বাবার মতন অভিভাবক না থাকার ফলে আত্মীয়-স্বজন থেকেও
আমার জীবনের গল্প👇
সবাই একটু মন দিয়ে পড়বেন প্লিজ 🙏
জীবন কখন কোন রুপ নেয় তা কখনও কেউ বলতে পারে না। তা কখনও কেউ আগে থেকেই জানে না। মানুষের জীবন এক দীর্ঘ ভ্রমন কাহিনী। যেখানে তার অবস্থান একেক সময় একেক রকম হয়ে থাকে। আমার জীবনটাও এমন অনেক উঠা নামার সময় পার করেছে। আজ আমি চাই আপনাদের সাথে আমার ছোট্ট জীবনের কিছু মর্মস্পর্শী সুখ দুঃখের জীবন কাহিনী।
আমার ছেলেবেলা:
আমার গ্রামের বাড়ি ফেণী জেলায়। আমার বেড়ে ওঠা বাবা-মায়ের স্নেহতলে। তবে আমার জন্মস্থান এবং বেড়ে ওঠা ঢাকার জুরাইনে। আমরা দুই ভাই এক বোন। আমি আমার আম্মু আব্বুর বড় সন্তান। আমার পর আমার এক ছোট ভাই এবং ছোট এক বোন রয়েছে। আমার আম্মু গৃহিনী এবং আমার আব্বুর ছিলেন বিআইডব্লিউটিসি সরকারি কর্মকর্তা। বাবা মায়ের আদরের ছায়াতলে খুব ভালো চলছিল আমার ছেলে বেলা। পড়ালেখায় খুব আগ্রহী ছিলাম তাই আমাকে নিয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্নের সীমা ছিল না। আমিও তাদের সাথে খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু কথায় বলছ বেশি খুশি সবার কপালে সয় না। হয়তো অনেকের অতিরিক্ত সুখ সহ্য হয় না। আমারও ঠিক তেমন হয়েছে।
কি হয়েছিল আমার সুখের জীবনে তা বলব এখন।
সুখের সংসার বাবা-মাকে নিয়ে ভালো চলছিল। আব্বু যেহেতু সরকারি চাকরি করত তাই আমাদের কোনো অভাব ছিল না। অভাব কখনও আমাকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু আমাকে স্পর্শ করেছিল এক রাশ কষ্ট। হঠাৎ করে আমার সেই ছোটকালে আব্বু মারা যায়। অকালে হারিয়েছি আমার আব্বুকে। ছোটকাল থেকেই আব্বুর আদর ও শাসন তেমন পাওয়া হয়নি। বাবা বিহীন আমার শৈশব কেটেছে। শুরু হয়েছে সংগ্রামী কষ্টের জীবন। আমি যেহেতু বড় সন্তান ছিলাম তাই আমার ঘাড়ে অনেক দায়িত্ব চলে আসে।
ছোটবেলায় দেখেছি আমার আম্মা আমাদেরকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছেন। আমি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মাঝেও পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছি। পাশাপাশি টুকটাক নিজে কিছু করার চেষ্টা করেছি। কারণ আমি তো মায়ের বড় ছেলে। মায়ের কষ্ট গুলো ভাগ করে নেয়া আমার দরকার ছিল। মায়ের সাহায্য করতে চেষ্টা করেছি মাত্র। অনেক কষ্ট করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে আমি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নন অর্গানাইজেশন এর সাথে জড়িত ছিলাম এবং বিভিন্ন ভলান্টিয়ারিং কাজের সাথে জড়িত ছিলাম। অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করতে এবং তাদের কাজ করতে আমার অনেক ভালো লাগে।
ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর আমাদের বাবার মতো স্নেহ ভালবাসা দেয়ার চেষ্টা করেছেন আমার নানু। নানু সব সময় চেষ্টা করেছেন আমাদের ভালো রাখতে। কিন্তু নানুর আদর ভালবাসা কপালে সহ্য হলো না। নানু আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে যে কষ্ট পেয়েছি তার থেকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি আমার সবচেয়ে প্রিয় নানুকে হারিয়ে। কারণ বাবাকে হারানোর পর থেকে ছোটবেলা থেকেই এই নানুর কাছ থেকেই আমি অতিরিক্ত আদর সোহাগ ভালোবাসা পেয়েছি। আর বাবাকে হারানোর কষ্ট ভূলতে না ভূলতেই হারিয়ে ফেললাম নানুকে। অতঃপর অনেক বেশি কষ্ট যুক্ত জীবন কাটাতে হয় আমাদের।
বাবার মতন অভিভাবক না থাকার ফলে আত্মীয়-স্বজন থেকেও কেউ তেমন কোন দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়নি আমাদের। পড়াশোনা শেষ করে করে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি আবেদন করেও যখন চাকরি পাচ্ছিলাম না তখনই💎❤️Iqbal Bahar Zahid❤️💎স্যারের ভিডিও সেশন গুলো দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনে নিবন্ধিত হই। এই ফাউন্ডেশন থেকে এখন পর্যন্ত আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং শিখে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
প্রিয়💎❤️স্যারের❤️💎থেকে শেখার পাশাপাশি আমি শিখছি প্রিয় প্লাটফর্মের সবার থেকে। আমিও চান বিজনেস করতে। নিজের আত্মপরিচয় তৈরি করতে। স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি আমিও। তৈরি হতে চাই সফল একজন ব্যবসায়ী। বিজনেস আইডিয়া শিখছি স্যারের থেকে। এগিয়ে যেতে চাই আমিও।
চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রিয়💎❤️স্যারের❤️💎 নির্দেশনা মতো নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। করতে চাই নিজের একটা আত্মপরিচয়। প্রিয় প্লাটফর্মের প্রিয় ভাই ও বোনদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাই আমিও।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৫৯
তারিখ-০৪/০৩/২০২২
✍🏻মোঃ বোরহান উদ্দিন (টুটুল)।
💌 মেম্বারঃ নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্ম।
✅ব্যাচ নংঃ ১৩ তম
🔹রেজিষ্ট্রেশন নংঃ ৫৯৮১৭
🔆জোনঃ ঢাকা ওয়ারী
💉ব্লাড গ্রুপঃ বি নেগেটিভ
🎴থানাঃ কদমতলী।
✳️জেলাঃ ঢাকা-ফেণী।