" বৃষ্টি সবার জন্যে পড়ে,ভিজে কেউ কেউ "" আমি সেই কেউ কেউ এর একজন হতে চেষ্টা করছি,
"""""জীবন থেকে নেয়া গল্প''''''
# বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। আমি সর্বপ্রথম প্রশংসা করছি মহান রাব্বুল আলামিনের নামে। যিনি আমাকে দিয়েছেন সুস্থ একটি জীবন, দিয়েছেন ধৈর্য শক্তি , রক্ষা করে যাচ্ছেন এই মহামারীর থেকে। আলহামদুলিল্লাহ। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার বাবা- মা এবং আমাদের আইডল, ভালোবাসার ফেরিওয়ালা, আমার মতো লাখো মানুষের শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে। বাবা- মা এর পরেই যিনি নিঃস্বার্থ ভাবে আমার মতো সাধারণ মানুষকে নতুন করে বাচঁতে শিখিয়ে যাচ্ছেন, সুন্দর স্বপ্ন দেখতে নয় শুধু, সেই স্বপ্ন সফল করতে সাহায্য করে যাচ্ছেন। বাবা- মা একটা পরিবার দিয়েছেন, প্রিয় স্যার এতো বড় একটা সুন্দর পরিবার তৈরি করে দিয়েছেন আমাদের যেখানে বিন্দু মাত্র হিংসা বা ঝগড়া নেই কেবল সবাই এক সাথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আছে, আছে ভালো কাজ করার সুযোগ।
#আজ আমি আমার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে লিখবো, আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করবো আমার জীবনের কথা। আমার জীবনটা কেমন যেনো গল্প বা উপন্যাসের মতো। মাঝে মাঝে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই।আমার এই ছোট জীবনে কত রকম কাজ করেছি সেইটা বলতে চাই আপনাদের কাছে আমি মানুষের চাষের জমিতে কাজ করে যেই প্রয়জন্ত লেখাপড়া করেছি সেই প্রয়জন্ত এই সব কাজ করে আমার লেখা পড়ার খরচ জুগাড় করতাম।আমি রাজমিস্ত্রীর জুগাল দিয়েছি,নদিতে মাছ মেরেছি,ট্রাকের হেলপারি করেছি,শাড়ি লুংগি এবং সিটকাপড় পোড়াদহ থেকে নিয়ে সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রয় করেছি,আবুল খায়ের গ্রুপের সিকারেট কম্পানিতে চাকরি করেছি,বালির ঘাটে চাকরি করেছি,কাঠালের সিজেনে কাঠালের বাগান থেকে নিজে ভ্যান ভাড়া করে ভ্যান চালিয়ে কাঠাল কিনে নিয়ে এসে কাঠালের ব্যাবসা করেছি আমার এই ছোট জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি আমি। তার পরেও কেবল আমার জেদ, সবার ভালোবাসা আর পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে এখনো হাসি মুখে বলতে পারি আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
#আমি ২০০১ সালে এস এস সি পরিহ্মা দিয়েছিলাম। সেই পরিহ্মাই আমি পদার্থ বিজ্ঞানে ফেল করেছিলাম আর এই ফেল করার কারন ছিল আমাকে টাকার নেশায় এবং পরিবারের অভাব ভাইবোনের লেখাপড়া করার খরচ গোছানোর জন্য।আমি ওই প্রথম বার ফেল করেছিলাম।আমি পরিহ্মাই ফেল করেছি কিন্তু আমি ব্যাবসা এবং জীবনের কাছে ফেল করি নাই।এখন আমার পরিশ্রমের কারনে আমার ছোট ভাই টেক্সটাইল ডিজাইনার এর উপরে বি এস সি শেষ করে গাজিপুর চাকরি করতেছে,আমার ছোট বোন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে মেনেজমেন্ট এর উপরে থ্রাড ইয়ারে লেখাপড়া করতেছে,আমার মেজো ভাই এখন আমার বালির ব্যাবসা দেখাশুনা করতেছে,আমি এখন কুষ্টিয়া বাইপাস মোড়ে মটর পার্স এর শোরুম দিয়ে ব্যাবসা করতেছি।আমার যদিও কোন লেখাপড়ার ডিগ্রি নাই তারপরও আলহামদুলিল্লাহ আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ৮/১০ জন চাকরি করে তাদের সংসার চালাচ্ছে। সব মিলে আমি এখন ভাল আছি।আর ভাল থাকার একটা মন্ত্র হচ্ছে আমি এখনো আমার পিতা মাতা ভাই বোনকে নিয়ে এক সাথে আমার এবং আমার বাবামায়ের সাথে সংসার করে চলেছি।আপনারা আমাদের পরিবারে জন্য দোয়া করবেন।
আমার পরিবারের সদস্য,আমার পিতা মাতা,আমি,আমার স্ত্রি এবং আমার তিন ছেলে,আমার মেজো ভাই, মেজো ভাই এর স্ত্রি এবং মেজো ভাই এর দুই মেয়ে,আমার ছোট ভাই,ছোট ভাই এর স্ত্রি এবং আমার ছোট বোন। এই হচ্ছে আমাদের ছোট সংসার।আমার এই ছোট সংসার নিয়ে আমি এবং আমার পরিবারের সবাই এক সাথে থাকতে পারি আপনাদের কাছে সেই দোয়া চাই।
আমার জীবন কাহিনী
আমি পরিবারের সবাইকে ভাল রাখা এবং ভাল ভাবে নিজে ভাল থাকার জন্য কাজ বা ব্যাবসা করতে করতে কখন জেনো আমার বিয়ের বয়স হয়েছে আমি জানতে পারি নাই। এর মাঝে ২০১১ সালে ফেসবুক আইডি খুলে মাঝে মাঝে ফেসবুক চালাইতাম।হঠাৎ একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়লো মেয়েটার বাড়ি যশোর জেলায়।তার সাথে কথা হয়তো একদিন তাকে দেখতে গেলাম যশোর শহরে। অবশ্যই তার বাড়ি ছিল গ্রামে। দেখা করলাম দুইজন। ওই থেকে আমাদের কথা হয়তো প্রতিদিন। মেয়েটার চেহারা খুব একটা ভালছিল না। যায় হোক মোবাইলে কথা বলতাম এর মাঝে আমার পিতামাতা আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তাগাদা দিতে লাগলো। আমি তখন আমার পিতামাতাকে ওই মেয়ের কথা বললাম। আমার পিতামাতা বলতেছিল ওই মেয়ের চেহারা কেমুন? আমি বলেছিলাম চেহারা যায় হোক আমি ওই মেয়েকেই বিয়ে করবো।আমার পিতামাতা আমার কথায় রাজি হয়লো। ওই মেয়ের বাবাকে আমাদের বাড়িতে আসতে বলা হয় লো সে আসলো আমাদের বাড়িতে। আমাদের বাড়ি তখন সেমি পাকা করে শুরু করেছি কাজ চলতেছিল।ওই মেয়ের বাবা আমাদের বাড়ি দেখে চলে গেলো। ওই মেয়েদের অবস্থা আবার আমাদের চাইতে একটু ভাল ছিল।তার বাবা বাড়িতে গিয়ে আমার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়লো না।তারপরও আমাদের দুইজনের কথা চলতে থাকলো।এক সময় ওই মেয়ের বাবা বিয়ে দিতে রাজি হয়লো।কিন্তু সে একটা শত্য দিয়ে দিল যে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হলে দেনমোহর হতে হবে পাচ লাখ টাকা। পরে ওই মেয়ের বাবা এবং আমার বাবার সাথে কথার মাধ্যমে মিট হয় তিন লাখ টাকা। বিয়ের ডেট হয়লো ২৫/০৪/২০১২। বিয়ে করতে গেলাম। বিয়েতে যত বর যাত্রি গিয়েছিল সবাই বলতেছিল এই ছেলে বিয়ে করতেছে মেয়েকে না মেয়ের বাবার সম্পদকে। এই সব শুনেছিলাম কারন একটাই ওই মেয়েকে আমি মণ থেকে ভালবাসাতাম।যায় হোক সেই মেয়েটা সেই দিন থেকে আমার স্ত্রি হয়ে গেল।বিয়ে করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসলাম।সংসার শুরু হলো।এত দিন ছিলাম এক যুদ্ধ্যে আর বিয়ে করে নিয়ে এসে শুরু হয়লো আর একটা যুদ্ধ। সেইটা হচ্ছে বউ শাশুড়ীর যুদ্ধু। কাজের সেশে বাড়ী গেলে মায়ের নালিশ আর বউ এর নালিশ শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম।তারপর দেখলাম আমার বউ এক সাথের সংসার করতে চাইনা। এ দিকে আমার সংসার শুরু করার অনেক দিন হয়ে গিয়েছে।আমি মা কে বুঝাতাম আবার আমার বউকে বুঝাতাম সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য।আমার স্ত্রিকে নিয়ে ডক্তারের কাছে গেলাম আমার এবং আমার স্ত্রিকে অনেক পরিহ্মা দিয়েছিল করালাম পরিহ্মা । ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখালাম ডাক্তার দেখে বললো সবই ঠিক আছে।কিন্তু চাপাই দিলো ওষুধের বুঝা সেই থেকে কত যে ডাক্তার কবিরাজকে দেখালাম আর ওষুধ আর গাছগাছাড়া খেয়েছিলাম। আল্লাহ আমাদের কোন সু সংবাদ দিল না। এ দিকে বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ বেড়েই চলেছে। আর আমার বউকে বেশি ভালবাসার জন্য আমার পকেট থেকে টাকা হারানো শুরু হয়লো।আমি নিজেও জানতাম আমার স্ত্রি আমার পকেট থেকে টাকা নিয়ে একটা জিনিস কিনে আর বলে আমার বাবা দিয়েছে।বেশি ভালাবাসায় অন্ধ হয়ে আমিও কিছু বলি নাই কখনো।এই ভাবে আমার বিয়ের বয়স প্রায় ছয় বছর হয়ে গিয়েছে।আমার স্ত্রির চাহিদা বেড়েই চলেছে এবং সে সংসার আলাদা করার জন্য চাপ দিতে শুরু করে এবং আমার সাথে অশান্তি শুরু করে দিলো।এই অশান্তিতে আমি অতিস্ত্র হয়ে আমার শশুরকে জানালাম। তার কথা শুনে আমি আরো অতিষ্ট্র হয়ে গেলাম।আমার শশুর মেয়েকে তো বুঝাইলোই না আবার আমাকে ভয় দিল যে আমার মেয়ে তুমার সাথে সংসার করবে কিন্তু তাকে নিয়ে আলাদা থাকতে হবে।তখন এই কথা শুনে আমি আর আমার এক তরফা ভালবাসাকে টিকি রাখতে পারলাম না।আমি আমার শশুরকে তার মেয়েকে তাদের বাড়িতে কিছু দিন এর জন্য নিয়ে যেতে বললাম সে এসে নিয়ে গেল আমার স্ত্রিকে।এই ভাবে প্রায় একমাস পরে আমার স্ত্রি আমাকে বললো আমি আর তুমার সাথে অশান্তি করবো না।আমিও দেখলাম মানুষ মাত্রই ভুল হয়।সেইটা ভেবে আমার বাড়িতে আমার স্ত্রিকে নিয়ে আসলাম।এক দুইদিন ভাল ভাবে থাকলো। আবার শুরু করে দিল অশান্তি। আমি আবার আমার শশুরকে তার মেয়ের নালিশ দিলাম।সে আমাকে বলেই বসলো তুমার কাছে আমার মেয়েকে রাখবোনা আমার। এবং বললো আমরা তুমার বাড়িতে আসতেছি। তারা দেখি কিছু মানুষ নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসলো এসে বললো আমার মেয়ে তুমার সংসার করবে না।আমার তো মাথায় কালবৈশাখী ঝড়ের আবাস চেপে বসলো। এবং আমার শশুর শাশুড়ী এবং আমার সেই ভালবাসার স্ত্রি বলে বসলো আমার প্রবলেম আছে। প্রবলেম বলতে আমার সন্তান জন্ম দেওয়ার শক্তি নাই।আমি এই কথা শুনে আর আমার ভালবাসাকে টিকিয়ে রাখতে পারলাম না। আমি আমাদের এখানের কাজিকে ডেকে দুই পহ্ম্য বসে আমার স্ত্রিকে তার তিন লাখ টাকা দেনমহোর পরিশোধ করে তালাক দিয়ে। গুমরে গুমরে কেদে বাড়ি থেকে কিছু দিনের জন্য কুষ্টিয়া শহরে একটা ফ্লাট ভাড়া করে থাকতে লাগলাম।যায় হোক যেই দিন আমার প্রথম ভালবাসার ইতি টানতে হয়েছিল সেই দিনটা এখনো আমায় কাদায় সেই দিন হচ্ছে ৩০/০৬/২০১৮ এই দিন আমার জীবনের কালো দিন।যায় হোক আমি তো কষ্টে দুখে বাড় যাওয়া বন্ধ করে দিলাম।আমার জীবনে এমন একটা মেয়েকে ভালবেসে ছিলাম আমার জানা ছিল না।সে আমার বদনাম করেই খ্যান্ত দেই নি সে আমার টাকার কিনা যত প্রকার আসবা পত্র ছিল সব নিয়ে গিয়েছিল আর মানুষের মাঝে প্রচার করেছিল সব কিছু আমার বাবা দিয়েছে।ওই সকল কিছু নিয়ে যাওয়া দেখে আমার মা আমাকে মোবাইল করে বলতেছিল আর আমি শুনতে ছিলাম।আমি আমার মায়ের কাছে সব শুনে আমার মাকে সেই দিন বলেছিলাম সে যা নিয়ে যায় নিয়ে যেতে দাও বাধা দিওনা।আর আমি মায়ের কথায় মণে মণে বলতেছিলাম যে ভালাবাসার মানুষ আজকে আমার টাকার মালামালকে নিজের বাবার টাকার মালামাল বানিয়ে দিল।পৃথিবীতে নারী নির্যাতন করার কথা কিন্তু সবার মুখে মুখে।কিন্তু আমার মত কত পুরুষ যে নির্যাতন এর শিখার হচ্ছে নারীদের কাছে তা হয় তো কেও জানেনা ।তারপরও বলতে চাই নারী মানে আমার মা,পুরুষ মানেই আমার বাবা।পৃথিবীতে সব মেয়েই কিন্তু খারাপ না তেমন পৃথিবীতে সব ছেলেই কিন্তু খারাপ না।যায় হোক আমি এই ভাবে বাসায় থাকতে থাকলাম কিন্তু আমার মায়ের ভালবাসা আর আমার মায়ের কান্না আমাকে বাইরের বাসায় থাকতে দিল না।আসলাম বাড়িতে কিছু দিন পরে আমার পিতামাতা আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করলো।কিন্তু আমি আমার মাকে বলেদিলাম আমি আর কখনোই বিয়ে করবো না।যেহেতু আমার বদনাম দিয়ে গিয়েছে আমার সেই বেশি ভালবসার মানুষটা।তারপরও আর পারলাম না আমার মায়ের কথা ফেলতে। মায়ের অনুরোধে গেলাম এক অবিবাহিতা এক মেয়েকে দেখতে।দেখলাম কথা হয়লো চলে আসলাম বাড়িতে। রাতে বিসানায় শুয়েপড়ে অনেক বার ভাবলাম। লাস্ট ভেবে দেখলাম আমি একজন বিবাহিতা অতএব আমি অবিবাহিতা মেয়ে বিয়ে করবো না।সেশ প্রয়জন্ত এক বিবাহিতা মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হয়লো।বিয়ে করতে গেলাম ১৫/০৮/২০১৮ তে।বিয়ে করে নিয়ে এসে আমার স্ত্রিকে প্রথম দিনেই বলেছিলাম আজ থেকে তুমি আমার পরিবারের একজন আজীবন সদস্য হয়ে এসেছো। অতএব এই সংসার আজ থেকে তুমার আমার এবং আমার পরিবারের সবার।এই ভাবেই শুরু হয়লো আমাদের সংসার। আল্লাহর অসেশ নিয়ামতে আমার সেই বদনামকে দূরে ফেলে দিয়ে আমার সংসারে তিন ছেলে দিয়েছে আল্লাহ আমাকে।আমি সব সময় আমার আল্লাহর উপর ভরসা রাখি।আমি জানি আল্লাহ আমাকে কখনো বিফল করবেনা এটা আমার আল্লাহর উপর বিস্বাস এর সুফল।
আমার জীবনের অনেক গল্প আছে। আর একদিন আপনাদের আমার বাকি গল্প শুনাবো।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনাদের কাছে আমার তিন ছেলে সহ আমার পরিবারের সবার জন্য দোয়া চাই।আমি জেনো আমার পরিবারের সাথে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত থাকতে পারি।
# ব্যাবসা
আমি ২০০০ সাল থেকে ব্যাবসা করি কুষ্টিয়া কবর স্থান বালির ঘাটে বালির ব্যাবসা।আমার বালির ব্যাবসা অনেক বড় ব্যাবসা বালির ঘাটে সবাই আমাকে চিনে শরিফুল হিসেবে।কারন আমার দাদি নামা রেখেছিল জিয়াউর রহমান আর আমার নানি আমার নাম রেখে ছিল শরিফুল। আমার বালির ব্যাবসা যেহেতু আমার মামাদের বাড়ির পাশে সেই জন্য বালির ঘাটের সবাই আমাকে শরিফুল হিসেবে চিনে।আর আমি লেখাপড়া করেছি আমার নিজের এলাকায় তাই আমাকে আমার নিজের এলাকার সবাই আমাকে জিয়াউর রহমান হিসেবে চিনে।যায় হক আমি ২০২১ সাল থেকে কুষ্টিয়া বাইপাস মোড়ে একটা মটর গাড়ি স্প্রিং পাতি ও রিকন্ডিশ এর শোরুম দিয়েছি। আমি যে দিন থেকে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হয়ে উদ্দ্যেক্তা হওয়ার চেষ্টায় কিছু অরগানিক খাবার নিয়ে কাজ শুরু করেছি, কুষ্টিয়া জেলার তিলের খাজা,খাটি সরিষার তেল,সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু এবং সিজেনারি খেজুরের গুড় নিয়ে কাজ শুর করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
@কবিতা:
মানুষ চেনা দায়
কন্ঠ স্বভাব চেহারাতে
বনের পশু চেনা যায়,
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ মানুষ ভবে
তাকে চেনা বড় দায়।
হিংস্র পশু পোষ মেনে যায়
আদর যত্ন দিলে খুব,
সুযোগ পেলেই কতক মানুষ
স্বার্থ নদে মারে ডুব।
যতই দিবে খাওয়াপরা
রাখবে না সে নুনের গুণ,
লোভের বশে ছুরি মেরে
করতে পারবে তোমায় খুন।
অনেক ক্ষেত্রেই অকৃতজ্ঞ
বলার মত ভাষা নাই,
বেঈমানিতে সেরা মানুষ
পৃথিবীর মাঝ দেখতে পাই।
মনের পশু মেরে সবে
চলো মোরা মানুষ হই,
নইলে ধরায় লজ্জা পাবে
পশু বলবে মানুষ কই?
#পাশাপাশি আমি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত আছি। আমি প্রচন্ড মানসিক বিপর্যয়ে কাটিয়েছি, তাই আমি আমার বাড়ীর আসে পাসে এবং আমার আত্তীয় সজনের মধ্যে যারা অভাব কিংবা যে কোন বিপদে পড়লে আমি যত টুকু পারি সাহায্য করে চলেছি।আমি সব সময় দুস্থ মানুষের সেবাই নিয়োজিত থাকি।আমি আমার পিতামাতাকে সব সময় ভালবেসে চলেছি।আমার ভাই বোনদের এক সাথে নিয়ে চলতেছি।আমার সব চাইতে ভাল লাগে কখন জানেন আমি যেই দিন একটা পংগু অশহায় মানুষকে সাহায্য করি সেই দিন।আমি সব সময় প্রিয় স্যারের কথা গুলা বুকে ধারন করে চলেছি। স্যারের একটা কথা আমার কানে সব সময়ই বাজে, "" বৃষ্টি সবার জন্যে পড়ে,ভিজে কেউ কেউ "" আমি সেই কেউ কেউ এর একজন হতে চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি যদি কোনদিন স্যারের সামনে দাঁড়াতে পারি তবে সেদিন যেনো বলতে পারি, স্যার আমি আপনার শিক্ষায় আজ একজন ভালো মানুষ হয়েছি। স্যারকে স্যালুট জানাই। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্যে, আমার তিন ছেলের জন্যে এবং আমার পরিবারের জন্য।আমি একজন সফল ব্যাবসায়ী তবে আমি একজন সফল উদ্দ্যেক্তা হওয়ার চেষ্টাই যুক্ত আছি প্রিয় ফাউন্ডেশনের সাথে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি আমার জীবনের গল্প এবং আমার ব্যাবসা সহ উদ্দ্যেক্তার কথা প্রিয় স্যারের ইউটিউব লাইভ চ্যানেলে গিয়ে প্রিয় স্যার সহ সারা বিশ্ববাসীকে শুনাতে পারি। আমি একজন ভালো মানুষ হয়েছি, যার পেছনে একজন মানুষের অবদান রয়েছে, আর তিনি হলেন, @iqbal bahar zahid"স্যার ।।
আমি মানবিক কুষ্টিয়া জেলার ছেলে। আমার নিজের জেলাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার লহ্ম্যে কাজ করতেছি। তাই প্রিয় প্লাটফর্ম এর সকল ভাই ও বোনেরা আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা পেলে আমি অনেক দূরে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমার সাথে আমার পিতামাতা দোয়া সব সময় আছে কারন আমি যেই দিন থেকে কথা বলা শিখেছি সেই দিন থেকেই আমি আমার পিতামাতাকে ভালবাসি এবং মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত ভালবেসে যাবো।আমার পিতামাতার দোয়ার সাথে আপনাদের দোয়া এড হলে আমি অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো।
#আমার কিছু ভাল কাজ
আমি নামাজ আদায় করি, জীবনে কোন দিন কোন নেশায় জড়াই নাই,আমি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের সেবা করার।সবার সাথে ভাল ব্যাবহার ও সুন্দর কথা বলার চেষ্টা করি।
আমি বেশি লেখাপড়া জানিনা।প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ট্রুটি হলে হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর আপনার মণে যদি আমার জন্য একটুও ভালবাসা তৈরি হয় তাহলে লাইক কমেন্টস করে সাথে থাকবেন আশাকরি। আর পারলে আমার পেজ থেকে ঘুরে আসবেন।
🚩পেইজ / মায়ের মণি ফুড প্রডাক্ট সেন্টার .
https://www.facebook.com/মায়ের-মণি-ফুড-প্রডাক্ট-সেন্টার-108430504417427/