স্যারের এ কথায় আমার আত্মবিশ্বাস আরও ১০গুণ বেড়ে গিয়েছে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
❤️কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি অসাধারণ একটা ফাউন্ডেশন আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
🌱সত্যিই অসাধারণ একটা ফাউন্ডেশন।।
যেখানে বেঁচে থাকার জন্য নতুন করে প্রাণ পাওয়া যায়।।।।।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই ফাউন্ডেশন এ এসে নতুন করে বাচতে শিখছি।।।।
🖐️আজ আপনাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু ইচ্ছে শেয়ার করবো।।জানিনা কে কিভাবে নিবে।। আমার মনে হয় আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতিষ্ঠিত এ প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি ভাই-বোন খুবই আন্তরিক ও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।। নি-দ্বিধা নিজের মনের কথা গুলো আপনাদের সাথে ব্যক্ত করছি।
❤️আমি খুব ছোট বেলা থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতাম।।কেউ ১০০টা দিলেও ঐ টাকা টা কিভাবে খরচ করবো তা পরিকল্পনা করে করতাম তা থেকে কিছু টাকা তো অবশ্যই জমিয়ে রাখতাম।।নিজের পছন্দনীয় যেকোনো জিনিস চেষ্টা করতাম নিজের জমানো টাকা দিয়ে নিতে।।আব্বুর কাছে বায়না ধরা অভ্যাস কম ছিলো।। কিন্তু তবুও আব্বুর অনেক সময় নিজে থেকে বুঝে নিয়ে দিত না চেয়ে পাওয়ার মজা অনেক বেশি।। যত দিন গেলো আমি স্কুল পেরিয়ে কলেজে উঠলাম তখন থেকে টিউশন খোঁজ তে লাগলাম কিন্তু মাত্র এসএসসি দিয়েছি বলে কেউ দিতে যেতো না।।একবার আমার বোনের পরীক্ষা বলে আমি তার শিক্ষার্থী কে পড়ানো জন্য কিছু সালামি পেলাম খুব খুশি হয়ে পুরো সালামি টা আব্বুকে দিয়ে দিলাম আব্বু না নিয়ে বলো এটা তুমি খরচ করো তাই ঐ টা দিয়ে আমি আমার নিজের টিউশন ফ্রী দিলাম আব্বু শুনে আমাকে আবার দিতে চাইলো কিন্তু আমি কিছু তে নেই নি।।
👉আমার পরিবারে ছোট মেয়ে ভাগ্যসূত্রে দাদীর মতো হওয়া আব্বুর সবচেয়ে আদরে সন্তান।। আমার যেকোনো কাজ আমার আব্বু আমাকে উৎসাহ দিতেন যা আমি কখনো আমার পরিবারে অন্য কোনো সদস্য থেকে পায় নি।।
♥️হঠাৎ করে ২৮শে অঅক্টোবর ২০১৮সালে কিছু একটা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিই।।আর ভাবতে থাকি কি করা যায় তখনই আমি একটা পেজ খুলে নি Mumu Harbal's & Hand Craft আব্বু ছাড়া পরিবারের কেউই আমাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দেয় নি।।উল্টো আরও কথা শুনিয়েছিলো।। কিন্তু কোনো মূলধন আর কি করবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না তাই আড়ং থেকে ছবি তুলে পোস্ট করি মাশাল্লাহ ভালোই রেসপন্স পেয়েছি।। তখন এমন কোনো প্ল্যাটফর্মে খোঁজ আমি পায় নি।।কিন্তু আমার পেজ থেকে আলহামদুলিল্লাহ ভালো সেল হতো প্রতি মাসে দু-একটা হলেও আমি তাতে খুশি হতাম আমার আব্বুও।
সবাই বলতো আমি শুধু শুধু এসবের পিছনে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে সময় অপচয় করছি।
কিন্তু আমার আব্বু বলতো লেগে থাকো।।আমিও পড়াশোনা ব্যস্ততা ও মূলধনে অভাবের জন্য সিরিয়াস ছিলাম না।।কিন্তু যে মানুষ টা উৎসাহ দিতেন সেই মানুষ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে গেলো।।
😭😭😭৭ই ডিসেম্বর ২০১৯ আব্বু কে নিয়ে ইসলামী/কুর্মিটোলা /ডিএমসি হাসপাতাল গুলো তে পাগলের মতো দৌঁড়াদৌঁড়ি করি টানা ৩ মাস কষ্ট করে চিরদিনের জন্য আমাকে একা ছেড়ে চলে যায়।।সাথে আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্টার যে কিনা সবচেয়ে বেশি আমাকে উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতো।।আমি যা বলতাম তা সাপোর্ট করতো সেই মানুষ টা কে সারাজীবন এর জন্য হারিয়ে ফেলাম ২৬ই মার্চ ২০২০ সালে।একজন মুক্তুযোদ্ধাও ছিলেন আমার আব্বু যেই দিন ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ কে জয় করতে গিয়েছিলো সে-ই দিন টাতে আ আমাদের কে ছেড়ে চলে গেলো ।।কখনোই বলা হয়ে উঠে নি যে আব্বু তোমাকে আমি অনেক অনেক ভালোবাসি।।তোমার মতো সাপোর্ট আমাকে কেউ করবে না।সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া ।।🙏
জীবনের প্রতিটি মহুত্ত্বে যা আমি চেয়েছি সবসময়ই তার বিপরীতি টাই আমি পেয়েছি।। কিন্তু একজন সাহস দেয়ার মতো মানুষ ছিলো কিন্তু উনি আমাকে ছেড়ে চলে গেলো।। তবে এখন খুব ফীল করি আব্বু তোমাকে হয়তো আগে বুঝি নি😭😭।।
এইচএসসি দেয়ার পর খুব ইচ্ছে ছিলো হিসাব-বিজ্ঞানে অনার্স করা কিন্তু একজনের ভূলের জন্য আমি পারলাম না।।ভূর্তি হলাম ব্রেকগ্রাউন্ড কমার্সের ডিগ্রীতে।। তখন কারোর সাপোর্ট পেলাম না।এমন অনেক কিছু আছে আমি যা চেয়েছি তা কখনোই পায় নাই।।কিন্তু আমার কাছের মানুষ রাই আমাকে এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যে আমার মতো মেয়ে এর থেকে বেশি কিছু আশায় করা হচ্ছে বোকামী আমি এটারই যোগ্য।ঠিক তখনই আমি একটা ভূল করি তা প্রত্যেক কিশোর-কিশোরীরা করে থাকে।।কিন্তু ঐ ভূলের জন্য আমাকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়।।শুনতে হয় ন্যাকড়া জাতীয় কথা ঐ একটা ভূল আমাকে আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে মানুষের মুখের ভাষায়।।তাদের ভাষ্যমতে আমার ঘরে থাকা উচিত কিন্তু আমি নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেছি আমি আসলে কি।।
নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে চাই তাতেই কাছের মানুষের কত কথা, কত খোঁচায় যে শুনতে হয়।।আমি এসব শুনে সব আশায় ছেড়ে দিই।হতাশ হয়ে পড়ি।।কিন্তু আবার নিজেকে শক্ত করে নিই।।আবার নিজেকে বুঝায় না ভেঙে পড়া যাবে না। কিন্তু যত আমি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি তখনই অন্যের কথা শুনে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে থমকে যায় ।
আমার পরিবার, বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজন, সবাই আমাকে হেয় চোখে দেখে😭😭।। তাদের ধারণা আমি ডিগ্রীতে পড়ি আমি খারাপ শিক্ষার্থী।😭😭। কিন্তু আমি যে পরিস্থিতির স্বীকার তা কেউ বুঝতে চায়।।সবার কথা বাদই দিলাম আমার পরিবারও তা ভূলে গিয়েছে তাদের মতেও আমার দ্বারা কিছু হবে না।একটা মানুষ তখন বেশি অসহায় যখন তা কাছের মানুষরা তাকে বুঝতে চায় না।।কোনো কাজ করতে চাইলে প্রথম কথা আমি একজন মেয়ে দ্বিতীয় কথা আমি পারবো না আমি নাকি ওত কিছু বুঝি না।আমি বাকি /১০ মতো নই। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আমি সবকিছু তে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি।।কোনো কিছুই আমার পক্ষে অসম্ভব নয়।।হয়তো প্রথমে পারবো না কিন্তু পরে অবশ্যই আমি করতে পারবো।। যেমন টা ছোট বেলায় হাঁটতে শিখঁতে গিয়ে কত না পড়েছি কিন্তু তখন আমার পরিবার হার মানি নি বলে আমি আজ হাঁটতে পারছি কিন্তু এ কথা আমি আজও কাউকে বুঝাতে পারলাম না।নিজেকে নিজেই উৎসাহ দিই।।দুই জন্য বান্ধবী আছে তারাও যত টুকু পারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় যখনই আমি ভেঙে পড়ি তখনই তারা আমাকে বলে তোর দ্বারাই হবে তুই শুধু ধৈর্য্য ধর একদিন তুই তোর স্বপ্লে প্রৌঁছাতে পারবি।।
জীবনে এখন একটাই ইচ্ছে কিছু করে সবার মুখ বন্ধ করতে চাই।। বোঝাতে চাই আমিও পারি আমি মেয়ে হলে কি হবে আমিও এখন সবকিছু জয় করার মতো হয়ে গিয়েছি।।একদিন যারা আমাকে তিরস্কার করেছে তারাই একদিন গর্বের সাথে বলুক হ্যাঁ এটাই আমার বোন এটাই ফ্রেন্ড এটাই আমার পরিচিত।।
মূলধন টা জন্য কিছু করতে পারছিলাম না।।তবে প্রিয় মেন্টরের উপহারস্বরূপ পাওয়া এ প্ল্যাটফর্মে এসে অনেক কিছু শিখেছি শিখছি।। এখন আফসোস হয় যখন এসেছিলাম তখন যদি সময় দিতাম আজ নিজেকে অনেক দূরে দেখতে পেতাম।।এ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর দু'বার করোনা আক্রান্ত ও ফাইনাল পরিক্ষার জন্য সময় দিতে পারি নি।। কিন্তু আজকের বেশ কয়েক মাস যাবত এক্টিভ হয়ে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরও বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে।। নিজেকে এগিয়ে নিয়ে স্বপ্ন অনেক গুণ বেড়েছে আলহামদুলিল্লাহ 😍😍।। এতে প্রিয় মেন্টর কে যতই ধন্যবাদ জানাবো ততই কম হবে আমি মনে করি।।সত্যি আমি এ প্ল্যাটফর্ম অনেক অনেক উপকৃত হয়েছি।।আমার মনে হয় স্যার আমাকে সাপোর্ট করে লিখেছেন।। জীবনে এত বড় সাপোর্ট এত সুন্দর করে বুঝিয়ে কেউ এগিয়ে যেতে সাহায্য করে না।স্যারের প্রতিটি সেশন আমার জীবনে প্রতিটি ক্লাসের মতো।। আমি শিক্ষা নিচ্ছি।।নিজের স্বপ্ন কে বাস্তবে রুপ দেয়ার এক অনুপ্রেয়াস পাচ্ছি।।
আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত অনেক বড় করে ফেলাম।সবাই ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন🙏
হটাৎ আমার এক আপুর মাধ্যমে এই ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হই।।
আর বাবা কে হারিয়ে ভেংগে পড়া আমি। আমার সকল প্রকার কাজ থেকে দূরে সরে খুব ই ডিপ্রেশন এ ছিলাম।।
স্যারের সেশন পোস্ট আমাকে একটু একটু করে বাঁচার প্রেরনা দেয়।
আর ধীরে ধীরে সেশন চর্চার মিট আপ সহ অফলাইন প্রোগ্রাম এ যুক্ত হই। একই সাথে আমি বুঝতে পারি সকল আপু ও ভাইয়ারা কত আন্তরিক।। তাদের কে দেখে নিজের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করার এক অন্য রকম অনুপ্রেরণা পেলাম।।
স্বপ্ন দেখুন,,,
সাহস করুন,,,
শুরু করুন,,,
এবং লেগে থাকুন,,,
সাফল্যের আসবেই..............................
স্যারের এ কথায় আমার আত্মবিশ্বাস আরও ১০গুণ বেড়ে গিয়েছে।। আই স্যালুট ইউ প্রিয় স্যার।। মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে ফরিয়াদ করি আপনাকে ও এ প্ল্যাটফর্ম এ সকল ভাই বোনকে সুস্ত রাখুক সবসময়ই।।
অনলাইনে দীর্ঘ সময় যুক্ত থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ইন-শা-আল্লাহ্ দেখা হবে ১২ই মার্চ মহাসম্মেলনে।।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৫৯
তারিখ- ০৪/০৩/২০২২
আসসালামু আলাইকুম,,
মুমু মাহমুদা,
১৩তম ব্যাচ,
রেজিষ্ট্রেশন নংঃ৫৭৮৫৬
ফেনী জেলার মেয়ে,
ক্যান্টনমেন্ট থানা,
গুলশান জোন,