমহারে করেছেন। ঢাকায় পাঁচ তালা বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে অনেক জায়েগা জমি। আমার চাচারা এখন সবাই আলাদা খাচ্ছেন। আমার বোনদের কেও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে বিয়ে দিয়েছেন। আমাকেও বিবাহ করাইছেন। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। আমার বাবা হজ্জ করে এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন।
# শৈশব থেকে বড় হওয়া র্পযন্ত শত গল্প জমা হয়। জমা থাকা গল্পগুলো স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। শত ভুলের মধ্য থেকে বাস্তবতা শিক্ষা দেয়। জীবনের গল্পের শুরু আছে এর শেষ নেই।
আমার গ্রাম ঢাকা জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৩২ কিঃ মিঃ। মেঘনা ব্রিজের দক্ষিণ পূর্ব পাশে। আমার শৈশব কাটে গ্রামে। আমি লুটেরচর মফিজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করি। তার পর ১৯৯৮ সালে ঢাকা মোহাম্মদপুর আমার ৩ নাম্বার চাচার বাসায় থেকে পড়াশোনা করি। তখন আমি ঢাকা মোহাম্মদপুর বেঙ্গলী মিডিয়াম হাই স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে র্ভতি হই এবং ২০০১ সালে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে (S.S.C) পাস করি। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০১ সালের (S.S.C) Batch এ আমারাই প্রথম (GPA) Grading System এ পরীক্ষার্থী। এর পর ঢাকা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা এর উপর ২০০৩ এ H.S.C পাস করি। H.S.C পাস করার পর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে র্ভতি পরীক্ষা দেই। কোথাও চান্স পাইনি। অবশেষে আমি র্ভতি হই উওরার প্রাইভেট University শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওখান থেকে Interior Architecture এর উপর Higher National Diploma (HND) পাস করি ২০০৬ এ। তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশ গুলোতে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করি। কিন্তুু যাইতে পারিনি। হয়ত আমার ভাগ্যে ছিল না। অবশেষে ২০০৮ সালে এ Dubai চলে যাই A/C Technician কাজে। Dubai তেই ছিলো আমার প্রথম কর্ম জীবন শুরু। সেখান থেকে ৪ বছর কাজ করে ২০১২ সালে কোম্পানি থেকে চাকুরী ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসি। দেশে ফিরে ঢাকা ডেমরা থানার মাওয়াইল মেডিক্যাল রোডে মুদি ও কণফেকশনারী দোকানের ব্যবসা শুরু করি কারণ আমি যখন স্কুল জীবণে তখন থেকেই আমার ব্যবসা করার একটু আগ্রহ ছিলো কিন্তুু আমি ব্যবসাটা যত্ন সহকারে করি নাই। আমার দোকান খোলার বা বন্ধ করার কোনো Time Table ছিলো না। আবার কখনো কখনো সপ্তাহে দুই তিন দিন দোকান খুলতাম না। এতে আমার দোকানের বেশিরভাগ মালামাল Expire হয়ে যায়। তাতে আমার কাস্টমার নষ্ট হয় এবং এলাকার মধ্যে গুনজন শুরু হয় যে আমার দোকানের সব মালামাল Expire,,, তাই আমি বাদ্য হয়ে আমার দোকান (ব্যবসা) বন্ধ করে দেই। তখন আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লোকসান হয়। আমার পরিবার থেকে অনেক চাপ আশে নতুন করে কিছু করার জন্য। তাই আমি আবার প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছিলাম। আমি ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ওয়েষ্ট আফ্রিকা লাইবেরীয়াতে চলে আসি। র্বতমানে আমি ওয়েষ্ট আফ্রিকা লাইবেরীয়াতেই অবস্থান করতেছি। লাইবেরীয়াতে আমি শুরু থেকে ২০২১ সাল প্রযন্ত র্ফামাসিতে চাকুরী করেছি। ২০২২ সালের শুরু থেকে একটা Water menufacturing Company তে চাকরী করতেছি।
উদ্দোক্তা জীবনে পর্দাপণ
সঞ্চয়ী মনোভাব
আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছোটবেলা থেকেই নিজে কোনো কিছু করার চিন্তা আমাকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খেত।
চিরকৃতজ্ঞ হে মেন্টর
একবালক সমসময় আঙুল চুষত, বেশ বড় হয়েছে কিন্তু অভ্যস বদলায়নি। বাবা মা চিন্তা করে একজন বিজ্ঞ মানুষকে দেখালেন, পরামর্শ দিলেন ছেলেকে ঢিলা প্যান্ট পরিয়ে রাখুন, তখন আঙুল না চুষে সে প্যান্ট সামলাতে ব্যস্ত থাকবে। তেমনি হে প্রিয় বিশেষ করে আমার মতো যুবককে এই অপসংস্কৃতির সয়লাব থেকে যে মাইন্ড দান করেছেন তার জন্য আপনার জায়গা আমার পবিত্র অন্তরে। এই বয়সে কিছু করার ভাবার, দাড়াঁবার যে চিন্তার উদয় করে দিয়েছেন এর বিনিময়ে আল্লাহ আপনাকে দো-জাহানে কামিয়াবী দান করবেন। কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী একজন ভালো উদ্দোক্তা হবোই হবো ইনশাআল্লাহ।
সবচেয়ে বড় পুঁজি আমার বাবা ও মায়ের দোয়া। আমি শতভাগ নিশ্চিত আমার মা ও বাবা আমার প্রতি অনেক খুশি। সবসময় বাবা-মাকে ভালোবেসে খুশি রাখার চেষ্টা করি। পাশাপাশি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার পরম পাওয়া। দোয়া করবেন বাবা-মা বেঁচে থাকতেই যেন একজন পরিপূর্ণ ভালো মানুষ ও হাজারো মানুষের কর্মের ব্যবস্থা করতে পারি। লাইবেরীয়া টিম এ ১৬ তম ব্যাচ থেকে নিয়মিত সেশন র্চচা ক্লাস করতেছি। প্রতি দিন কিছু না কিছু শিখতেছি। উদ্যোক্তা হওয়ার সপ্ন দেখতেছি। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।এত কষ্ট করে আমার জীবনের গল্পটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। দোয়া করি, আল্লাহ পাক আপনাদেরকে ভালো রাখুক আজীবন।
লিখার মধ্যে কোনো ভুল ত্রটি থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে
দেখবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৫৭
তারিখ ০২-০৩-২০২২
ফারুক রহমান
ব্যাচ নং : ১৬
রেজিষ্টেসন নং : ৭৭৮৫০
জেলা : কুমিল্লা
উপজেলা : মেঘনা
র্বতমান অবস্থান ওয়েষ্ট আফ্রিকা, মনরোভীয়া, লাইবেরীয়া।