সফল উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকব। অনেক অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন ও বর্তমান কঠিন মহামারীর মধ্যে অনেক মানুষের চেয়ে আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন ও ভালো রেখেছেন। তাই আমরা মহব্বতের সহিত অন্তর থেকে শুকরিয়া আদায় করি। আলহামদুলিল্লাহ।
লক্ষ কোটি দুরূদ ও সালাম পেশ করতেছি। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর।
সম্মানের সহিত ও শ্রদ্ধার সহিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেছি। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষের মনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার ও তরুণ-তরুণীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার সফল উদ্যোক্তা ও ভালো মানুষ বানানোর।
যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক আমাদের সবার হৃদয়ের স্পন্দন জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে প্রিয় স্যার কে নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর সবার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইয়া ও আপু কে। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রিয় প্ল্যাটফর্ম দিনদিন অনেক অনেক উন্নতি হচ্ছে। তাই আপনাদের সবাইকে প্রিয় প্ল্যাটপর্মের সবার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রিয় প্ল্যাটফর্মের নতুন ও পুরাতন সমস্ত ভাইয়া ও আপু কে ভালোবাসার প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমার জীবনের কষ্টের গল্প শোনাবো ভালোবেসে পড়লে অনেক খুশি হব।
আমার আম্মু বলেছেন আমি নাকি আমার নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছি। কষ্টের কথা হল তখন আমার আম্মু অনেক অসুস্থ হয়ে যান।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তখন আমার আব্বু আমাদের সাথে ছিলেন না। তখন আমার নানা আমার আম্মুকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং অনেক টাকা খরচ করে সুস্থ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আমার নানার ফ্যামিলি অনেক বড় এবং অভাবের সংসার তাই বেশিদিন ওইখানে থাকতে পারিনি। তারপর আমরা দাদার বাড়িতে চলে যাই।
কিন্তু কষ্টের কথা হল তখন ফ্যামিলিতে ঠিকমতো আমার আব্বু টাকা না দেওয়ার কারণে আমাদের কে পৃথক করে দেয়। তখন থেকেই আমাদের জীবনে দুঃখ আর কষ্ট নেমে আসে।
আমার আম্মু কত বেলা না খেয়ে ছিল তা আম্মু ছাড়া কেউ জানে না। ঘরে কিছুই না থাকার কারণে আম্মু আমাকে সব সময় পান্তা ভাত দিতো। আমি ক্ষুধার জ্বালায় তা খেয়ে ফেলতাম।
এভাবে অনেক দিন যাওয়ার পরে আমার আম্মু আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। স্কুলে তিন বছর পড়ার পর আমার আম্মু আমাকে আবার মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন।
আমার আব্বু ঠিকমতো টাকা না দেওয়ার কারণে আমাদের আবার কষ্ট শুরু হয়ে যায়। তখন আমি আমার নানার বাড়ি থেকে দিনে এবং রাতে বিভিন্ন সময়ে চাল ডাল ও বিভিন্ন খাবার নিয়ে আসতাম।
হঠাৎ আমাদের খুশির খবর আসলো। আমার আব্বু টাকা কামানোর জন্য বিদেশ চলে গেল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমার আব্বু ঠিকমতো আমাদেরকে টাকা দিতো না। তখন আবার আমাদের কষ্টের জীবন শুরু হয়ে গেল।
ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে দিনে এবং রাতে আমার প্রিয় খালার বাড়ি থেকে চাল ডাল ও বিভিন্ন খাবার নিয়ে আসতাম। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পরে আমার আব্বু আমার এক বড় ভাইয়ার মুদি দোকানে টাকা দিত।
প্রায় আমাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে। ধানক্ষেতের উপর দিয়ে যেতে হতো। আমি বাজারের ব্যাগ নিয়ে ধানক্ষেতের উপর মনে মনে ভাবতাম আমার জীবনটা মনে হয় অনেক কষ্টের জীবনে মনে হয় সুখ পাবো না।
তারপর আমার প্রিয় বড় মামা ভালো শিক্ষার জন্য আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। ঢাকা কল্যাণপুর এক বড় মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়।
তখন আমি আমার আম্মুর ভালোবাসায় ও বাড়ির মায়ায় কত রাত কান্না করে বালিশ ভিজিয়ে ফেলেছি তা আমি ছাড়া কেউ জানেনা।
আর মাদ্রাসার খাবার খেয়ে কয়দিন পরপর আমি অসুস্থ হয়ে যেতাম এভাবে চার বছর ঢাকাতে পড়ার পর আবার দেশে ফিরে যাই।
তারপর আলিয়া তে ভর্তি হয়ে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়ি টাকার অভাবে পড়ালেখা না করে কাজ শেখা শুরু করি। প্রায় 1 মাইল দূরে একজন ভালো শিক্ষকের কাছে ইলেক্ট্রিকের কাজ শেখা শুরু করি।
ঠিকমতো কাজ না থাকার কারণে ও কোন টাকা পয়সা না দেওয়ার কারণে আরেকজনের সাথে কাজ করা শুরু করি। তার কিছুদিন পর ভালোভাবে শিখার জন্য ও বিদেশ যাওয়ার জন্য ঢাকায় আসি।
ঢাকার নবাবপুরে একজন শিক্ষকের কাছে ইলেক্ট্রিকের কাজ শুরু করি।
কিন্তু বড় বড় বিল্ডিং এর কাজ বাইরে থেকে করার কারণে আমি অনেক ভয় পেতাম বিল্ডিং থেকে একবার পড়ে গেলে আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে। কারন আমার সাহস একটু কম ছিল।
তাই ইলেকট্রিকের কাজটাও ছেড়েদি। তারপর সিএনজি চালানো শিখা শুরু করি। স্বপ্ন ছিল হাইস মাইক্রো চালাবো কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তা আর বাস্তবায়ন হলো না।
কারণ গাড়ি চালাতে অনেক সাহস লাগে আমার ওই পরিমাণ সাহস নাই। তারপর বেকার থাকার কারণে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার মানুষের কথা শুনতে হয়। তখন জেদ করে আবার ঢাকায় ফিরে আসি।
কিন্তু ঢাকায় এসে আমি হতাশ হয়ে যায় কি করব তা বুঝে উঠতে পারতেছি না। তখন আমার হঠাৎ এক প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা হয়।
সে ঢাকা ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় পড়তো। প্রিয় বন্ধু আমাকে আশ্রয় দেয় খাওয়া থাকা দেয়। এবং ভালো বুদ্ধি দেয় যে নূরানী ওয়াকফ এস্টেট এর ট্রেনিং দিয়ে শিক্ষকতা করার জন্য।
বন্ধুর পরামর্শে মোহাম্মদপুর সাত মসজিদে নূরানী ট্রেনিং সেন্টারে। ট্রেনিং দিয়ে শ্যামলী এক মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে খেদমত করি।
প্রায় এক বছর আমি প্রথমে মনে করতাম চাকরি করার মধ্যেই অনেক শান্ত। কিন্তু দুংখের কথা হলো সেখানে ও আমার কোনো স্বাধীনতা ছিল না।
মাদ্রাসার মুহতামিমের কথায় সব সময় চলতে হত।
শুক্রবারেও কোন স্বাধীনতা ছিল না। এমনকি শুক্রবারে সকাল ও বিকালে ক্লাস হত। আমার বিন্দু পরিমানও স্বাধীনতা ছিল না।
তখন থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন কিছু করব এবং স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করব। তারপর মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করা শুরু করলাম যাতে আল্লাহর ঘর মসজিদের খেদমত করতে পারি।
আল্লাহ আমার মনের স্বপ্ন আমার এক প্রিয় বন্ধুর মাধ্যমে পূরণ করে দিলেন। তারপর থেকে আমি ঢাকা সদরঘাট এক মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসাবে খেদমত করতেছি।
আল্লাহর ঘর মসজিদ এর খেদমত করতে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এখানেও স্বাধীনতা নাই। সব সময় কমিটির কথা মত চলতে হয়।
মাঝে মাঝে অফিসে সময় দিতে হবে। বেতন ছিল মাত্র 8000 টাকা এবং ঐ মাসেই বেতন বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো। তার কিছুদিন পরেই করোনা চলে আসে।
তখন আর বেতন বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
আমাদের দ্বিতীয় ইমাম খেদমত ছেড়ে দিয়েছেন। তাই ওনার পরিবর্তে আমি দ্বিতীয় জামাত পড়াতাম।তার কিছুদিন পর আমি বেতন বাড়ানোর আবেদন করলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল দ্বিতীয় জামাত বন্ধ করে দিয়েছে। একটি জামাত চালু রেখেছেন।
এভাবে কিছু দিন চলল। তারপর আমাকে দায়িত্ব দিল। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে রাত্র আটটা পর্যন্ত। অফিসে বসতে হবে। তখন আমি বেতন বাড়ানোর জন্য।
আবেদন করলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো উনারা বললেন যে ওনারা বেতন বাড়াতে পারবেন না থাকলে থাকেন না থাকলে চলে যান।
এবং উনারা মিটিং এর মধ্যে আমাকে নিয়ে অনেক মন্তব্য করেছেন যা বলার মতো না। তারপর আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে।
অশ্রুভরা চোখে মোনাজাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা শুরু করলাম। সাথে সাথে বিভিন্ন মসজিদের মোয়াজ্জেন দের সাথে সুসম্পর্ক করে।
অন্য মসজিদে খেদমত করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবার কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করলাম।
সবাই বললো ভাইয়া আপনি অনেক ভালো মানুষ তাই আমরা সবাই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব আপনাকে ভালো একটি মসজিদের খেদমতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।
আমি হতাশ হয়ে ইউটিউব চ্যানেলের মোটিভেশনাল স্পিকারদের লেকচার শুনতাম। হঠাৎ একদিন প্রিয় স্যারের একটি লেকচার শুনি। স্যারের লেকচার শুনে আমি স্যারের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে যাই।
তারপরে স্যারের ইউটিউব চ্যানেলের অনেক গুলু ভিডিও দেখে। স্যারের প্রিয় ছাত্র হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে যায়। তারপর আমাদের গ্রুপের এক ভাইয়ার পরামর্শের মাধ্যমে রেজিষ্টেশন করে ফেলি। তখন থেকে আমি অনেক আনন্দিত প্রিয় স্যারের ১৬ তম ব্যাচের ছাত্র হতে পেরে।
তারপর এক ভাইয়ের মাধ্যমে লালবাগ সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হই। এক আপুর মাধ্যমে নোয়াখালী সেশন চর্চা ক্লাসে ও যুক্ত হই। লালবাগ জোনের ও নোয়াখালী জেলার সমস্ত ভাইয়া ও আপুদের অনুপ্রেরণায় ও ভালোবাসায়। অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি।
আমি আগে সব সময় হতাশ অবস্থায় থাকতাম। আমার দ্বারা কিছু হবে না। আমি জীবনে ভালো কিছু করতে পারবোনা।
আমার জীবনটা একেবারেই বৃথা। কিন্তু প্রিয় স্যারের একটি অনেক অনুপ্রাণিত ছন্দ। স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন ও লেগে থাকুন সফলতা আসবেই। এখন আমি অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি। প্রিয় স্যারের শিক্ষা পেয়ে এখন সাহস করি।
এবং শুরু করে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ প্রিয় গ্রুপের সাথে সবসময় লেগে থেকে। সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব। তাই প্রিয় স্যারকে অন্তর থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্যারের ভালোবাসায় আজ আমরা ভালোবাসার একটি প্লাটফরম পেয়েছি। যে প্লাটফর্মে যুক্ত থাকলে একজন ভালো মানুষ হওয়া যাবে। তাই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে নিজেকে একজন সৌভাগ্যবান মনে করি।
ইনশাআল্লাহ প্রিয় প্ল্যাটফর্মের সাথে সারাজীবন যুক্ত থেকে। অনেক পজিটিভ জিনিস শিখব ও শিখাবো। একজন ভাল মানুষ হয়ে সমাজে বুক ফুলিয়ে বসবাস করবো। এবং সফল উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকব। অনেক অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।
আল্লাহ আমার মনের নেক আশা ও প্রিয় প্লাটফর্মের সবার মনের নেক আশা পুরন করে দেন। আমিন
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় লালবাগ জোনের ও নোয়াখালী জোনের সমস্ত ভাইয়া ও আপু কে। বিশেষ করে লালবাগ জোন এম্বাসিডর মোশারফ ভাইয়াকে ও আকাশ ভাইয়াকে।
ড্রিসটিক এম্বাসিডর রনি ভাইয়া কে। সবার ভালবাসা ও অনুপ্রেরণায় প্রিয় স্যার আমাকে কোতোয়ালি থানা এম্বাসিডর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
তাই প্রিয় স্যারের জন্য লালবাগ জোনের সবার জন্য ও নোয়াখালী জোনের সবার জন্য ও প্রিয় প্ল্যাটফর্মের সমস্ত ভাইয়া ও আপুর জন্য। আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল।
সবার সুসাস্ত ও উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় স্যার ভালোবেসে আমার বিজনেসের নাম রেখেছেন সুন্নাহ শপ । আপনি ভালোবেসে আমার বিজনেস এর আইডিতে ঘুরে আসতে পারেন।
https://www.facebook.com/সুন্নাহ-শপ-100495402511651/
ভালোবেসে আমার ফেসবুক আইডিতে ঘুরে আসতে পারেন।
https://www.facebook.com/profile.php?id=100073299797628
🇧🇩🇧🇩🇧🇩
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৪৩
Date:- ১৪/০২/২০২২ইং
নামঃ মোঃ- আব্দুল্লাহ আল মাসঊদ।
কোতয়ালি থানার এম্বাসিডর
ব্যাচ নাম্বার- 16
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার- 76061
জেলা:- নোয়াখালী।
থানাঃ- চাটখিল।