কয়েকজনকে নিয়ে সফলতার মঞ্চে উঠবো ইনশাআল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহ্ মানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম,
সকল প্রশংসা সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আলামীনের প্রতি যিনি আমাদের সুস্থ রেখেছেন।
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি আমাদের সকলের জন্য ভাল মানুষ তৈরির অদ্বিতীয় প্লাটফর্ম "নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন"।।
আমার জীবনের গল্পঃ
আমার উপজেলা + জেলাঃ মাদারীপুর, আমার বর্তমান অবস্থান বাদামতলা, মাদারীপুর।
আমরা দুই ভাই দুই বোন এবং বাবা-মা,
আমার বাবা একজন প্রিন্টের কন্ট্রাক্টর ছিলেন এবং মা গৃহিণী।
আমি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জেনারেল ডিপ্লোমা শেষ করি, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে। আমার প্লান ছিল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং দেশের বাইরে করার,,,
কিন্তু আমার জেনারেল ডিপ্লোমা শেষ হওয়ার আগেই সাইকোলজিক্যাল প্রব্লেম হলো আমার তখন কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করার মতো অবস্থা ছিলনা আমার,,, এমনকি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আমাদের এলকার একটা আঙ্কেল জব করতেন উনি ছুটিতে আসছেন,,, তখন আমার বাবা তাকে বাসায় নিয়ে আসে আমার সাথে কথা হয় এবং আমাকে খুব সাহস দিয়ে বলল তুমি ঠিকভাবে পড়াশোনা করো ইনশাআল্লাহ ভাল করবে।
আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এসএসসি থেকেও ভাল রেজাল্ট করি। তবে আমার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কারণে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করা সম্ভব হয়নি। তবে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সুস্থ হই এবং সকলের মতো স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করছি। অর্থাৎ তখন থেকেই আমার ভাল মানুষ হওয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
ভর্তি হলাম জেনারেল লাইনে তিতুমীর কলেজ বিএসসিতে,,,
তখন আমার বড় ভাই দেশের বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং আমাকে নিজ জেলায় রেখে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং এক বড় ভাই তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে + আরো ডিগ্রি অর্জন করে একটা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির মালিক তিনি আমাকে পরামর্শ দিলেন মাদারীপুর নাজিমউদ্দীন কলেজ থেকেও মানুষ অনেক ভাল করছে সেই সাথে পরিবারের কাছেও থাকতে পারছো যেহেতু তাদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তাই আর নিষেধ করতে পারনি,,, চলে এলাম ভর্তি হলাম নাজিমউদ্দীন কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে, বর্তমান নাম মাদারীপুর সরকারি কলেজ, মাদারীপুর ।
পাশাপাশি ২০১৫ এর দিকে পা দিলাম সেচ্ছাসেবী সংগঠনে প্রথম প্লাটফর্ম
১.
ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
দলনেতা ছিলাম ২ বার এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সাধারণ পর্ষদ নির্বাচন করেছি।
পর্যায়ক্রমে
২.
"বাঁধন " সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি সংগঠনে
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলাম পরবর্তীতে সহ-সভাপতি
৩.
প্রথম আলো বন্ধুসভা মাদারীপুর
পাঠচক্র সম্পাদক,
উপ- সাংগঠনিক সম্পাদক,
সাংগঠনিক সম্পাদক।
★ যুব উন্নয়ন মাদারীপুর জেলা থেকে
গবাদি পশু, মৎস্য চাষ, প্রাথমিক চিকিৎসা এর উপর ২ মাস ১৫ দিনের একটা কোর্স করি। এবং
বেসিক কম্পিউটার ট্রেনিং করি ৬ মাস মেয়াদি।
**একই সাথে করোনা কালীন অবস্থায় বেশ কয়েকটা অনলাইন প্রশিক্ষণ নিয়েছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে।
পড়াশোনা এর পাশাপাশি একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সাথে বিজনেস শুরু করি প্রথম ৬ মাসে ইনকাম করি মাত্র ১০ হাজার টাকা, এবং পরবর্তী ১ বছরে ইনকাম করি ৫ লক্ষ টাকা। এরপর কোভিট-১৯ সারাদেশে বন্ধ হয়ে যায় আমাদের টিম ওয়ার্ক, শুধু ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এগুতে সক্ষম হইনি আমরা,,, এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকা হেড অফিসে গিয়ে কাজ করবো এবং চলে যাই ঢাকা। প্রায় ৭ মাস ঢাকা+ বিভিন্ন জেলায় কাজের উদ্দেশ্য দৌড়াদৌড়ি সেখানে মোটামুটি ব্যর্থ কোভিড-১৯ প্রভাব বলে।
ফিরে এলাম প্রিয় শহর মাদারীপুরে কিছুদিন পরে হালিমা গ্রুপে যুক্ত হলাম জেলার TSO পদে সাথে গাড়িও কোম্পানির দেয়া শুরু হলো অন্যের কাজ করা,তবে ১ বেলা করলেই হয়ে যেত আমার।পাশাপাশি শুরু করলাম ট্রেডিশনাল বিজনেস কোন রকম শুরু করতেই ছেড়ে দিতে হলো কোম্পানির চাকরি। একই সাথে বন্ধ হয়ে গেল আমার বিজনেসও। পড়ে গেলাম ভীষণ হতাশায় কি করবো চাকরিও করতে চাইনা আমি,,, ৩ মাস বেকার থাকতে হলো আমার এরপর কোন রকমে নিজের কাজ করে জীবন যাপন করছি।
পাশাপাশি অনলাইনে চামড়ার জুতা নিয়ে কাজ করছি এবং আমার বিশ্বাস একটা সময় খুব সেল হবে আমার প্রডাক্ট।
হঠাৎ একদিন চোখে পড়ল নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন এবং ফ্রি কোর্স টানা ৯০ দিনের,,, চিন্তা করলাম স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে এমন কিছু শেখা উচিত করে ফেললাম রেজিষ্ট্রেশন একা একাই।
ট্রেনিং করে নিলাম ইউটিউবে,,,,
প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার ট্রেনিং দেখে নিজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসলো। দীর্ঘদিন পর পেলাম আমাদের মাদারীপুর মেসেঞ্জার গ্রুপের সন্ধান যুক্ত হয়ে দেখি সবাই খুব আন্তরিক আস্তে আস্তে দেখি অনেক পরিচিত ভাই-বোন আছে এখানে।
আমি সিদ্ধান্ত নেই একজন ভাল মানুষ হয়ে এবং সাথে আরও কয়েকজনকে নিয়ে সফলতার মঞ্চে উঠবো ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের নিজ হাতে তৈরি প্লাটফর্মের সকল বন্ধুরা যতটা সম্ভব সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেন যা অন্য কোন প্লাটফর্মে নেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি বিনা মূলধনে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন ধৈর্য ধরে টানা ৯০ দিন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য। দোয়া করবেন আমার জন্য যেনো সকল অবস্থাতে মানুষের পাশে দাড়াতে পারি এবং সহযোগিতা করতে পারি ।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে - ৭৫৯
তারিখ-০৪/০৩/২০২২
মোঃ সৈকত হোসাইন (সায়ান)
উপজেলা এম্বাসেডর সদর মাদারীপুর
ব্যাচঃ ১৩
রেজিষ্ট্রেশনঃ ৫২৬৬২
উপজেলাঃ মাদারীপুর
জেলাঃ মাদারীপুর।
ব্লাডগ্রুপঃAB+
রক্তদানঃ ১০ বার,
১১ বারের অপেক্ষায় আছি।