একজন_মাঝারি_শারীরিক_প্রতিবন্ধীর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
#আসসালামু_আলাইকুম
#আমার_জীবনের_গল্প
আমি কামরুল ইসলাম বাবু
#একজন_মাঝারি_শারীরিক_প্রতিবন্ধী...!
#প্রথমেই
আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি শুখরিয়া জানাই..
মহান রাব্বুল আলামিন,আল্লাহ আমাদের কে
সুস্থ সবল ভালো রেখেছেন,, #আমিন।
রাসুলে (স:) এর প্রতি কোটি কোটি দরুদ ও সালাম হাজারো ভালোবাসা আমার মা-বাবার প্রতি..💕
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেবা যত্ন করে
বড় করেছেন গড়ে তুলেছেন
মানুষের মত মানুষ হিসাবে।
--------------------------------------------💖
#কৃতজ্ঞতা
সবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
কৃতজ্ঞতা দেশ ও জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান....
লাখো পথ হারা হতাশাগ্রস্থ যুবক যুবতীর
তরুন তরুনীর আইডল সকলের প্রানের প্রিয়
জনাবঃ iqbal bahar Zahid স্যারের প্রতি
যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
সূর্য যেমন আমাদের আলো দেয়
চাঁদ আমাদের অন্ধকার আঁধার রাত কে
জোছনার আলোতে আলোকিত করে
তেমনি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার
আমাদের কয়েক লক্ষ হতাশাগ্রস্ত বেকার যুবকদের হৃদয়ের আলো জ্বেলেছেন
তাই স্যারকে আমি একটা নক্ষত্র মনে করে
হৃদয়ে জায়গা দিয়েছি..!
এবং স্যার যেন দীর্ঘজীবী হয়
আল্লাহুর কাছে সেই দোয়া ও কামনা করি। 🤲
এই ফাউন্ডেশন কে ভালবেসে..
একজন গর্বীত সদস্য হতে পেরে...
নিজেকে ধন্য মনে করছি..!
আজ নিজের জীবনের একটা গল্প
লিখার মত সাহস, মানুষিকতা সৃষ্টি হয়েছে...!
____________________
#আমার_জন্মস্থান_ফেনী_জেলার
ফুলগাজী উপজেলায়। জন্ম সাল ১২/০৯/১৯৯০/
আমার বাবা-মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে
আমি বড়, আমার ছোট দুই বোন আছে।
আমার বাবা এবং মা দুই পরিবারের
বড় সন্তান, সেই সুবাদে দুই পরিবারের
বড় নাতি আমি, অনেক আদর ভালবাসার
মধ্যে আমি বড় হয়েছি।
আমাকে সবাই এতো বেশি আদর ভালবাসতো
যে অনেকেই হিংসে করতো আমাকে
,তখনো কেউ জানেনা একটা
রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসছি আমি।
যখন বড় হতে লাগলাম সমস্যাটা
সবার চোখে পরলো! মানুষের রক্তের মধ্যে ১৩টি ফ্যাক্টর থাকে তার মধ্যে একটি ফ্যাক্টর
আমার রক্তে নেই,যার কারণে আমার
রক্তটা পাতলা পানির মত।
এই জন্য কোথাও একটু কাটা গেলে
অনেক ব্লিডিং হয়,একটু ব্যাথা পেলে
ভিতরে ভিতরে ব্লিডিং হয়ে জায়গাটা
অনেক ফুলে যায় অনেক ব্যথা করে,
তখন আর চলাফেরা করতে পারি না,
অনেক ব্যথা করে বিছানায় থাকতে হয় একদম।
এভাবে চলতে থাকে,এভাবে দিন যায়,
দুই তিন মাস ও বিছানায় থাকতে হয়,
তারপর আস্তে আস্তে কমে।
এইভাবে চলতে থাকে আমিও আস্তে আস্তে
বড় হতে লাগলাম।
ছাত্র হিসাবে আমি খারাপ ছিলাম না,
আমার অসুস্থতার জন্য পড়ালেখাটা
আর করা হয়নি।
আমাকে যখন সুন্নতে খাতনা করা হয়
রক্ত যেতে যেতে আমার পুরা শরীর সাদা হয়ে যায় তখন আর আমার শরীরে রক্ত নেই!
এরপর সাদা পানি বের হতে থাকে।
হসপিটালে নাওয়ার পর ডাক্তার আমার
বাবা কে বলে আপনার ছেলেকে
আর একটু দেরি করে নিয়ে আসলে
আর বাঁচানো সম্ভব হত না....🤧
এরপর আমাকে রক্ত দেওয়া হলে
তারপর আমার ব্লিডিং বন্ধ হয়।
এরপরে আমার বাবা আমাকে নিয়ে
ঢাকায় আসেন। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে
আমার বাবাকে বললো আপনার
এত সুন্দর একটা ছেলে আল্লাহ্ তাকে
এত বড় একটা অসুখ দিয়েছে যেটার কোনো
চিকিৎসা নেই....!....😭
সে যতদিন বেঁচে থাকবে এটা নিয়ে বাঁচতে হবে...😢
তবে বড় হতে হতে সমস্যাটা একটু কমবে।
এরপর আমার SSC পরীক্ষা আসে
তখনও আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি
তাই আর পরীক্ষা দেওয়া হলো না
পড়ালেখাও আর করা হলো না।..😒
আমার সমবয়সী সবাই কেউ পড়ালেখা করতেছে
কেউ কর্ম করতেছে আর আমি অসুস্থ
হয়ে পড়ে থাকি আবার কিছুদিন ভাল থাকি
এভাবে চলতে থাকে।
যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি এত বেশি ব্যথা করে
যে ছোট বাচ্চার মত চিৎকার করে কান্না করি
আর আমার পাশে বসে
আমার মা-বাবা কান্না করে.....😭😢🤧
আমার আত্মীয়-স্বজন এসে
আমাকে দেখে কান্না করে...🤧🤧
খারাপ লাগে আমার বাবার দিকে তাকালে
আমার জন্য শুধু করে যাচ্ছেন
আমি কিছুই করতে পারছি না
হয়তো কিছুই করতে পারবো না।
আমার বাবা পেশায় একজন টেইলার্স,
আমি আমার বাবাকে নিয়ে গর্ববোধ করি...✊
কারন আমার বাবা একজন সৎ মানুষ।
আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব আমার বাবা।
আমি আমার জীবনে আমার বাবার মত
এমন সৎ নিষ্ঠাবান মানুষ আমি দেখিনি....💖
এরপরে আমি আস্তে আস্তে একা হয়ে পড়ি
বিষন্নতা আমাকে ঘিরে ধরে আমি চিন্তা করি কি হবে আমার জীবনে কিভাবে চলবে আমার জীবন।
অসুস্থতার জন্য না হলো আমার পড়ালেখা না হলো আমার কর্মজীবন। আমার সমবয়সী এবং আমার থেকে বয়সে ছোট রাও কর্ম করতেছে কি সুন্দর জীবনযাপন করতেছে এগুলা দেখে আমার অনেক বেশি খারাপ লাগে আমি অনেক বিষন্ন হয়ে পড়ি।
তখন আমি ফেসবুকে সময় পার করি।
একদিন একটা পোষ্ট দেখি
একজন মডারেটর লাগবে,
আমি এমনি কমেন্ট করলাম আমি হতে চাই
কিছু দিন পর আমাকে মেসেজ করে বললো
যে উনারা আমাকে একটা গ্রুপ দিবে
ওই গ্রুপে আমি মেম্বার অ্যাড করব
এবং তাদের প্রোডাক্ট সেল করব।
তাদের প্রোডাক্ট সেল করলে ১০০ টাকার মধ্যে
পাঁচ টাকা আমাকে দিবে।
আমি ০৫ টাকাটা ছোট করে না দেখে
কাজ শুরু করলাম।....!
করতে করতে অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে
আস্তে আস্তে জানতে পারলাম।
একটা সময় আমি সিদ্ধান্ত নিলাম
আমি নিজে কাছ শুরু করব এরপর থেকে
আমি রিসেলার হয়ে কাজ শুরু করি।
রিসেল করে কিছু টাকা জমিয়ে
এখন কিছু শার্ট স্টক করছি তার পাশাপাশি
রিসেল ও করি। #আলহামদুলিল্লাহ্
এখন আমি মানসিকভাবে কিছুটা ভাল আছি
মোটামুটি নিজে চলতে পারতেছি
কিছু মানুষের সাথে যোগাযোগ হয়
কথা হয় ভাল লাগে।....🌹
কিছুদিন আগে এক আপুর সাথে কথা বলার সুবাদে #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন
সম্পর্কে জানতে পারলাম।
এবং রেজিস্ট্রেশন করলাম ১৭ তম ব্যাচে।
আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর প্রিয় ব্যক্তিত্ব
শ্রদ্ধেয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি।
আমাদের এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম
তৈরি করে দিয়েছেন।
যেখানে আছেন লাখো লাখো ভাই বোন
একে অপরের সাথে আছে একটা
পরিবারের মত সবার ভালবাসা
এবং স্যার এর অনুপ্রেরণায়
আমিও এখন স্বপ্ন দেখি
একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার
নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি করার।
নিয়মিত শেসন চর্চা ক্লাসে অংশগ্রহণ করছি
একজন ভাল মানুষের চর্চা করছি।
আশা করি সবাই আমার পাশে থাকবেন
আমাকে সাহায্য করবেন
তবে দয়া বা করুণা করবেন না....!
#আমি কর্ম করে সম্মানের সাথে
বাঁচতে চাই কারো দয়া বা করুণায় না...🤲
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৪৭
Date:- ১৭/০২/২০২২ইং
✅ কামরুল ইসলাম বাবু
✅ জেলা: ফেনী।
✅ বর্তমান: ফেনী।
✅ব্যাচ নং:১৭
✅ রেজিস্ট্রেশনঃ ৮২৮০৮
✅কাজ করছি ছেলেদের শার্ট,টি-শার্ট
✅কুমিল্লার খাদি পাঞ্জাবি নিয়ে।
✅পেজ লিংক👇https://www.facebook.com/kibaEc/
✅ আশা করি আমার উদ্যোগের সাথে
থেকে আমাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবেন।
🌹 ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে আমার গল্পটা পড়ার জন্য।